ইউপি এসের টিট টিট আওয়াজ শুরু হয়েছে। তানহার ভ্রু কুঞ্চিত হয়ে গেছে সে
বুঝতে পারছে। নিজের ভ্রু কুঞ্চিত হলে আয়না ছাড়া দেখা সম্ভব না। কিন্তু বুঝা
যায়। তানহাও বুঝতে পারছে। পৃথিবীতে তানহার সবচেয়ে অপ্রিয় শব্দ ইউ পি এসের
টিট টিট শব্দটি। এই শব্দের মানে হচ্ছে কম্পিউটার অফ করো। .........................
যতক্ষণ বন্ধ করবে না ততক্ষণ টিট টিট করেই যাবে। অফ করায় ছাড়বে। যেন প্রতিবার বলে বন্ধ করো, বন্ধ করো। বিরক্তিকর। আরে বাবা দেখছি তো কারেন্ট চলে গেছে। এখন বন্ধ করবো। তোর এতবার বলতে হবে? নাছোড় বান্দা ইউপি এস টি টিট টিট করেই যাচ্ছে। তানহার ইচ্ছে করছে চড় দিয়ে ইউপি এস টার দাঁত ফেলে দিতে।
ব্লগ পড়ছিলো। নাহিদের ব্লগ। অনেক ভাল লিখে। কবিতাগুলো চমৎকার। মানুষের আবেগ গুলো এত সহজে তুলে আনে কিভাবে কে জানে? যেন আবেগের শাখাগুলো ওর হাতে বন্দী। ইচ্ছে করলেই শব্দের মাধ্যমে ছেড়ে দিতে পারে।
ফেসবুকে লিংক ছিল। তানহা একটা মেসেজ পাঠায় ঐ লিংকে। “ আচ্ছা আমি কি এড রিকোয়েস্ট পাঠালে আপনি একসেপ্ট করবেন? ’
পাঠানোর পর মনে করেছিল সাথে সাথে উত্তর আসবে। কিন্তু এই কি উত্তর আসারই নাম গন্ধ নাই। ফেসবুক খুলে প্রথমেই ইন বক্স চেক করত উত্তর এসেছে কিনা। কিন্তু না। অনেক মেসেজ আসে। কিন্তু উত্তর আসে না। নিজেকে কি মনে করে কে জানে। কাঁদতে ইচ্ছা হয়। কত রিকোয়েস্ট যে এম্নে পেন্ডিং করে রেখে দিয়েছে তার হিসাব নেই। আর একজনকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে তার উত্তর দিচ্ছে না।
আর না থাকতে পেরে আবার মেসেজ দেয়। এবারের টা একটু বড় করে, নিজেকে কি মনে করেন? অনেক বড় রাইটার তাই না? আরে না হয় একটু ভাল কবিতা লিখেন। তাই বলে এত ভাব কেন? একটা মেসেজ দিয়েছি। এক সপ্তাহ আগে। অথচ উত্তর দেন নি। বলে দিলেই হতো, আমি একসেপ্ট করবো না। সৌজন্যতা বলে তো একটা কথা আছে।
এবারেরটার উত্তর আসে। সে উত্তরও এক লাইনের? - কোন মেসেজটার উত্তর দেবো। প্রথমটার না দ্বিতীয়টার?
পেয়ে ভাল লাগে তানহার। তবে মনের ক্ষোভ এখনো পুরাপুরি আছে। তাই সে লিখে পাঠায়, কোন মেসেজেরই উত্তর দিতে হবে না।
সাথে সাথে উত্তর আসে, ঠিক আছে, এজ ইউর উইশ।
আশ্চর্য ব্যাপারটো। সে রাগ করে বলেছে কোন মেসেজের উত্তর দিতে হবে না। আর সেটাই বিশ্বাস করে বসল। কি নিষ্ঠুররে বাপ। ভাল লেখক বলে কি নিষ্ঠুর হতে হবে? নাকি নিষ্ঠুর না হলে ভাল লেখক হওয়া যায় না।
ইচ্ছে হয় কঠিন কিছু লিখতে। কিন্তু ইচ্ছা হলেই তো হবে না। তাই সে শুধু লিখে পাঠায়, মানুষের রাগ বুঝার ক্ষমতাও তো নেই আপনার। তারপরও কিভাবে এত সুন্দর লিখেন?
এবার সাথে সাথে উত্তর আসে। অন্য মেসেজগুলোর চেয়ে এবারেরটা একটু বড়। - সরি রাগ বুঝতে না পারার জন্য। কবিতা লেখা অনেক সহজ। কিন্তু মানুষ চেনা এত সহজ নয়। পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ মানুষ চেনা। ঐ পথে হাঁটতে ভয় করে। তাই মানুষ না চেনে কবিতা লিখতেই বেশি ভাল লাগে। সাথে একটি হাসির ইমো।
ভাল লাগে তানহার। - কই বললেন না তো, এড রিকোয়েস্ট পাঠালে একসেপ্ট করবেন কিনা?
উত্তর আসে, আমি অপরিচিত কারো রিকোয়েস্ট সহজে একসেপ্ট করি না। ফেসবুক ব্যবহার করি বন্ধুদের সাথে আপডেট থাকতে। নতুন বন্ধু খুঁজতে না।
মেসেজটা গাঁয়ে লাগে তানহার। কি কঠিন ভাবে বলল। নতুন বন্ধু খুঁজতে চায় না।
ও লিখে পাঠায়, যেভাবে বললেন সবাই যেন আপনার বন্ধু হতে বসে আছে? এত ভাব কি ঠিক??
যতক্ষণ বন্ধ করবে না ততক্ষণ টিট টিট করেই যাবে। অফ করায় ছাড়বে। যেন প্রতিবার বলে বন্ধ করো, বন্ধ করো। বিরক্তিকর। আরে বাবা দেখছি তো কারেন্ট চলে গেছে। এখন বন্ধ করবো। তোর এতবার বলতে হবে? নাছোড় বান্দা ইউপি এস টি টিট টিট করেই যাচ্ছে। তানহার ইচ্ছে করছে চড় দিয়ে ইউপি এস টার দাঁত ফেলে দিতে।
ব্লগ পড়ছিলো। নাহিদের ব্লগ। অনেক ভাল লিখে। কবিতাগুলো চমৎকার। মানুষের আবেগ গুলো এত সহজে তুলে আনে কিভাবে কে জানে? যেন আবেগের শাখাগুলো ওর হাতে বন্দী। ইচ্ছে করলেই শব্দের মাধ্যমে ছেড়ে দিতে পারে।
ফেসবুকে লিংক ছিল। তানহা একটা মেসেজ পাঠায় ঐ লিংকে। “ আচ্ছা আমি কি এড রিকোয়েস্ট পাঠালে আপনি একসেপ্ট করবেন? ’
পাঠানোর পর মনে করেছিল সাথে সাথে উত্তর আসবে। কিন্তু এই কি উত্তর আসারই নাম গন্ধ নাই। ফেসবুক খুলে প্রথমেই ইন বক্স চেক করত উত্তর এসেছে কিনা। কিন্তু না। অনেক মেসেজ আসে। কিন্তু উত্তর আসে না। নিজেকে কি মনে করে কে জানে। কাঁদতে ইচ্ছা হয়। কত রিকোয়েস্ট যে এম্নে পেন্ডিং করে রেখে দিয়েছে তার হিসাব নেই। আর একজনকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছে তার উত্তর দিচ্ছে না।
আর না থাকতে পেরে আবার মেসেজ দেয়। এবারের টা একটু বড় করে, নিজেকে কি মনে করেন? অনেক বড় রাইটার তাই না? আরে না হয় একটু ভাল কবিতা লিখেন। তাই বলে এত ভাব কেন? একটা মেসেজ দিয়েছি। এক সপ্তাহ আগে। অথচ উত্তর দেন নি। বলে দিলেই হতো, আমি একসেপ্ট করবো না। সৌজন্যতা বলে তো একটা কথা আছে।
এবারেরটার উত্তর আসে। সে উত্তরও এক লাইনের? - কোন মেসেজটার উত্তর দেবো। প্রথমটার না দ্বিতীয়টার?
পেয়ে ভাল লাগে তানহার। তবে মনের ক্ষোভ এখনো পুরাপুরি আছে। তাই সে লিখে পাঠায়, কোন মেসেজেরই উত্তর দিতে হবে না।
সাথে সাথে উত্তর আসে, ঠিক আছে, এজ ইউর উইশ।
আশ্চর্য ব্যাপারটো। সে রাগ করে বলেছে কোন মেসেজের উত্তর দিতে হবে না। আর সেটাই বিশ্বাস করে বসল। কি নিষ্ঠুররে বাপ। ভাল লেখক বলে কি নিষ্ঠুর হতে হবে? নাকি নিষ্ঠুর না হলে ভাল লেখক হওয়া যায় না।
ইচ্ছে হয় কঠিন কিছু লিখতে। কিন্তু ইচ্ছা হলেই তো হবে না। তাই সে শুধু লিখে পাঠায়, মানুষের রাগ বুঝার ক্ষমতাও তো নেই আপনার। তারপরও কিভাবে এত সুন্দর লিখেন?
এবার সাথে সাথে উত্তর আসে। অন্য মেসেজগুলোর চেয়ে এবারেরটা একটু বড়। - সরি রাগ বুঝতে না পারার জন্য। কবিতা লেখা অনেক সহজ। কিন্তু মানুষ চেনা এত সহজ নয়। পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজ মানুষ চেনা। ঐ পথে হাঁটতে ভয় করে। তাই মানুষ না চেনে কবিতা লিখতেই বেশি ভাল লাগে। সাথে একটি হাসির ইমো।
ভাল লাগে তানহার। - কই বললেন না তো, এড রিকোয়েস্ট পাঠালে একসেপ্ট করবেন কিনা?
উত্তর আসে, আমি অপরিচিত কারো রিকোয়েস্ট সহজে একসেপ্ট করি না। ফেসবুক ব্যবহার করি বন্ধুদের সাথে আপডেট থাকতে। নতুন বন্ধু খুঁজতে না।
মেসেজটা গাঁয়ে লাগে তানহার। কি কঠিন ভাবে বলল। নতুন বন্ধু খুঁজতে চায় না।
ও লিখে পাঠায়, যেভাবে বললেন সবাই যেন আপনার বন্ধু হতে বসে আছে? এত ভাব কি ঠিক??