পাঞ্জাবিটা একটু ঢোলা হয়েছে। কালো রঙ্গের পাঞ্জাবি। মৌমিতার পছন্দের রঙ কালো। গত তিন বছর ধরে সজিব কালো রঙ্গের কাপড় কিনে।
টি টেবিলের ওপর রাখা একটি কেক। তার ওপরে ছোট ছোট মোমবাতি রাখা। মোমবাতিগুলো জ্বলছে। সজিব অপেক্ষা করছে। মোমবাতি গুলো যখন নিভে যাবে তখন কেক কাটা হবে।
ছেলে মানুষদের চোখের পানি মানায় না। মৌমিতার অপারেশন হবে। তা অপারেশন টেবিলে যাওয়ার আগে সজিবের চোখের পানি দেখে, মৃদু হেসে বলে তোমার সমস্যা কি? চোখে পানি কেন। ছেলে মানুষের কান্না আমি সহ্য করতে পারি না। তারপরও কাঁদছো। আরে বাবা অপারেশন হলেই তো আমি ঠিক হয়ে যাবো। সুস্থ হবো। এভাবে কান্নাকাটি হওয়ার মত ঘটনা না তো এটা। চোখের পানি মুছো।
নিজের দুর্বল হাত উঠাতে চেষ্টা করে মৌমিতা চোখের পানি মুছিয়ে দেয়ার জন্য। শক্তি পায় না।
সজিবই মুখটি নিচু করে। মৌমিতার হাত দুইটি ধরে নিজের মুখে ছোয়ায়। মৌমিতার হাসি বিস্তৃত হয়!
নাহ, মৌমিতা কথা রাখে নি। সে আর ফিরে নাই। ওইটাই শেষ কথা ছিল। এভাবে অন্ধকারে চলে যাবে বলেই কি মৌমিতার পছন্দের রঙ্গ কালো ছিল!
মৌমিতা যখন ছিল তখন আফসোস করত ওর জন্মদিনটা বর্ষাকালে না বলে।
-দেখো জন্মদিনটা পড়লো পড়লো শীতকালে পড়লো। বর্ষাকালে হলে কি সমস্যা ছিল?
- কেন শীতকালে কি সমস্যা? শীতকাল তো উৎসবের মৌসুম। চারদিকে বিয়ে হয়। জন্মদিনের জন্যও শীতকালই তো ভালো।
-তোমাকে বলছে! আমার জন্মদিনটা বর্ষাকাল হলেই ভালো হতো। ঝির ঝির বৃষ্টি পড়ছে। সে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে জন্মদিন পালন করছি। ব্যাপারটাই তো বেশি সুন্দর।
- যখন হয় নাই কি আর করা। জন্মদিনতো আর পরিবর্তন করা যায় না।
হতাশ মুখে বলে সজিব।
- এরকম হতাশ হয়ো না তো। আমার একটা পরিকল্পনা আছে। এমনভাবে ঠিক করবো যাতে আমাদের সন্তানের জন্মদিনটা বর্ষাকালে পড়ে। ওর জন্মদিনে বাড়ির ছাদে জন্মদিনের অনুষ্ঠান হবে। বৃষ্টি হবে, সে বৃষ্টিতেই কেক কাটা হবে।
-বাচ্চার ঠান্ডা লাগানোর বুদ্ধি। বৃষ্টিতে ভিজলে ওর তখন ঠান্ডা লেগে যাবে না।
-হুম তাও কথা।
এমন অনেক অনেক পরিকল্পনা নিয়ে কথা হতো। কি সব সুন্দর সুন্দর পরিকল্পনা। কিন্তু কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই যে চলে গেলো।
মোমবাতির আলো নিভে আসছে প্রায়! কেক না কেটে সজিব মোবাইল ফোনটা হাতে নেয়। সেখানে এখনও মৌমিতার নাম্বার সেভ করা আছে। নাম্বারটি বন্ধ। তারপরও বার বার ওই নাম্বারে কল দিতেই থাকে। মৌমিতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে হবে যে!
ফেসবুকে-জন্মদিনের শুভেচ্ছা
টি টেবিলের ওপর রাখা একটি কেক। তার ওপরে ছোট ছোট মোমবাতি রাখা। মোমবাতিগুলো জ্বলছে। সজিব অপেক্ষা করছে। মোমবাতি গুলো যখন নিভে যাবে তখন কেক কাটা হবে।
ছেলে মানুষদের চোখের পানি মানায় না। মৌমিতার অপারেশন হবে। তা অপারেশন টেবিলে যাওয়ার আগে সজিবের চোখের পানি দেখে, মৃদু হেসে বলে তোমার সমস্যা কি? চোখে পানি কেন। ছেলে মানুষের কান্না আমি সহ্য করতে পারি না। তারপরও কাঁদছো। আরে বাবা অপারেশন হলেই তো আমি ঠিক হয়ে যাবো। সুস্থ হবো। এভাবে কান্নাকাটি হওয়ার মত ঘটনা না তো এটা। চোখের পানি মুছো।
নিজের দুর্বল হাত উঠাতে চেষ্টা করে মৌমিতা চোখের পানি মুছিয়ে দেয়ার জন্য। শক্তি পায় না।
সজিবই মুখটি নিচু করে। মৌমিতার হাত দুইটি ধরে নিজের মুখে ছোয়ায়। মৌমিতার হাসি বিস্তৃত হয়!
নাহ, মৌমিতা কথা রাখে নি। সে আর ফিরে নাই। ওইটাই শেষ কথা ছিল। এভাবে অন্ধকারে চলে যাবে বলেই কি মৌমিতার পছন্দের রঙ্গ কালো ছিল!
মৌমিতা যখন ছিল তখন আফসোস করত ওর জন্মদিনটা বর্ষাকালে না বলে।
-দেখো জন্মদিনটা পড়লো পড়লো শীতকালে পড়লো। বর্ষাকালে হলে কি সমস্যা ছিল?
- কেন শীতকালে কি সমস্যা? শীতকাল তো উৎসবের মৌসুম। চারদিকে বিয়ে হয়। জন্মদিনের জন্যও শীতকালই তো ভালো।
-তোমাকে বলছে! আমার জন্মদিনটা বর্ষাকাল হলেই ভালো হতো। ঝির ঝির বৃষ্টি পড়ছে। সে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে জন্মদিন পালন করছি। ব্যাপারটাই তো বেশি সুন্দর।
- যখন হয় নাই কি আর করা। জন্মদিনতো আর পরিবর্তন করা যায় না।
হতাশ মুখে বলে সজিব।
- এরকম হতাশ হয়ো না তো। আমার একটা পরিকল্পনা আছে। এমনভাবে ঠিক করবো যাতে আমাদের সন্তানের জন্মদিনটা বর্ষাকালে পড়ে। ওর জন্মদিনে বাড়ির ছাদে জন্মদিনের অনুষ্ঠান হবে। বৃষ্টি হবে, সে বৃষ্টিতেই কেক কাটা হবে।
-বাচ্চার ঠান্ডা লাগানোর বুদ্ধি। বৃষ্টিতে ভিজলে ওর তখন ঠান্ডা লেগে যাবে না।
-হুম তাও কথা।
এমন অনেক অনেক পরিকল্পনা নিয়ে কথা হতো। কি সব সুন্দর সুন্দর পরিকল্পনা। কিন্তু কোন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হওয়ার আগেই যে চলে গেলো।
মোমবাতির আলো নিভে আসছে প্রায়! কেক না কেটে সজিব মোবাইল ফোনটা হাতে নেয়। সেখানে এখনও মৌমিতার নাম্বার সেভ করা আছে। নাম্বারটি বন্ধ। তারপরও বার বার ওই নাম্বারে কল দিতেই থাকে। মৌমিতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে হবে যে!
ফেসবুকে-জন্মদিনের শুভেচ্ছা