শুক্রবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৫

বিয়ের দাওয়াত (অনুগল্প)

পৃথিবীতে যত ধরণের প্রেম আছে ক্লাসমেট প্রেমটাই সম্ভবত সবচেয়ে জটিল। দুই জনই বেশি বোঝে। কেউ কারো থেকে কম বুঝতে রাজি না।
রফিক আর নীরার সম্পর্ককে এখন আর প্রেম বলা যাবে কিনা সন্দেহ আছে। কেননা নীরা ইদানিং প্রায় সময় বলছে, তার জন্য পাত্র দেখা হচ্ছে। শীঘ্রই বিয়ে।
রফিক কিছু বলে না। বলার স্পেসটুকু তার নেই।

বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫

চার মাস পর (অনু গল্প)

হেলাল আর আফসানা অফিসের একই ডেস্কে কাজ করে। দুইজনের মাঝখানে শুধু একটা হাফ পার্টিশন। আফসানা মেয়েটা সুন্দর। হেলাল কয়েকবার কথা বলার চেষ্টা করেছে। বেশি লাভ হয় নি। মাপা মাপা কথা বলে। সুন্দর হওয়ার গর্ব হয়ত কিংবা তার আচরণই এমন।
হেলাল ডেস্কে এলেই হেসে বলে, হাই আফসানা, কেমন আছেন?
আফসানা গম্ভীর মুখে বলল, ভালো।

সময় (অনুগল্প)

: আপনার গল্প কি শেষ?
: নাতো। গল্প কি এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়? গল্পের ডাল আছে, পালা আছে, শাখা আছে, প্রশাখা আছে।
: তাহলে চুপ হয়ে গেলেন যে?
: নিস্তব্ধটাও কিন্তু এক ধরণের গল্প।
: এটা আবার কেমন?
: এটাতে একটু সমস্যা আছে। অন্যের রুলটাও নিজেকে বানিয়ে নিতে হয়। কল্পনায় সেগুলো ভেসে উঠে।

জোড়া চাঁদ (অনু গল্প)

:একটু বের হতে পারবে?
: মাত্র ঘরে ফিরলাম। সারদিন অনেক দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। এখন আবার বাহিরে কেন?
: আজ চাঁদটা না অনেক সুন্দর। একা একা ব্যালকনিতে দাড়িয়ে দেখছি। তুমিও প্লিজ একটু বের হও না। চাঁদটা দেখো।
: আমি জোড়া চাঁদ দেখি। একটা চাঁদ দেখি না।
: জোড়া চাঁদ কিভাবে হয়! চাঁদ তো একটাই উঠে। কি যে আবোল টাবোল কথা বলো।
: সরি এখন একটা চাঁদ দেখার জন্য বের হতে বলো নাতো। একটু ফ্রেশ ট্রেশ হবো। খাবো।
: আচ্ছা।

এলার্ম ঘড়ি (অনুগল্প)

: আচ্ছা, আপনি আমাকে এত ঘন ঘন ফোন দেন কেন? ফেসবুকে বসতে না বসতে নক দেন।
: বিরক্ত? ঠিক আছে বিরক্ত হলে আর দিবো না।
: নাতো। আমি কি সেটা বলেছি নাকি?
: প্রশ্ন করলে যে!
: ফোন দিয়ে কথা বলেন না। বেশির ভাগ সময়ই আমার কথা বলতে হয়। আমিই বকবক করি।