জাতীয় পরিচয় পত্রে কিছু সংশোধনী প্রয়োজন। নির্বাচন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানতে পারলাম, সোনালী ব্যাংকে ২৫৩ টাকা জমা দিতে হবে।
বুধবার সাড়ে তিনটার দিকে গেলাম আগ্রাবাদ সোনালী ব্যাংকে। ১২ নম্বর কাউন্টারে এ বিষয়ে টাকা জমা নেয়া। বিশাল পরিসর নিয়ে ব্যাংক। অন্য কাউন্টারে ভীড় থাকলেও ওই কাউন্টারে তেমন ভীড় নেই। যিনি ভেতরে আছেন তিনি খুব বিরক্ত।
দিলাম কাগজটা বাড়িয়ে। সাথে পাঁচশো টাকার নোট।
নিলেন না। ঝাঁঝের সাথে বললেন, ভাংতি দেন। ভাংতি।
তিনি রাজা! আমরা প্রজা.. বকা দিতেই পারেন!!!
পেছনে আরেকজন ছিলেন। তিনিও একই কাজে টাকা জমা দিতে আসছেন। তাকে বললাম, ভাই আপনার টাকাটা দেন। দুইজনেরটা একসাথে দিই।
৫১০ টাকা দিলাম।
ওই ভাই আমাকে ২৫৫ টাকা দিলেন। আমি তাকে বললাম, আপনি তো আমার থেকে টাকা পাবেন তাই না।
তিনি বললেন, দেখেন উনি আপনাকে ফেরত দেয় কিনা।
দেখলাম ঠিকই। কাগজের আমাদের অংশটুকু ফেরত দিয়ে ডান হাত নাড়াতে লাগলেন। যাতে আমরা সরে যাই। টাকা দিতে না চাইলে ভাংতি নাই এমন বলে সৌজন্যতাবোধ পর্যন্ত দেখালেন না। যেন ওইটা তার হক!!
লাইন থেকে বের হলাম। যে আমার পেছনে ছিল সে একটা হাসি দিলো, তার কথা যে সত্য হলো এজন্য। বান্দরবানের সোনালী ব্যাংকে টাকা ঠিকই ফেরত দেয়া হয়।
কথা বলে জানতে পারলাম, লোকটি একটি অফিসে পিয়নের চাকরি করে।
তার টাকাও মেরে দেয়া হয়!
এভাবে হয়ত কিছু টাকা কামাতে পারেন। কিন্তু এরপর?
ব্যাংক কর্মকর্তা দুই টাকাও খায় যখন কোন ফকির শুনবে তখন সে সান্ত্বনা খুজে পেতেই পারে। মানসিক সান্ত্বনা!
লজ্জা জিনিসটা সবার থাকে না... লজ্জা যাদের থাকে তারা ভাগ্যবান। আমাদের ভাগ্য খারাপ মাঝে মাঝে নির্লজ্জদের কাছ থেকেও সেবা নিতে যেতে হয়।
বাংলাদেশের ব্যাংকের বর্তমান গভর্ণর আতিউর রহমান অনেক দক্ষ এবং সৎ একজন ব্যক্তি। বেশ কিছু দারুণ দারুণ পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি গ্রাহকদের সেবা সহজ করতে। সরকারি ব্যাংকে জমিদারির মত ভাব দেখান যারা তাদের নিয়ে তিনি আশা করি বিশেষ কোন কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ নেবেন। যাতে ওরা সেবা নিতে যারা যায় তাদের প্রজা না ভাবে।
ফেসবুকে এ লেখাটি
বুধবার সাড়ে তিনটার দিকে গেলাম আগ্রাবাদ সোনালী ব্যাংকে। ১২ নম্বর কাউন্টারে এ বিষয়ে টাকা জমা নেয়া। বিশাল পরিসর নিয়ে ব্যাংক। অন্য কাউন্টারে ভীড় থাকলেও ওই কাউন্টারে তেমন ভীড় নেই। যিনি ভেতরে আছেন তিনি খুব বিরক্ত।
দিলাম কাগজটা বাড়িয়ে। সাথে পাঁচশো টাকার নোট।
নিলেন না। ঝাঁঝের সাথে বললেন, ভাংতি দেন। ভাংতি।
তিনি রাজা! আমরা প্রজা.. বকা দিতেই পারেন!!!
পেছনে আরেকজন ছিলেন। তিনিও একই কাজে টাকা জমা দিতে আসছেন। তাকে বললাম, ভাই আপনার টাকাটা দেন। দুইজনেরটা একসাথে দিই।
৫১০ টাকা দিলাম।
ওই ভাই আমাকে ২৫৫ টাকা দিলেন। আমি তাকে বললাম, আপনি তো আমার থেকে টাকা পাবেন তাই না।
তিনি বললেন, দেখেন উনি আপনাকে ফেরত দেয় কিনা।
দেখলাম ঠিকই। কাগজের আমাদের অংশটুকু ফেরত দিয়ে ডান হাত নাড়াতে লাগলেন। যাতে আমরা সরে যাই। টাকা দিতে না চাইলে ভাংতি নাই এমন বলে সৌজন্যতাবোধ পর্যন্ত দেখালেন না। যেন ওইটা তার হক!!
লাইন থেকে বের হলাম। যে আমার পেছনে ছিল সে একটা হাসি দিলো, তার কথা যে সত্য হলো এজন্য। বান্দরবানের সোনালী ব্যাংকে টাকা ঠিকই ফেরত দেয়া হয়।
কথা বলে জানতে পারলাম, লোকটি একটি অফিসে পিয়নের চাকরি করে।
তার টাকাও মেরে দেয়া হয়!
এভাবে হয়ত কিছু টাকা কামাতে পারেন। কিন্তু এরপর?
ব্যাংক কর্মকর্তা দুই টাকাও খায় যখন কোন ফকির শুনবে তখন সে সান্ত্বনা খুজে পেতেই পারে। মানসিক সান্ত্বনা!
লজ্জা জিনিসটা সবার থাকে না... লজ্জা যাদের থাকে তারা ভাগ্যবান। আমাদের ভাগ্য খারাপ মাঝে মাঝে নির্লজ্জদের কাছ থেকেও সেবা নিতে যেতে হয়।
বাংলাদেশের ব্যাংকের বর্তমান গভর্ণর আতিউর রহমান অনেক দক্ষ এবং সৎ একজন ব্যক্তি। বেশ কিছু দারুণ দারুণ পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি গ্রাহকদের সেবা সহজ করতে। সরকারি ব্যাংকে জমিদারির মত ভাব দেখান যারা তাদের নিয়ে তিনি আশা করি বিশেষ কোন কর্মশালা আয়োজনের উদ্যোগ নেবেন। যাতে ওরা সেবা নিতে যারা যায় তাদের প্রজা না ভাবে।
ফেসবুকে এ লেখাটি