শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫

অভিমানী (অনুগল্প)

সেদিন বেশ অবাক হয়েছিলাম। এ পিচ্ছি মেয়ে ভালোবাসবে আমায়! আরে এর মুখ দেখলে কি মায়া লাগে। মনে হয় এখুনি বুঝি চোখ ভাসিয়ে দেবে অভিমানে।
অভিমানের ওপর পৃথিবীতে পিএইডি পাওয়ার কোন প্রতিষ্ঠান থাকলে এ মেয়ে অতি সফলতার সাথে পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করতো।
ছয়টা বছর পর। আগের সম্পর্ক বদলে গেছে। আগে যা ছিল আড়ালে এখন তা উম্মুক্ত। সমাজ কর্তৃক স্বীকৃত।
তবে অভিমান এতটুকু কমেনি।

সপ্তাহে একদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিই। আড্ডায় গেলে সময়ের প্রতি খেয়াল থাকে না। দেখা যায় রাত দুইটা তিনটা বেজে যায়। ওই সময় পর্যন্ত ক্ষুধা পেটে অপেক্ষা করে একসাথে খাবে বলে। প্রথম দিন রাগ করছিলাম। সবার ক্ষুধা একসাথে লাগে না। তাহলে এক সাথে খেতে হবে কেন! ক্ষুধা লাগামাত্র খেয়ে নিলেই তো হয়।
শুধু একটা কথা বলেছিল, এতই যখন মায়া আগে আসলেই তো পারো।
সেদিন রাতে আর খায়নি। জোর করেও খাওয়াতে পারে নি। এলার্মের শব্দে যখন ভোরে ঘুম ভাঙ্গল তখনও দেখি জেগে আছে। চোখে পানি।

এ মেয়েটা এত অভিমানী কেন! তবে সেদিন অফিস কামাই দেয়ায় তার অভিমান খুশীতে পরিণত হয়। এত অল্পতে একটা মানুষ এত খুশী কিভাবে হয়ে যেতে পারে তাকে না দেখলে কখনোই জানা হতো না।
প্রতিটি মেয়েই কি এমন অভিমানী, এমন মায়াবতী? হয়তবা! হয়ত না।

ফেসবুকে : অভিমানী