নীরা ও অনিক ব্যালকনিতে বসে আছে। ওদের ব্যালকনিটা বড়। সবুজ লাইট জ্বলছে।
অন্য রঙ্গের আলো মুখে পড়লে চেনা মানুষটিকেও অচেনা মনে হয়। নীরার কাছে
অনিককে অচেনা মনে হচ্ছে।
অনিকের মুখ গম্ভীর। কান্না আটকানোর চেষ্টা যেন। এত কম রান করার পরও বলতেছিল জিতবে। কিন্তু পরে যখন হারলো তখন আর কিছু বলল না।
নীরা কি বলবে ভেবে পায় না। বাংলাদেশ হারায় তারও খারাপ লাগছে। কিন্তু হার জিত তো বাস্তবতা। হারলে এভাবে মুষড়ে পড়তে হবে! কিছু বলতে ইচ্ছা করে।
: শুনো।
অনিক কিছু বলে না।
: এই শুনো। এত মন খারাপ করার কি আছে। প্রতি ম্যাচে জিতবে বলে তো কথা নেই। এর আগের দুইটা ম্যাচে জিতেছে।
অনিক কিছু বলে না।
: তুমি কথা না বললে আমি চলে যাচ্ছি। তুমি একা একা বসে থাকো।
অনিক নীরার মুখের দিকে তাকায়। হুম বলো। দুইটা মাত্র শব্দ। অথচ আটকে যাচ্ছে। আর কয়েকটা শব্দ উচ্চারণ করতে গেলেই কান্না আর লুকাতে পারবে না। নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, এখন আর কিছুক্ষণ চুপ থাকি?
: নাহ। তুমি এত বেশি মন খারাপ করে আছো তা দেখতে আমার ভাল লাগছে না। হারলে এমন বোবা হয়ে যেতে হবে এমন কথা তো কোথাও নেই। একটা কথা বলি?
: কি?
: আমাদের ছেলে হলে আমরা তাকে ক্রিকেটার বানানো। ছোট বয়েস থেকে তাকে ক্রিকেট শেখাবো। লনে তিনজনে ক্রিকেট খেলবো। আচ্ছা ছোট ব্যাট পাওয়া যায় না?
: হা যায় তো।
: ছোট ব্যাট আনা হবে। আমাদের ছেলে ব্যাট ধরবে। বল করবে তুমি। আর ব্যাটের পেছনে থাকবো আমি। আচ্ছা উইকেটের পেছনে যে লোকটা থাকে ও একটা ঝুড়ি না কি যেন পড়ে থাকে। হেলমেটের মত।
: হুম ওইটাকে হেলমেট বলে।
: তাহলে ওই হেলমেটও পড়বো আমি। তুমি বল করছো, পিচ্চিটা ব্যাট করছে। আর আমি পেছনে। তবে মাশরাফির মত এভাবে শুয়ে গিয়ে, লাফ দিয়ে আমি কিন্তু ক্যাচ ধরতে পারবো না। তখন ক্যাচ মিস হলে আবার আমাকে দোষ দিতে পারবে না।
অনাগত সন্তানের কথা শুনে অনিকের লজ্জা লাগে। তার চোখ এখন নিচের লনটার দিকে। সেখানে ওরা খেলছে। দৃশ্যটা ভাবতেই কেমন জানি একটা ভাল লাগা অনুভব করে অনিক।
অনিক লজ্জা পাচ্ছে এটা বুঝতে পারে নীরা।
শুনো এত লজ্জার কিছু নেই। ছোট দুই পা, দুই হাত। হাতে ছোট ব্যাট। বাবু ব্যাট করছে দৃশ্যটা অনেক সুন্দর তাই না? ইশ কখন যে এ দৃশ্য সত্য হবে?
ফেসবুকে : অনুভব
অনিকের মুখ গম্ভীর। কান্না আটকানোর চেষ্টা যেন। এত কম রান করার পরও বলতেছিল জিতবে। কিন্তু পরে যখন হারলো তখন আর কিছু বলল না।
নীরা কি বলবে ভেবে পায় না। বাংলাদেশ হারায় তারও খারাপ লাগছে। কিন্তু হার জিত তো বাস্তবতা। হারলে এভাবে মুষড়ে পড়তে হবে! কিছু বলতে ইচ্ছা করে।
: শুনো।
অনিক কিছু বলে না।
: এই শুনো। এত মন খারাপ করার কি আছে। প্রতি ম্যাচে জিতবে বলে তো কথা নেই। এর আগের দুইটা ম্যাচে জিতেছে।
অনিক কিছু বলে না।
: তুমি কথা না বললে আমি চলে যাচ্ছি। তুমি একা একা বসে থাকো।
অনিক নীরার মুখের দিকে তাকায়। হুম বলো। দুইটা মাত্র শব্দ। অথচ আটকে যাচ্ছে। আর কয়েকটা শব্দ উচ্চারণ করতে গেলেই কান্না আর লুকাতে পারবে না। নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, এখন আর কিছুক্ষণ চুপ থাকি?
: নাহ। তুমি এত বেশি মন খারাপ করে আছো তা দেখতে আমার ভাল লাগছে না। হারলে এমন বোবা হয়ে যেতে হবে এমন কথা তো কোথাও নেই। একটা কথা বলি?
: কি?
: আমাদের ছেলে হলে আমরা তাকে ক্রিকেটার বানানো। ছোট বয়েস থেকে তাকে ক্রিকেট শেখাবো। লনে তিনজনে ক্রিকেট খেলবো। আচ্ছা ছোট ব্যাট পাওয়া যায় না?
: হা যায় তো।
: ছোট ব্যাট আনা হবে। আমাদের ছেলে ব্যাট ধরবে। বল করবে তুমি। আর ব্যাটের পেছনে থাকবো আমি। আচ্ছা উইকেটের পেছনে যে লোকটা থাকে ও একটা ঝুড়ি না কি যেন পড়ে থাকে। হেলমেটের মত।
: হুম ওইটাকে হেলমেট বলে।
: তাহলে ওই হেলমেটও পড়বো আমি। তুমি বল করছো, পিচ্চিটা ব্যাট করছে। আর আমি পেছনে। তবে মাশরাফির মত এভাবে শুয়ে গিয়ে, লাফ দিয়ে আমি কিন্তু ক্যাচ ধরতে পারবো না। তখন ক্যাচ মিস হলে আবার আমাকে দোষ দিতে পারবে না।
অনাগত সন্তানের কথা শুনে অনিকের লজ্জা লাগে। তার চোখ এখন নিচের লনটার দিকে। সেখানে ওরা খেলছে। দৃশ্যটা ভাবতেই কেমন জানি একটা ভাল লাগা অনুভব করে অনিক।
অনিক লজ্জা পাচ্ছে এটা বুঝতে পারে নীরা।
শুনো এত লজ্জার কিছু নেই। ছোট দুই পা, দুই হাত। হাতে ছোট ব্যাট। বাবু ব্যাট করছে দৃশ্যটা অনেক সুন্দর তাই না? ইশ কখন যে এ দৃশ্য সত্য হবে?
ফেসবুকে : অনুভব