শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৫

বইয়ের কাছে ফিরি (স্মৃতিচারণ)

বই দিবে, বই। হরেক রকম বই দরকার আমার। দিতে পারবে ? সেটা কালজয়ী হোক কিংবা অখ্যাত কোন লেখকের প্রথম বই হোক কোন আপত্তি নেই। তারপরও আমার বই চাই। এটা এখনকার যুগে হয়ত অস্বাভাবিক শোনাচ্ছে । তবে আজ থেকে ৮/১০ বছর আগের তরুণ-তরুণীদের মনো চাহিদা ছিল এটিই।

কলেজে ৭ অক্টোবর-১০ (দিনপঞ্জি)

বৃষ্টিতে সকালটা অনেক মায়াবী লাগছিল। ঝুম ঝুম একাধারে বৃষ্টি। অদ্ভূত সুন্দর। এরকম বৃষ্টির দিনে কাথামুড়ি দিয়ে শুয়ে থাকার অন্যরকম মজা।

সকালে ক্লাস আসে। পার্সেন্টিক কম। তাই অনিচ্ছাস্বত্বেও বের হলাম প্যান্টের নিচের দিকটা গুটিয়ে। আহাদ যেতে চাচ্ছিলো না। আরেকটু ঘুমাবে। জোর করে ওকে রাজি করালাম।

হৈমন্তী : স্মৃতিচারণ

আমার খালাতো ভাই যে কিনা এবার এস এস সি দেবে। ঢাকায় থাকে। তো ঢাকায় গেলে ওর সাথে খুব গল্প চলে। কাকে ভাল লাগল, ওর বন্ধুরা কার কার সাথে ইয়ে ইয়ে করে সব ঘটনা আমাকে বলা চায়। গল্প শুনতে শুনতে রাতের অন্ধকার দিনের আলোয় দূর হয়ে যায়। এত বড় রাতটা যে গল্পের মাঝে কিভাবে কেটে যায় তা টের পাওয়া যায় না।

স্মৃতিচারণ : একটি চড়ুই

সময় অনেক দ্রুত যায় তাই না! কত সময় চলে গেল। অথচ মনে হচ্ছে এইতো সেদিন ছোটকাল পার করে এলাম। আমার কথার মধ্যে জড়তা তা নিয়ে কত জন হাসাহাসি করত!!! তখন তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। বাসার পাশেই কাঁঠাল গাছ। কাঁঠাল গাছটি অনেক স্লিম। জায়গার অভাবেই হয়ত সে নিজেকে ঐভাবে গড়ে নিয়েছে। তবে অনেক কাঁঠাল ধরত। কেউ আবার মুখ লাগানোর চেষ্টা করবেন না। অযথা শ্রম নষ্ট। কারণ মুখ লাগিয়ে লাভ নেই। ৩ বছর আগে প্রিয় কাঁঠাল গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে।

অনুভূতি : চশমা

যারা আমার মত অর্ধ অন্ধ তারা বুঝে চশমার প্রয়োজনীয়তা কি! ভাল চোখওয়ালা কারো পক্ষে চশমার এত প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। অষ্টম শ্রেণীতে পড়বার সময় চোখ দেখাতে গিয়েছিলাম। সমস্যা পিছনের সিটে বসলে ব্ল্যাক বোর্ডের লেখা কম দেখি। আমি মনে করতাম সবাই আমার মত কম দেখে!! এই ভুল ধারণার কারণে ডাক্তার দেখাতে দেরি হয়ে গিয়েছিল।

ভ্রমণ : পাহাড়ে প্রথম পর্ব

সময়গুলো ছিল অসাধারণ। জীবনের শ্রেষ্ঠ্য সময়। অনেক দুর্গম এলাকায় গিয়েছি। দেখেছি অনেক ধরণের দুর্লভ জীবন ধারা, সংষ্কৃতি। প্রকৃতির সাথে মিশে গিয়েছিলাম। বাংলাদেশ প্রাকৃতিক ভাবে এত সুন্দর তা উপলব্ধি করতে পেরেছিলাম শক্ত ভাবে। নিরাপত্তা, খাদ্য, আশ্রয়, অর্থ, যাতায়াত কোন কিছুর চিন্তা করতে হয় নাই। সব করা হয়েছে সামরিক, বেসামরিক প্রসাশন থেকে। যাতায়াতের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে আর্মির গাড়ী, হেলিকপ্টার। সব সময় ছিল সামরিক প্রহরা।