ইদানিং আমি লোডশেডিংয়ের অপেক্ষা করি। নাহ দিনের বেলায় না, রাতের বেলা।
বিশেষ করে রাত দশটার পর। কখন লোডশেডিং হবে। চারদিক অন্ধকার হয়ে যাবে। গরম
তীব্রতা আরো বেশি বোঝা যাবে।
পাশের বিল্ডিংয়ে থাকে মেয়েটি। মাঝে মাঝে সকাল বেলায় দেখি। কাধে ভারী ব্যাগ নিয়ে কলেজে ব্যস্ত ভঙ্গিতে কলেজে যায়। লম্বা চুল বেণী করা থাকে। খুব যত্ন করে স্কাফ দেয়। সম্ভবত এগুলোকে হিজাবের স্কার্ফ বলে। অনেক পবিত্র লাগে মুখটি।
কখনো কথা হয়নি। তবে রাতে বিদ্যুত চলে গেলে মেয়েটি বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে। আমি তো রাতের বড় একটা সময় ছাদে কাটাই। ছাদে এলে মেয়েটি তার ছোট ভাইয়ের সাথে গল্প করে। কি গল্প বোঝা যায় না। তবে মাঝে মাঝেই তাদের হাসির শব্দ শোনা যায়। অনেক সুন্দর মনে হয় হাসিটি।
মাঝে মাঝে ভাইটাকে ডাক দেয়। ওর ভাইয়ের নাম নিয়াজ। যতটুকু মনে হয় ভাইটি অনেক দুষ্ট। কথা শুনতে চায় না।
ইচ্ছে করে মেয়েটাকে জানাই আমি ছাদে এসেছি তাদের গল্প শুনতে, হাসি শুনতে। ওদের হাসি শুনে আমি নিজেও হাসি। আবার নিজের ছেলেমানুষীতে কিছুটা বিরক্ত হই।
আচ্ছা মেয়েটা কি ফোন ব্যবহার করে। কিংবা তাদের বাসার টিএন্ডটি নাম্বারটা কি সংগ্রহ করা যায় না? নিজেকে নিজে প্রশ্ন করি। মেয়েটার ফেসবুক আইডি আছে! মনে হয় নাই। থাকলে হাতে মোবাইল থাকতো। ফেসবুক ব্যবহারকারীর হাতে অবসরে মোবাইল থাকবে না এটা অস্বাভাবিক ঘটনা। ইশ যদি ফেসবুকে একাউন্ট থাকতো!
শুক্রবার দিনটা আমার জন্য খারাপ। এদিন লোডশেডিং হয় না। কলকারখানা বন্ধ থাকে। তাই আবাসিক এলাকায় অন্য যেকোন দিনের চেয়ে বিদ্যুত বেশি থাকে। শুক্রবার রাতেও উঠে ছাদে বসে থাকি। একটু পর পর মনে হয় ইশ বিদ্যুতটা যদি চলে যেতো। কিন্তু যায় না।
আচ্ছা মেয়েটা যদি কখনো বুঝতে পারে, আমি ছাদে তার আসার অপেক্ষায় থাকি। আমাকে কি খুব খারাপ ভাববে?
মেয়েটার সাথে কল্পনায় কথা বলতে ইচ্ছা করে।
-আচ্ছা আপনার সমস্যা কি! ছাদে উঠে বসে থাকেন। যখনই ছাদে উঠি তখনই দেখি আপনি বসা। আপনার কি আর কোন কাজ নেই।
- গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতেই তো ছাদে আসি।
- সেটা আবার কেমন?
- সেটা তো বলা যাবে না।
- হেয়ালী বাদ দেন। আপনার বয়সটা হেয়ালী করার জন্য না। কিছু একটা করার চেষ্টা করেন।
-আচ্ছা, তোমার বয়সতো অল্প। এমন কঠিন করে বলো কিভাবে!
- প্রিয় মানুষটার ভালোর জন্য বলতে হয়।
- মানে কি?
-আপনার না বুঝলেও চলবে। এখন আমি যাচ্ছি।
আচ্ছা আমার হয়েছেটা কি! পাগলরা নাকি কল্পনায় কথা বলে। আমি কি সেরকম হয়ে যাচ্ছি!
আবার ভাবি পছন্দের মানুষটার সাথে কথা বলার জন্য ওরকম হওয়াই যায়, হোক না সেটা কল্পনায়!
ফেসবুকে : কল্পনা
পাশের বিল্ডিংয়ে থাকে মেয়েটি। মাঝে মাঝে সকাল বেলায় দেখি। কাধে ভারী ব্যাগ নিয়ে কলেজে ব্যস্ত ভঙ্গিতে কলেজে যায়। লম্বা চুল বেণী করা থাকে। খুব যত্ন করে স্কাফ দেয়। সম্ভবত এগুলোকে হিজাবের স্কার্ফ বলে। অনেক পবিত্র লাগে মুখটি।
কখনো কথা হয়নি। তবে রাতে বিদ্যুত চলে গেলে মেয়েটি বিল্ডিংয়ের ছাদে উঠে। আমি তো রাতের বড় একটা সময় ছাদে কাটাই। ছাদে এলে মেয়েটি তার ছোট ভাইয়ের সাথে গল্প করে। কি গল্প বোঝা যায় না। তবে মাঝে মাঝেই তাদের হাসির শব্দ শোনা যায়। অনেক সুন্দর মনে হয় হাসিটি।
মাঝে মাঝে ভাইটাকে ডাক দেয়। ওর ভাইয়ের নাম নিয়াজ। যতটুকু মনে হয় ভাইটি অনেক দুষ্ট। কথা শুনতে চায় না।
ইচ্ছে করে মেয়েটাকে জানাই আমি ছাদে এসেছি তাদের গল্প শুনতে, হাসি শুনতে। ওদের হাসি শুনে আমি নিজেও হাসি। আবার নিজের ছেলেমানুষীতে কিছুটা বিরক্ত হই।
আচ্ছা মেয়েটা কি ফোন ব্যবহার করে। কিংবা তাদের বাসার টিএন্ডটি নাম্বারটা কি সংগ্রহ করা যায় না? নিজেকে নিজে প্রশ্ন করি। মেয়েটার ফেসবুক আইডি আছে! মনে হয় নাই। থাকলে হাতে মোবাইল থাকতো। ফেসবুক ব্যবহারকারীর হাতে অবসরে মোবাইল থাকবে না এটা অস্বাভাবিক ঘটনা। ইশ যদি ফেসবুকে একাউন্ট থাকতো!
শুক্রবার দিনটা আমার জন্য খারাপ। এদিন লোডশেডিং হয় না। কলকারখানা বন্ধ থাকে। তাই আবাসিক এলাকায় অন্য যেকোন দিনের চেয়ে বিদ্যুত বেশি থাকে। শুক্রবার রাতেও উঠে ছাদে বসে থাকি। একটু পর পর মনে হয় ইশ বিদ্যুতটা যদি চলে যেতো। কিন্তু যায় না।
আচ্ছা মেয়েটা যদি কখনো বুঝতে পারে, আমি ছাদে তার আসার অপেক্ষায় থাকি। আমাকে কি খুব খারাপ ভাববে?
মেয়েটার সাথে কল্পনায় কথা বলতে ইচ্ছা করে।
-আচ্ছা আপনার সমস্যা কি! ছাদে উঠে বসে থাকেন। যখনই ছাদে উঠি তখনই দেখি আপনি বসা। আপনার কি আর কোন কাজ নেই।
- গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতেই তো ছাদে আসি।
- সেটা আবার কেমন?
- সেটা তো বলা যাবে না।
- হেয়ালী বাদ দেন। আপনার বয়সটা হেয়ালী করার জন্য না। কিছু একটা করার চেষ্টা করেন।
-আচ্ছা, তোমার বয়সতো অল্প। এমন কঠিন করে বলো কিভাবে!
- প্রিয় মানুষটার ভালোর জন্য বলতে হয়।
- মানে কি?
-আপনার না বুঝলেও চলবে। এখন আমি যাচ্ছি।
আচ্ছা আমার হয়েছেটা কি! পাগলরা নাকি কল্পনায় কথা বলে। আমি কি সেরকম হয়ে যাচ্ছি!
আবার ভাবি পছন্দের মানুষটার সাথে কথা বলার জন্য ওরকম হওয়াই যায়, হোক না সেটা কল্পনায়!
ফেসবুকে : কল্পনা