কলমের কালি শেষ। অথচ আর একটা সিগনেচার দিলেই কাজ শেষ হয়ে যেত। আবেদন
পত্রের শেষের সিগনেচারটা। এমনই হয়! দেখা গেলো কোন কাগজ তখনি ফটোকপি দরকার।
দোকানে গেলাম। কাজ চলছে পুরোদমে। ফটোকপি করার জন্য দোকানদারের হাতে দিই।
ওই মুহূর্তে বিদ্যুত চলে যায়।
আমি পৌছার এক মিনিট আগে বাস ছেড়ে দেয়। প্রতিদিন লেইট করে। আমি যেদিন যাই সেদিনই শুধু একেবারে জাস্ট টাইমে গাড়ি ছেড়ে যায়।
ভাগ্যটাই আমার এমন! হিবিজিবি ভাগ্য যাকে বলে। তা গেলো বাহিরের কথা। মানুষের চুল পাকে চল্লিশ বছর বয়সে আর আমার চুল পচিশেই পাকা শুরু করে দিয়েছে।
ভাগ্য খারাপ হলে এখন আর কষ্ট পাই না। বিরক্ত হই না।
কলম আনতে বাহিরের যাওয়ার কথা যখন চিন্তা করছি তখন তামান্নার ফোন। আমার ফোনের স্ক্রীণে যে মেয়েটির ছবি আছে সে তামান্না।
: কি করো?
কলম খোজার মিশনে আছি এটা বলবো কিনা ভাবতেছিলাম।
: চুপ যে।
: সিঙ্গারা খেতে ইচ্ছে করতেছিল। ভাবতেছি বাহিরে যাই, সিঙ্গারা খেয়ে আসি।
: পোড়া তেলে ভাজা এসব খেয়েতো চুল পাকানো শুরু করেছো। খবর আছে তা? একটু সতর্ক হয়ে চললে কি হয়!
: তুমি মানা করতেছো?
: জ্বী না। আপনার খেতে ইচ্ছে হলে খেয়ে আসেন।
: বলো কি! তুমি মানা করলে কোন ইচ্ছেই আর ইচ্ছে থাকে না। অনিচ্ছা হয়ে যায়। এ মুহূর্তে কি মনে হচ্ছে জানো?
: কি?
: সিঙ্গারাকে মনে হচ্ছে একটা বিষ! গরম গরম বিষ!
: ঢং রাখো।
: আচ্ছা ঢং রাখতেছি। একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার ছিল। এ মাসে তো পাঠালে না।
: কি?
: ছবি।
: তুমি যেভাবে বলতেছো যেন, মাসিক খরচ চাচ্ছো।
বলেই তামান্না হাসতে থাকে।
প্রতি মাসে আমি মোবাইলে ওয়াল পেপার চেঞ্জ করি। তামান্নার ছবি থাকে।
: আমি না মাঝে মাঝে ইচ্ছাকৃত মন খারাপ করি।
: আমাকে শিখিয়ে দাও আমিও মাঝে মাঝে করবো।
: আমার মন ভালো করার ওষুধ সাথেই থাকে। তোমার যেহেতু নাই তাই মন খারাপ করতে হবে না।
: ওষুধ বলতে?
: আমার মোবাইলটার ওয়াল পেপারে থাকা মেয়েটিকে দেখলে মন ভালো হয়ে যাই। আমার তো সহজে মন খারাপ হয় না। তাই ইচ্ছে করে মন খারাপ করি। তখন তাকে দেখি। ভালো লাগে।
এটা শুনে তামান্না কিছুক্ষণ চুপ থাকে। তারপর বলে, তুমি না পাগল একটা! পুরাই পাগল!! এই এই! আম্মু আসতেছে। এখন ফোন রাখি।
কিছুক্ষণ পর মেসেজ আসে ছবির। একটা সুন্দর মুখ। মেয়েটি সামনে তাকিয়ে আছে বিস্ময়ের চোখে। আমি তার চেয়ে বেশি বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে থাকি! মনে মনে ভাবি, আমি ভাগ্যবান! অনেক বেশি ভাগ্যবান। আমার ভাগ্য হিবিজিবি না। তামান্নার মত মেয়ে যার সাথে আছে সে অনেক বেশি ভাগ্যবান।
ফেসবুকে : ওয়াল পেপার
আমি পৌছার এক মিনিট আগে বাস ছেড়ে দেয়। প্রতিদিন লেইট করে। আমি যেদিন যাই সেদিনই শুধু একেবারে জাস্ট টাইমে গাড়ি ছেড়ে যায়।
ভাগ্যটাই আমার এমন! হিবিজিবি ভাগ্য যাকে বলে। তা গেলো বাহিরের কথা। মানুষের চুল পাকে চল্লিশ বছর বয়সে আর আমার চুল পচিশেই পাকা শুরু করে দিয়েছে।
ভাগ্য খারাপ হলে এখন আর কষ্ট পাই না। বিরক্ত হই না।
কলম আনতে বাহিরের যাওয়ার কথা যখন চিন্তা করছি তখন তামান্নার ফোন। আমার ফোনের স্ক্রীণে যে মেয়েটির ছবি আছে সে তামান্না।
: কি করো?
কলম খোজার মিশনে আছি এটা বলবো কিনা ভাবতেছিলাম।
: চুপ যে।
: সিঙ্গারা খেতে ইচ্ছে করতেছিল। ভাবতেছি বাহিরে যাই, সিঙ্গারা খেয়ে আসি।
: পোড়া তেলে ভাজা এসব খেয়েতো চুল পাকানো শুরু করেছো। খবর আছে তা? একটু সতর্ক হয়ে চললে কি হয়!
: তুমি মানা করতেছো?
: জ্বী না। আপনার খেতে ইচ্ছে হলে খেয়ে আসেন।
: বলো কি! তুমি মানা করলে কোন ইচ্ছেই আর ইচ্ছে থাকে না। অনিচ্ছা হয়ে যায়। এ মুহূর্তে কি মনে হচ্ছে জানো?
: কি?
: সিঙ্গারাকে মনে হচ্ছে একটা বিষ! গরম গরম বিষ!
: ঢং রাখো।
: আচ্ছা ঢং রাখতেছি। একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার ছিল। এ মাসে তো পাঠালে না।
: কি?
: ছবি।
: তুমি যেভাবে বলতেছো যেন, মাসিক খরচ চাচ্ছো।
বলেই তামান্না হাসতে থাকে।
প্রতি মাসে আমি মোবাইলে ওয়াল পেপার চেঞ্জ করি। তামান্নার ছবি থাকে।
: আমি না মাঝে মাঝে ইচ্ছাকৃত মন খারাপ করি।
: আমাকে শিখিয়ে দাও আমিও মাঝে মাঝে করবো।
: আমার মন ভালো করার ওষুধ সাথেই থাকে। তোমার যেহেতু নাই তাই মন খারাপ করতে হবে না।
: ওষুধ বলতে?
: আমার মোবাইলটার ওয়াল পেপারে থাকা মেয়েটিকে দেখলে মন ভালো হয়ে যাই। আমার তো সহজে মন খারাপ হয় না। তাই ইচ্ছে করে মন খারাপ করি। তখন তাকে দেখি। ভালো লাগে।
এটা শুনে তামান্না কিছুক্ষণ চুপ থাকে। তারপর বলে, তুমি না পাগল একটা! পুরাই পাগল!! এই এই! আম্মু আসতেছে। এখন ফোন রাখি।
কিছুক্ষণ পর মেসেজ আসে ছবির। একটা সুন্দর মুখ। মেয়েটি সামনে তাকিয়ে আছে বিস্ময়ের চোখে। আমি তার চেয়ে বেশি বিস্মিত হয়ে তাকিয়ে থাকি! মনে মনে ভাবি, আমি ভাগ্যবান! অনেক বেশি ভাগ্যবান। আমার ভাগ্য হিবিজিবি না। তামান্নার মত মেয়ে যার সাথে আছে সে অনেক বেশি ভাগ্যবান।
ফেসবুকে : ওয়াল পেপার