সোমবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১২

মায়া (গল্প)

মঈন সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। নিজেকে মাঝে মাঝে মানুষ ভাবতে ইচ্ছে হয়, ইচ্ছে হয় আবেগী ভাবতে। যে চলন্ত পথে মেয়েদের গলার চেইন, কানের দুল টান দিয়ে হাওয়া হয়ে যায় সে আবেগী হয় কিভাবে। অনেক সময় কানে দুল টানতে গিয়ে কানের লতি ছিড়ে যায়। কিন্তু সেদিকে দেখার সময় কই। তার আগেই অদৃশ্য হয়ে যায় মঈন। অদৃশ্য হতে সেকেন্ড দেরি করার উপায় নেই। ইদানিং গণপিটুনি বেড়ে গেছে। গণপিটুনি মানে হচ্ছে মৃত্যু। তার দলের রাজু মারা গেল এক মাস আগে। একটুর জন্য ধরা পড়ে গেল। চেইন নিয়ে দৌড় দিচ্ছে এসময় দেখে একটা হোন্ডা জোরে আসছে সেটা দেখে থমকে দাঁড়াতেই পিছে এসে একজন ধরে ফেলে। আর যায় কই। শুরু হয় মাইর। হোন্ডার নিচে পড়ে মরলেও এত কষ্ট পেত না। মানুষের গণপিটুনিতে যত কষ্ট। দূর থেকে মঈন সব দেখছিল। নিজের সাগরেদ মারা যাচ্ছে অথচ কিছু করা যাচ্ছে না। দূর থেকে শুধু দেখে গেল চল্লিশ পঞ্চাশ জন লোক একটা লোককে সমানে মেরে যাচ্ছে।......

দু:খী মেয়ে (গল্প)

০১. মা-বাবা মরা একটা মেয়ে কতটুকু অসহায় থাকে তা ভুক্তভোগী ছাড়া কেউ বুঝার কথা না। বুঝেও না। আর মেয়েটি যদি একটু বড় হয় তাহলে তো কথাই নাই। আশ্রয় দিতে সবাই ভয় পায়। চাচা মামা দুই পক্ষই দুই পক্ষের দিকে বাড়িয়ে দেয়। কেউ রাখতে রাজি না। শেষ পর্যন্ত যখন দেখা যায় কেউ রাখছে না তখন বড় মামা যিনি কিনা কেরানি এবং স্বচ্ছল্লতার দিক দিয়ে অন্যদের চেয়ে কম তিনি আশ্রয় দেন আসমাকে। যদিও এটা নিয়ে মামীর অনেক কথা শুনতে হয় মামাকে। - অন্যরা এত বড় লোক, কেউ তো রাখলো না। তুমি কেন আনতে গেলে?...........

সহ্য (গল্প)

একটু পর পর টুক টুক আওয়াজ হচ্ছে। ছন্দময় আওয়াজ। একটা নির্দিষ্ট সময় পর পর। হয়ত প্রতিটা সময় সূক্ষ্ণ ভাবে মিলছে। একটার পর আরেকটার মাঝে যে সময় তা একই। মধ্যখানের সময় ব্যবধান একই নাকি তা ধরার চেষ্টা করে ইব্রাহিম। স্টপ ওয়াচ থাকলে ভাল হতো। কিন্তু তা হাতের কাছে নেই। মুখই ভরসা। সে গুণে যায় এক, দুই, তিন, চার পাঁচ বলতে যায় ঠিক তখনই আবার শব্দ হয়। প্রতিবারই এমন হচ্ছে। পাঁচ আর বলা হয় না। অথ্যাৎ প্রতি সাড়ে চার সেকেন্ড পর পর শব্দ হচ্ছে। সুন্দর সময় সচেতন তো। সময়ানুবর্তিতার চমৎকার উদাহরণ। ............

অন্যরকম অপেক্ষা (গল্প)

অতি চেনা মানুষ যখন অচেনা মানুষের মত আচরণ করে তখন খারাপ লাগে। নিজেকে ছোট মনে হয়। মনের আকাশে জমে কালো মেঘ। যে মেঘ সহজে সরতে চায় না। স্থায়ী ভাবে বসে পড়ার একটা নিরন্তর চেষ্টা করে যায়। কখনোবা মনের একপাশ যুদ্ধ করে যায় সে কালো মেঘ সরাতে। তখন কষ্টটা আরো বাড়ে। বাধা পেয়ে যেন ঐ কালো মেঘ আরো ঝাঁকিয়ে বসতে চায়। বাধা না দিলেই মনে হয় ভাল। ....

মুক্তি (গল্প)

গ্রামটার নাম ইয়াবামী। ক্যামেরুনে। উত্তরে দুয়ালা শহর থেকে কয়েক ঘন্টার পথ। তবে রাস্তার অবস্থা ভাল না। মাটির রাস্তা। বর্ষাকালে সম্পূর্ণ রাস্তা কাদা হয়ে যায়। কোথাও কোথাও জমে চোরা বালি। গাড়ীর চাকা সে চোরাবালিতে আটকে পড়ে। তাই বর্ষা কালে এদিকে তেমন গাড়ি যায় না।........

অসহায় জীবন (গল্প)

ঘরটার একটা অংশ ভাঙা। পিছনের পাক ঘরটা প্রায় সম্পূর্ণটাই। আগে সেখানে রান্না হতো। কিন্তু এখন সে অংশ ভাঙা। ছাদের কিছুটা ঝুলে আছে। ছাদের লোহার সাথে কংক্রিট সিমেন্ট লেগে আছে। যে কোন সময় নিচে পড়তে পারে। সেজন্য সেখানে এখন আর রান্না করা হয় না। পরিত্যক্ত পড়ে আছে সে কক্ষটি। ঠিক করতে হবে। কিন্তু যে ঠিক করবে সেই যে অনেকটা পরিত্যক্ত হয়ে আছে।............

স্বপ্ন জোছনা ( গল্প )

চারদিকে উজ্জ্বল আলো। সাদা বর্ণের মনে হয়। আবার কখনো মনে হয় সাদা বর্ণের না এই আলো স্বর্গীয়। এই আলোর রঙ বুঝা অসম্ভব। পুকুরের পানির রঙ বদলে গেছে। মাঝে মাঝে মাছের ঝাপটানি শুনা যাচ্ছে। মাছগুলোও কি এই সুন্দর রাত উপভোগ করতে এভাবে উপরে উঁকি দিচ্ছে। দিতেই পারে। ওদেরও তো জীবন আছে। এই পুকুরে অনেক মাছ। একটু জাল ফেললেই মাছের ভারে জাল তুলতে কষ্ট হয়। তবে এই পুকুর থেকে খাওয়ার জন্য মাছ তোলা হয় না। হাট থেকে আনা হয়। মাছগুলো পুকুরেই থাকে।....

পাগলী (গল্প)

তুমুল বৃষ্টি হচ্ছে। একটু পর পর বজ্রপাতে আকাশ চমকে উঠছে। মানুষ চমকে উঠে কিছু অভাবনীয় দেখলে। আর আকাশ চমকায় বৃষ্টিতে। বৃষ্টিকে হয়ত বেশি ভালবাসে তাই। তবে মানুষের চমকানো আনন্দের হলেও আকাশের এই চমকানো মানুষের জন্য যথেষ্ট আতঙ্কের। পত্রিকায় প্রায়ই খবর আসছে বজ্রপাতে মৃত্যু। সেজন্য বাসায় বসে আছি। বাহিরে যাওয়ার কথা ছিল। বের হওয়ার সাহস পাইনি।

মা পাখি (ছোটদের গল্প)

আমড়া গাছে অনেক গুলো পাখি বসে আছে। গাছে অনেক আমড়া ধরছে। প্রতিটি ডালে অনেক অনেক আমড়া। এত আমড়া ধরেছে যে বেশকিছু ডাল ঝুলে পড়েছে সে আমড়ার ভারে।
পাখিগুলো আমড়া কামড়াচ্ছে মনের আনন্দে। আর কিচিরমিচির করে গল্প করছে। গল্পগুলোর ও কোন ঠিক ঠিকানা নেই। কে কোথায় গেছে এসব গল্প।
.....

দুইটি ইদুর (ছোটদের গল্প)

বন্ধুত্বের ক্ষেত্রে অনেক ভালবাসা থাকে। কিছু বন্ধুত্ব থাকে শুধু স্বার্থের জন্য। আবার কিছু বন্ধুত্ব একসাথে থাকতে থাকতে হয়ে যায়। হয়ত দেখা যায় অনেক দিন একই সাথে আছে এজন্যই মনের টান না থাকলেও বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। কিয়াং এবং ঝুয়াংয়ের মধ্যে যে বন্ধুত্ব এটা একসাথে থাকার বন্ধুত্ব। ওরা ইঁদুর। ........

ছেলেটি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল (গল্প)


শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেলল মুহিব। পত্রিকায় ইদানিং অনেক আত্মহত্যার খবর আসছে। যার বেশির ভাগই মেয়ে। দেখা যায় ইভটিজিংয়ের শিকার হয়ে কেউ কেউ আত্মহত্যা করছে। আবার কোন কোন মা বিভিন্ন অত্যাচারে পরে সন্তান সহ আত্মহত্যা করছে। তবে ছেলে মানুষের আত্মহত্যা ব্যাপারটা একটু অন্যরকম। কমই শোনা যায়। .....

শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

পরিবর্তন হলো (গল্প)

বুকের ভিতরটায় অন্যরকম লাগছে নীলা আহমদের। যদি ঠিক ধরতে পারছে না, এটা ভাল লাগার না খারাপ লাগার। যদিও নীলা আহমদ তার আসল নাম না। ভার্চুয়াল জগতে এই নামেই সে পরিচিত। যেসব বন্ধুদের সাথে ব্যক্তিগত পরিচয় নাই তারা এই নামেই তাকে চিনে। ওর আসল নাম জুই সুলতানা। নীল রঙ অনেক পছন্দের। তাই থেকে নীলা নাম নিয়েছে নিজের। আর ওর সবচেয়ে ভাল লাগে হুমায়ুন আহমদের বই। হুমায়ুনের বই হাতের নাগালে পেলেই হলো। সব কিছু বাদ দিয়ে ওই বই পড়তে বসে যায়। সে ছোট বেলা থেকে হুমায়ুনের বইয়ের প্রতি যে আগ্রহ এখনও সে আগ্রহ রয়ে গেছে। প্রিয় লেখকের নামের শেষাংষ যুক্ত করেছে নিজের ভার্চুয়াল নামে। নিজের নাম নিজে দেওয়া। সম্পূর্ণ নিজের পছন্দ অনুযায়ী। ব্যাপারটা ভাবতে ভাল লাগে নীলার। ...............

জিলস ( গল্প )

অনেক বছর আগে একটা প্রাণী ছিল নাম জিলস। ওদের ছয় পা, দুই হাত। বেশি বড় না। তবে আকারটা ডাইনোসরের মত। আকাশে ও মাটিতে দুই জায়গাতেই ওরা চলাচল করতে পারত। তবে ওদের জীবনের বেশির ভাগ সময় কাটত আকাশেই।
ওরা নিজেদের সাথে নিজেরা খুব কথা বলত। একটা জিলস জন্ম নেওয়ার সাথে সাথে কথা বলতে পারত। কেউ মায়ের পেট থেকে বের হল, সাথে চোখ পাকিয়ে বলে, এখানে এত আলো কেন?
...............

গন্ধ ( গল্প )

লাশের গন্ধ। একটা লাশের গন্ধ। নাকে এসে লাগছে তীব্র সে গন্ধ। ফজলুল সাহেব চেয়ার ছেড়ে উঠলেন। নাক শুঁকে দেখার চেষ্টা করছেন এই গন্ধ আসছে কোথা থেকে। মনে হচ্ছে এখানে কেউ লাশ ফেলে গেছে। এমনও তো হতে পারে খুন করে এখানে গুম করা হয়েছে। এটা মনে হতেই ভয় যেন আরো বাড়ল। ডাক দিলেন আবুলকে। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ নেই।...............

রোজা ( গল্প )

রোজার সময় রোজা রাখা অনেক সহজ। সবাই রাখে। এজন্য তেমন সমস্যা হয় না। ঐ সময় রোজা রাখাটাই স্বাভাবিক মনে হয়। ইমা যখন ছোট ছিল তখন থেকেই ওর রোজা রাখার ইচ্ছা। মা-কে বলত, আম্মু আমাকে সেহেরীর সময় অবশ্যই ডেকে দিবে। আমি রোজা রাখব।..................

দুঃখ ( গল্প )

ঝর্ণার পানি গুলো পড়ছে অনেক উপর থেকে। একেবারে স্বচ্ছ সে পানি। পানির পড়ার একটা সুন্দর শব্দ। পানি যেখানে পড়ছে সেখানে মাটি জমে গেছে। পাথরের মত শক্ত সে স্থান। পানি পাহাড়ের পথ ধরে অনেক দূর ভিতরে চলে যায়। রকিবের ইচ্ছা হয় ভিতরে গিয়ে সেসব পানি কতদূর যায় তা দেখার। কিন্তু যে পিচ্ছিল আর ঘন বন তা সম্ভব নয়।...........

তানহা আর নাহিদের ফেসবুকীয় কথোপকথন (গল্প)

ইউপি এসের টিট টিট আওয়াজ শুরু হয়েছে। তানহার ভ্রু কুঞ্চিত হয়ে গেছে সে বুঝতে পারছে। নিজের ভ্রু কুঞ্চিত হলে আয়না ছাড়া দেখা সম্ভব না। কিন্তু বুঝা যায়। তানহাও বুঝতে পারছে। পৃথিবীতে তানহার সবচেয়ে অপ্রিয় শব্দ ইউ পি এসের টিট টিট শব্দটি। এই শব্দের মানে হচ্ছে কম্পিউটার অফ করো। .........................

বিজ্ঞান মেলায় (গল্প)


অনিক চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ে একটা বেসরকারি বিদ্যালয়ে। এখানে শুধু নিয়ম আর নিয়ম। এটা করা যাবে না, এইটা করতে হবে এরকম হাজারো সীমাবদ্ধতা। বিদ্যালয়ের ছোট্ট একটি মাঠ আছে বটে। তবে সেখানে অনিকরা ইচ্ছে করলেও খেলতে পারে না। মাঠে উঁচু শ্রেণীর ছেলেরা ক্রিকেট খেলে। সেখানে ছোট শ্রেণীর ছেলেদের নেওআ হয় না।
বিজ্ঞান ক্লাস চলছে। সবাই নিরব। এতটুকু শব্দ করার সুযোগ নেই। কেননা জসিম স্যার খুব কড়া। কেউ কথা বললে ভীষণ শাস্তি দেন। কোনো বিষয় না বুঝলে প্রশ্ন পর্যন্ত করার পর্যন্ত সাহস পায় না কেউ। স্যার মাঝে মাঝে ভয়াবহ কান্ড করে বসেন। গত বছরে যেমনটি করেছিলেন। আফসার পিছনের সিটে বসেছিল। পাশের জনের সাথে কথা বলছে। স্যার তা লক্ষ্য করে হাতরে ডাস্টারটি তার দিকে ছুঁড়ে মারেন। কপালের একপাশে লেগে তা নিচে পড়ে যায়। মাথার একপাশ ফেটে রক্ত বের হয়। আফসার নিজের কপাল চেপে ধরে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা চালায়।.......................

শেষ চিঠি (গল্প)

সকাল বেলা। রাত শেষ হয়েছে। আবছা আবছা আলো আসছে চারদিকে। কিছুক্ষণের মধ্যে আলোর বন্যায় প্লাবিত হবে চারপাশ।
চারদিকে আলোকিত। অথচ লিমার মনটা অন্ধকার। যেখানে শুধুই অন্ধকার। ঘুটঘুটে সে অন্ধকার। লিমার মনে হয় পৃথিবী যদি সব সময় অন্ধকার থাকতো তাহলেই ভাল হতো। আলোর দিকে তাকাতে ইচ্ছে হয় না। ইচ্ছে হয় সূর্যকে ঢেকে দিতে কালো কিছু দিয়ে।.....

ইয়াহু (গল্প)

“স্বপ্ন দেখতে অনেক সাহস লাগে। আমার আগে সে সাহস ছিলও। কিন্তু হঠাৎ কি থেকে যে কি হয়ে গেল? স্বপ্ন দেখার সাহসটাই হারিয়ে ফেললাম। এক সময় মনে হতো জীবনটাকে রাখছি কেন? শেষ করে দিলেই তো পারি। তাতে তো কারো ক্ষতি হবে না। বরং কেউবা আপদ থেকে বাঁচবে। কিন্তু পারি নাই। বিশ্বাস করেন পারি নাই। তা যদি মহা পাপ না হতো তাহলে ঠিকই করে ফেলতাম। আপনি স্বপ্ন দেখাতে পারেন, আপনার সাথে আর কথা হবে না. এই একাউন্টটা আজই ডি একটিভ করে দিচ্ছি, আর কোন দিন এই মেইল এড্রেস ওপেন করবো না। আপনি কারণ জানতে চাইতে পারেন, বলছি, আপনার সাথে কথা বললে দেখা যাবে আমি দুঃখ গুলো ভুলে যাচ্ছি, আমার দুঃখগুলো আমারই থাক। সেগুলো ভুলতে চাই না, এখন তো সেগুলোই আমার সম্পদ। অনেক বড় সম্পদ। সেগুলো ভুলব কেন? আমি ধন্যবাদ দিতে পারি না, পারলে দিতাম। ”......

শ্যামা (গল্প)

সুজন শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল এবার একটা প্রেম করবে। বন্ধুদের টিপ্পনি আর ভালো লাগে না। ও যে কোন মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখে না এ ব্যাপারটা নিয়ে প্রায় সময়ই বন্ধুরা জ্বালাতন করে। সন্দেহজনক অস্বস্তিকর কথাও বলে। সবচেয়ে বেশি বলে মেহেদী। মেহেদী এরই মধ্যে এগার জন মেয়ের সাথে প্রেম করেছে। তার মধ্যে আবার সাত জনের অলরেডি বিয়ে হয়ে গেছে। মজার ব্যাপার হচ্ছে প্রত্যেকটা মেয়ের বিয়েতেই ও গেছে। একা যায় নি। সব বন্ধুকে নিয়ে প্রাক্তন প্রেমিকার দাওয়াত খায় ও।.......

ভালবাসা ভেঙে যায় (গল্প)

ছেলে মানুষের কান্না ঠিক মানায় না। তারপরও আমি কাঁদছি। যতই চেষ্টা করছি কান্না থামাতে তত বেশি কান্না ভর করছে দু চোখে। ভাগ্যিস রুমে আমি একা। কেউ দেখার সুযোগ নাই। তারপরও লজ্জা লাগছে নিজের কাছে। কেন কাঁদবো? ও তো ঠিকই শ্বশুর বাড়ীতে স্বাভাবিক হয়ে জীবন যাপন করবে। তবে আমি কেন কাঁদছি। আমি তো বলেছিলাম চলো বিয়ে করে ফেলি। ...............................

প্রতিযোগিতা (গল্প)

বইয়ের প্রতি আসক্তি দিন দিন কমে যাচ্ছে তুলির। হাতের মধ্যে একটা বই। ভূতের সব গল্প। আগে হলে এক বসাতেই পড়ে ফেলত। কিন্তু এখন কেন জানি ভাল লাগে না। বইয়ের মাঝে ডুবে থাকার জন্য কত্ত বকা যে খেয়েছে তার হিসাব নেই। চোখ খারাপ হবে এভাবে রাত দিন বই পড়লে। মা সব সময় বলতেন। এখন মা ইটালিতে আছেন। ................

নির্বাক (গল্প)

সকাল গুলো এখন শেষ হতে চায় না। মনে হয় এক একটি সকাল দীর্ঘ। অনেক বেশি সময়। গোয়ালের গরুর দেখে আসা ব্যাপারটা আমার রুটিনে ছিল না কখনো। কিন্তু এখন যোগ হয়েছে। আরো বেশ কিছু যোগ হয়েছে। হয়ত আরো অনেক হবে। সেদিন আমাকে বাজার থেকে জিনিষ আনতে পাঠানো হলো সন্ধ্যার সময়। অথচ এই সময়ে বাহিরে যাওয়া আমার মত বয়সী একটা মেয়ের জন্য ঠিক মানায় না।.......

বৃহস্পতিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২

অনুভা ও নুবাহ ( গল্প )

রাস্তাঘাট এদিকটায় একটু ভাঙা। গাড়ি একটু পর পর ঝাঁকি খাচ্ছে। আর লাফিয়ে উঠছে। কিছু কিছু গর্ত ভয়ংকর। সেখানে আবার বৃষ্টির পানি জমেছে। গাড়ির চাকা যখন ঐ পানির উপর দিয়ে যায় তখন পানি গুলো ছিটিয়ে পড়ে। পাশে কোন পথচারী থাকলে তাকে ঐ নোংরা পানি জলসিক্ত করে দেয়। ...................

লুকোচুরি (গল্প)

দরজাটা ঠেলে এসেছে প্রত্যাশা। কেউ রুমে আসলে দরজা খুলে আসতে হবে। দরজা খুলতে গেলে আওয়াজ পাবে। সাবধান হয়ে যাওয়া যাবে। সাবধান হতে বেশি সময় লাগবে না। ৩ সেকেন্ডই যথেষ্ট। কম্পিউটারে এই এক সুবিধা। কিছু ক্ষণিকের মধ্যে আড়াল করা যায়। ..........

নামহীন কৈশোর (গল্প)

ডায়েরীটার দিকে বিরক্ত হয়ে তাকাচ্ছে আনিকা। কাল রাতে ডায়েরী লিখেছিল। নিজের লেখাগুলো পড়ে নিজেরই বিরক্ত লাগছে। আবার পড়ল। মনে হচ্ছে না কথাগুলো নিজে লিখেছে। অন্য কোন মেয়ে যেন লিখেছে। কিন্তু লেখাগুলো যে ওর নিজেরই এটাই সমস্যা। গুটানো অক্ষরে লেখা। ইচ্ছা হচ্ছে ডায়েরীর পাতাটা ছিড়ে ফেলতে। তারপর কুচিকুচি করে ছিড়ে ফেলে দিতে। .............

বৃষ্টি ধুয়ে মুছে দিয়েছে (গল্প)

একটু আগেও রোদ ছিল। হঠাৎ করে আকাশটা মেঘে ঢেকে গেল। আর তার পর পরই শুরু হয়ে গেল বৃষ্টি। বৃষ্টি অনেক পছন্দের ছিল শারমীনের। বৃষ্টি আসা মানেই ছিল বৃষ্টিতে ভেজা। আকাশে মেঘ দেখা দিলেই চলে যেত ছাদে। অপেক্ষায় থাকত কখন বৃষ্টির ফোঁটা পড়া শুরু হবে। চাচাতো বোন সাবিহা, মনিহাও আসত। সবাই আকাশের পানে চেয়ে থাকতো। এই বুঝি বৃষ্টি এলো। ....

আনন্দের অশ্রু ( গল্প )

বই গুলো সব আগাছোলা টেবিলের উপর ছড়িয়ে আছে। শুধু যে টেবিলের উপর আছে তাই নয়। খাটের উপরও বেশ কয়েকটি বই খোলা রাখা। পুরা এলেমেলো অবস্থা। মুহিন সব সময় এরকমই রাখে। কোন গোছগাছ বলতে কিছু যেন ওর মধ্যে নেই। এখন ক্লাস করতে চলে গিয়েছে। এরকম রেখেই চলে যায়।
মা লতিফা বেগম ছেলের বই পত্র গুছিয়ে দেন। একই আকৃতির বইগুলো একসাথে বইয়ের সেলফে রাখেন। আর খাতাগুলো রাখেন পাশেই। কিছুক্ষণের মধ্যেই সুন্দর গোছগাছ হয়ে যায় রুমটি।.............

রাত এবং ভালবাসার গল্প (গল্প)

রাত তিনটা। ঘরে থাকলে রাতের ভয়াবহতা তেমন বুঝা যায় না। তবে বাহিরে আসলে বুঝা যায় গভীর রাত কি ভয়ংকর। আসাদ বাহিরে এখন। একটু আগে ঘর থেকে বের হয়েছে। বাসায় গরম লাগছিলো। বাহিরে কিছুটা ঠান্ডা আছে। রাতে সূর্যের তাপ নেই। যে কারণে প্রচন্ড গরম নাই।
আসাদের গন্তব্য নীহাদের বাসা। তিনদিন বাহিরে ছিল। বন্ধুদের সাথে কক্সবাজার ঘুরে এসেছে। ঘরে আসতে রাত দুইটা বেজে গেছে। রাতে ভাত খেয়েই রওয়ানা দিয়েছে। নীহাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। নীহারা দুইতলায় থাকবে। সেখানে গিয়ে কল দিবে। নীহা ব্যালকনিতে আসবে। সেভাবেই কথা হয়েছে। .......

আতঙ্ক (গল্প)

বৃহস্পতিবার। দিনটা অন্য দিনের চেয়ে সুন্দর আবিরার। প্রতি সপ্তাহে এই দিনটির অপেক্ষায় থাকে সে। এই দিনে স্কুল লাইব্রেরী থেকে বই নেওয়া যায়। সে বই এক সপ্তাহ রাখা যায়। আবিরা বই পড়তে অনেক পছন্দ করে। তবে সমস্যা একটা। একটার বেশি বই নেওয়া যায় না। একটা বই পড়তে বেশি হলে একদিন লাগে। অনেক বই ই এক বসাতে পড়া হয়ে যায়।
 লাইব্রীয়ানের দায়িত্ব পালন করেন শিশির স্যার। আবিরা একদিন স্যারকে বলে বসে, স্যার একটার বেশি বই দেওয়া যায় না?.....................

অপরাধী (গল্প)

দেশটা অনেক সুন্দর। অনেক বেশি সুন্দর। ঢাকা শহরের যানযটকে আগে খারাপ লাগত। এতক্ষণ ধরে ইঞ্জিনের গো গো শব্দ শুনতে শুনতে গাড়ির স্থিরতা। আর সামনের দিকে চেয়ে থাকা কখন ছুটবে এই যট। কখনো যটে ঘন্টা পার হয়ে যেত। জানালা দিয়ে ভিক্ষুকের উৎপাত। অনেক বিরক্ত লাগত। এই ভিক্ষুকদের কারণে জানালা খোলা রাখা যেত না। খোলা রাখলেই গাড়ির ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে ভিক্ষা খুঁজবে। জানালা খুলে দিতে ভীষণ ইচ্ছা হতো। কিন্তু ভিক্ষুকের ভয়ে তা বেশির ভাগ সময়ই করা যেত না। তারপরও মাঝে মাঝে খোলা রাখত। ভিক্ষুক এলে ধমক দিয়ে বসত। সিগনালের ভিক্ষুক গুলোকে কখনো কখনো ভিক্ষুক মনে হতো না, মনে হতো পেশাদার শ্রমিক। মানুষের আবেগ ব্ল্যাক মেইল করছে এরা। ................

নোংরা প্রতিশোধ (গল্প)

ক্লাসের শেষ দিকে বসেছে জাবেদ। একেবারে কোণে। মুঠফোনে কথা বলছে। একেবারে নিচু গলায়। পাশের জনেরও বোঝার উপায় নেই কি কথা হচ্ছে। তবে পাশের জন সাহায্য করছে। সামনের জন মাথা উঁচু করে রেখেছে যাতে স্যার বুঝতে না পারেন ঘটনা। উল্টা দিকে বসেছে মনিহা। মেয়েদের বসার সারিতে। সে স্যারের দিকে চোখ ইশারা করে দেখিয়ে দেয় ব্যাপারটা। শুধুমাত্র মজা করার জন্য। তা বেশ কয়েক জন খেয়াল করে।............

অন্যরকম কৃতজ্ঞতা (গল্প)

বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে উঠছে। মাঝে মাঝেই দেয়। ভিতরের সব কিছু যেন উলট পালট হয়ে যাচ্ছে। মাথা নিচু করে টেবিলের উপর রেখে ব্যথাটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে শ্যামা। পারে না। রাত গভীর মা-কে ডাকতে ইচ্ছা করে। কিন্তু এখন মা-কে ঘুম থেকে জাগালে সারা রাত আর ঘুম আসবে না। মা-র ঘুম খুব কম হয়। একবার ঘুম ভাঙলে কোন ভাবেই তা আর আনতে পারেন না। খাটের উপর শুয়ে আছে ছোট বোন চম্পা। সেদিকে তাকায় শ্যামা। বড় বড় শ্বাস নিচ্ছে চম্পা। কি সুন্দর মায়াবী মুখ। দেখলেই মুখ টিপে আদর করতে ইচ্ছা হয়। ..............

কয়লা (গল্প)

ময়না খাতুন। বয়স ২৭। অল্প বয়সেই বিয়ে হয়েছে। দুই মেয়ে এক ছেলে। হঠাৎ স্বামী মারা গেল। বয়সে একটু বেশিই ছিল ময়নার বয়স অনুযায়ী। ১৩ বছরের বড়। স্বামী হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তিনদিনের মাথায় নার্সদের, আয়াদের, ডাক্তারদের অবহেলার জবাব দিয়ে বিদায় জানালো এই পৃথিবীকে। ...................

জ্বলা ও নেভা (গল্প)

আমরা অবাক হতাম। এত তাড়াতাড়ি মেজবাহ অঙ্ক করে কিভাবে? স্যার করতে দিলে সবার আগে ও করে দিয়ে দেয়। অঙ্কগুলো যে সহজ তা না। তারপরও কি তাড়াতাড়ি করে ফেলে। দেখা যায় ও তাড়াতাড়ি করছে সে অবাক হজম করতে করতে আমাদের আর অঙ্ক করা হয় না।
আমাদের ব্যাচে বারো জন পড়ে। অন্য ব্যাচ গুলোতে আরো বেশি। এই ব্যাচটা যেহেতু দুপুরে তাই এখানে কম। আর আমাদের পাঁচজনের বন্ধ গ্রুপটা আছে বিধায় আমরা অনেক মজা করে পড়ি।..............

পদোন্নতি (গল্প)

সাবিহা সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। টেনশনে ভুগছে। ওর একটা পদোন্নতি হয়েছে। এত বড় দায়িত্ব সামলাতে পারবে? সেটা গ্রহণ করবে কিনা বুঝতে পারছে না। ওর হাত চুলকাচ্ছে। কোন বিষয়ে টেনশন করলেই হাত চুলকায়। ভীষণ সে চুলকানি। ডাক্তার দেখিয়েছে অনেক। লাভ হয় নাই। ডাক্তাররা বলছেন এটা এলার্জি। যে কারণে এই এলার্জি হচ্ছে সেটা বন্ধ না করলে এটা হবে না। বেশ কিছু খাবারের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু কোনটার কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে না। সাবিহা খেয়াল করেছে টেনশন করলেই এই চুলকানি শুরু হয়। চেষ্টা করে টেনশন না করতে। কিন্তু এখন টেনশন না করে পারছেন না। ............

একটি লাশ (গল্প)

খুন হবে। একটা খুন। সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। এখন করাটাই বাকী। অন্ধকার কক্ষ। গিয়াস বসে আছেন। খুনের অর্ডার গুলো সে নেয়। এজেন্ট আছে তার। তবে কখনো প্রকাশ্যে আসে না। যাদেরকে খুনের দায়িত্ব দেওয়া হয় তারা দেখে না গিয়াসকে। তবে কিভাবে কি করা হবে তা গিয়াস সরাসরি বলে দেয়। মোবাইলে বলা অনিরাপদ। অনেক সময় মোবাইলে কথোপকথন ধরে সূত্র পেয়ে যায়। এজন্য সরাসরি কথা বলে গিয়াস। এক এক খুনে এক এক রকম পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। ...........

পঞ্চ তারা (গল্প)

বনভোজন ব্যাপারটা নভেম্বর থেকে শুরু হয়। প্রায়ই দেখা যায় প্রতিদিনই কোন না কোন স্কুল থেকে পিকনিকে যাচ্ছে। তাসনিম দের স্কুল থেকেও পিকনিকে যাওয়ার নোটিশ এসেছে। নোটিশ পড়া শেষে স্যার জিজ্ঞেস করলেন, কে কে যেতে চাও? নাম জমা দাও।
 
বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে নাম বলল। স্যার নাম আর রোল নম্বার লিখে নিচ্ছেন। তাসনিমের খুব ইচ্ছা করছে দাঁড়াতে। নাম দিবে। কিন্তু বাসায় মানা করতে পারে। নাম দিয়ে শেষে না গেলে বিশ্রী অবস্থা হবে। ............

জুতা

আমার ছোট বোনকে একদিন জুত আবিষ্কারের গল্প শুনাই। ও যে স্কুলে পড়ে ঐখানে স্কুল ড্রেসের সাথে জুতাও পড়তে হয়। ওর সকল আপত্তি ঐ জুতা নিয়ে। স্কুল জুতা দুই চোখে দেখতে পারে না। আমার গল্প মন দিয়ে শোনে। শেষে বলে, আচ্ছা স্যান্ডেল আবিষ্কার করছে। ঠিক আছে। আবার জুতা আবিষ্কার করতে গেল কেন?........

নিহত প্রেমিকের আত্মকাহিনী (গল্প)

তিনি হতে পারতেন আমার শ্বশুর। তার পা ছুয়ে হয়ত সালাম করতাম আমি। না তিনি আমার শ্বশুর হন নি। হয়েছেন আমার ঘাতক। চার চারটি বার ট্রিগার চাপলেন তিনি। বুলেটে আমার শরীর হলো ঝাঝড়া। বিয়ে না হলে তাকে শ্বশুর বলে অভিহিত করলে কি অন্যায়? আমি বেঁচে থাকলে তো বিয়ে করতাম উর্মিকেই, সুতরাং উর্মির বাবা হিসাবে তিনি আমার শ্রদ্ধেয় শ্বশুর, সমাজ মেনে নিক বা না নিক, তাতে আমার কি, মৃত মানুষের কাছে সমাজের কোন দাম নেই। তাই আমার ঘাতককে আমি শ্বশুর বলেই ডাকছি।....

অন্ধ প্রেম (গল্প)

আহাদকে বাড়িতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। মনে করছিল কোন বিশেষ জরুরী কাজ। সেজন্য ও তড়িঘড়ি করে ফিরে এসেছে। কিন্তু এসে দেখে ব্যাপার অন্যকিছু।
আহাদ ভাত খাচ্ছে। মা এসে বলল- তোর জন্য মেয়ে একটা ঠিক করছি। দেখতে অনেক ভাল। সামনের সপ্তাহে বিয়ে।..............

লাইপ্রু (গল্প)

লাইপ্রুঅনেক বড় সমস্যায় পড়েছে সামত্লিং পাড়ার মানুষ। এলাকাটা অনেক দুর্গম। পাহাড়ী পা রাস্তা বেয়ে এখান থেকে বাজারে যেতেই লাগে তিনদিন। যাওয়ার রাস্তা খুবই করুণ। এমন অনেক জায়গা পার হতে হয় যেখানে এক পা কোন মতে রাখা সম্ভব। একটু এদিক ওদিক হলেই ৩০০ থেকে ৫০০ ফিট নিচে খাদে পড়ে যেতে হবে। ......

নাক ডাকা (গল্প)

সুড়ঙ্গের নিচে চায়ের দোকানটাতে প্রতিদিন আমরা বিকেল বেলায় জড়ো হই। আড্ডা দিই। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, মোবাইল, নারী সব বিষয়ে আমাদের আলোচনা চলে। সেদিন আড্ডায় আমি বিষয় হিসাবে তুলি নাক ডাকা। উদ্দেশ্য যদি লেখার জন্য কিছু পেয়ে যাই। ...............

এক সমাজ বিচ্ছিন্ন ভালোবাসা (গল্প)

সুন্দর একটা বাগান। সেখানে অনেক ফুল ফুটে আছে। তবে কোন ফল গাছ নেই। বাগানটি আয়শা বেগমের। তার স্বামী ফুল খুব পছন্দ করত। মাঝে মাঝে আয়েশা বেগমের রাগ হত। বাগানে এতক্ষণ বসে থাকার মানে হয়? বিরক্ত হলে বকাঝকা করতেন।.....

সোমবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১২

দ্ধিধা দ্বন্ধ ( গল্প )

শফিক পায়ের স্যান্ডেল খুলে হাতে নিল। প্যান্টের কিছু অংশ উপরে তুলে দিল। গলির পথটাতে পানি জমছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়। নালার পানি বৃষ্টির পানির সাথে একাকার হয়। কালচে দেখায় সে পানি গুলো। সে পানি পার হতে হয়। বাসায় গিয়ে পরিষ্কার করে হাটু পর্যন্ত ধুয়ে ফেলে। । সকালে যাওয়ার সময় মসজিদের পুকুরে পা ভাল ভাবে ধুঁয়ে নেয়। ..................

বন্ধুত্ব হলো শেষ ( গল্প )

মাঝে মাঝে সময় গুলো কেমন বিদঘুটে মনে হয়। বেশ কিছুদিন হয়েছে পত্রিকা পড়া বাদ, টিভিতে সংবাদ দেখা হয় না। এত খারাপ খারাপ সংবাদ গুলো হজম করা কষ্ট। তার চেয়ে না দেখাই ভাল। কি দরকার খারাপ সংবাদ শুনে এভাবে কুড়ে কুড়ে কষ্ট নেওয়া।.....

দীর্ঘশ্বাস ( গল্প )

রেল লাইনের ধারে বস্তিটা। বেশ কয়েকবার উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে প্রভাবশালী মহল। বস্তিবাসী সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকায় পারে নি। একবার তো আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যায় বস্তিবাসী। তারপরও বস্তি ছাড়ে নি। আবার আস্তে আস্তে বাসা বেঁধেছে ওরা। ...........

বিভ্রান্তি ( গল্প )

আকাশে ঘুড়ি উড়ে। পাখি উড়ে। মাঝে মাঝে কিছু মানব পাখি যা উড়োজাহাজ কিংবা হেলিকপ্টার নামে পরিচিত সেগুলো উড়ে। কিন্তু মনের আকাশে এত কিছু উড়ার সুযোগ নেই। একটা জিনিসই বেশি উড়াউড়ি করে। স্বপ্ন। শাহেদের মনের আকাশে এই স্বপ্নের উড়াউড়ি একটু বেশিই যেন। তবে এখন সে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বপ্ন থেকে বাস্তবে নামবে। নামতেই হবে। কখন থেকে কোন মেয়ের সাথে একসাথে থাকার স্বপ্ন দেখেছে তা মনে পড়ে না। থাকলে ভালোই হতো। যেদিন থেকে প্রথম ভাবা শুরু করছে কোন মেয়ের সঙ্গ সেদিনটা প্রতি বছর স্বপ্ন দিন হিসাবে জাঁকজমক হিসাবে ভাবে করা যেত। ............

বৈচিত্র ( গল্প )

বইগুলো এলেমেলো করে টেবিলের উপর ছড়ানো। বইগুলো সাজিয়ে রাখার চেষ্টা করছে মামুন। আগে ঠিক করত না। যেভাবে ছড়িয়ে রাখা হতো সেভাবেই থাকতো। এখন ঠিক করতে হয়। নাহলে লোপা অনেক রাগ করে। ও প্রতিদিন সাজিয়ে দেয় বইগুলো। পরে যদি দেখে বই গুলো এলোমেলো আছে তাহলে ইচ্ছামত বকে। “ সামান্য বইগুলো ভাজ করে রাখতে পারো না, তোমাকে বই ধরতে কে বলে? তুমি বই ধরবা না।”.....

আমারে কেউ জানেনা ( গল্প )

সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। বিকালটা যে এত তাড়াতাড়ি অন্ধকারে ঘনিয়ে এলো তা টেরই পায়নি শুভ্রা। এইতো আলো ছিল। পরক্ষণেই অন্ধকার হানা দিল, এরকম মনে হচ্ছে ওর কাছে। অন্ধকার যে খারাপ লাগে তা না। রাতের অন্ধকারের নিস্তবদ্ধতা, তারা ঝলমল মায়াবী রাতটা অনেক পছন্দ ওর। তবে এখন রাতের উপর বিরক্ত লাগছে প্রচন্ডরকমভাবে। আরেকটু পরে আসলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যেত। .......

বাস্তবতা ( ক্ষুদ্র গল্প )

একটা দুইটা ফোঁটা পড়ছে। একে ঠিক বৃষ্টি বলা চলে না। তবে আকাশ মেঘে ঢেকে যাচ্ছে। বুঝা যাচ্ছে কিছুক্ষণের মধ্যে জোরে বৃষ্টি শুরু হবে। অনেক আগেই সূর্যটা উধাও হয়েছে। মেঘের সাদা চাদরে সেটা গোপন হয়েছে ঠিক যেমন দিনের আলোতে অদৃশ্য হয়ে যায় রাতের তারাগুলো। .........

পতাকা ( গল্প )

সামনের সাত তলা বাড়িটির ছাদের উপর দেওয়া বিশাল পতাকাটা বাঁশের মাথায় আটকে গেছে। সেটা ছড়িয়ে দেওয়া গেলে ভাল হতো। প্রায় সব খানে পতাকা উড়ছে। বাতাস বইছে। বৃষ্টি আসার সম্ভাবনা। বাতাসে পতাকাগুলো পত পত করে উড়ছে। পতাকা গুলো দেখছে আর আহাদের দীর্ঘশ্বাস বের হচ্ছে। এই এলাকায় আর্জেন্টিনা, ব্রাজিলের পতাকাই বেশি। বেশির ভাগ বিল্ডিংয়েই আর্জেন্টিনার পতাকা। এলাকায় বোধহয় আর্জেন্টিনার সমর্থকই বেশি।........

মুক্ত হওয়া গেল!! ( গল্প )

ঘুটঘুটে অন্ধকার। এত বেশি অন্ধকার যে নিজের হাতটুকুও দেখা যায় না। উঁচু দেওয়াল ঘেরা ছোট্ট একটা রুম। ফ্যান আছে। ফ্লোর থেকে ছাদ অনেক উপরে। যে কারণে ফ্যান ঘুরলেও বাতাস পাওয়া যায় না। একটা ছোট ভেন্টিলেটন আছে। সেখানে সব মাকড়সার জাল। মাকড়শার জালও যে এত ঘন হতে পারে তা না এই ভেন্টিলেটর না দেখলে বুঝা যাবে না। .......

কিছু কিছু (গল্প)

আগে একটু অন্যরকম ছিল। চোখাচোখি থেকে পছন্দ হয়ে যেত। একজন অন্য জনের দিকে লাজুক ভঙ্গিতে তাকাত। আর সেখান থেকেই দুজনের হৃদয়ে তোলপাড় শুরু হয়ে যেত। তা এখন একটু বদলিয়েছে। মিস্টি গলা শুনে, কথা শুনে এখন পছন্দ হয়ে যায়। রং নাম্বার থেকে কল এসেছে। কতক্ষণ কথা হলো। তাতেই কেল্লাফতে। প্রেম হয়ে যায়। ভালোবাসা হয়ে যায়। সেখান থেকে বিয়ে। অথচ যার চেহারা কখনো দেখা হয় নাই। শুধুমাত্র গলা শুনে দিওয়ানা হয়ে যাওয়া।........

ইচ্ছা (গল্প)

ওরা দুজন। শুধু দুই জন। বিশাল মাঠ কেউ নেই। থাকবেই বা কি করে? যে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে কারো থাকারই কথা না। কয়েকজন আসছিলেন। আকাশের অবস্থা খারাপ দেখে সবাই চলে গেছে। ওরাই শুধু যায় নি। আকাশে বিজলি চমকাচ্ছে বড় বড়। মেঘের গর্জনে চারদিক প্রকম্পিত। মনে হচ্ছে বড় বড় বোমা ফুটছে। বৃষ্টির মধ্যে বোমা ফুটলে তা বেশি কার্যকর হওয়ার সুযোগ নেই এটাই ভরসা। পত্রিকায় এখন প্রায়ই সময়ই বাজ পড়ে মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। যেভাবে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে যেকোন সময় অঘটন ঘটে যেতে পারে। সেদিকে যেন নজর নেই ওদের। আনন্দে যে দুজনে মিলে বৃষ্টিতে ভিজছে সেটাও না। বরং দুজনের মন ই বিক্ষিপ্ত। সুন্দর বৃষ্টিও সেটা গুছিয়ে দিতে পারে নি। .......

উদ্দেশ্যহীন ( গল্প )

একশ, নিরানব্বই, আটানব্বই। এভাবে গুণে যাচ্ছে শামিম। কোন কিছু সামনে নাই। এটা কাল্পনিক গণনা। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে আসলেই এভাবে গুণতে হয়। বাজে অভ্যাস হয়ে গেছে। প্রতিদিন চিন্তা করে আজ থেকে আর এটা করবে না। তারপরও হয় না। কিভাবে যেন ঠিকই শুরু করে দেয়।.......

উচ্ছ্বাস (গল্প)

ব্যাপারটা একটু অন্যরকম দেখাচ্ছে। পথে যারা হাঁটছে তারা তাকাচ্ছে আড়চোখে । কেউ কেউ দাঁড়িয়ে গেছে ব্যাপারটা ঠান্ডা মাথায় দেখতে। সেদিকে কোন নজর নেই রুবার। অতি সুন্দরী একটা মেয়ে ঝালমুড়ি বানাচ্ছে তা স্বাভাবিক ভাবে নেওয়া একটু কষ্টকর বটে। যারা দেখছে তাদের কষ্ট হচ্ছে কিনা বুঝা যাচ্ছে না। তবে তারা যে বেশ মজা পাচ্ছে তাদের মুখ দেখেই বুঝা যাচ্ছে।.......

উপহার (গল্প)

সুমন একটু বিরক্ত। একটু না বলে বেশিই বলা যায়। সামনে ভালোবাসা দিবস। এই দিবসে নতুন একটা রীতি চালু হয়েছে প্রিয় মানুষকে গিফট দেওয়া। দামি জিনিষটি বাহারি ডিজাইনে রেকিঙ পেপারে মুড়ে গিফট তার সাথে একটা দামি কার্ড। ..........

কাইসা (গল্প)

অদ্ভূত শব্দটা উচ্চারণ করতে নীপা খুব মজা পায়। বেশিরভাগ বাক্যের মন্ত্রব্য করার সময়ই ও বলে ফেলে অদ্ভূত। যদিও মাঝে মাঝে অভ্যাসবশত বলতে গিয়ে লজ্জা পায়। সেদিন ওর বান্ধবী কাইসা ওদের বাসায় আসছে। বলে, পানি দেয়তো। পিপাসা লাগছে।
তা শুনে নীপা বলে ফেলে, অদ্ভূত।............

শান্তিকানন আর নেই (গল্প)

ঋতু খাটের এককোণায় বসে আছে বেশ কিছুক্ষণ ধরে। এরই মধ্যে ওর মা ফিরোজা বেগম ভাত খেতে ডাকলেন। ঋতু কোন সাড়া দিলো না। মা এসে বোঝালেন : ভাগ্য যা ছিলো তা হয়েছে। মন খারাপ করিসনে। আয় অল্প একটু খেয়ে নেয়। এবার টাকা জমিয়ে অন্য কোথাও জায়গা কিনব। সেখানে বাগানের জন্য অনেক বড় জায়গা রাখা হবে। তুই তোর ইচ্ছে মতো সব গাছ লাগাতে পারবি। আয় মা খেতে আয়। ভাত ঠান্ডা হয়ে গেল।....

নিয়ম (গল্প)

রাত তিনটা বাজে। এসময় শোরগোলের আওয়াজ পাওয়া যায়। মিরাজের চোখে একটু ঘুম আসছিলো মাত্র। সারাদিন অনেক কাজ করতে হয়েছে। ঘুমো ঘুমো গলায় মিরাজ জানতে চায়, আপা বাইরে কি হয়েছে?
: গরু পুকুরে পড়ে গেছে।
কথাটা শুনেই মিরাজের ঘুম উধাও। বের হওয়ার জন্য শার্ট গায়ে চাপায়।.....

রবিবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২

চোখ

আবীর চেয়ারে বসে আছে। বসে বসে ঝিমানো যায়। কিন্তু বসার মধ্যে ওর ঝিমানো পায় না। কোন রোগী নেই। তাই অলস বসে থাকা। আবীরের কাজ হচ্ছে এক্সরে করা। ও এক্সরে রুমের ইনচার্জ। বড় মেশিনটার সামনে রোগীকে বসিয়ে দেয়।..............

শেষ চিঠি

সকাল বেলা। রাত শেষ হয়েছে। আবছা আবছা আলো আসছে চারদিকে। কিছুক্ষণের মধ্যে আলোর বন্যায় প্লাবিত হবে চারপাশ। চারদিকে আলোকিত। অথচ লিমার মনটা অন্ধকার। যেখানে শুধুই অন্ধকার। ঘুটঘুটে সে অন্ধকার। লিমার মনে হয় পৃথিবী যদি সব সময় অন্ধকার থাকতো তাহলেই ভাল হতো। আলোর দিকে তাকাতে ইচ্ছে হয় না। ইচ্ছে হয় সূর্যকে ঢেকে দিতে কালো কিছু দিয়ে।...............

সাতাশ তারিখ (গল্প)

রাতে ঘুম না আসার কারণ ভাবছিলাম। ইদানিং এ সমস্যাটা হচ্ছে। রাতের অনেকটা কেটে যায়। অথচ ঘুমের দেখা পাই না। কিছু নিয়ে যে দুশ্চিন্তায় আছি তা নয়। তবে এখন ঘুম না হওয়ার কারণ নিয়ে টেনশন করছি। একারণেই হয়ত ঘুম আসছে না। টেনশনমুক্ত হওয়ার জন্য মোবাইলে অল্প ভলিউমে গান প্লে করি। প্রীতমের গান।

সকল লেখা এক ক্লিকে

ব্লগে লেখা আমার পোস্টগুলো এক পাতায় :

বড় গল্প : ১. বাসর  ২. আরজে ৩. বয়সের ফাঁদ ৪. মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস  ৫. এক ব্লগ পাগল  ৬. ৭.  ৮. 

ছোট গল্প সমূহ : ১. প্রোফাইল পিকচার ২. শুভ্রের বউ ৩. সিদ্ধান্ত ৪. শেষ চিঠি ৫.চোখ  ৬.নিয়ম  ৭.শান্তিকানন আর নেই  ৮.কাইসা  ৯.উপহার  ১০.উচ্ছ্বাস  ১১. উদ্দেশ্যহীন ১২. ইচ্ছা ১৩.কিছু কিছু  ১৪.মুক্ত হওয়া গেল  ১৫.পতাকা  ১৬. বাস্তবতা  ১৭. আমারে কেউ জানে না  ১৮. বৈচিত্র  ১৯. বিভ্রান্তি  ২০. দীর্ঘশ্বাস ২১. বন্ধুত্ব হলো শেষ  ২২. দ্বিধাদন্ধ  ২৩.এক সমাজ বিচ্ছিন্ন ভালোবাসা ২৪. নাক ডাকা ২৫. লাই প্রু ২৬. অন্ধ প্রেম ২৭. নিহত প্রেমিকের আত্মকাহিনী ২৮. জুতা ২৯. পঞ্চ তারা ৩০. একটি লাশ ৩১. পদোন্নতি ৩২. জ্বলা ও নেভা ৩৩. কয়লা ৩৪. অন্যরকম কৃতজ্ঞতা ৩৫. নোংরা প্রতিশোধ ৩৬. অপরাধী ৩৭. আতঙ্ক ৩৮. রাত এবং ভালবাসার গল্প ৩৯. আনন্দের অশ্রু ৪০. বৃষ্টি ধূয়ে মুছে দিয়েছে ৪১. নামহীন কৈশোর ৪২. লুকোচুরি ৪৩. অনুভা ও নুবাহ ৪৪. নির্বাক ৪৫. প্রতিযোগিতা ৪৬. ভালবাসা ভেঙে যায় ৪৭. শ্যামা  ৪৮. ইয়াহু ৪৯. কষ্ট  ৫০. তানহা আর নাহিদের ফেসবুকীয় কথোপকথন ৫১. দু:খ ৫২. নীরা ও অনিক  ৫৩. গন্ধ ৫৪. সুখী ৫৫. পরিবর্তন হলো ৫৬. ছেলেটি আত্মহত্যা করতে চেয়েছিল ৫৭. সাতাশ তারিখ  ৫৮. অদ্ভূত সকাল ৫৯. পাগলী ৬০. স্বপ্ন জোছনা ৬১. অসহায় জীবন ৬২. মুক্তি ৬৩. অন্যরকম অপেক্ষা ৬৪. সহ্য ৬৫. দু:খী মেয়ে ৬৬. মায়া ৬৭. দীর্ঘশ্বাস ৬৮. বৈচিত্র  ৬৯. নামহীন কৈশোর  ৭০. আমারে কেউ জানেনা  ৭১. রং চটা জীবন ৭২. অসময় ৭৩. আতঙ্ক ৭৪. দু:খ ৭৫. বিমূর্ত স্বপ্ন ৭৬. রুবা ৭৭. অসহায় জীবন ৭৮. অন্যরকম অপেক্ষা ৭৯. দু;খী মেয়ে ৮০. কানের দুল*  ৮১. কার কষ্ট বেশি ৮২. নেকলেস ৮৩. সুন্দর সময় ৮৪. জলরঙ্গে আকা ছবি ৮৫. অষ্পৃষ্য ভালোবাসা  ৮৬. লাইক* ৮৭. হ্যাক*  ৮৮. বিদায় ফেসবুক**  ৮৯. ক্ষমা করা হবে না ৯০. হাবিজাবি গল্প** ৯১. মিথি আজ খুশী ৯২. অনুরোধ ৯৩.  ৯৪.  ৯৫.  ৯৬.  ৯৭.  ৯৮.  ৯৯.  ১০০.  

ছোটদের গল্প: ১. মা পাখি ২. দুইটি ইদুর ৩. জিলস ৪. রোজা  ৫. বিজ্ঞান মেলায়  ৬.  ৭.  ৮.


অনু গল্প : ১. চার মাস পর ২. সময় ৩. জোড়া চাঁদ ৪. এলার্ম ঘড়ি ৫. অভিমান ৬. হিটস্ট্রোক ৭. জাকিয়া আপু** ৮. দগ্ধ ৯. দৃশ্য ১০. বোকা ১১. বালিকা ও কান্না ১২. খবর ১৩. পত্রিকা ১৪. মুক্তি ১৫. স্বার্থপর ১৬. অনুভব ১৭. বিশ্বাস ১৮. ইচ্ছে ১৯. পাথর ২০. প্রতিজ্ঞা ২১. রহস্যময় হাসি ২২. পেট্রোল বোমা ও ভালোবাসা ২৩. কল্পনা ২৪. ফেসবুক ২৫. অপরাধবোধ ২৬. মৃত্যু ২৭. সাঁতার ২৮. অভিমানী ২৯. নীরবতা  ৩০. ঝালমুড়ি ৩১. ভুল ৩২. রিলেশন ৩৩. সেক্রিফাইস ৩৪. মনবোমা ৩৫. শিক্ষা  ৩৬. সবুজ বাতি ৩৭. ছেলে মানুষি ৩৮. দূর প্রবাস ৩৯. চিঠি ৪০. পোক ৪১. মোবাইল ও মানুষ ৪২. স্বপ্ন ৪৩. বিশ্বাস ঘাতক ৪৪. কোটা ৪৫. ঢাবি ৪৬. ম্যাডাম ৪৭. ইরেজার ৪৮. জন্মদিনের শুভেচ্ছা ৪৯. শূণ্যতা ৫০. বিয়ের দাওয়াত* ৫১. আড়ি*  ৫২. শব্দহীন হাসি ৫৩. বস্তাভরা ভালোবাসা ৫৪.  ৫৫.  ৫৬.  ৫৭.  ৫৮.  ৫৯.  ৬০. ৬১. 


স্মৃতিচারণ : ১. কম্পিউটার নিয়ে স্মৃতি ২. আকাশে যুক্ত হলো নতুন তারা ৩. একটি রাতের ফোন  ৪.  ৫.  ৬.  ৭.  ৮.  ৯. 

শৈশব : ১. মুসলমানি করার সময় ২. প্রথম জানাযার নামাজ ৩. টিভি কেনার গল্প ৪.  ৫.  ৬.  ৭.  ৮.  ৯.

চারপাশ : ১. দুই টাকা ও সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার গল্প ২.  ৩.  ৪.  ৫.  ৬.  ৭.  ৮.  ৯.  ১০.

ফেসবুক : ১. স্ট্যাটাস রোমান্টিকগুলো  ২. হোয়াটস অ্যাপের গল্প  ৩. চলতি পথে  ৪.  ৫.  ৬.

ভ্রমণ, বনভোজন : ১. প্রথম আলো ব্লগারদের বনভোজন  ২. একটি রেল ভ্রমণ  ৩. 

পরামর্শমূলক : ১. ঘুরতে গেলে বান্দরবান ২.
 

প্রোফাইল পিকচার (গল্প)

শীতকাল আসবে আসবে করছে। ফ্যান চালালে ঠান্ডা লাগে। আবার বন্ধ করলে গরম লাগা শুরু করে। অদ্ভূত অবস্থা। সেজন্য রাতের বেলা সর্বোচ্চ গতিতে ফ্যান চালিয়ে দিয়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে শুয়ে পড়ে মুহিন। যদিও ঘুমাতে অনেক দেরি হয়। প্রতিদিন রাতে নুবাহর সাথে কথা বলে। কথা বলতে না পারলে নাকি সেদিন নুবাহ’র ঘুমই আসে না।

শুভ্রের বউ

শুভ্র চশমা পাচ্ছে না। রাতে ঘুম যাওয়ার আগে চোখ থেকে খুলে রেখেছিল। সকালে ঘুম থেকে উঠে পাচ্ছে না। ঘুমে থাকলে চশমার দরকার হয় নাই, আর বাকীটা সব সময় চশমা লাগেই ওর। বিয়ের পর কক্সবাজার গেছে। সমুদ্রে নেমেছে দুই জন। চোখে চশমাসহ পানিতে নামায় অবাক ইলা।