বৃহস্পতিবার, ১২ নভেম্বর, ২০১৫

এলার্ম ঘড়ি (অণুগল্প)

: আচ্ছা, আপনি আমাকে এত ঘন ঘন ফোন দেন কেন? ফেসবুকে বসতে না বসতে নক দেন।
: বিরক্ত? ঠিক আছে বিরক্ত হলে আর দিবো না।
: নাতো। আমি কি সেটা বলেছি নাকি?
: প্রশ্ন করলে যে!
: ফোন দিয়ে কথা বলেন না। বেশির ভাগ সময়ই আমার কথা বলতে হয়। আমিই বকবক করি।

দুই টাকা ও এক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার গল্প (চারপাশ)

জাতীয় পরিচয় পত্রে কিছু সংশোধনী প্রয়োজন। নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম, সোনালী ব্যাংকে ২৫৩ টাকা জমা দিতে হবে।
বুধবার সাড়ে তিনটার দিকে গেলাম আগ্রাবাদ সোনালী ব্যাংকে। ১২ নম্বর কাউন্টারে এ বিষয়ে টাকা জমা নেয়া। বিশাল পরিসর নিয়ে ব্যাংক। অন্য কাউন্টারে ভীড় থাকলেও ওই কাউন্টারে তেমন ভীড় নেই। যিনি ভেতরে আছেন তিনি খুব বিরক্ত।

বস্তা ভরা ভালোবাসা (অনুগল্প)

তাদের মধ্যে ছোট খাটো ঝগড়া প্রায় সময় হয়। ঝগড়া করা মেয়েটির শখ। ছেলেটি আগে ঝগড়া করতে পারতো না। এখন সেও কিছুটা শিখে নিয়েছে।
তার ওপর দুইদিন আগে একটা অনলাইন নিউজে ঝগড়া করার ১০১ টা টিপস লেখাটা পড়েছে। সেটা পড়ার পর ছেলেটির আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে।
আজকের ঝগড়াটা পিকচার নিয়ে। মেয়েটিই শুরু করল।
: তুমি আমার হলুদ রঙ্গের শাড়ি পড়া ছবিটায় লাইক দাও নি কেন?

টিভি কেনার গল্প (শৈশব)


রম্য :

১. রস আলো :প্র.আ  ২. প্যাচাল ৩.  রকমারি রম্য : বা-প্র  ৪.   ৫.

ম্যাগাজিন




তখন ছোট। আমাদের বাসা আর নানা-নানুর বাসা পাশাপাশি। নানুর বাসায় বিটিভিতে রাত আটটার সংবাদ খুব মনযোগ দিয়ে দেখতাম। না খবরগুলো না। খেলার খবর। সেটা দেখার জন্যই বসে থাকতাম। যদি হুট করে খেলার খবর চলে যায়! তাই পুরাটা সময় বসে থাকা। খেলার খবর পাওয়ার ওইটাই ছিল ভরসা। সপ্তাহে একদিন মঙ্গলবার বিটিভিতে রাতে নাটক হতো। রাত আটটার সংবাদের পর।

অনুরোধ (গল্প)*

তমার সাথে আমার ডিভোর্স হয়ে যাচ্ছে। কাগজপত্র অনেকটাই রেডি। দুই জনে স্বাক্ষরের পর তার কাজ শেষ। দেড় বছরের সম্পর্ক কাগজে কলমে শেষ হচ্ছে। আমার কেমন লাগছে, তা দেখাচ্ছি না। উপর দিয়ে একটা ফূর্তির ভাব ধরে রেখেছি। তমা আগে থেকে কিছুটা গম্ভীর প্রকৃতির। খুব কাছের কারো সাথে সে অনেক চঞ্চল। আবার দূরের কারো সাথে সে পুরাই অন্যরকম। একটা গাম্ভীর্য নিয়ে থাকে। কিছু বললে হাসি মুখে উত্তর দেয়। তাও মাপা হাসি। অতটুকু। নিজে আগ বাড়িয়ে কিছু বলে না।