শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫

সাঁতার (অনুগল্প)

: কান্না করছো কেন?
: কান্না করতে কোন ট্যাক্স দিতে হয় না। তাই কাঁদছি।
: হাসতেও তো ট্যাক্স দিতে হয় না। হাসি কি দোষ করলো?
: হাসি দোষ করেছে তা কি আমি বলেছি নাকি। কারো কারো কাছে কান্নাটাই বড় আপন। কান্নার মাধ্যমে মনের কষ্টগুলো ওয়াশ করে দিতে পারি।
: মনের কষ্ট তো সবারই কম বেশি আছে। এখন সবাই যদি তা ওয়াশ করতে শুরু করে তাহলে তো দেশে গ্রীষ্মকালেও বন্যা হয়ে যাবে। তখন দেখা যাবে প্রাইভেট নৌকা কিনতে হচ্ছে। একদিকে ভালই হতো। গাড়ি কেনার তো টাকা হতো না। নৌকার দাম কম আছে। সে নৌকা কিনে আমরা দুইজনে মিলে ঘুরতে পারতাম। আচ্ছা তুমি সাঁতার পারো?

: না পারি না।
: আচ্ছা সমস্যা নেই। আমি হালকা পাতলা সাঁতার পারি। যদিও মাঝে মাঝে পানি খেয়ে ফেলি। আসলে নিয়মিত না করলে যা হয় আরকি। আমি তোমাকে সাঁতার শিখিয়ে দেবো।
: তুমি নিজে সাঁতার কাঁটতে গিয়ে পানি খাও। আমাকে কি সাঁতার শেখাবে!
: আরে আমাদের বাড়ির পুকুরে বেশি পানি নাই। অনেক বছর যাবত পুকুরটা খনন করা হয় না। সেখানে কেউ ডুবে না। তোমাকে নিরাপদেই সাঁতার শেখানো যাবে। টেনশন নিয়ো না।
লিয়া টেনশন নেয় না, তবে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। লিটন তাকে সাঁতার শেখাতে চেষ্টা করছে। লিয়ার মাথা ডুবে যাওয়ার মত হচ্ছে, মাথাটা উঠিয়ে রাখতে পারছে না। লিটন কোমল হাতে লিয়ার মাথাটা ওপর করে রাখার চেষ্টা করছে। কাছেই বৈদ্যূতিক খামে বসা থাকা কয়েকটি পাখি মুগ্ধ চোখে তাদের দিকে তাকিয়ে আছে। তারা হয়ত তার আনন্দটা বোঝার চেষ্টা করছে।

ফেসবুকে : সাঁতার