-একটা কথা বলি?
- একটা না দশটা বলো। আর ছেলেদের এমন মিউ মিউ গলা আমার পছন্দ না। যা বলবা স্ট্রেট কাট বলে ফেলবে। এত অনুমতির কি আছে।
রিয়াদ ঢোক গিলে। কোন মেয়ের সাথে বাবা-মা বিয়ে দিলো। এইতো পুরাই অন্যরকম। আর কিছু বলার সাহস পায় না। এই মেয়ের সাথে বাকী জীবনটা কাটাতে হবে ভেবে আতঙ্কিত হয় রিয়াদ।
-কি কথা বলছো না কেন? মুখ থেকে কি জোর করে কথা বের করতে হবে নাকি?
রিয়াদের ভয়ের মাত্রা বাড়ে। মুখ থেকে আবার জোর করে কথা বের করে কিভাবে! কপাল মুছে সে। কপালে ঘাম জমেছে। এমন সুন্দর একটা মুখ থেকে এ ধরণের ঝাঝড়া কথা বার্তা বের হবে বিশ্বাসই হয় না।
- শুনো আমি একা ঘুমাতে অভ্যস্ত। কেউ আমার পাশে শুবে এটা ভাবতে ভাল লাগছে না। আর এ রুমে তো একটাই খাট। এখন কি করবে?
রিয়াদ টেবিলের ওপর রাখা জগ থেকে গ্লাসে পানি নেয়। সে পানি কয়েক ঢোক খায়। বলে, কোন সমস্যা নেই। আপনি ওপরে শুন। আমি নিচে শুচ্ছি। ঢাকায় যখন মেসে থাকতাম তখন নিচে শুতে হতো। ভালো লাগে নিচে শুতে।
রিয়াদ একটা বালিশ নিয়ে নিচে চলে যায়। কিছুটা রক্ষে। ঘুমের ভান করতে হবে। তাহলে আর ঝাঁঝালো মার্কা কথা বলতে পারবে না। ঘুমের ভান করে চুপটি করে চোখ বন্ধ করে রাখে রিয়াদ।
আধা ঘন্টা পর...রিয়াদের মাথার পাশে এসে বসে রুপা। রিয়াদের মাথার চুলে হাত বুলাতে থাকে।
বলে, তুমি এত বোকা কেন! তোমাকে ছাড়া এইদিন বুঝি আমি একা একা শুবো! মানুষ এত বোকা হয়? একটু দুষ্টামি করলাম। আমার অনেক আগে থেকে ইচ্ছা ছিল বিয়ের প্রথম দিন এমন দুষ্টামি করবো। তাই করলাম। তুমি এত ভয় পেলে কেন! আমি আরেকটু হলে হেসেই দিচ্ছিলাম। অভিনয় ধরে রাখতে পারছিলামই না তারপরও কোনমতে রেখেছি। কিন্তু তুমি এত ভয় পেলে কেন। সরি....
রিয়াদ নড়ে উঠে। তবুঝার চেষ্টা করে স্বপ্ন নাকি বাস্তব নাকি আরেকমাত্রার অভিনয়। কিছু বলার চেষ্টা করে। কিন্তু বলতে পারে না। রুপার দিকে তাকায়। ভাবে একটা মানুষ এত সুন্দর হয় কিভাবে!
ফেসবুকে-স্বপ্ন
- একটা না দশটা বলো। আর ছেলেদের এমন মিউ মিউ গলা আমার পছন্দ না। যা বলবা স্ট্রেট কাট বলে ফেলবে। এত অনুমতির কি আছে।
রিয়াদ ঢোক গিলে। কোন মেয়ের সাথে বাবা-মা বিয়ে দিলো। এইতো পুরাই অন্যরকম। আর কিছু বলার সাহস পায় না। এই মেয়ের সাথে বাকী জীবনটা কাটাতে হবে ভেবে আতঙ্কিত হয় রিয়াদ।
-কি কথা বলছো না কেন? মুখ থেকে কি জোর করে কথা বের করতে হবে নাকি?
রিয়াদের ভয়ের মাত্রা বাড়ে। মুখ থেকে আবার জোর করে কথা বের করে কিভাবে! কপাল মুছে সে। কপালে ঘাম জমেছে। এমন সুন্দর একটা মুখ থেকে এ ধরণের ঝাঝড়া কথা বার্তা বের হবে বিশ্বাসই হয় না।
- শুনো আমি একা ঘুমাতে অভ্যস্ত। কেউ আমার পাশে শুবে এটা ভাবতে ভাল লাগছে না। আর এ রুমে তো একটাই খাট। এখন কি করবে?
রিয়াদ টেবিলের ওপর রাখা জগ থেকে গ্লাসে পানি নেয়। সে পানি কয়েক ঢোক খায়। বলে, কোন সমস্যা নেই। আপনি ওপরে শুন। আমি নিচে শুচ্ছি। ঢাকায় যখন মেসে থাকতাম তখন নিচে শুতে হতো। ভালো লাগে নিচে শুতে।
রিয়াদ একটা বালিশ নিয়ে নিচে চলে যায়। কিছুটা রক্ষে। ঘুমের ভান করতে হবে। তাহলে আর ঝাঁঝালো মার্কা কথা বলতে পারবে না। ঘুমের ভান করে চুপটি করে চোখ বন্ধ করে রাখে রিয়াদ।
আধা ঘন্টা পর...রিয়াদের মাথার পাশে এসে বসে রুপা। রিয়াদের মাথার চুলে হাত বুলাতে থাকে।
বলে, তুমি এত বোকা কেন! তোমাকে ছাড়া এইদিন বুঝি আমি একা একা শুবো! মানুষ এত বোকা হয়? একটু দুষ্টামি করলাম। আমার অনেক আগে থেকে ইচ্ছা ছিল বিয়ের প্রথম দিন এমন দুষ্টামি করবো। তাই করলাম। তুমি এত ভয় পেলে কেন! আমি আরেকটু হলে হেসেই দিচ্ছিলাম। অভিনয় ধরে রাখতে পারছিলামই না তারপরও কোনমতে রেখেছি। কিন্তু তুমি এত ভয় পেলে কেন। সরি....
রিয়াদ নড়ে উঠে। তবুঝার চেষ্টা করে স্বপ্ন নাকি বাস্তব নাকি আরেকমাত্রার অভিনয়। কিছু বলার চেষ্টা করে। কিন্তু বলতে পারে না। রুপার দিকে তাকায়। ভাবে একটা মানুষ এত সুন্দর হয় কিভাবে!
ফেসবুকে-স্বপ্ন