ফুটপাথে ছেলেটি দাঁড়িয়েছিল। সন্ধ্যার আঁধারটা ভারী হচ্ছিলো। নিয়ন আলোর
বদলে এখন সাদা এনার্জি বালভ ল্যাম্পপোস্টগুলোতে। হালকা আলোয় কিছুটা অন্ধকার
দূর হয়। ছেলেটি উদাস মনে হাঁটতে থাকে। তার সামনে রিকসায় এক জুটি চলে
যাচ্ছে। নতুন ভালোবাসা সম্ভবত। মেয়েটি ছেলেটির হাত ধরে আছে। ছেলেটি কেমন
যেন লজ্জা পাচ্ছে।
তারও ভালোবাসার মানুষ ছিল। এখন আর নেই। প্রিয় মানুষটির নাম ছিল তমা। ইন্টার পাস হতেই ডাক্তার ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয় তাকে। ক্লাসমেটকে বিয়ে করার বড় দু:সাহস ছিল না ছেলেটির। অন্যদের ভালোবাসার ব্যাপারগুলো যখন দেখে বুকের এক পাশটা ব্যথা করে। আফসোসে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। যা চাওয়া হয় তা সব সময় পাওয়া যায় না। দুইজনই তো চেয়েছিল। তারপরও বাস্তবতার কারণে পাওয়া হয়নি। তমার জন্য ভালই হয়েছে। নিশ্চিত জীবন পেয়েছে। একটা ডাক্তারের অনেক ইনকাম।
ভাবতে ভাবতে ছেলেটির পথ চলা। হঠাৎ করে কিছু স্লোগান শোনা যায়। মানুষের আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি। বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। সবাই ছুটাছুটি করতে থাকে। ছেলেটিও পালায়। একটা গলিতে ঢুকে পড়ে। কিছুক্ষণ পর খেয়াল করে তার পেছনে কয়েকজন আসছে। ধর ধর বলছে। অবস্থা বুঝে উঠার আগেই একজন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। অন্যদের হাতে লাঠি সোটা ছিল। এবার শুরু মারা। যত শক্তি আছে তত শক্তি দিয়ে মেরে চলছে একদল হিংস্র জনতা। রক্ত গড়াগড়ি খাচ্ছে পিচঢালা ভাঙ্গা রাজপথে। ভাঙ্গা রাস্তার কিছুটা জায়গায় মাটি দেখা যায়। ওই মাটি শুষে নিচ্ছে কিছু রক্ত। ছেলেটির বাঁচার আকুতি, চিৎকার করে বলছে বাঁচাও বাঁচাও আমি কিছু করি নাই। কিন্তু সকলের মারের তোড়ে, চিল্লানোর শব্দে ছেলেটির আকুতি কারো কানে পৌঁছায় না। একসময় মাথা থেকে ছেলেটির মগজ বের হয়ে যায়। কখন শরীরটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে তা জানা যায় না। যখন সবাই ক্লান্ত, বিশাল একটা কাজ করে ফেলেছে ভেবে আক্রমণ বন্ধ করে তখন দেখে ক্ষত বিক্ষত শরীরটা পড়ে আছে। ২২ বছরের একটা ছেলে কিছুক্ষণ আগেও যে জীবন্ত ছিল। বিভিন্ন কথা ভাবতে ভাবতে হাঁটছিল।
কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসে। হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ছালার বস্তায় লাশটি ভরা হয়..
ছেলেটির অপরাধ সে বাংলাদেশি। ওই জনতা মনে করেছে বিশাল একটা কাজ করে ফেলেছে। ছেলেটিকে অপরাধী ভেবেছে। ছেলেটি যে নিরপরাধী তা তার গায়ে লেখা ছিল না।
ছেলেটির মা রাতের খাবার নিয়ে অপেক্ষায়, ছেলে আসলে খাবে। কিন্তু তার ছেলে যে আর আসবে না...........................
ফেসবুকে : মৃত্যু
তারও ভালোবাসার মানুষ ছিল। এখন আর নেই। প্রিয় মানুষটির নাম ছিল তমা। ইন্টার পাস হতেই ডাক্তার ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দেয়া হয় তাকে। ক্লাসমেটকে বিয়ে করার বড় দু:সাহস ছিল না ছেলেটির। অন্যদের ভালোবাসার ব্যাপারগুলো যখন দেখে বুকের এক পাশটা ব্যথা করে। আফসোসে দীর্ঘশ্বাস ফেলে। যা চাওয়া হয় তা সব সময় পাওয়া যায় না। দুইজনই তো চেয়েছিল। তারপরও বাস্তবতার কারণে পাওয়া হয়নি। তমার জন্য ভালই হয়েছে। নিশ্চিত জীবন পেয়েছে। একটা ডাক্তারের অনেক ইনকাম।
ভাবতে ভাবতে ছেলেটির পথ চলা। হঠাৎ করে কিছু স্লোগান শোনা যায়। মানুষের আতঙ্কে দৌড়াদৌড়ি। বাসে আগুন দেয়া হয়েছে। সবাই ছুটাছুটি করতে থাকে। ছেলেটিও পালায়। একটা গলিতে ঢুকে পড়ে। কিছুক্ষণ পর খেয়াল করে তার পেছনে কয়েকজন আসছে। ধর ধর বলছে। অবস্থা বুঝে উঠার আগেই একজন ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। অন্যদের হাতে লাঠি সোটা ছিল। এবার শুরু মারা। যত শক্তি আছে তত শক্তি দিয়ে মেরে চলছে একদল হিংস্র জনতা। রক্ত গড়াগড়ি খাচ্ছে পিচঢালা ভাঙ্গা রাজপথে। ভাঙ্গা রাস্তার কিছুটা জায়গায় মাটি দেখা যায়। ওই মাটি শুষে নিচ্ছে কিছু রক্ত। ছেলেটির বাঁচার আকুতি, চিৎকার করে বলছে বাঁচাও বাঁচাও আমি কিছু করি নাই। কিন্তু সকলের মারের তোড়ে, চিল্লানোর শব্দে ছেলেটির আকুতি কারো কানে পৌঁছায় না। একসময় মাথা থেকে ছেলেটির মগজ বের হয়ে যায়। কখন শরীরটা নিস্তেজ হয়ে পড়ে তা জানা যায় না। যখন সবাই ক্লান্ত, বিশাল একটা কাজ করে ফেলেছে ভেবে আক্রমণ বন্ধ করে তখন দেখে ক্ষত বিক্ষত শরীরটা পড়ে আছে। ২২ বছরের একটা ছেলে কিছুক্ষণ আগেও যে জীবন্ত ছিল। বিভিন্ন কথা ভাবতে ভাবতে হাঁটছিল।
কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসে। হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ছালার বস্তায় লাশটি ভরা হয়..
ছেলেটির অপরাধ সে বাংলাদেশি। ওই জনতা মনে করেছে বিশাল একটা কাজ করে ফেলেছে। ছেলেটিকে অপরাধী ভেবেছে। ছেলেটি যে নিরপরাধী তা তার গায়ে লেখা ছিল না।
ছেলেটির মা রাতের খাবার নিয়ে অপেক্ষায়, ছেলে আসলে খাবে। কিন্তু তার ছেলে যে আর আসবে না...........................
ফেসবুকে : মৃত্যু