বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫

সময় (অনুগল্প)

: আপনার গল্প কি শেষ?
: নাতো। গল্প কি এত তাড়াতাড়ি শেষ হয়? গল্পের ডাল আছে, পালা আছে, শাখা আছে, প্রশাখা আছে।
: তাহলে চুপ হয়ে গেলেন যে?
: নিস্তব্ধটাও কিন্তু এক ধরণের গল্প।
: এটা আবার কেমন?
: এটাতে একটু সমস্যা আছে। অন্যের রুলটাও নিজেকে বানিয়ে নিতে হয়। কল্পনায় সেগুলো ভেসে উঠে।


: আপনি কি এতক্ষণ কল্পনা করছিলেন?
: হুম! তবে সরি।
: আবার সরি কেন?
: আপনার অনুমতি না নিয়ে কল্পনায় আপনাকেও যুক্ত করেছি বলে।
: কি কল্পনা করলেন?
: তাতো বলা যাবে না। কল্পনারা যতক্ষণ আলোহীন থাকে ততক্ষণ সজীব থাকে। আলোর দেখা পেলে কল্পনা তার সজীবতা হারায়।
: হেয়ালি রাখেন। যাকে নিয়ে কল্পনা করছেন সে যদি পাশেই থাকে তাহলে কল্পনার কি দরকার? রাত বাড়ছে। আচ্ছা সেকেন্ডের কাটাগুলো এত দ্রুত যাচ্ছে কেন? এত দ্রুত?
: সকালকে ধরবে বলে।

: লাভ কি? সকালকে ধরবে বলে ছুটছে। সকালকে ধররে আবার দুপুরকে ধরতে যাবে। সেটাকেও ধরে রাখতে পারবে না। বিকেল হবে, সন্ধ্যা হবে। তারপর রাত। আসলে কাউকেই ধরে রাখতে পারে না সময়, শুধু ছুয়ে যায়। আপনিও কি সময়ের মতই হবেন?

ফেসবুকে : সময়