তাদের মধ্যে ছোট খাটো ঝগড়া প্রায় সময় হয়। ঝগড়া করা মেয়েটির শখ। ছেলেটি আগে ঝগড়া করতে পারতো না। এখন সেও কিছুটা শিখে নিয়েছে।
তার ওপর দুইদিন আগে একটা অনলাইন নিউজে ঝগড়া করার ১০১ টা টিপস লেখাটা পড়েছে। সেটা পড়ার পর ছেলেটির আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে।
আজকের ঝগড়াটা পিকচার নিয়ে। মেয়েটিই শুরু করল।
: তুমি আমার হলুদ রঙ্গের শাড়ি পড়া ছবিটায় লাইক দাও নি কেন?
: হলুদ রঙটা আমার কাছে কটকটে রঙ মনে হয় তাই!
: শুধু রঙ কেন, ইদানিং আমাকেওতো তোমার কটকটে মনে হয়।
: মনে হলে কি করবো?
এটা ছেলেটি ভয়ে ভয়ে বলে। ওই লেখাটায় টিপসে একটা জায়গায় বলা হয়েছে, ঠান্ডা মাথায় প্রতিপক্ষের কথার জবাব দিতে হবে। নিজে উত্তেজিত হওয়া যাবে না। প্রতিপক্ষের সাথে এমনভাবে কথা বলতে হবে যাতে সে উত্তেজিত হয়। রাগ দেখায়। কথায় আছে যে ব্যাক্তি রাগলো, সে ব্যাক্তি হারলো।
: তুমি কি বললে! আমাকে কটকটে মনে হয়। আগে যে এত কাকুতি মিনতি করে বলতে, গিফট নিয়ে দাড়ায় থাকতে রাস্তায়। আর এখন বলছো আমাকে কটকটে লাগে। তুমি ভেবেছোটা কি? অন্য মেয়েদের ছবিতেতো ঠিকই লাইক দিয়ে বেড়াও। যাও ওদের কাছে যাও। তোমার সাথে কোন সম্পর্ক নেই।
: না থাকলে নাই। থাকতে হবে এমনন কথাতো সংবিধানে লেখা নেই।
মেয়েটি নিজেকে সামলাতে পারে না, তুই একটা ফ্রড, মিথ্যুক। একটা তেলাপোকা। তেলোপোকার সাথে যেমন সম্পর্ক হয় না। তোর সাথেও সম্পর্ক নেই।
: গুড ডিসিশন।
: আমি ফোন রেখেই একটা কাজ করবো। আপনার দেয়া সব গিফট বস্তায় ভরবো। তারপর আপনার কাছে ফেরত পাঠাবো। অন্যরা ঠিকই বলে, সেলেব্রিটিদের সাথে সম্পর্ক গড়াতে নেই।
: সব ফেরত দেবা? ভ্যানিটি ব্যাগ, চুড়ি, নাকফুল সব?
: হা, সব ফেরত দেবো। একটা পিনও রাখবো না।
: কিন্তু ওসব জিনিস দিয়ে আমি ছেলে মানুষ কি করবো?
: নতুন যার সাথে প্রেম করবেন তাকে দেবেন।
: তোমাকে না এখন দেখতে খুব ইচ্ছে করছে।
: চুপ, একটা কথাও না।
: একটা জিনিস ফেরত দিতে পারবে না। যে ভালোবাসা তা ফেরত পাঠাবে কি করে?
বলেই ছেলেটি উচ্চস্বরে হাসতে থাকে। তোমাকে রাগাতে না মাঝে মাঝে খুব ভালো লাগে।
মেয়েটি এতক্ষণ ঝগড়া মুডে ছিল। সে বাস্তবতায় ফিরে আসে।
:ভালোবাসাও বস্তা ভরে পাঠিয়ে দেবো। মিস্টার, টেনশন করার কিছু নেই।
: কি পরিমাণ বস্তা লাগবে চিন্তা করছো?
: যোগাড় করবো। চালের দোকানে বস্তার অভাব হওয়ার কথা না।
: এত বস্তা যোগাড় করা। বস্তাগুলো পাঠাতে আবার কার্গো ভাড়া করতে হবে। এত এত ঝামেলার কি দরকার। তুমি চলে আসো। তাহলেই তো ভালোবাসা চলে আসবে।
ফেসবুকে : বস্তা ভরা ভালোবাসা (অনুগল্প)
তার ওপর দুইদিন আগে একটা অনলাইন নিউজে ঝগড়া করার ১০১ টা টিপস লেখাটা পড়েছে। সেটা পড়ার পর ছেলেটির আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে।
আজকের ঝগড়াটা পিকচার নিয়ে। মেয়েটিই শুরু করল।
: তুমি আমার হলুদ রঙ্গের শাড়ি পড়া ছবিটায় লাইক দাও নি কেন?
: হলুদ রঙটা আমার কাছে কটকটে রঙ মনে হয় তাই!
: শুধু রঙ কেন, ইদানিং আমাকেওতো তোমার কটকটে মনে হয়।
: মনে হলে কি করবো?
এটা ছেলেটি ভয়ে ভয়ে বলে। ওই লেখাটায় টিপসে একটা জায়গায় বলা হয়েছে, ঠান্ডা মাথায় প্রতিপক্ষের কথার জবাব দিতে হবে। নিজে উত্তেজিত হওয়া যাবে না। প্রতিপক্ষের সাথে এমনভাবে কথা বলতে হবে যাতে সে উত্তেজিত হয়। রাগ দেখায়। কথায় আছে যে ব্যাক্তি রাগলো, সে ব্যাক্তি হারলো।
: তুমি কি বললে! আমাকে কটকটে মনে হয়। আগে যে এত কাকুতি মিনতি করে বলতে, গিফট নিয়ে দাড়ায় থাকতে রাস্তায়। আর এখন বলছো আমাকে কটকটে লাগে। তুমি ভেবেছোটা কি? অন্য মেয়েদের ছবিতেতো ঠিকই লাইক দিয়ে বেড়াও। যাও ওদের কাছে যাও। তোমার সাথে কোন সম্পর্ক নেই।
: না থাকলে নাই। থাকতে হবে এমনন কথাতো সংবিধানে লেখা নেই।
মেয়েটি নিজেকে সামলাতে পারে না, তুই একটা ফ্রড, মিথ্যুক। একটা তেলাপোকা। তেলোপোকার সাথে যেমন সম্পর্ক হয় না। তোর সাথেও সম্পর্ক নেই।
: গুড ডিসিশন।
: আমি ফোন রেখেই একটা কাজ করবো। আপনার দেয়া সব গিফট বস্তায় ভরবো। তারপর আপনার কাছে ফেরত পাঠাবো। অন্যরা ঠিকই বলে, সেলেব্রিটিদের সাথে সম্পর্ক গড়াতে নেই।
: সব ফেরত দেবা? ভ্যানিটি ব্যাগ, চুড়ি, নাকফুল সব?
: হা, সব ফেরত দেবো। একটা পিনও রাখবো না।
: কিন্তু ওসব জিনিস দিয়ে আমি ছেলে মানুষ কি করবো?
: নতুন যার সাথে প্রেম করবেন তাকে দেবেন।
: তোমাকে না এখন দেখতে খুব ইচ্ছে করছে।
: চুপ, একটা কথাও না।
: একটা জিনিস ফেরত দিতে পারবে না। যে ভালোবাসা তা ফেরত পাঠাবে কি করে?
বলেই ছেলেটি উচ্চস্বরে হাসতে থাকে। তোমাকে রাগাতে না মাঝে মাঝে খুব ভালো লাগে।
মেয়েটি এতক্ষণ ঝগড়া মুডে ছিল। সে বাস্তবতায় ফিরে আসে।
:ভালোবাসাও বস্তা ভরে পাঠিয়ে দেবো। মিস্টার, টেনশন করার কিছু নেই।
: কি পরিমাণ বস্তা লাগবে চিন্তা করছো?
: যোগাড় করবো। চালের দোকানে বস্তার অভাব হওয়ার কথা না।
: এত বস্তা যোগাড় করা। বস্তাগুলো পাঠাতে আবার কার্গো ভাড়া করতে হবে। এত এত ঝামেলার কি দরকার। তুমি চলে আসো। তাহলেই তো ভালোবাসা চলে আসবে।
ফেসবুকে : বস্তা ভরা ভালোবাসা (অনুগল্প)