গাড়িটা বলতে গেলে পুরাটাই খালি। মিজান তৃতীয় যাত্রী। জানালার পাশে বসলো।
জানালার কাঁচ নেই। হয়ত ভেঙ্গে গেছে। তাই পুরা কাঁচটাই ফেলে দেয়া হয়েছে।
এখন বেশিরভাগ গাড়িতেই কাঁচ ভাঙ্গা থাকে। গাড়ির মালিকরা সে কাঁচ ঠিক করতে
আগ্রহী থাকেন না। লাভ কি আন্দোলনকারীরা আবার ভাঙবে।
অনিকের হাতে শিমের বিচি ভাজার ছোট ঠোঙ্গা। সেখান থেকে একটা একটা করে শিমের নিচ্ছে আর চিবোচ্ছে, অল্প বয়সী হেল্পার ছেলেটা যাত্রী ডাকছে, মার্কেট, মার্কেট, মার্কেট। পাঁচ টাকা বাড়তি ভাড়া।
এক বৃদ্ধ লোক উঠতে যাচ্ছিলো। দুই টাকা বাড়তি ভাড়া শুনে নেমে গেলেন।
মিজান খেয়াল করলো তার পেছনের সিটে বসা মহিলাটি তার পাশেরজনকে বলছে, শিমের বিচি ভাজার গন্ধ আসছে! গাড়িতে আবার শিমের বিচি কে ভাজছে!!
মিজান ভাবলো নিজ থেকে বলবে, সে শিমের বিচি ভাজা খাচ্ছে। কেউ ভাজতেছে না। কিন্তু বললো না। আড় চোখে পেছনে একবার তাকালো। মহিলাটির হাতে এক বান্ডিল খাতা। পরীক্ষার খাতা, নিশ্চয় কোন স্কুলের শিক্ষকতা করেন।
গাড়ি চলছে। জানালার কাঁচ নেই, হু হু করে বাতাস ঢুকছে। হরতালে একটা সুবিধা, রাস্তার সবচেয়ে বড় সমস্যা যানযট থাকে না। ফাঁকা রাস্তা দ্রুত গাড়ি চলছে। অন্যান্য দিন এক ঘন্টা আগে বের হলেও হরতালের সময় মিজান বের হয় আধা ঘন্টা আগে। তারপরও দেখে গন্তব্য স্থলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পৌঁছে গেছে। হরতাল সময়ের ভাল বরকত হয়।
স্টুপিজ গুলোতে তেমন যাত্রীর ভীড় নেই। মোড়ে মোড়ে পুলিশ। অলস ভঙ্গিতে গল্প করছে, এক পুলিশ অফিসার মনযোগ দিয়ে পেপার পড়ছে, মিজান খেয়াল নায়িকার বড় একটা ছবি ওই পাতায়। হয়ত বিনোদনের খবর পড়ছে। রাজনীতির ময়দানে কিছুটা বিনোদন!
সেদিন একটা দৃশ্য দেখে বেশ হাসি পেয়েছিল মিজানের। ওরা কয়েক বন্ধু টং দোকানটাতে আড্ডা দিচ্ছিলো। রফিক সর্বশেষ ছ্যাক খাওয়ার গল্প বর্ণনা করতে ব্যস্ত। রফিকের তা প্রথম নয়, সে ছ্যাক খাওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ অভিজ্ঞ। ছ্যাক খাওয়ার গল্পগুলো খুব রসিয়ে রসিয়ে বলে। ছ্যাক খাওয়া ব্যাপারটা কষ্টের। কিন্তু ওর ঘটনাগুলো শুনলে হাসিতে পেট ব্যথা হওয়ার যোগাড় হয়।
ওই সময় কাছেই একটা ককটেল বিষ্ফোরণের শব্দ ঘটে। মিজানের চোখে পড়ে পাশের দোকানে চা খেতে থাকা দুই পুলিশ আকাশের দিকে গুলি করা শুরু করেছে। দৃশ্যটা বেশ হাস্যকর ছিল!
এটা যখন ভাবছে তখন হঠাৎ আগুন। গাড়ি থেমে গেছে। আগুন জ্বলছে। কয়েকজন মানুষ ব্যস্ত ভেতরের মানুষগুলোকে বের করতে।
নিজেকে আবিষ্কার করে হাসপাতালে। মুখের অনেকখানি চামড়া পুড়ে গেছে। মুখ জ্বলছে। সেখানে সাদা কি যেন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মিজান খোলা জানালা দিয়ে বের হয়ে যেতে পারছিল।
দ্বিতীয় দিন শুনে, তার পেছনে যে শিক্ষিকাটা বসেছিলেন তার শরীরের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছিল। আনার কিছুক্ষণ পরই মারা যান।
ছয় মাস পর:
সীমার কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে মিজান। সীমার সাথে পরিচয় এক আত্মীয়ের বিয়েতে। এরপর ভাল বন্ধুত্ব থেকে অনেক বেশি স্বপ্ন দেখা শুরু।
রফিক তো অনেক ছ্যাকা খেয়েছে। ওর মত না হয় একটা ছ্যাকা খাওয়া হবে। পার্থক্য রফিক ছ্যাকার গল্প রসিয়ে বলতে পারে। আর এটা সেভাবে বলা যাবে না, বলতে গেলে খারাপ লাগবে। অনেক বেশি খারাপ। খারাপ লাগা না হয় নিজের কাছেই থাকুক। তাতে তো অন্তত সীমা বেঁচে যাবে একটা পুড়ে যাওয়া মুখের কাছ থেকে। এত সুন্দর মেয়েটার সাথে এমন পুড়ে যাওয়া চেহারা মানাবে না। ওকে ঠকানো হবে। সরে থাকাটাই ভাল।
সীমার কাছ থেকে পালিয়ে থাকার জন্য চেষ্টা করে মিজান। ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে ও। বুঝতে পেরে সেও কেমন জানি আলাদা থাকতে চায়। ভালই হলো। ও আলাদা হওয়ার চেষ্টা না করলে খারাপটা বেশি লাগতো। এখন খারাপটা কিছু কম লাগবে। সব কিছু নিজের দোষ, এটা থাকবে না।
মেসের বুয়া আসেনি। রফিক ডিম ভেজেছে। তা দিয়েই দুপুরের ভাত খাচ্ছে। এসময় কলিংবেলের শব্দ। দরজা খুলে যে ঢুকছে তাকে দেখতে এতটুকু প্রস্তুত ছিল না মিজান।
সীমা এসেছে। সবুজ রঙ্গের একটা শাড়ি পড়ে। তোমার সাথে আজ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে তাই আগে না জানিয়ে চলে আসলাম। জানালে তো গতবারের মত অন্য কাজ দেখাতে। শুধু ডিম দিয়ে ভাত খাচ্ছো যে! ঘটনা কি বুয়া আসে নি। আমারো ডিম দিয়ে ভাত খেতে ইচ্ছা করছে।
গুমড়ে থাকা ঘরটা যেন হঠাৎ প্রাণবন্ত হয়ে গেলো। আলোকিত আনন্দ যেন চারদিকে। রফিক ভাত এনে দেয়।
: খুব পালিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে না?
: নাহতো।
: অবশ্যই হা।
: শুনো আচ্ছা এভাবে আমি যদি পুড়তাম তুমি কি আমাকে ছেড়ে যেতে! ধরো ঘটনাটা আমার ক্ষেত্রে হয়েছে। তুমি ছেড়ে যেতে তাই না? এটা তো আমারও হতে পারতো।
বলতে গিয়ে কেমন যেন ধরে আসে সীমার গলা।
মিজান কিছু বলে না। সীমার দিকে তাকায়। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
নিজেকে সামলে নিয়ে সীমা বলে, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজই কাজি অফিসে আমাদের বিয়ে হবে। সাবিনা, রবিন. সোমারা কাজি অফিসে অপেক্ষা করছে। চলো। আমি বুঝতে পারছি তোমার মধ্যে একটা অন্যরকম ব্যাপার কাজ করছে। ”
মিজান বোঝানোর চেষ্টা করে, জীবনটা ছেলেখেলার না।
: হা তা জানি। আমি এত কিছু বুঝি না। তুমি আমার সাথে বের হচ্ছো। রফিক ভাইও যাবে। তোমার পক্ষে সাক্ষী লাগবে না!
এসময় নিজের পোড়া মুখটায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে, সিনেমায় এ ধরণের ঘটনা ঘটে। বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটে না।
: আমি সিনেমার নায়িকা না। বাস্তবেই বলছি। অন্য কারো সাথে আমার বিয়ে হলে ভাল লাগবে?
কিছু বলে না মিজান। সে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না মেয়েটার পাগলামীকে প্রশ্রয় দিবে কিনা। মনে হচ্ছে দেয়া উচিত হবে না। এ মুহূর্তে কঠোর হওয়া দরকার। আবেগের ওপর জীবন চলে না।
একটা মজার ব্যাপার খেয়াল করেছো, বিয়ের দিন আমরা শুধু ডিম ভাজি দিয়ে ভাত খেয়েছি! এরকম স্মৃতি কয়জনের থাকে? অন্যরকম না ব্যাপারটা! পরে নাতি নাতনিদের কাছে এটা গল্প করতে পারবো।
বলে যায় সীমা........ ওর চোখ মুখ উজ্জ্বল, উত্তেজনা ভর করছে সেখানে।
ফেসবুকে এ গল্পটি
অনিকের হাতে শিমের বিচি ভাজার ছোট ঠোঙ্গা। সেখান থেকে একটা একটা করে শিমের নিচ্ছে আর চিবোচ্ছে, অল্প বয়সী হেল্পার ছেলেটা যাত্রী ডাকছে, মার্কেট, মার্কেট, মার্কেট। পাঁচ টাকা বাড়তি ভাড়া।
এক বৃদ্ধ লোক উঠতে যাচ্ছিলো। দুই টাকা বাড়তি ভাড়া শুনে নেমে গেলেন।
মিজান খেয়াল করলো তার পেছনের সিটে বসা মহিলাটি তার পাশেরজনকে বলছে, শিমের বিচি ভাজার গন্ধ আসছে! গাড়িতে আবার শিমের বিচি কে ভাজছে!!
মিজান ভাবলো নিজ থেকে বলবে, সে শিমের বিচি ভাজা খাচ্ছে। কেউ ভাজতেছে না। কিন্তু বললো না। আড় চোখে পেছনে একবার তাকালো। মহিলাটির হাতে এক বান্ডিল খাতা। পরীক্ষার খাতা, নিশ্চয় কোন স্কুলের শিক্ষকতা করেন।
গাড়ি চলছে। জানালার কাঁচ নেই, হু হু করে বাতাস ঢুকছে। হরতালে একটা সুবিধা, রাস্তার সবচেয়ে বড় সমস্যা যানযট থাকে না। ফাঁকা রাস্তা দ্রুত গাড়ি চলছে। অন্যান্য দিন এক ঘন্টা আগে বের হলেও হরতালের সময় মিজান বের হয় আধা ঘন্টা আগে। তারপরও দেখে গন্তব্য স্থলে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই পৌঁছে গেছে। হরতাল সময়ের ভাল বরকত হয়।
স্টুপিজ গুলোতে তেমন যাত্রীর ভীড় নেই। মোড়ে মোড়ে পুলিশ। অলস ভঙ্গিতে গল্প করছে, এক পুলিশ অফিসার মনযোগ দিয়ে পেপার পড়ছে, মিজান খেয়াল নায়িকার বড় একটা ছবি ওই পাতায়। হয়ত বিনোদনের খবর পড়ছে। রাজনীতির ময়দানে কিছুটা বিনোদন!
সেদিন একটা দৃশ্য দেখে বেশ হাসি পেয়েছিল মিজানের। ওরা কয়েক বন্ধু টং দোকানটাতে আড্ডা দিচ্ছিলো। রফিক সর্বশেষ ছ্যাক খাওয়ার গল্প বর্ণনা করতে ব্যস্ত। রফিকের তা প্রথম নয়, সে ছ্যাক খাওয়ার ক্ষেত্রে দারুণ অভিজ্ঞ। ছ্যাক খাওয়ার গল্পগুলো খুব রসিয়ে রসিয়ে বলে। ছ্যাক খাওয়া ব্যাপারটা কষ্টের। কিন্তু ওর ঘটনাগুলো শুনলে হাসিতে পেট ব্যথা হওয়ার যোগাড় হয়।
ওই সময় কাছেই একটা ককটেল বিষ্ফোরণের শব্দ ঘটে। মিজানের চোখে পড়ে পাশের দোকানে চা খেতে থাকা দুই পুলিশ আকাশের দিকে গুলি করা শুরু করেছে। দৃশ্যটা বেশ হাস্যকর ছিল!
এটা যখন ভাবছে তখন হঠাৎ আগুন। গাড়ি থেমে গেছে। আগুন জ্বলছে। কয়েকজন মানুষ ব্যস্ত ভেতরের মানুষগুলোকে বের করতে।
নিজেকে আবিষ্কার করে হাসপাতালে। মুখের অনেকখানি চামড়া পুড়ে গেছে। মুখ জ্বলছে। সেখানে সাদা কি যেন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মিজান খোলা জানালা দিয়ে বের হয়ে যেতে পারছিল।
দ্বিতীয় দিন শুনে, তার পেছনে যে শিক্ষিকাটা বসেছিলেন তার শরীরের বেশির ভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছিল। আনার কিছুক্ষণ পরই মারা যান।
ছয় মাস পর:
সীমার কাছ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে মিজান। সীমার সাথে পরিচয় এক আত্মীয়ের বিয়েতে। এরপর ভাল বন্ধুত্ব থেকে অনেক বেশি স্বপ্ন দেখা শুরু।
রফিক তো অনেক ছ্যাকা খেয়েছে। ওর মত না হয় একটা ছ্যাকা খাওয়া হবে। পার্থক্য রফিক ছ্যাকার গল্প রসিয়ে বলতে পারে। আর এটা সেভাবে বলা যাবে না, বলতে গেলে খারাপ লাগবে। অনেক বেশি খারাপ। খারাপ লাগা না হয় নিজের কাছেই থাকুক। তাতে তো অন্তত সীমা বেঁচে যাবে একটা পুড়ে যাওয়া মুখের কাছ থেকে। এত সুন্দর মেয়েটার সাথে এমন পুড়ে যাওয়া চেহারা মানাবে না। ওকে ঠকানো হবে। সরে থাকাটাই ভাল।
সীমার কাছ থেকে পালিয়ে থাকার জন্য চেষ্টা করে মিজান। ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে ও। বুঝতে পেরে সেও কেমন জানি আলাদা থাকতে চায়। ভালই হলো। ও আলাদা হওয়ার চেষ্টা না করলে খারাপটা বেশি লাগতো। এখন খারাপটা কিছু কম লাগবে। সব কিছু নিজের দোষ, এটা থাকবে না।
মেসের বুয়া আসেনি। রফিক ডিম ভেজেছে। তা দিয়েই দুপুরের ভাত খাচ্ছে। এসময় কলিংবেলের শব্দ। দরজা খুলে যে ঢুকছে তাকে দেখতে এতটুকু প্রস্তুত ছিল না মিজান।
সীমা এসেছে। সবুজ রঙ্গের একটা শাড়ি পড়ে। তোমার সাথে আজ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে তাই আগে না জানিয়ে চলে আসলাম। জানালে তো গতবারের মত অন্য কাজ দেখাতে। শুধু ডিম দিয়ে ভাত খাচ্ছো যে! ঘটনা কি বুয়া আসে নি। আমারো ডিম দিয়ে ভাত খেতে ইচ্ছা করছে।
গুমড়ে থাকা ঘরটা যেন হঠাৎ প্রাণবন্ত হয়ে গেলো। আলোকিত আনন্দ যেন চারদিকে। রফিক ভাত এনে দেয়।
: খুব পালিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে না?
: নাহতো।
: অবশ্যই হা।
: শুনো আচ্ছা এভাবে আমি যদি পুড়তাম তুমি কি আমাকে ছেড়ে যেতে! ধরো ঘটনাটা আমার ক্ষেত্রে হয়েছে। তুমি ছেড়ে যেতে তাই না? এটা তো আমারও হতে পারতো।
বলতে গিয়ে কেমন যেন ধরে আসে সীমার গলা।
মিজান কিছু বলে না। সীমার দিকে তাকায়। চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
নিজেকে সামলে নিয়ে সীমা বলে, “আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আজই কাজি অফিসে আমাদের বিয়ে হবে। সাবিনা, রবিন. সোমারা কাজি অফিসে অপেক্ষা করছে। চলো। আমি বুঝতে পারছি তোমার মধ্যে একটা অন্যরকম ব্যাপার কাজ করছে। ”
মিজান বোঝানোর চেষ্টা করে, জীবনটা ছেলেখেলার না।
: হা তা জানি। আমি এত কিছু বুঝি না। তুমি আমার সাথে বের হচ্ছো। রফিক ভাইও যাবে। তোমার পক্ষে সাক্ষী লাগবে না!
এসময় নিজের পোড়া মুখটায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে, সিনেমায় এ ধরণের ঘটনা ঘটে। বাস্তবে এমন ঘটনা ঘটে না।
: আমি সিনেমার নায়িকা না। বাস্তবেই বলছি। অন্য কারো সাথে আমার বিয়ে হলে ভাল লাগবে?
কিছু বলে না মিজান। সে সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না মেয়েটার পাগলামীকে প্রশ্রয় দিবে কিনা। মনে হচ্ছে দেয়া উচিত হবে না। এ মুহূর্তে কঠোর হওয়া দরকার। আবেগের ওপর জীবন চলে না।
একটা মজার ব্যাপার খেয়াল করেছো, বিয়ের দিন আমরা শুধু ডিম ভাজি দিয়ে ভাত খেয়েছি! এরকম স্মৃতি কয়জনের থাকে? অন্যরকম না ব্যাপারটা! পরে নাতি নাতনিদের কাছে এটা গল্প করতে পারবো।
বলে যায় সীমা........ ওর চোখ মুখ উজ্জ্বল, উত্তেজনা ভর করছে সেখানে।
ফেসবুকে এ গল্পটি