শুক্রবার, ২১ আগস্ট, ২০১৫

চিঠি (অনুগল্প)

: তুমি এখন আর আমার সাথে কথা বলো না কেন?
: কই! এইযে বলছি।
: গতকাল জন্মদিন গেলো। উইশ পর্যন্ত করলে না। ভেবেছিলাম অন্তত একবার কল দেবে।
: ওহ! এই কথা। আসলে ভয়ে ভয়ে ফোন দিই না।
: কিসের ভয়?
: পত্রিকায় পড়লাম সব ফোন ট্র্যাক করা হচ্ছে। তবে তোমার জন্মদিন যে একেবারে ভুলে গিয়েছি তা কিন্তু না।


: মিথ্যে কথা বলবা না।
: মিথ্যা নাতো। তোমার জন্মদিনে উইশ জানিয়ে একটা হস্তলিখিত চিঠি লিখেছি। দেড় পাতার চিঠি। পরে দেখি হাতের লেখা এত সুন্দর যে নিজেই পড়তে পারছি না। কোন মতে বাক্যগুলো উদ্ধার করে পিসিতে টাইপ করেছি। প্রিন্টার ঝামেলা করছে বলে বাহির করতে পারলাম না। নাহলে আজই দিয়ে আসতাম। প্রিন্টারটা ঝামেলা করার আর সময় পেলো না।
: কম্পিউটার প্রিন্ট লাগবে না। তুমি হাতে লিখছো যে কাগজে সেটাই আমাকে দেবে। আমি সেটাই নেবো।
: ওইটা পড়লে তো কিছুই বুঝবে না।
: মনের মিল থাকলে সব বোঝা হয়ে যায়। প্রমাণ চাও? কাল তোমার হাতের লেখা চিঠিটা নিয়ে এসো। আমি পড়ে শোনাবো। দেখবে প্রতিটি অক্ষর বুঝতেছি।
ফোন রেখেই ছেলেটি কাগজ কলম নিয়ে লিখতে বসে। একটা চিঠি লিখতে হবে। দেড় পাতার চিঠি.....

ফেসবুকে : চিঠি