শনিবার, ২৬ জুন, ২০১০

অনুভা ও নুবাহ ( গল্প )

রাস্তাঘাট এদিকটায় একটু ভাঙা। গাড়ি একটু পর পর ঝাঁকি খাচ্ছে। আর লাফিয়ে উঠছে। কিছু কিছু গর্ত ভয়ংকর। সেখানে আবার বৃষ্টির পানি জমেছে। গাড়ির চাকা যখন ঐ পানির উপর দিয়ে যায় তখন পানি গুলো ছিটিয়ে পড়ে। পাশে কোন পথচারী থাকলে তাকে ঐ নোংরা পানি জলসিক্ত করে দেয়।

গাড়ি যে দুলছে এতে বড়রা একটু বিরক্ত হলেও বেশ মজা পাচ্ছে ছোট দুই সদস্য। অনুভা আর নুবাহ। গাড়ি লাফায় আর তা দেখে অনুভাও লাফিয়ে উঠে। গাড়ির চেয়ে ওর লম্ফজম্পটা একটু বেশিই হয়। অনুভার মা মানা করে। অনুভা ব্যথা পাবে, এভাবে সিটের মধ্যে লাফালাফি করো না।

রবিবার, ২০ জুন, ২০১০

পঞ্চ তারা (গল্প)

বনভোজন ব্যাপারটা নভেম্বর থেকে শুরু হয়। প্রায়ই দেখা যায় প্রতিদিনই কোন না কোন স্কুল থেকে পিকনিকে যাচ্ছে। তাসনিম দের স্কুল থেকেও পিকনিকে যাওয়ার নোটিশ এসেছে। নোটিশ পড়া শেষে স্যার জিজ্ঞেস করলেন, কে কে যেতে চাও? নাম জমা দাও।

বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে নাম বলল। স্যার নাম আর রোল নম্বার লিখে নিচ্ছেন। তাসনিমের খুব ইচ্ছা করছে দাঁড়াতে। নাম দিবে। কিন্তু বাসায় মানা করতে পারে। নাম দিয়ে শেষে না গেলে বিশ্রী অবস্থা হবে। যারা নাম দিচ্ছে কি ভাগ্যবান। তাসনিমের পাশে বসা দোলন। সেও নাম দিয়েছে। তাসনিমকে বলল, আরে তুই দাড়াচ্ছিস না কেন? তাড়াতাড়ি নাম দেয়। অনেক মজা করা যাবে। কুমিল্লার ময়নামতি আগে একবার গিয়েছি। অনেক সুন্দর। যে বিশাল শাল বন আছে। ঐ বনের মধ্যে অল্প দূর গেলেই আর পথ খুঁজে পাবি না। সব দিক মনে হবে একই। এত্ত গাছ। যেদিকে দেখবি সেদিকে গাছ। নাম দিয়ে দেয়।