শনিবার, ১০ জুলাই, ২০১০

বৃষ্টি কখন কান্না থামাবে

বৃষ্টি হচ্ছে। বাহিরে প্রচন্ড বৃষ্টি। মধ্যখানে প্রচন্ড বজ্রপাতের শব্দ। শারমিন একা ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে। তাকিয়ে আছে ঐ দূর আকাশের দিকে। বৃষ্টিগুলো যেন আকাশকে আড়াল করতে চায়। কিন্তু পারে না। স্বচ্ছ জিনিষ দিয়ে বুঝি কিছু আড়াল করা যায়? আকাশও আড়াল হয় না। আকাশে মেঘ ভেসে চলছে দুরন্ত গতিতে।

শারমিনের চোখে পানি। শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের পানি শুষে নেওয়ার চেষ্টা করে। যতই নেয় লাভ হয় না। আরো বেশি আসে। এক সময় বিরক্ত হয়ে চোখের পানি মোছার চেষ্টাটাই বাদ দেয়। কেউ তো দেখছে না। বৃষ্টি দেখলেই কেন যে চোখের পানি এভাবে ধেয়ে আসে?

বুধবার, ৭ জুলাই, ২০১০

ইয়া-হু ( গল্প )

“স্বপ্ন দেখতে অনেক সাহস লাগে। আমার আগে সে সাহস ছিলও। কিন্তু হঠাৎ কি থেকে যে কি হয়ে গেল? স্বপ্ন দেখার সাহসটাই হারিয়ে ফেললাম। এক সময় মনে হতো জীবনটাকে রাখছি কেন? শেষ করে দিলেই তো পারি। তাতে তো কারো ক্ষতি হবে না। বরং কেউবা আপদ থেকে বাঁচবে। কিন্তু পারি নাই। বিশ্বাস করেন পারি নাই। তা যদি মহা পাপ না হতো তাহলে ঠিকই করে ফেলতাম। আপনি স্বপ্ন দেখাতে পারেন, আপনার সাথে আর কথা হবে না. এই একাউন্টটা আজই ডি একটিভ করে দিচ্ছি, আর কোন দিন এই মেইল এড্রেস ওপেন করবো না। আপনি কারণ জানতে চাইতে পারেন, বলছি, আপনার সাথে কথা বললে দেখা যাবে আমি দুঃখ গুলো ভুলে যাচ্ছি, আমার দুঃখগুলো আমারই থাক। সেগুলো ভুলতে চাই না, এখন তো সেগুলোই আমার সম্পদ। অনেক বড় সম্পদ। সেগুলো ভুলব কেন? আমি ধন্যবাদ দিতে পারি না, পারলে দিতাম। ”

মঙ্গলবার, ৬ জুলাই, ২০১০

দীর্ঘশ্বাস ( গল্প )

রেল লাইনের ধারে বস্তিটা। বেশ কয়েকবার উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে প্রভাবশালী মহল। বস্তিবাসী সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকায় পারে নি। একবার তো আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় বস্তিবাসী। তারপরও বস্তি ছাড়ে নি। আবার আস্তে আস্তে বাসা বেঁধেছে ওরা। বস্তির দক্ষিণ পাশে একেবারে কোণায় যে বাসাটা তা মনিরের। বাসা বলতে একচিলতে জায়গায় পলিথিনের ছাউনি দিয়ে একটা কাঠামো। পলিথিন যাতে বাতাসে উড়ে যেতে না পারে সেজন্য পলিথিনের উপর বেশ কিছু পাথর আর ইট আছে। ট্রেন যখন যায় তখন বাসাটা কেঁপে উঠে। মাথা নিচু করে ঘরে ঢুকতে হয়। বাসায় ঢুকে দাঁড়ানো যায় না। বসে থাকতে হয় কিংবা শুয়ে।