ফরিদ সাহেব ঢাবিতে লেখাপড়া করেছেন। স্কলারশীপ নিয়ে কানাডা যান। সেখানেই চাকরি হয়। মধ্যখানে দেশে এসে বিয়ে করেন।
তার মেয়ে আছে। মেয়ের বর্তমান বয়স নয় বছর। বিদেশে বড় হলেও বাংলা বলতে পারে। বাসাতে মেয়ের সাথে তিনি বাংলাতেই কথা বলেন।
তিনি খুব সচেতন মেয়েকে এদেশের গৌরবের গল্পগুলো বলতে। মেয়েও খুব আগ্রহ দিয়ে শোনে। তার ইচ্ছে লম্বা সময় নিয়ে দেশে আসবেন। বাংলাদেশের দেখার মত জায়গা গুলো দেখাবেন। তার পড়ার জায়গা ঢাবি ঘুরে দেখাবেন। ঢাবির অনেক শ্রেষ্ঠ্যত্বের গল্পও বলেছেন মেয়েকে। মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, স্বৈরাচারী আন্দোলনের ঢাবির শিক্ষার্থীরা যে প্রথম কাতারে ছিল তা বলেন। মেয়ে মুগ্ধ হয়ে শুনে সে গল্প!
তার মেয়ে আছে। মেয়ের বর্তমান বয়স নয় বছর। বিদেশে বড় হলেও বাংলা বলতে পারে। বাসাতে মেয়ের সাথে তিনি বাংলাতেই কথা বলেন।
তিনি খুব সচেতন মেয়েকে এদেশের গৌরবের গল্পগুলো বলতে। মেয়েও খুব আগ্রহ দিয়ে শোনে। তার ইচ্ছে লম্বা সময় নিয়ে দেশে আসবেন। বাংলাদেশের দেখার মত জায়গা গুলো দেখাবেন। তার পড়ার জায়গা ঢাবি ঘুরে দেখাবেন। ঢাবির অনেক শ্রেষ্ঠ্যত্বের গল্পও বলেছেন মেয়েকে। মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন, স্বৈরাচারী আন্দোলনের ঢাবির শিক্ষার্থীরা যে প্রথম কাতারে ছিল তা বলেন। মেয়ে মুগ্ধ হয়ে শুনে সে গল্প!
কিন্তু একটা ঘটনা দেখে ফরিদ সাহেবের এ ইচ্ছাটা মিইয়ে গেছে। মেয়েকে নিয়ে
ঢাবিতে যাওয়ার চিন্তা তিনি বাদ দিয়েছেন। সেখানে যদি কোনভাবে অপদস্ত হতে হয়!
তাহলে মেয়েকে এতদিন বলা গল্পগুলো যে মিথ্যে হয়ে যাবে।
ঘোরার জায়গা থেকে ঢাবি বাদ দিতে হবে ভেবে কষ্ট হচ্ছে ফরিদ সাহেবের। দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। তার স্ত্রী কেয়া বুয়েট থেকে বের হয়েছেন। রাতে স্ত্রীর সাথে বিষয়টা শেয়ার করেন।
-তুমি এত মন খারাপ করো নাতো। এটা একটা অঘটন। সব সময়ই তো এমন হয় না।
- তারপরও যদি হয়। তখন মেয়েকে কি বলবো? তার চেয়ে না যাওয়াটাই বেটার কি বলো?
-দেশে যাওয়ার পর দেখা যাবে। আর সমস্যা কি আছে? জাহেদকে বলে দিবো। প্রয়োজনে সে ফোর্স রাখবে।
জাহেদ হচ্ছে কেয়ার চাচাতো ভাই। পুলিশের বড় পদে আছে।
স্ত্রীর কথা শুনে হু হু করে হেসে উঠেন ফরিদ সাহেব। কেমন যেন অপ্রকৃতিস্থ হাসি।
কেয়া ভয় পান।
কি হলো.. এমন ভয়ানক ভাবে হাসছো কেন।
- ওই যে বললা ফোর্স নিয়ে যেতে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে থেকেছি এতটা দিন। আড্ডা দিয়েছি। কত কত স্মৃতি সেখানে যেতে হবে ফোর্স নিয়ে। ফোর্স নিয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারটা কেমন অদ্ভুত না?
- আচ্ছা এগুলো বাদ দাও। ঘুমাও তো।
- হুম ঘুমাবো। তোমার কি মনে হয় ওই অসভ্যদের বিচার হবে? যারা মহিলা মানুষকে সম্মান দেয় না। ক্যাম্পাসে এভাবে মহিলার জামার কাপড় ছিড়ে দেয়। তারা আমার পড়ে আসা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এটা ভাবতে লজ্জা লাগছে।
- শোনো আমরা দেশের বাহিরে তো তাই লজ্জাটা আমাদের বেশি লাগে। এ লজ্জাটা যদি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় যারা আছে তাদের থাকতো তাহলে কাজে দিতো। কিছুটা ইতিবাচক ফল পাওয়া যেতো। আর এ বিষয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। ঘুমাওতো।
ফরিদ সাহেব মাথা নাড়েন। তার ঘুম আসছে না।
ফেসবুকে-ঢাবি
ঘোরার জায়গা থেকে ঢাবি বাদ দিতে হবে ভেবে কষ্ট হচ্ছে ফরিদ সাহেবের। দীর্ঘশ্বাস ফেলেন। তার স্ত্রী কেয়া বুয়েট থেকে বের হয়েছেন। রাতে স্ত্রীর সাথে বিষয়টা শেয়ার করেন।
-তুমি এত মন খারাপ করো নাতো। এটা একটা অঘটন। সব সময়ই তো এমন হয় না।
- তারপরও যদি হয়। তখন মেয়েকে কি বলবো? তার চেয়ে না যাওয়াটাই বেটার কি বলো?
-দেশে যাওয়ার পর দেখা যাবে। আর সমস্যা কি আছে? জাহেদকে বলে দিবো। প্রয়োজনে সে ফোর্স রাখবে।
জাহেদ হচ্ছে কেয়ার চাচাতো ভাই। পুলিশের বড় পদে আছে।
স্ত্রীর কথা শুনে হু হু করে হেসে উঠেন ফরিদ সাহেব। কেমন যেন অপ্রকৃতিস্থ হাসি।
কেয়া ভয় পান।
কি হলো.. এমন ভয়ানক ভাবে হাসছো কেন।
- ওই যে বললা ফোর্স নিয়ে যেতে। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে থেকেছি এতটা দিন। আড্ডা দিয়েছি। কত কত স্মৃতি সেখানে যেতে হবে ফোর্স নিয়ে। ফোর্স নিয়ে যাওয়ার কথা চিন্তা করতে হচ্ছে। এ ব্যাপারটা কেমন অদ্ভুত না?
- আচ্ছা এগুলো বাদ দাও। ঘুমাও তো।
- হুম ঘুমাবো। তোমার কি মনে হয় ওই অসভ্যদের বিচার হবে? যারা মহিলা মানুষকে সম্মান দেয় না। ক্যাম্পাসে এভাবে মহিলার জামার কাপড় ছিড়ে দেয়। তারা আমার পড়ে আসা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এটা ভাবতে লজ্জা লাগছে।
- শোনো আমরা দেশের বাহিরে তো তাই লজ্জাটা আমাদের বেশি লাগে। এ লজ্জাটা যদি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় যারা আছে তাদের থাকতো তাহলে কাজে দিতো। কিছুটা ইতিবাচক ফল পাওয়া যেতো। আর এ বিষয়ে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না। ঘুমাওতো।
ফরিদ সাহেব মাথা নাড়েন। তার ঘুম আসছে না।
ফেসবুকে-ঢাবি