রাস্তার পথচারীদের চলাচল কমে গেছে। গাড়ি চলাচলও কম। ফুটপাট ঘেষে কয়েকটি
ভ্যানগাড়ি রাখা। সেখানে বসে গল্প করছে দুই বন্ধু সৌরব ও অনিক। অফলাইনে
অনলাইনে গল্প।
সৌরব মধুর এক সমস্যায় আছে। একটা মেয়ে তাকে ইদানিং পোক দিচ্ছে। সে ব্যাক করলে ওই মেয়ে আবার দেয়। আবার ব্যাক করলে আবার দেয়। প্রোফাইলে মেয়ের ছবিটা দূর্দান্ত। সারা মুখ জুড়ে মায়া ছড়ানো। লম্বা কালো চুল। দেখলে তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছা করে।
সৌরভ ঘটনাটা শেয়ার করে অনিকের সাথে।
-বুঝছিস, একটা মেয়ে আমাকে প্রতিদিন পোক করে। ব্যাপারটা আনন্দের।
- তুই কি ওই পোক পেয়ে খুব খুশী।
- হা, ভালো লাগে। ওই মেয়ে আমার আইডিতে ঢুকে আমাকে পোক দিচ্ছে। ব্যাপারটা ভেবে ভালো লাগে।
- সর্বনাশ! তুই তো এক্কেবারে গিয়েছিস।
- কেন কি হলো?
- ওই মেয়ে এমন পোক আরো দশ পনেরজনকে মারে। প্রতিজন ভাবে ওই মেয়ে বুঝি ওই তাকে পছন্দ করে। এটা মেয়েদের একটা পলিসি। তুমি বোকা ধরা খেয়ে বসে আছো।
- আরে এভাবে তো চিন্তা করি নাই। আসলে তো আরো অনেককে দিতে পারে।
- চিন্তা করবি কিভাবে! তুই তো বোকার হাড্ডি।
পাশে ট্রাক ছুটে যায়। ট্রাক যাওয়ার সময় বাতাস বয়ে দিয়ে যায়। রাস্তা কিছুটা কাপে ভারী ট্রাকে। সে কাঁপানিতে ভ্যানও নড়ে উঠে।
সৌরভ মোবাইল পকেটে ঢুকাতে ঢুকাতে বলে, দোস্ত আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি আর পোক ব্যাক দিবো না।
- জীবনে এই একটা বুদ্ধিমানের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারলি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
রুপা দেখে সৌরভ আর ব্যাক করে না। এ ছেলের সমস্যা কি! পোক ব্যাক দেয় না। এমনতো না সে ফেসবুকে আসে না। প্রতিদিনই আসে। স্ট্যাটাসও দেয়। শুধু পোক ব্যাক দেয় না। তাহলে আগে দিতে কেন। প্রথম থেকেই না দিতো। এখন বন্ধ করবে কেন! নিজের মধ্যে এক অপমানিবোধ হয় রুপার। এমন এক সমস্যা কারো সাথে শেয়ারও করাযাচ্ছে না।
তিনদিনের দিনও যখন ব্যাক নাই তখন রুপাই নক করে।
- ভাব খুব বেড়ে গেছে?
- বুঝলাম না।
- পোক দিই। সে পোক আর ব্যাক দেন না। খুব দামী মানুষ বুঝি। পোক দিলে দাম কমে যাবে।
-পোকের সাথে দামাদামির সম্পর্ক কি?
- অবশ্যই আছে। নাথাকলে দেন না কেন ব্যাক?না দিলে বলে দিলেই হয় দিবেন না। আমি আর পোক দিবো না। কিছু না বলে ব্যাক বন্ধ করে দেয়া অপমানজনক। আর পোক দেয়ার জন্য সরি। ক্ষমা করবেন।
- আসলে এম্নেই দেয়া হয়নি।
- আর দিতে হবে না। কখনোই দিতে হবে না। জীবনেও না।
ব্লক করলে নোটিফিকশন দেয় না ফেসবুকে। যদি দিতো তাহলে সৌরভ আবিষ্কার করতো তাকে রুপা ব্লক দিয়েছে।
এদিকে রুপা ব্লক করার পরই আবিষ্কার করে সর্বনাশ করে ফেলছে। ভালো লাগা মানুষটাকে চাইলেও এখন আর পোক দেয়া যাবে না। ব্লক দিলো কেন! জেদের বশে দিয়ে ফেলেছে নিজের মাথার চুলগুলো কিছুক্ষণ টানলো। ব্লক খুলে দেয়া যায়। কিন্তু সেতো আর ফ্রেন্ড লিস্টে থাকবে না। ধ্যাৎ কি জন্য যে মাথা গরম করতে গিয়েছিল।
ফেসবুক কোম্পানীর আর খায় দায় কাজ নেই। ব্লক খুললে ওই ব্যক্তিকে ফ্রেন্ডলিস্টে রাখার নিয়ম না রেখে আনফ্রেন্ড করে দেয়। কিছু অভিমানের ব্যাপার ফেসবুক কখনোই বুঝবে না।
ফেসবুকে : ফেসবুক
সৌরব মধুর এক সমস্যায় আছে। একটা মেয়ে তাকে ইদানিং পোক দিচ্ছে। সে ব্যাক করলে ওই মেয়ে আবার দেয়। আবার ব্যাক করলে আবার দেয়। প্রোফাইলে মেয়ের ছবিটা দূর্দান্ত। সারা মুখ জুড়ে মায়া ছড়ানো। লম্বা কালো চুল। দেখলে তাকিয়েই থাকতে ইচ্ছা করে।
সৌরভ ঘটনাটা শেয়ার করে অনিকের সাথে।
-বুঝছিস, একটা মেয়ে আমাকে প্রতিদিন পোক করে। ব্যাপারটা আনন্দের।
- তুই কি ওই পোক পেয়ে খুব খুশী।
- হা, ভালো লাগে। ওই মেয়ে আমার আইডিতে ঢুকে আমাকে পোক দিচ্ছে। ব্যাপারটা ভেবে ভালো লাগে।
- সর্বনাশ! তুই তো এক্কেবারে গিয়েছিস।
- কেন কি হলো?
- ওই মেয়ে এমন পোক আরো দশ পনেরজনকে মারে। প্রতিজন ভাবে ওই মেয়ে বুঝি ওই তাকে পছন্দ করে। এটা মেয়েদের একটা পলিসি। তুমি বোকা ধরা খেয়ে বসে আছো।
- আরে এভাবে তো চিন্তা করি নাই। আসলে তো আরো অনেককে দিতে পারে।
- চিন্তা করবি কিভাবে! তুই তো বোকার হাড্ডি।
পাশে ট্রাক ছুটে যায়। ট্রাক যাওয়ার সময় বাতাস বয়ে দিয়ে যায়। রাস্তা কিছুটা কাপে ভারী ট্রাকে। সে কাঁপানিতে ভ্যানও নড়ে উঠে।
সৌরভ মোবাইল পকেটে ঢুকাতে ঢুকাতে বলে, দোস্ত আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি আর পোক ব্যাক দিবো না।
- জীবনে এই একটা বুদ্ধিমানের মত সিদ্ধান্ত নিতে পারলি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
রুপা দেখে সৌরভ আর ব্যাক করে না। এ ছেলের সমস্যা কি! পোক ব্যাক দেয় না। এমনতো না সে ফেসবুকে আসে না। প্রতিদিনই আসে। স্ট্যাটাসও দেয়। শুধু পোক ব্যাক দেয় না। তাহলে আগে দিতে কেন। প্রথম থেকেই না দিতো। এখন বন্ধ করবে কেন! নিজের মধ্যে এক অপমানিবোধ হয় রুপার। এমন এক সমস্যা কারো সাথে শেয়ারও করাযাচ্ছে না।
তিনদিনের দিনও যখন ব্যাক নাই তখন রুপাই নক করে।
- ভাব খুব বেড়ে গেছে?
- বুঝলাম না।
- পোক দিই। সে পোক আর ব্যাক দেন না। খুব দামী মানুষ বুঝি। পোক দিলে দাম কমে যাবে।
-পোকের সাথে দামাদামির সম্পর্ক কি?
- অবশ্যই আছে। নাথাকলে দেন না কেন ব্যাক?না দিলে বলে দিলেই হয় দিবেন না। আমি আর পোক দিবো না। কিছু না বলে ব্যাক বন্ধ করে দেয়া অপমানজনক। আর পোক দেয়ার জন্য সরি। ক্ষমা করবেন।
- আসলে এম্নেই দেয়া হয়নি।
- আর দিতে হবে না। কখনোই দিতে হবে না। জীবনেও না।
ব্লক করলে নোটিফিকশন দেয় না ফেসবুকে। যদি দিতো তাহলে সৌরভ আবিষ্কার করতো তাকে রুপা ব্লক দিয়েছে।
এদিকে রুপা ব্লক করার পরই আবিষ্কার করে সর্বনাশ করে ফেলছে। ভালো লাগা মানুষটাকে চাইলেও এখন আর পোক দেয়া যাবে না। ব্লক দিলো কেন! জেদের বশে দিয়ে ফেলেছে নিজের মাথার চুলগুলো কিছুক্ষণ টানলো। ব্লক খুলে দেয়া যায়। কিন্তু সেতো আর ফ্রেন্ড লিস্টে থাকবে না। ধ্যাৎ কি জন্য যে মাথা গরম করতে গিয়েছিল।
ফেসবুক কোম্পানীর আর খায় দায় কাজ নেই। ব্লক খুললে ওই ব্যক্তিকে ফ্রেন্ডলিস্টে রাখার নিয়ম না রেখে আনফ্রেন্ড করে দেয়। কিছু অভিমানের ব্যাপার ফেসবুক কখনোই বুঝবে না।
ফেসবুকে : ফেসবুক