আজ আড্ডায় জিকু আশরাফ এর একটু বেশিই আক্রমণ হলো কথার দ্বারা। সাড়ে সাত
বছর দুই দিনের ব্যাপার নিয়েই বেশি কথা হলো তাকে নিয়ে, জিকুর নাম নীরব ভাই
জিতু কেন দিলেন সেটা নিয়ে কথা হলো। এক পর্যায়ে বেচারা জিকু ফকিরকে অর্থ
সাহায্য দিয়ে বলল, আমার একটু দোয়া করিয়েন, আর কেউ যেন আক্রমণ না করে।
কথা কম বলার যুক্তিসংগতই উত্তর দিলেন।
চায়ের বিল নোমান ভাইই দিলেন। জানা গেলো তিনি চিটাগং এলে এ জায়গাতেই তার
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেন। আরেকটা ব্যাপার জানালো জিকু ভাই জানালো, যেদিন
সাভার দূর্ঘটনা হয়েছে, সেদিনই ঢাকা শহরের ভবন ধসের আশংকায় নাকি চট্টগ্রাম
এসে গেছেন নোমান ভাই!
Kolpo Bilashi
পুডিং বানিয়ে আনতে গিয়ে আসতে দেরি করে ফেলল। বাসায় পুডিং বানাতে গিয়ে হাত
পুড়ালো, ডেসকি পুড়ালো। কিন্তু মনের মত পুডিং বানাতে না পারায় সেগুলো আনলো
না। আসার সময় দোকান থেকে বিশাল আকৃতির পুডিং কিনে আনলো। সে পুডিং তৃপ্তি
সহকারে সবাই খেলো। এরমধ্যে
তৃপ্ত সুপ্ত আপু তার ক্যামেরায় গ্রুপ ছবি তুলে দিলেন।
প্রথম অবস্থান ছিল আমাদের ডাচ বাংলের অপজিটে গ্রামীণের সৌজন্যে দেওয়া পথচারী ছাউনিতে।
প্রথম অবস্থান থেকে লাল খান বাজারের পেছনের বাটালি হিলের উপরে আড্ডা দেয়ার
জন্য স্থান নির্ধারণ করা হলো। কিন্তু কয়েকজনের অনাগ্রহের কারণে তা বাতিল।
পরে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শিল্পকলা ঠিক হলো।
এরমধ্যে নোমান ভাই বিদায় নিলেন। তার বন্ধুরা তার জন্য অপেক্ষা করছে।
আমার একসাথে থাকতে ইচ্ছা করছে, মজার আড্ডা ছেড়ে যেতে ইচ্ছা করছে না।
কিন্তু অফিস শুরু হয়ে গেছে ৫ টা থেকে। আগেরর দিনও দেরি করে গিয়েছি। তাই মন
উসখুশ করছিল অফিসে যাওয়ার জন্য। এম্নেতেই এক ঘন্টার ওপর দেরি হয়ে গেছে। তাই
মন শক্ত করে জিইসি মোড় থেকে বিদায় নিতে বাসে উঠার প্রস্তুতি নিলাম। কিন্তু
ছোট ভাইগুলোর বাধা। তাদের কথা এক দিন দেরি হলে কিছু হবে না। এরমধ্যে হুট
করে কল্প তরু এসে আমার হাতের থেকে মোবাইলটা নিয়ে ফেলল। সুন্দর করে হাঁটা
দিলো। সবাই দেখি বেশ সমর্থন দিলো এ ঘটনায়। এরমধ্যে আমাদের দল বেঁধে হাটা
চলা শিল্পকলার উদ্দেশ্যে। শিল্প কলায় পৌঁছে কিছুক্ষণ আড্ডা দেয়ার পর বিদায়
নিয়ে অফিসের দিকে আসলাম।
আড্ডায় অনেক বেশি প্রাণবন্ত দেখা গেছে
জিসান বাপ্পি কে। এছাড়া যাদের উপস্থিতিতে আড্ডা প্রাণবন্ত তারা হচ্ছে,
জাহিদ, নিলয়, ইমদাদ, পিনাক, রাহী....................