ময়না খাতুন। বয়স ২৭। অল্প বয়সেই বিয়ে হয়েছে। দুই মেয়ে এক ছেলে। হঠাৎ স্বামী
মারা গেল। বয়সে একটু বেশিই ছিল ময়নার বয়স অনুযায়ী। ১৩ বছরের বড়। স্বামী
হাসপাতালে ভর্তি ছিল। তিনদিনের মাথায় নার্সদের, আয়াদের, ডাক্তারদের অবহেলার
জবাব দিয়ে বিদায় জানালো এই পৃথিবীকে। ...................
ময়না খাতুন বুঝেছিলেন সেদিন সরকারি হাসপাতাল কি জিনিস টা? প্রতি পদে পদে টাকার জন্য বসে আছে লোক। যাদের টাকা আছে তারা তো বেসরকারি হাসপাতালেই যায়, যাদের কাছে টাকা নাই বা কম তারাই তো নিরুপায় হয়ে সরকারি হাসপাতালে আসে। এই নিরুপায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য এত ফাঁদ কেন? মাথায় ঢুকে না।
স্বামী মারা যাওয়ার পর মহা বিপদে পড়ে যায় ময়না খাতুন। অনেকে অনেক রকম প্রস্তাব দেয়। অনেকের প্রস্তাবে আছে শুধু লোভ। ময়না খাতুন ওদের কোন প্রস্তাবে রাজি হন না।
এলাকায় কয়লার চাহিদা বাড়ছে। গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়া এবং যোগান কমে যাওয়ার কারণে অনেকে কয়লা ব্যবহার করছে। বিল্ডিংয়েও কয়লা ব্যবহারের সুবিধা আছে। হাড়ি পাতিলে কালি হয় না।
ময়না খাতুনও চিন্তা করেন কয়লা বিক্রি করবেন। দূর পাহাড়ে ছুটে যান তিনি। সেখানে আগুন দেন। সে আগুনে পুড়ে গাছপালা কয়লা হয়। সে কয়লা পিঠে বয়ে এনে আবাসিক এলাকায় বিক্রি করেন। ভালোই আয়। নিজের থেকে খরচ নাই, পরিশ্রম করলে পুরাটাই লাভ।
কিছুদিন পর তার এই লাভের দিকে নজর পরে অন্য কয় জনের। ময়না খাতুন যেখানে কয়লা বানাতেন সেখানে তার আগে অন্য আরেক জন গিয়ে কয়লা বানানোর জন্য আগুন দিয়ে অপেক্ষা করছেন। ময়না খাতুনের মন আফছোসে ভরে উঠে। কোথাও শান্তি নাই। শান্তি মত একটা ব্যবস্থা করছিলেন সেখানেও ঝামেলা।
এরকম ঝামেলা বাড়তে থাকায় ময়না খাতুন ঠিক করেন তিনি রাতে পাহাড়েই থাকবেন। যাতে তার জায়গা আগে কেউ দখল করতে না পারে। এটা করায় ভালোই হয়েছে। সবার আগে তিনি আগুন দেন। তারপর বিকাল বেলায় কয়লা নিয়ে এসে বাজারে বিক্রী করেন। রাতে আবার পাহাড়ে ফিরে যান।
এভাবে দিন ভালোই কাটছিল।
হঠাৎ একদিন শুনা যায় ফায়ার সার্ভিসের আওয়াজ। সবাই আতঙ্কিত হয়। আগুন আগুন। না কোন আবাসিক এলাকায় নয়। আগুন লেগেছে। পাহাড়ে। সবাই চিন্তামুক্ত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিভে।
কেউ হয়ত আগুন দিয়েছে। সেসময় ময়না খাতুন ঘুমে থাকায় ঐ ঘুমই ময়না খাতুনের শেষ ঘুম হয়েছে। ময়না খাতুনও পরিণত হলেন কয়লাতে। সেদিন অনেক কয়লা হয়েছে। তবে সে সব কয়লায় মিশে ছিল ময়না খাতুনের দেহ। অনেকে সেসব কয়লা বিক্রি করে লাভবান হয়েছে। তা দেখে মৃত ময়না খাতুন শুধুই হেসেছেন। এই হাসি কি তিনি তার ভাগ্যের সাথে হেসেছেন!!!!!
ময়না খাতুনের মৃত্যুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল। এভাবে পুড়ে যাওয়ায় সবাই মর্মাহত। নিষিদ্ধ হলো পাহাড়ে আগুন দেওয়া। জুম চাষও নিষিদ্ধ হলো। এর বদলে সরকারের পক্ষ থেকে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হলো। আগুন থেকে রক্ষা পেল পাহাড়ের সবুজ গাছগুলো। ময়না খাতুনকে কেউ মনে না রাখলেও মনে রেখেছে পাহাড়ের প্রতিটি গাছ, প্রতিটি চারা। গাছগুলো চারা গাছগুলোকে ময়না খাতুনের গল্প শোনায়!!!!
ময়না খাতুন বুঝেছিলেন সেদিন সরকারি হাসপাতাল কি জিনিস টা? প্রতি পদে পদে টাকার জন্য বসে আছে লোক। যাদের টাকা আছে তারা তো বেসরকারি হাসপাতালেই যায়, যাদের কাছে টাকা নাই বা কম তারাই তো নিরুপায় হয়ে সরকারি হাসপাতালে আসে। এই নিরুপায় মানুষদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের জন্য এত ফাঁদ কেন? মাথায় ঢুকে না।
স্বামী মারা যাওয়ার পর মহা বিপদে পড়ে যায় ময়না খাতুন। অনেকে অনেক রকম প্রস্তাব দেয়। অনেকের প্রস্তাবে আছে শুধু লোভ। ময়না খাতুন ওদের কোন প্রস্তাবে রাজি হন না।
এলাকায় কয়লার চাহিদা বাড়ছে। গ্যাস সিলিন্ডারের দাম বাড়া এবং যোগান কমে যাওয়ার কারণে অনেকে কয়লা ব্যবহার করছে। বিল্ডিংয়েও কয়লা ব্যবহারের সুবিধা আছে। হাড়ি পাতিলে কালি হয় না।
ময়না খাতুনও চিন্তা করেন কয়লা বিক্রি করবেন। দূর পাহাড়ে ছুটে যান তিনি। সেখানে আগুন দেন। সে আগুনে পুড়ে গাছপালা কয়লা হয়। সে কয়লা পিঠে বয়ে এনে আবাসিক এলাকায় বিক্রি করেন। ভালোই আয়। নিজের থেকে খরচ নাই, পরিশ্রম করলে পুরাটাই লাভ।
কিছুদিন পর তার এই লাভের দিকে নজর পরে অন্য কয় জনের। ময়না খাতুন যেখানে কয়লা বানাতেন সেখানে তার আগে অন্য আরেক জন গিয়ে কয়লা বানানোর জন্য আগুন দিয়ে অপেক্ষা করছেন। ময়না খাতুনের মন আফছোসে ভরে উঠে। কোথাও শান্তি নাই। শান্তি মত একটা ব্যবস্থা করছিলেন সেখানেও ঝামেলা।
এরকম ঝামেলা বাড়তে থাকায় ময়না খাতুন ঠিক করেন তিনি রাতে পাহাড়েই থাকবেন। যাতে তার জায়গা আগে কেউ দখল করতে না পারে। এটা করায় ভালোই হয়েছে। সবার আগে তিনি আগুন দেন। তারপর বিকাল বেলায় কয়লা নিয়ে এসে বাজারে বিক্রী করেন। রাতে আবার পাহাড়ে ফিরে যান।
এভাবে দিন ভালোই কাটছিল।
হঠাৎ একদিন শুনা যায় ফায়ার সার্ভিসের আওয়াজ। সবাই আতঙ্কিত হয়। আগুন আগুন। না কোন আবাসিক এলাকায় নয়। আগুন লেগেছে। পাহাড়ে। সবাই চিন্তামুক্ত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৩ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিভে।
কেউ হয়ত আগুন দিয়েছে। সেসময় ময়না খাতুন ঘুমে থাকায় ঐ ঘুমই ময়না খাতুনের শেষ ঘুম হয়েছে। ময়না খাতুনও পরিণত হলেন কয়লাতে। সেদিন অনেক কয়লা হয়েছে। তবে সে সব কয়লায় মিশে ছিল ময়না খাতুনের দেহ। অনেকে সেসব কয়লা বিক্রি করে লাভবান হয়েছে। তা দেখে মৃত ময়না খাতুন শুধুই হেসেছেন। এই হাসি কি তিনি তার ভাগ্যের সাথে হেসেছেন!!!!!
ময়না খাতুনের মৃত্যুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল। এভাবে পুড়ে যাওয়ায় সবাই মর্মাহত। নিষিদ্ধ হলো পাহাড়ে আগুন দেওয়া। জুম চাষও নিষিদ্ধ হলো। এর বদলে সরকারের পক্ষ থেকে বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়া হলো। আগুন থেকে রক্ষা পেল পাহাড়ের সবুজ গাছগুলো। ময়না খাতুনকে কেউ মনে না রাখলেও মনে রেখেছে পাহাড়ের প্রতিটি গাছ, প্রতিটি চারা। গাছগুলো চারা গাছগুলোকে ময়না খাতুনের গল্প শোনায়!!!!