বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট, ২০১৫

জন্মদিনে শুভেচ্ছা

২০১৪

০১. মো. আসাদ উল্লাহ :
"খুব কাছের এক বান্ধবীর মুখে তার নাম প্রথম শুনি। প্রেমিকা বা বান্ধবীদের মুখে ছেলেদের নাম শুনলে যা হয় আর কি।
-আরে ধুর ফাউল পুলা
-সব ভাব, মেয়ে পটানোর ফন্দি
-ভালোর মুখোশে একেকটা বজ্জাৎ, খোঁজ নিয়ে দেখো কত মেয়ের সাথে ইয়ে আছে।
মেয়েটা একটা কথা বলে থামিয়ে দিল, সবাইকে নিজের মত মনে করো?
কৌতূহলে তার অয়ালে ঢুকলাম, খুজে পেটে সমস্যা হলনা কারন আমার বান্ধবীর অয়াল জুরে তার শেয়ার করা গল্প।


সামাজিক সমস্যা নিয়ে তার স্ট্যাটাস, শিক্ষামূলক, জীবন ছুয়ে যাওয়া গল্প, গল্পের মজবুত গাঁথুনি, চমৎকার বর্ণনা ভালোই লাগলো বোঝা গেলো এই ছেলে ব্লগের মজবুত মাল।
কিন্তু জেলাস তো ছিলই। আরে ভালো লিখলেই তার বন্ধু হতে হবে?
তার সাথে বন্ধুত্ব হওয়ার দিনটা আমার জন্য চরম লজ্জার এক দিন। অনলাইনে এমন লজ্জা খুব কমই পেয়েছি।
ফেইসবুক বলছে আজ তাঁর জন্মদিন। কোনোদিন কথা হয়নাই, ইনবক্সিং ওঁ হয়েছে হাতে গোনা, তবু তাঁকে আপন আপন মনে হয়। অনলাইন সম্পর্কে তাঁকে সজন হিসেবেই মানি (কখনো বলা হয়নাই)। আজ ফোন দিয়ে উইশ করলে কেমন হয় ?
শুভ জন্মদিন বার্থডে বয় মুন্না ভাই। দোআ নিয়ে বেঁচে থাকুন, ভালোবাসা নিয়েও..."

ফেসবুকে শুভেচ্ছাটি ০১



০২. মুস্তাকী নাঈমা তিন্নি

শুভ জন্মদিন ‪#‎মুন্না‬ ভাই smile emoticon
কিছু মানুষকে শ্রদ্ধা এবং সম্মানের দ্বারা এমন একটা পর্যায়ে রাখা হয় যেখান থেকে তাকে আর সরানো যায়না।আপনি ঠিক সেই পর্যায়ে আছেন ভাইয়া। smile emoticon
আপনার ওয়াল আমার মতে ছোটখাট একটি নিউজপেপার।চোখ বুলাতে ভাল লাগে,কতশত খবর যে জানতে পারি ওখান থেকে।ভাল থাকুন ভাইয়া,অনেক দোয়া এবং শুভকামনা

ফেসবুকে শুভেচ্ছা ০২

০৩. দাইফ ভাই : ২০১৩

আজ ১লা সেপ্টেম্বর। তেমন কোনো বিশেষ দিন নয়। প্রতি মাসেই ১ তারিখ আসে। কিন্তু গতকাল হতেই দেখি ফারহিনের (Farheen) কি যেন চিন্তা। ভাবলাম মাসের প্রথম দিন তো আবার "বেতন উৎসব", সেটাই নিয়েই কোনো পরিকল্পনা নাকি। গতকাল রাতে আবার আমাকে নিয়ে গেলো আদিবাসী এক বুটিক হাউসে, সেখানে সব থেকে ছোট সাইজের পাঞ্জাবী খুঁজে বের করলো। কারণটা জিজ্ঞেস করতেই বের হলো, গতকাল ছিল আমাদের আদরের মুন্নার জন্মদিন। যেহেতু উনি জন্মদিনে আসবেননা বান্দরবানে, এর পরদিন তাকে এই উপহার দেয়া হবে। আমি সরাসরি বললাম ওর জন্য এক পয়সাও খরচ করবোনা আমি। আমার স্ত্রী রুদ্র হুংকারে নিজের ব্যাগ হতে টাকা বের করে পরিশোধ করলো। সবাই আমাকে কিপটে ভাবতে পারে, আসলে আপনজনদের আমি তেমন উপহার দেইনা।
তো যাই হোক, আজকে মুন্নার ২৬তম জন্মদিনের ২য় দিন। মুন্না আজকে সন্ধ্যার পর হাজির। ফারহিন ততক্ষনে কেক খুঁজতে ব্যস্ত। বান্দরবান ছোট শহর, এখানে অর্ডার দিয়ে না রাখলে জন্মদিনের কেক পাওয়া দুষ্কর। পরে ফারহিনকে বললাম মিষ্টি দিয়ে কাজ চালাও। আমরা বসলাম "বনফুলে"। বেশ কিছু মিষ্টি প্লেটে রাখা, আর মুন্নার সাথে ফারহিনের বাক্য বিনিময়। আমি গপাগপ কয়েকটা মিষ্টি একাই সাবাড় করলাম, আর মুন্না খুব ভাবের সাথে বিয়ে বাড়ির নতুন বরের মতো আস্তে আস্তে একটা মিষ্টি খেলো। এরপর ওকে জানালাম আজ আমরা যা যা খাবো তার সব বিল তুমি দেবে। মুন্না তার হাড্ডিসার দেহের বুক চিতিয়ে বললো, "কোনো সমস্যা নেই ভাইয়া"। যদিও বললো সমস্যা নেই কিন্তু ওর মুখটা একটু মলিন হলো, আমি মনে মনে বললাম "এইবার খাপে খাপ" আর মুন্নার মনে ছিল "বাপরে বাপ"।
তো রাতের খাবার শেষে সাঙ্গুনদীর ব্রিজে দাঁড়িয়ে দেশের আইন পরিস্থিতির বিবেচনা করা, বান্দরবানে আর্মির নতুন ক্যান্টিনের প্রশংসা করা এবং সেটা নিজেরাই সহ্য করতে না পেরে সেই আর্মি ক্যান্টিনে যেয়ে লাস্যি খাওয়া। আর ফারহিনের ডায়েট কন্ট্রোলে গুলি মেরে আইসক্রীম খাওয়া, সব মিলিয়েই ভাল ছিল। মিস করেছি আরেক ছোট ভাই সমীরণকে (DrSamiran)। দিনে যখনই চা বা কফি খাই তখন সমীরণ ছেলেটার কথা মনে হয়। আসলে সমীরণ আমাকে চা/কফি পান করবার জন্য চমৎকার একটি মগ উপহার দিয়েছে ক'দিন আগে। সেটা দিয়েই সুরুৎ সুরুৎ করে চা/কফি খাই আর সমীরণকে মনে করি। আর ভাবি যে এই মগটা নষ্ট হলে সমীরণ আবার আরেকটি মগ দেবে, হেহ হেহ হেহ।
মুন্না, অনেক দোয়া রইল দজ্জাল একটা বউ যেন আসে জীবনে।

ফেসবুকে : দাইফভাইয়ের উইশ