বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত একটা ছেলে গুগলের সিইও হয়েছে।
বাংলাদেশি একজন হিসেবে সিইও হওয়ার খবরটা যতবেশি বিশ্ব মিডিয়ায় সংবাদ
শিরোনাম হচ্ছে তার চেয়ে বেশি হচ্ছে ছেলেটির ব্যাকগ্রাউন্ড জেনে। বিবিসি
নিউজ তো শিরোনাম করে দিয়েছে : “পথ শিশু থেকে গুগলের সর্বোচ্চ পদ।”
ছেলেটির নাম আরাফাত আহমেদ। সে দেশে আসবে। বিশাল সংবর্ধনার আয়োজন হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হবে, বড় বড় আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।
বিমানে সিটে বসে আছে আরাফাত। অনেক দিন পর দেশে ফিরছে। বাসা বলে কিছু ছিল না। কমলাপুর রেল স্টেশনে ছিল আশ্রয়। সেখানেই বন্ধুদের সাথে ঘুরত ফিরত। রাতে সেখানে দাঁড়ানো থাকত অনেকগুলো বাস। সে বাস থেকে যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে দিতো। কিছু টাকা পেতো। কখনো সামনের লাইট খুলে নিত। ধরা পড়লে অনেক পিটা খেতে হতো।
বিআরটিসি বাসের ডিপো থেকে একবার চুরি করতে গিয়েছিল। পেছনের দিকের লাইট খুলল। নিতে যাবে এসময় গার্ড দেখে ফেলল। এরপর আর যায় কোথায়। শুরু হলো মাইর। একঘন্টা ব্যাপী মাইর। সময়টা গভীর রাত ছিল। সেখানে কম মানুষ ছিল। নাহলে আরও বেশি মাইর খেতে হতো।
রাতে থাকতো কমলাপুর মসজিদটার সামনের ফুটপাটে। সেখানে আরও অনেক ছেলে থাকত। কারও পা কারও মাথার সাথে আবার কারও বুকের ওপর অন্যের পা। ফুটপাটের প্রশস্তটা খুব বেশি নয়। সেখানেই থাকতো ত্রিশ চল্লিশ জন। ভোরে রাস্তায় চলাচলরত মানুষের পায়ের গুতো খেতে হতো।
এ সময় একটা নেশার সন্ধান পায় আরাফাত। পলিথিনের ভেতর গাম নিয়ে সেটার ঘ্রাণ নেয়া। একটানে অনেকক্ষণ ধরে শ্বাস নিতে হয়। অন্যরকম লাগে।
সেদিনও কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশে বসে এমন ভাবে পলিথিনে থাকা গামের ঘ্রাণ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় খেয়াল করে পাশে এসে দাঁড়ায় এক মেয়ে। ম্যাজেন্ডা রঙ্গের জামা পড়া।
তার পাশে এসে বসে।
আরাফাত অবাক হয়। ওই আপুটা এত পরিষ্কার কাপড় পড়া। আর তার পাশে ময়লাই বসে পড়েছে। তার সমস্যাটা কি?
: তোমার হাতের এ জিনিসটা কি? আমাকে একটু দেবে?
: এটা আপনি লইতে পারবেন না। এটা শুধু আমাগো জন্য।
: আচ্ছা না দিতে পারলে এটা একটু অন্যপাশে রাখো। তোমার নাম কি?
: আরাফাত।
: এখানেই থাকো?
: হ, এহানেই থাকি। কিন্তু আপনি যে এহানে বসছেন আপনার কাপড়ে তো ময়লা লাগতাছে।
: সমস্যা নাই। পড়ালেখা করো?
: পড়ালেখা করতে ট্যাকা লাগে, বই লাগে, ব্যাগ লাগে। এত কিছু পামু কই?
: টাকা লাগবে না। আর পড়ালেখা করলে আমরা খাওয়া দিবো। সামনের শনিবার আমরা এখানে একটা স্কুল হবে। তুমি ভর্তি হবে?
: খাওন দিলে ভর্তি হমু। কি কি দিবেন?
: তুমি কি খাবার পছন্দ করো?
: গরুর গোশত দিয়ে পরোটা, গরম গরম জিলাপি।
: ঠিক আছে তাই দেয়া হবে। রেলস্টেশনের সিএনজি টেক্সী পার্কিং স্পট আছে না। সেটার পাশে যে উচু করে জায়গাটা আছে সেখানে পড়ানো হবে। তুমি আসবে ঠিক আছে?
সেদিনটাই শুরু বদলে যাওয়ার।
শনিবার স্কুল শুরু হলো। জাকিয়া আপুটা অনেক সুন্দর করে পড়ান। আরিফ ভাই, ফিরোজ ভাই, হাসান ভাইও আছেন। মজা করে পড়ান। পড়ার পর খেতে দেন। এখানে যারা পড়ায় তাদের স্যার বলতে মানা। ভাইয়া, আপু বলতে হয়।
নেশা নিতে আর ভালো লাগে না আরাফাতের। তার মুখস্ত শক্তি ভাল। খুব সহজেই মনে রাখতে পারে। আগে গাড়ির নাম্বার চিনত না। এখন মজার স্কুলে পড়ালেখার কারণে গাড়ির নাম্বার পড়তে পারে। একটা নম্বার একবার পড়লেই মনে থাকে। পুরা নাম্বার বলে দিতে পারে। আগে গাড়ির রং দেখে হানিফ, ইউনিক, শ্যামলী বাসগুলো আলাদা করতো। এখন গাড়ির নাম পড়তে পারে।
বোঝার পর থেকে কখনও কারো কোলে উঠা হয়নি আরাফাতের। ময়লা শরীরে থাকে। তাকে কোলে নেবেই বা কে। আর কার এত মায়া পড়েছে রাস্তার ছেলেদের কোলে নেবে। যেদিন প্রথম ও সবার চেয়ে বেশি নাম্বার পেলো তখন খুশীতে জাকিয়া আপু কোলে নিয়ে ফেলে তাকে। সেই প্রথম কারো কোলে উঠা আরাফাতের। লজ্জা লজ্জা লাগছিল ওর।
জাকিয়া আপু কোলে নিয়ে বললেন, আরাফাত তোমাকে আরও ভাল করতে হবে। একেবারে পুরাপুরি নাম্বার পেতে হবে।
আরাফাত সেদিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে তাকে আরও বেশি পড়তে হবে। কমলাপুর মসজিদের বাহিরের লাইটটা সারারাত জ্বলা থাকে। সে তখন পড়ে। জাকিয়া আপুরা পড়া দেন না। সে পড়ে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া পত্রিকাগুলো কিংবা কোন ম্যাগাজিন। অনেক যাত্রী ম্যাগাজিন ফেলে যায়। সেগুলো কুড়িয়ে নেয়।
কিছুদিন পর শুরু হয় কম্পিউটার ক্লাস। প্রথম দিন যখন কম্পিউটার শিখতে দেয়া হয় তাকে তখন ভয়ে কিবোর্ডে হাত রাখতে পারছিল না। যদি নষ্ট হয়ে যায়।
আরিফ ভাই বলেন, কিরে আরাফাত। কিবোর্ডে না চাপলে তো কিছু লেখা আসবে না। কিবোর্ডে আঙ্গুল রাখো।
ভয়ে ভয়ে আরাফাত হাত রাখে কিবোর্ডে।
এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। খুব সহজে যেকোন কিছু ক্যাচ করতে পারত। ইন্টারের পর বুয়েট। সেখান থেকে আমেরিকায় স্কলারশীপ নিয়ে যাওয়া, গুগলে চাকরি হওয়া। এরপর তো সিইও!
সে জাকিয়া আপু যদি তাকে আলাদা করে না নিতো তাহলে এখন হয়ত তাকে রাস্তায় রাস্তায় জীবন কাটাতে হতো। চাঁদাবাজি করতে হতো স্বাচ্ছন্দ জীবনের জন্য।
বিমান বন্দরে নামতেই দেখলো অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাকে স্বাগতম জানাতে অপেক্ষা করছেন। হোটেলে নেয়ার জন্য গাড়ি এসেছে।
আরাফাত হোটেলে গেলো না।
সোজা জাকিয়া আপুর কাছে। আপু সে আগের মত এখনও বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন। এখন ছাত্রের সংখ্যা অনেক বেশি।
ক্লাসরুমে ঢুকলো আরাফাত। আরাফাত দেশে আসছে এ খবর পত্রিকায় দেখেছেন জাকিয়া সুলতানা। কিছুক্ষণ আগেও টিভিতে ব্রেকিং দেখে এসেছেন গুগলের সিইওকে বহনকারী বিমান কিছুক্ষণের মধ্যে ঢাকা বিমান বন্দরে ল্যান্ড করবে। ব্যাপক নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।
জাকিয়া আপু, চলেনতো।
একটু অপ্রস্তুত জাকিয়া সুলতানা।
: আরে চলেন, দেশে এসে আপনার সাথে প্রথম খাবো বলে কিছু খাইনি। চলেন চলেন। একদিন ওদের ছুটি দিয়ে দেন।
জাকিয়া সুলতানার চোখে পানি।
চোখে পানি আরাফাত আহমেদেরও। দেশের বাহিরে এতদিন আছেন, এত বড় পদে আছেন। আবেগ খুব প্রশ্রয় পায় না। কিন্তু জাকিয়া আপুর কাছে যে সব। সব সব সব। এই আপুটার জন্যই তো এত দূর যেতে পারা।
এরমধ্যে সাংবাদিকরা কোথা থেকে খবর পেয়ে গেছে এখানে এসেছে আরাফাত আহমেদ। তারাও ছুটে এসেছে। শুধু ফ্লাস পড়ছে। ছবি উঠছে। সে ছবিগুলোতে আছে চোখের পানিও।
পরের দিন সংবাদের শিরোনাম : “গুগল সিইওর চোখে পানি”
ফেসবুকে : জাকিয়া আপু
ছেলেটির নাম আরাফাত আহমেদ। সে দেশে আসবে। বিশাল সংবর্ধনার আয়োজন হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হবে, বড় বড় আরো কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেয়া হবে।
বিমানে সিটে বসে আছে আরাফাত। অনেক দিন পর দেশে ফিরছে। বাসা বলে কিছু ছিল না। কমলাপুর রেল স্টেশনে ছিল আশ্রয়। সেখানেই বন্ধুদের সাথে ঘুরত ফিরত। রাতে সেখানে দাঁড়ানো থাকত অনেকগুলো বাস। সে বাস থেকে যন্ত্রাংশ খুলে বিক্রি করে দিতো। কিছু টাকা পেতো। কখনো সামনের লাইট খুলে নিত। ধরা পড়লে অনেক পিটা খেতে হতো।
বিআরটিসি বাসের ডিপো থেকে একবার চুরি করতে গিয়েছিল। পেছনের দিকের লাইট খুলল। নিতে যাবে এসময় গার্ড দেখে ফেলল। এরপর আর যায় কোথায়। শুরু হলো মাইর। একঘন্টা ব্যাপী মাইর। সময়টা গভীর রাত ছিল। সেখানে কম মানুষ ছিল। নাহলে আরও বেশি মাইর খেতে হতো।
রাতে থাকতো কমলাপুর মসজিদটার সামনের ফুটপাটে। সেখানে আরও অনেক ছেলে থাকত। কারও পা কারও মাথার সাথে আবার কারও বুকের ওপর অন্যের পা। ফুটপাটের প্রশস্তটা খুব বেশি নয়। সেখানেই থাকতো ত্রিশ চল্লিশ জন। ভোরে রাস্তায় চলাচলরত মানুষের পায়ের গুতো খেতে হতো।
এ সময় একটা নেশার সন্ধান পায় আরাফাত। পলিথিনের ভেতর গাম নিয়ে সেটার ঘ্রাণ নেয়া। একটানে অনেকক্ষণ ধরে শ্বাস নিতে হয়। অন্যরকম লাগে।
সেদিনও কমলাপুর রেলস্টেশনের পাশে বসে এমন ভাবে পলিথিনে থাকা গামের ঘ্রাণ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় খেয়াল করে পাশে এসে দাঁড়ায় এক মেয়ে। ম্যাজেন্ডা রঙ্গের জামা পড়া।
তার পাশে এসে বসে।
আরাফাত অবাক হয়। ওই আপুটা এত পরিষ্কার কাপড় পড়া। আর তার পাশে ময়লাই বসে পড়েছে। তার সমস্যাটা কি?
: তোমার হাতের এ জিনিসটা কি? আমাকে একটু দেবে?
: এটা আপনি লইতে পারবেন না। এটা শুধু আমাগো জন্য।
: আচ্ছা না দিতে পারলে এটা একটু অন্যপাশে রাখো। তোমার নাম কি?
: আরাফাত।
: এখানেই থাকো?
: হ, এহানেই থাকি। কিন্তু আপনি যে এহানে বসছেন আপনার কাপড়ে তো ময়লা লাগতাছে।
: সমস্যা নাই। পড়ালেখা করো?
: পড়ালেখা করতে ট্যাকা লাগে, বই লাগে, ব্যাগ লাগে। এত কিছু পামু কই?
: টাকা লাগবে না। আর পড়ালেখা করলে আমরা খাওয়া দিবো। সামনের শনিবার আমরা এখানে একটা স্কুল হবে। তুমি ভর্তি হবে?
: খাওন দিলে ভর্তি হমু। কি কি দিবেন?
: তুমি কি খাবার পছন্দ করো?
: গরুর গোশত দিয়ে পরোটা, গরম গরম জিলাপি।
: ঠিক আছে তাই দেয়া হবে। রেলস্টেশনের সিএনজি টেক্সী পার্কিং স্পট আছে না। সেটার পাশে যে উচু করে জায়গাটা আছে সেখানে পড়ানো হবে। তুমি আসবে ঠিক আছে?
সেদিনটাই শুরু বদলে যাওয়ার।
শনিবার স্কুল শুরু হলো। জাকিয়া আপুটা অনেক সুন্দর করে পড়ান। আরিফ ভাই, ফিরোজ ভাই, হাসান ভাইও আছেন। মজা করে পড়ান। পড়ার পর খেতে দেন। এখানে যারা পড়ায় তাদের স্যার বলতে মানা। ভাইয়া, আপু বলতে হয়।
নেশা নিতে আর ভালো লাগে না আরাফাতের। তার মুখস্ত শক্তি ভাল। খুব সহজেই মনে রাখতে পারে। আগে গাড়ির নাম্বার চিনত না। এখন মজার স্কুলে পড়ালেখার কারণে গাড়ির নাম্বার পড়তে পারে। একটা নম্বার একবার পড়লেই মনে থাকে। পুরা নাম্বার বলে দিতে পারে। আগে গাড়ির রং দেখে হানিফ, ইউনিক, শ্যামলী বাসগুলো আলাদা করতো। এখন গাড়ির নাম পড়তে পারে।
বোঝার পর থেকে কখনও কারো কোলে উঠা হয়নি আরাফাতের। ময়লা শরীরে থাকে। তাকে কোলে নেবেই বা কে। আর কার এত মায়া পড়েছে রাস্তার ছেলেদের কোলে নেবে। যেদিন প্রথম ও সবার চেয়ে বেশি নাম্বার পেলো তখন খুশীতে জাকিয়া আপু কোলে নিয়ে ফেলে তাকে। সেই প্রথম কারো কোলে উঠা আরাফাতের। লজ্জা লজ্জা লাগছিল ওর।
জাকিয়া আপু কোলে নিয়ে বললেন, আরাফাত তোমাকে আরও ভাল করতে হবে। একেবারে পুরাপুরি নাম্বার পেতে হবে।
আরাফাত সেদিন সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে তাকে আরও বেশি পড়তে হবে। কমলাপুর মসজিদের বাহিরের লাইটটা সারারাত জ্বলা থাকে। সে তখন পড়ে। জাকিয়া আপুরা পড়া দেন না। সে পড়ে রাস্তায় কুড়িয়ে পাওয়া পত্রিকাগুলো কিংবা কোন ম্যাগাজিন। অনেক যাত্রী ম্যাগাজিন ফেলে যায়। সেগুলো কুড়িয়ে নেয়।
কিছুদিন পর শুরু হয় কম্পিউটার ক্লাস। প্রথম দিন যখন কম্পিউটার শিখতে দেয়া হয় তাকে তখন ভয়ে কিবোর্ডে হাত রাখতে পারছিল না। যদি নষ্ট হয়ে যায়।
আরিফ ভাই বলেন, কিরে আরাফাত। কিবোর্ডে না চাপলে তো কিছু লেখা আসবে না। কিবোর্ডে আঙ্গুল রাখো।
ভয়ে ভয়ে আরাফাত হাত রাখে কিবোর্ডে।
এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি। খুব সহজে যেকোন কিছু ক্যাচ করতে পারত। ইন্টারের পর বুয়েট। সেখান থেকে আমেরিকায় স্কলারশীপ নিয়ে যাওয়া, গুগলে চাকরি হওয়া। এরপর তো সিইও!
সে জাকিয়া আপু যদি তাকে আলাদা করে না নিতো তাহলে এখন হয়ত তাকে রাস্তায় রাস্তায় জীবন কাটাতে হতো। চাঁদাবাজি করতে হতো স্বাচ্ছন্দ জীবনের জন্য।
বিমান বন্দরে নামতেই দেখলো অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাকে স্বাগতম জানাতে অপেক্ষা করছেন। হোটেলে নেয়ার জন্য গাড়ি এসেছে।
আরাফাত হোটেলে গেলো না।
সোজা জাকিয়া আপুর কাছে। আপু সে আগের মত এখনও বাচ্চাদের পড়াচ্ছেন। এখন ছাত্রের সংখ্যা অনেক বেশি।
ক্লাসরুমে ঢুকলো আরাফাত। আরাফাত দেশে আসছে এ খবর পত্রিকায় দেখেছেন জাকিয়া সুলতানা। কিছুক্ষণ আগেও টিভিতে ব্রেকিং দেখে এসেছেন গুগলের সিইওকে বহনকারী বিমান কিছুক্ষণের মধ্যে ঢাকা বিমান বন্দরে ল্যান্ড করবে। ব্যাপক নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে।
জাকিয়া আপু, চলেনতো।
একটু অপ্রস্তুত জাকিয়া সুলতানা।
: আরে চলেন, দেশে এসে আপনার সাথে প্রথম খাবো বলে কিছু খাইনি। চলেন চলেন। একদিন ওদের ছুটি দিয়ে দেন।
জাকিয়া সুলতানার চোখে পানি।
চোখে পানি আরাফাত আহমেদেরও। দেশের বাহিরে এতদিন আছেন, এত বড় পদে আছেন। আবেগ খুব প্রশ্রয় পায় না। কিন্তু জাকিয়া আপুর কাছে যে সব। সব সব সব। এই আপুটার জন্যই তো এত দূর যেতে পারা।
এরমধ্যে সাংবাদিকরা কোথা থেকে খবর পেয়ে গেছে এখানে এসেছে আরাফাত আহমেদ। তারাও ছুটে এসেছে। শুধু ফ্লাস পড়ছে। ছবি উঠছে। সে ছবিগুলোতে আছে চোখের পানিও।
পরের দিন সংবাদের শিরোনাম : “গুগল সিইওর চোখে পানি”
ফেসবুকে : জাকিয়া আপু