শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫

বালিকা ও কান্না (অনুগল্প)

পাশে পাহাড়, রাস্তাগুলো একে বেঁকে গেছে। সুন্দর পিচঢালা রাস্তা। গাড়ি চলাচল কম। মাঝে মাঝে ফ্লাড লাইট জ্বালিয়ে দু একটা গাড়ি চলছে। কখনোবা শোনা যায় রিকসার টুং টাং বেল। বালক-বালিকা হাঁটছে। বালিকা বালকের হাত ধরে আছে। তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। আজ আকাশে চাঁদ নেই। দূরের পাহাড়টার ওপর চাঁদটা যখন মায়াবী আলো ছড়ায় তখন অন্যরকম লাগে। আজ মায়াবী আলো নেই।
: আচ্ছা চাঁদ প্রতিদিন থাকলে কি সমস্যা?

বালিকার এমন প্রশ্নে কি উত্তর দিবে ভেবে পায় না বালক। নিজেকে মাঝে মাঝে অসহায় মনে হয়। আই কিউ ভাল হলে সুন্দর কিছু বলে দিয়ে হাসানো যেতো। কিন্তু মজার কিছু কথা মাথাতেই আসে না। অথচ বালকের খুব ইচ্ছা করে মজার কিছু বলে বালিকার সুন্দর হাসিমাখা মুখটি দেখতে।
: প্রতিদিন চাঁদ দেখা গেলে মূল্য কমে যাবে তো। তাই হয়ত উঠে না।
: কক্ষনো না। তোমার সাথে আমি প্রতিদিন কথা বলি। গত দুই বছর ধরে কথা বলা হচ্ছে। কই তারপরও তো কথা বলতে ইচ্ছা হয়। প্রিয় জিনিসের মূল্য কখনো কমে না।
: ওহ।
: কি ওহ?
: তোমার সাথে একমত হলাম।
: দ্বিমত না হওয়ার কারণ কি?
: কোন কারণ নেই। তবে একমত হওয়ার ৯৯ টা কারণ আছে।
: কারণগুলো বলো।
: অন্য কারণগুলো জানি না। একটাই কারণ জানি, আমি তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি।

এ কথা শুনে বালিকার কান্না আসে। কিছু আবেগী কথা শুনলে কান্না আসতে চায়। অনেক বেশি ভাল লাগার কান্না। ভাগ্যিস চাঁদের আলো নেই। নাহলে চাঁদের আলোতে চোখের চিক চিক পানি দেখে ফেলত। এ বোকা বালকটা এত ভালোবাসে কেন!

ফেসবুকে : বালিকা ও কান্না