মুঠো শক্ত হয়ে আসে নিয়াজের। কপালের রগগুলো টন টন করে। চোখ কিছুটা লাল হয়ে আসে। তার মনে হয় এখুনি ছুটে যেতে।
পত্রিকার শিরোনামটার ওপর তার ক্রুব্ধ দৃষ্টি। তেমন গুরুত্বপূণ ভাবে ছাপা হয়নি। ভেতরের পাতায় ৬ষ্ঠ কলামে ছোট্ট করে লেখা। এক কলামেই শিরোনাম। বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত।
নিয়াজের পানির পিপাসা লাগে। পানির বোতলটা থেকে পানি পান করতে থাকে। কিন্তু পানির পিপাসা যে মিঠে না। ওর মনে হয় ওই খুনীদের প্রতিশোধ নিতে না পারলে মিটবে না এ পিপাসা!
কিন্তু অসহায় ভাবে বসে থাকা ছাড়া নিয়াজের করার কিছুই যে নেই। ফেলানীকে মেরে কাটা তাঁরের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখার পরও অনেক কিছু করতে চেয়েছিল নিয়াজ। কিন্তু কিছুই করা হয়নি। অসহায় হয়ে থাকতে হয়েছে।
নিয়াজ ঝিম মেরে বসে থাকে।
তুলির ফোন আসে।
: তোমার মন কি খারাপ, কি হয়েছে?
: নাহ। কিছু না।
: তোমার গলা শুনে বুঝতে পারছি। খারাপ কি হয়েছে বলো প্লিজ।
: বললাম তো কিছু হয়নি।
: তাহলে স্বাভাবিক গলায় কথা বলো।
: সীমান্তে হায়েনারা বাংলাদেশিকে গুলি করে মারছে। আর তুমি বলছো স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে?
: ওহ এ ব্যাপার! আমি তো ভাবলাম আরো বড় কিছু হয়েছে।
: এটা তোমার কাছে বড় মনে হচ্ছে না? এই যে আমার দেশের মানুষকে গুলি করে মারছে। পাখিকে যেমন গুলি করে তেমন। অপরাধ থাকলে তার বিচার করবে। কিন্তু গুলি করে মারার অধিকার তাদের কে দিয়েছে।
: দেশের মানুষই দেশের মানুষকে যেভাবে মারছে। যাদের দায়িত্ব অপরাধী ধরা তারাই পাইকারী হারে মানুষ মারে, মারার পর পেট ফুটো করে দেয় যাতে ভেসে না উঠে। সেখানে.... এসব খবরগুলো আর পড়তে ইচ্ছা করে না। তুমি এককাজ করো পত্রিকা পড়া বন্ধ করে দাও, খবর দেখা বন্ধ করে দাও। এমনতো না যে তুমি জানার পর কিছু করতে পারছো। যেহেতু কিছুই করা যাচ্ছে না তাই বন্ধ করে দাও। শুনো আমাদের বাসায় পত্রিকা নিষিদ্ধ থাকবে কিন্তু।
: মানে?
: বিয়ের পর আমাদের বাসা হবে না। সেখানে পত্রিকার প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। বুঝতে পারছো বালক? ওগুলো পড়ে মন খারাপ করে সুন্দর সময় কেন নষ্ট করবো আমরা।
: পত্রিকা থাকবে না, বলো কি! ওই বাসাতেই আমি থাকবো না।
: মানে!! নিজের বাসা ছেড়ে যাবা কই?
: যেদিকে চোখ যাই সেদিকে যাবো।
: ঠিক আছে, সমস্যা নেই। আমিও সাথে যাবো। তবে যাত্রা পথেও কিন্তু পত্রিকা নিষিদ্ধ থাকবে। হা হা হা।
ফেসবুকে : পত্রিকা
পত্রিকার শিরোনামটার ওপর তার ক্রুব্ধ দৃষ্টি। তেমন গুরুত্বপূণ ভাবে ছাপা হয়নি। ভেতরের পাতায় ৬ষ্ঠ কলামে ছোট্ট করে লেখা। এক কলামেই শিরোনাম। বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত।
নিয়াজের পানির পিপাসা লাগে। পানির বোতলটা থেকে পানি পান করতে থাকে। কিন্তু পানির পিপাসা যে মিঠে না। ওর মনে হয় ওই খুনীদের প্রতিশোধ নিতে না পারলে মিটবে না এ পিপাসা!
কিন্তু অসহায় ভাবে বসে থাকা ছাড়া নিয়াজের করার কিছুই যে নেই। ফেলানীকে মেরে কাটা তাঁরের বেড়ায় ঝুলিয়ে রাখার পরও অনেক কিছু করতে চেয়েছিল নিয়াজ। কিন্তু কিছুই করা হয়নি। অসহায় হয়ে থাকতে হয়েছে।
নিয়াজ ঝিম মেরে বসে থাকে।
তুলির ফোন আসে।
: তোমার মন কি খারাপ, কি হয়েছে?
: নাহ। কিছু না।
: তোমার গলা শুনে বুঝতে পারছি। খারাপ কি হয়েছে বলো প্লিজ।
: বললাম তো কিছু হয়নি।
: তাহলে স্বাভাবিক গলায় কথা বলো।
: সীমান্তে হায়েনারা বাংলাদেশিকে গুলি করে মারছে। আর তুমি বলছো স্বাভাবিক ভাবে কথা বলতে?
: ওহ এ ব্যাপার! আমি তো ভাবলাম আরো বড় কিছু হয়েছে।
: এটা তোমার কাছে বড় মনে হচ্ছে না? এই যে আমার দেশের মানুষকে গুলি করে মারছে। পাখিকে যেমন গুলি করে তেমন। অপরাধ থাকলে তার বিচার করবে। কিন্তু গুলি করে মারার অধিকার তাদের কে দিয়েছে।
: দেশের মানুষই দেশের মানুষকে যেভাবে মারছে। যাদের দায়িত্ব অপরাধী ধরা তারাই পাইকারী হারে মানুষ মারে, মারার পর পেট ফুটো করে দেয় যাতে ভেসে না উঠে। সেখানে.... এসব খবরগুলো আর পড়তে ইচ্ছা করে না। তুমি এককাজ করো পত্রিকা পড়া বন্ধ করে দাও, খবর দেখা বন্ধ করে দাও। এমনতো না যে তুমি জানার পর কিছু করতে পারছো। যেহেতু কিছুই করা যাচ্ছে না তাই বন্ধ করে দাও। শুনো আমাদের বাসায় পত্রিকা নিষিদ্ধ থাকবে কিন্তু।
: মানে?
: বিয়ের পর আমাদের বাসা হবে না। সেখানে পত্রিকার প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ। বুঝতে পারছো বালক? ওগুলো পড়ে মন খারাপ করে সুন্দর সময় কেন নষ্ট করবো আমরা।
: পত্রিকা থাকবে না, বলো কি! ওই বাসাতেই আমি থাকবো না।
: মানে!! নিজের বাসা ছেড়ে যাবা কই?
: যেদিকে চোখ যাই সেদিকে যাবো।
: ঠিক আছে, সমস্যা নেই। আমিও সাথে যাবো। তবে যাত্রা পথেও কিন্তু পত্রিকা নিষিদ্ধ থাকবে। হা হা হা।
ফেসবুকে : পত্রিকা