মঈন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। নিজেকে মাঝে মাঝে মানুষ ভাবতে ইচ্ছে হয়,
ইচ্ছে হয় আবেগী ভাবতে। যে চলন্ত পথে মেয়েদের গলার চেইন, কানের দুল টান
দিয়ে হাওয়া হয়ে যায় সে আবেগী হয় কিভাবে। অনেক সময় কানে দুল টানতে গিয়ে
কানের লতি ছিড়ে যায়। কিন্তু সেদিকে দেখার সময় কই। তার আগেই অদৃশ্য হয়ে যায়
মঈন। অদৃশ্য হতে সেকেন্ড দেরি করার উপায় নেই। ইদানিং গণপিটুনি বেড়ে গেছে।
গণপিটুনি মানে হচ্ছে মৃত্যু। তার দলের রাজু মারা গেল এক মাস আগে। একটুর
জন্য ধরা পড়ে গেল। চেইন নিয়ে দৌড় দিচ্ছে এসময় দেখে একটা হোন্ডা জোরে আসছে
সেটা দেখে থমকে দাঁড়াতেই পিছে এসে একজন ধরে ফেলে। আর যায় কই। শুরু হয় মাইর।
হোন্ডার নিচে পড়ে মরলেও এত কষ্ট পেত না। মানুষের গণপিটুনিতে যত কষ্ট। দূর
থেকে মঈন সব দেখছিল। নিজের সাগরেদ মারা যাচ্ছে অথচ কিছু করা যাচ্ছে না। দূর
থেকে শুধু দেখে গেল চল্লিশ পঞ্চাশ জন লোক একটা লোককে সমানে মেরে যাচ্ছে।......
সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২
মায়া (গল্প)
দু:খী মেয়ে (গল্প)
০১. মা-বাবা মরা একটা মেয়ে কতটুকু অসহায় থাকে তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝার কথা
না। বুঝেও না। আর মেয়েটি যদি একটু বড় হয় তাহলে তো কথাই নাই। আশ্রয় দিতে
সবাই ভয় পায়। চাচা মামা দুই পক্ষই দুই পক্ষের দিকে বাড়িয়ে দেয়। কেউ রাখতে
রাজি না। শেষ পর্যন্ত যখন দেখা যায় কেউ রাখছে না তখন বড় মামা যিনি কিনা
কেরানি এবং স্বচ্ছল্লতার দিক দিয়ে অন্যদের চেয়ে কম তিনি আশ্রয় দেন আসমাকে।
যদিও এটা নিয়ে মামীর অনেক কথা শুনতে হয় মামাকে। - অন্যরা এত বড় লোক, কেউ তো
রাখলো না। তুমি কেন আনতে গেলে?...........
সহ্য (গল্প)
একটু পর পর টুক টুক আওয়াজ হচ্ছে। ছন্দময় আওয়াজ। একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর।
হয়ত প্রতিটা সময় সূক্ষ্ণ ভাবে মিলছে। একটার পর আরেকটার মাঝে যে সময় তা একই।
মধ্যখানের সময় ব্যবধান একই নাকি তা ধরার চেষ্টা করে ইব্রাহিম। স্টপ ওয়াচ
থাকলে ভাল হতো। কিন্তু তা হাতের কাছে নেই। মুখই ভরসা। সে গুণে যায় এক, দুই,
তিন, চার পাঁচ বলতে যায় ঠিক তখনই আবার শব্দ হয়। প্রতিবারই এমন হচ্ছে। পাঁচ
আর বলা হয় না। অথ্যাৎ প্রতি সাড়ে চার সেকেন্ড পর পর শব্দ হচ্ছে। সুন্দর
সময় সচেতন তো। সময়ানুবর্তিতার চমৎকার উদাহরণ। ............
অন্যরকম অপেক্ষা (গল্প)
অতি চেনা মানুষ যখন অচেনা মানুষের মত আচরণ করে তখন খারাপ লাগে। নিজেকে ছোট
মনে হয়। মনের আকাশে জমে কালো মেঘ। যে মেঘ সহজে সরতে চায় না। স্থায়ী ভাবে
বসে পড়ার একটা নিরন্তর চেষ্টা করে যায়। কখনোবা মনের একপাশ যুদ্ধ করে যায় সে
কালো মেঘ সরাতে। তখন কষ্টটা আরো বাড়ে। বাধা পেয়ে যেন ঐ কালো মেঘ আরো
ঝাঁকিয়ে বসতে চায়। বাধা না দিলেই মনে হয় ভাল। ....
মুক্তি (গল্প)
গ্রামটার নাম ইয়াবামী। ক্যামেরুনে। উত্তরে দুয়ালা শহর থেকে কয়েক ঘন্টার পথ।
তবে রাস্তার অবস্থা ভাল না। মাটির রাস্তা। বর্ষাকালে সম্পূর্ণ রাস্তা কাদা
হয়ে যায়। কোথাও কোথাও জমে চোরা বালি। গাড়ীর চাকা সে চোরাবালিতে আটকে পড়ে।
তাই বর্ষা কালে এদিকে তেমন গাড়ি যায় না।........
অসহায় জীবন (গল্প)
ঘরটার একটা অংশ ভাঙা। পিছনের পাক ঘরটা প্রায় সম্পূর্ণটাই। আগে সেখানে
রান্না হতো। কিন্তু এখন সে অংশ ভাঙা। ছাদের কিছুটা ঝুলে আছে। ছাদের লোহার
সাথে কংক্রিট সিমেন্ট লেগে আছে। যে কোন সময় নিচে পড়তে পারে। সেজন্য সেখানে
এখন আর রান্না করা হয় না। পরিত্যক্ত পড়ে আছে সে কক্ষটি। ঠিক করতে হবে।
কিন্তু যে ঠিক করবে সেই যে অনেকটা পরিত্যক্ত হয়ে আছে।............
স্বপ্ন জোছনা ( গল্প )
চারদিকে উজ্জ্বল আলো। সাদা বর্ণের মনে হয়। আবার কখনো মনে হয় সাদা বর্ণের না
এই আলো স্বর্গীয়। এই আলোর রঙ বুঝা অসম্ভব। পুকুরের পানির রঙ বদলে গেছে।
মাঝে মাঝে মাছের ঝাপটানি শুনা যাচ্ছে। মাছগুলোও কি এই সুন্দর রাত উপভোগ
করতে এভাবে উপরে উঁকি দিচ্ছে। দিতেই পারে। ওদেরও তো জীবন আছে। এই পুকুরে
অনেক মাছ। একটু জাল ফেললেই মাছের ভারে জাল তুলতে কষ্ট হয়। তবে এই পুকুর
থেকে খাওয়ার জন্য মাছ তোলা হয় না। হাট থেকে আনা হয়। মাছগুলো পুকুরেই থাকে।....
পাগলী (গল্প)
তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। একটু পর পর বজ্রপাতে আকাশ চমকে উঠছে। মানুষ চমকে উঠে
কিছু অভাবনীয় দেখলে। আর আকাশ চমকায় বৃষ্টিতে। বৃষ্টিকে হয়ত বেশি ভালবাসে
তাই। তবে মানুষের চমকানো আনন্দের হলেও আকাশের এই চমকানো মানুষের জন্য
যথেষ্ট আতঙ্কের। পত্রিকায় প্রায়ই খবর আসছে বজ্রপাতে মৃত্যু। সেজন্য বাসায়
বসে আছি। বাহিরে যাওয়ার কথা ছিল। বের হওয়ার সাহস পাইনি।
মা পাখি (ছোটদের গল্প)
আমড়া গাছে অনেক গুলো পাখি বসে আছে। গাছে অনেক আমড়া ধরছে। প্রতিটি ডালে অনেক
অনেক আমড়া। এত আমড়া ধরেছে যে বেশকিছু ডাল ঝুলে পড়েছে সে আমড়ার ভারে।
পাখিগুলো আমড়া কামড়াচ্ছে মনের আনন্দে। আর কিচিরমিচির করে গল্প করছে। গল্পগুলোর ও কোন ঠিক ঠিকানা নেই। কে কোথায় গেছে এসব গল্প। .....
পাখিগুলো আমড়া কামড়াচ্ছে মনের আনন্দে। আর কিচিরমিচির করে গল্প করছে। গল্পগুলোর ও কোন ঠিক ঠিকানা নেই। কে কোথায় গেছে এসব গল্প। .....
দুইটি ইদুর (ছোটদের গল্প)
বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে অনেক ভালবাসা থাকে। কিছু বন্ধুত্ব থাকে শুধু স্বার্থের
জন্য। আবার কিছু বন্ধুত্ব একসাথে থাকতে থাকতে হয়ে যায়। হয়ত দেখা যায় অনেক
দিন একই সাথে আছে এজন্যই মনের টান না থাকলেও বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। কিয়াং এবং
ঝুয়াংয়ের মধ্যে যে বন্ধুত্ব এটা একসাথে থাকার বন্ধুত্ব। ওরা ইঁদুর। ........
ছেলেটি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল (গল্প)
শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলল মুহিব। পত্রিকায় ইদানিং অনেক আত্মহত্যার খবর আসছে। যার বেশির ভাগই মেয়ে। দেখা যায় ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে কেউ কেউ আত্মহত্যা করছে। আবার কোন কোন মা বিভিন্ন অত্যাচারে পরে সন্তান সহ আত্মহত্যা করছে। তবে ছেলে মানুষের আত্মহত্যা ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। কমই শোনা যায়। .....
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)