মাঝে মাঝে সময় গুলো কেমন বিদঘুটে মনে হয়। বেশ কিছুদিন হয়েছে পত্রিকা পড়া
বাদ, টিভিতে সংবাদ দেখা হয় না। এত খারাপ খারাপ সংবাদ গুলো হজম করা কষ্ট।
তার চেয়ে না দেখাই ভাল। কি দরকার খারাপ সংবাদ শুনে এভাবে কুড়ে কুড়ে কষ্ট
নেওয়া।.....
এখন বেশি গল্পের বই পড়া হয়। গল্প বই পছন্দ করার ব্যাপারেও কিছু ব্যাপার দেখে। নির্মল প্রেমের গল্প গুলো অনেক ভাল লাগে রুবার। তবে গল্পে যদি দেখে ভালবাসি ভালবাসি এই কথা বেশি বলা হচ্ছে তবে বিরক্ত লাগে। ভালবাসি এই কথা এত বলার কি আছে? তাদের সংলাপে, আচরণে, অনুভবেই তো ব্যাপারটা ধরা পড়বে। উপর থেকে এত বলার কি আছে। রুবার মাঝে মাঝে চিন্তা হয় ও হয়তো কখনো বলতে পারবে না আমি ভালবাসি। এভাবে মুখে বলা তার চরম অপছন্দ। যার সাথে বিয়ে হবে সে রাগ করবে কিনা কে জানে?
রুবা শুয়ে আছে। চোখের উপর দুইটা বালিশ চেপে আছে। চোখ হালকা ব্যথা করছে। চোখ ব্যথা করলে ও এভাবে বালিশ চেপে ধরে রাখে চোখে। খাটের পাশেই একটা টেবিল। সেখানে অনেক গুলো বই। সেমিস্টার ফাইনাল শেষ। এখন কিছুদিনের অবসর। তাই চুটিয়ে গল্পের বই পড়ছে। এসময় বালিশ কেঁপে উঠে। ভাইব্রেশন হচ্ছে মোবাইলে। আননোন নাম্বার। আননোন নাম্বার একবার করলে কখনও ধরে না রুবা।
দ্বিতীয়বার আবার কল এলো। এবার ধরল রুবা।
- আপু আমি সাবিহা।
কোন সাবিহা ঠিক ধরতে পারে না রুবা। আমি সাবিহা বলছে করুণ গলায়। যেন চেপে রাখা কষ্ট কথায় ধরা খাচ্ছে। কিন্তু কোন সাবিহা। সাবিহা নামের কারো কথা তো মনে পড়ছে না।
-সরি, কিছু মনে করবেন না, কোন সাবিহা আমি বুঝছি না। যদি পরিচয় দিতেন।
-আপু আপনার সাথে দেখা হয়েছে আমার। কথাও হয়েছে। মাসুদ আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবরে।
মাসুদ রুবার সাথেই পড়ে। ভাল বন্ধুত্ব। সব কিছু একজন আরেকজনকে শেযার করে। মাসুদ খুব পছন্দ করে সাবিহাকে। সাবিহার অনেক গল্প করত। তা শুনে মাঝে মাঝে রুবা ভাবত অন্য কেউ কি তাকে নিয়ে এভাবে গল্প করবে কখনো? সাবিহান নাকি অনেক ভাল, এই করে সেই করে। মানে সাবিহার সবকিছুই ভাল লাগে মাসুদের। সে সাবিহাকে দেখার অনেক ইচ্ছা হতো। দেখার আগ্রহ প্রকাশও কয়েকবার করেছে। মাসুদ বলত, সাবিহাদের ফ্যামিলি অনেক বেশি রক্ষণ শীল। দূরে কোথাও যাওয়া হয় না। ফোনেই বেশি কথা হয়। তারপরও দেখি তোকে একদিন পরিচয় করিয়ে দেবো।
রবীন্দ্র সরোবরে একটা অনুষ্ঠান হচ্ছিলো। সেখানে আসে সাবিহা। পরিচয় করিয়ে দেয় রুবার সাথে। মাথায় একটা হালকা গোলাপী রঙের স্কার্ফ। শ্যামলা মুখ। তবে হাসিটা অনেক সুন্দর। কথাগুলোও মিস্টি।
-ওহ আপনি সাবিহা। চিনছি এবার। আমি প্রথমে বুঝতেই পারি নাই আপনি যে সাবিহা। সরি ভুল হয়ে গেল। কেমন আছেন?
-নাহ নাহ ঠিক আছে। মন খারাপ।
-কেন মাসুদের সাথে অভিমান হয়েছে নাকি? মাসুদটাও যে কি? এত সুন্দর মেয়েটাকে কষ্ট দেয়।
-আপু, আপনাকে ব্যক্তিগত কিছু কথা বলতে পারি। মনটা অনেক খারাপ। কিচ্ছু ভাল লাগছে না।
-অবশ্যই অবশ্যই। বল।
-মাসুদকে ফোন দিলে সে এখন আর আমার ফোন ধরে না। সে আমাকে নিষেধ করে দিয়েছে আর যেন কল না দিই।
- কি বলো, দাঁড়াও আমি এখুনি কল দিচ্ছি মাসুদকে। ওর এত্তবড় সাহস। কথা বলবে না মানে।
-আপু এখন দিতে হবে না। আমি কিছু কথা বলতে চাই আপনাকে।
-ঠিক আছে বলো।
-আমার সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন।
-বেশি কিছু না। আবার কমও না। মাসুদতো তোমার অনেক গল্প করে। যদিও পরীক্ষার জন্য অনেক দিন আড্ডা দেওয়া হয় নি।
-আপু মাসুদতো আপনার অনেক ভাল বন্ধু। তাই না?
-হা। ফাস্ট ইয়ার থেকে ওর সাথে ভাল বন্ধুত্ব। অনেক ভাল ও।
-আপু, মাসুদ আমার সাথে আর সম্পর্ক রাখতে চায় না।
এ কথা শুনে রুবা অবাক হয়। বলে কি? এত গল্প করছে যে মেয়ের সম্পর্কে সে মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখবে না কাহিনী কি?
-তোমাদের মধ্যে তেমন কি ঝামেলা হয়েছে বড়সড়।
-নাহ আপু সেরকম কোন ঝামেলা তো হয় না। কিছুদিন ধরে দেখি ও আমাকে এড়িয়ে চলছে।
- ওহ কি বলে?
- ওর মা নাকি সম্পর্ক এটা মেনে নেবেন না। সেজন্য আর সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চান না।
-ওহ, ঠিক আছে আমি ওর সাথে কথা বলব। তুমি কোন চিন্তা করো না। সব ঠিক হযে যাবে।
-আপু আমার কিচ্ছু ভাল লাগছে না। ও একসময় আমার সঙ্গ পাওয়ার জন্য কি ছেলেমানুষিই না করত মাসুদ। কখনও কল্পনাও করি নাই ও এভাবে আমাকে এড়িয়ে চলা শুরু করবে। অথচ এখন তাই হচ্ছে। আমার বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করছে না।
-আরে বোকা মেয়ে ভুলেও অন্য কিছু ভাববে না। জীবনটা অনেক সুন্দর। কারো জন্য কেউ বসে থাকবে কেন? আর আমি বুঝিযে বলব মাসুদকে। ও নিশ্চয় বুঝবে ওর ভুল।
........................................
ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে মাসুদকে আসতে বলে রুবা। ক্লাস নেই। এম্নে কথা বলবে। লাল রঙের একটা শার্ট পড়ে আসে মাসুদ। ওর মোটর সাইকেল আছে। চলার সময় উড়িয়ে নিযে যায়।
লাল রঙ রুবার বরাবরই অপছন্দ। - এই তু্ই এ খ্যোত মার্কা জামা পড়ে এসেছিস কেন? আর কোন রঙ চোখে পড়ে নাই? তোর রুচির যে কি অধপতন হচ্ছে।
শুনে হাসে মাসুদ। রুবা যা মনে হয় সরাসরি বলে দেয়। ভাল লাগে এই ব্যাপারটা।
ক্যান্টিন থেকে দুইটা চকবার আনে। দুজনে প্যাকেট ছিড়ে চকবার খাওয়া শুরু করে।
-তুই নাকি সাবিহাকে এড়িয়ে চলছিস। দেখা করিস না।
-তুই জানলি কেমনে?
-সাবিহা ফোন করছিল।
-ওহ।
-কেন এমন করিস। তুই জানিস না এই ব্যাপারগুলো মেয়েরা অনেক বেশি অনুভব করে। অযথা কষ্ট দিস কেন?
-কই কষ্ট দিলাম, আমি তো বলে দিয়েছি। আম্মুর এই বিষয়ে সাড়া নেই। আমার জীবনে তো আম্মুর অনেক অবদান। আম্মুকে কষ্ট দিই কিভাবে?
-তুই বুঝায় বল। তোর মাকে তুই অবশ্যই কষ্ট দিবি না। এটা ঠিক আছে। এখন ভাল করে বুঝিয়ে বল।
-বুঝিয়ে বললেও হবে না।
-তুই যখন জানতি তোর মা পছন্দ করবে না, শুধু সম্পর্ক করতে গেলি কেন?
- ঐ সময় কি এত কিছু বুঝছি নাকি? দোস্ত তুই আমার পক্ষ হয়ে একটু সাবিহাকে বুঝিয়ে বল।
-আমি কি বুঝাবো। একটা মেয়েকে তুই স্বপ্ন দেখালি। হঠাত করে তার স্বপ্ন ভেঙে দিবি তা হয় না। তুই আন্টিকে ভাল করে বুঝা।
-হবে না।
- আমার কি মনে হয় জানস, এটা তোর মায়ের মানার কারণে না, আমার মনে হচ্ছে তোর এখন সাবিহাকে আর ভাল লাগে না। তোর মা-কে বুঝিয়ে বললে হয়ত বুঝত। আর তুই যদি সত্যি সত্যি ভালবাসতি অবশ্যই এভাবে বলে দিতে পারতি না। মায়ের বাধা একটা অজুহাত মাত্র।
এটা শুনে মাসুদ রেগে উঠে। তার মানে তুই বলতে চাচ্ছিস আমি অভিনয় করেছি।
-হা অভিনয় করেছিস। ভালবাসিস নেই। ভালবাসলে এমন করতে পারতি না।
-যাহ তোর সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না। আমার বিষয় আমি বুঝব।
-ঠিক আছে তোর বিষয় তুই বুঝ। তোর কথা বলতে হবে না। আর এখানে তোকে ডেকে আনাটাই ভুল হয়েছে। তোর সাথে কথা বলতেই খারাপ লাগছে। আমি উঠলাম।
- একটা মেয়ের জন্য আমাদের সুন্দর বন্ধুত্ব নষ্ট্ হবে?
-হা হবে। কারণ মেয়েটার দুঃখ তুই না বুঝলেও আমি বুঝতে পারছি। আমি চললাম। তোর সাথে আর কোন কথা নেই।
-দাঁড়া, দাঁড়া একটা কথা শুনে যা।
রুবা দাঁড়ায় না। হড় হড় করে চলতে থাকে।
মাসুদ অপমানিত হয়। কি করবে?
এখন বেশি গল্পের বই পড়া হয়। গল্প বই পছন্দ করার ব্যাপারেও কিছু ব্যাপার দেখে। নির্মল প্রেমের গল্প গুলো অনেক ভাল লাগে রুবার। তবে গল্পে যদি দেখে ভালবাসি ভালবাসি এই কথা বেশি বলা হচ্ছে তবে বিরক্ত লাগে। ভালবাসি এই কথা এত বলার কি আছে? তাদের সংলাপে, আচরণে, অনুভবেই তো ব্যাপারটা ধরা পড়বে। উপর থেকে এত বলার কি আছে। রুবার মাঝে মাঝে চিন্তা হয় ও হয়তো কখনো বলতে পারবে না আমি ভালবাসি। এভাবে মুখে বলা তার চরম অপছন্দ। যার সাথে বিয়ে হবে সে রাগ করবে কিনা কে জানে?
রুবা শুয়ে আছে। চোখের উপর দুইটা বালিশ চেপে আছে। চোখ হালকা ব্যথা করছে। চোখ ব্যথা করলে ও এভাবে বালিশ চেপে ধরে রাখে চোখে। খাটের পাশেই একটা টেবিল। সেখানে অনেক গুলো বই। সেমিস্টার ফাইনাল শেষ। এখন কিছুদিনের অবসর। তাই চুটিয়ে গল্পের বই পড়ছে। এসময় বালিশ কেঁপে উঠে। ভাইব্রেশন হচ্ছে মোবাইলে। আননোন নাম্বার। আননোন নাম্বার একবার করলে কখনও ধরে না রুবা।
দ্বিতীয়বার আবার কল এলো। এবার ধরল রুবা।
- আপু আমি সাবিহা।
কোন সাবিহা ঠিক ধরতে পারে না রুবা। আমি সাবিহা বলছে করুণ গলায়। যেন চেপে রাখা কষ্ট কথায় ধরা খাচ্ছে। কিন্তু কোন সাবিহা। সাবিহা নামের কারো কথা তো মনে পড়ছে না।
-সরি, কিছু মনে করবেন না, কোন সাবিহা আমি বুঝছি না। যদি পরিচয় দিতেন।
-আপু আপনার সাথে দেখা হয়েছে আমার। কথাও হয়েছে। মাসুদ আপনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিল রবীন্দ্র সরোবরে।
মাসুদ রুবার সাথেই পড়ে। ভাল বন্ধুত্ব। সব কিছু একজন আরেকজনকে শেযার করে। মাসুদ খুব পছন্দ করে সাবিহাকে। সাবিহার অনেক গল্প করত। তা শুনে মাঝে মাঝে রুবা ভাবত অন্য কেউ কি তাকে নিয়ে এভাবে গল্প করবে কখনো? সাবিহান নাকি অনেক ভাল, এই করে সেই করে। মানে সাবিহার সবকিছুই ভাল লাগে মাসুদের। সে সাবিহাকে দেখার অনেক ইচ্ছা হতো। দেখার আগ্রহ প্রকাশও কয়েকবার করেছে। মাসুদ বলত, সাবিহাদের ফ্যামিলি অনেক বেশি রক্ষণ শীল। দূরে কোথাও যাওয়া হয় না। ফোনেই বেশি কথা হয়। তারপরও দেখি তোকে একদিন পরিচয় করিয়ে দেবো।
রবীন্দ্র সরোবরে একটা অনুষ্ঠান হচ্ছিলো। সেখানে আসে সাবিহা। পরিচয় করিয়ে দেয় রুবার সাথে। মাথায় একটা হালকা গোলাপী রঙের স্কার্ফ। শ্যামলা মুখ। তবে হাসিটা অনেক সুন্দর। কথাগুলোও মিস্টি।
-ওহ আপনি সাবিহা। চিনছি এবার। আমি প্রথমে বুঝতেই পারি নাই আপনি যে সাবিহা। সরি ভুল হয়ে গেল। কেমন আছেন?
-নাহ নাহ ঠিক আছে। মন খারাপ।
-কেন মাসুদের সাথে অভিমান হয়েছে নাকি? মাসুদটাও যে কি? এত সুন্দর মেয়েটাকে কষ্ট দেয়।
-আপু, আপনাকে ব্যক্তিগত কিছু কথা বলতে পারি। মনটা অনেক খারাপ। কিচ্ছু ভাল লাগছে না।
-অবশ্যই অবশ্যই। বল।
-মাসুদকে ফোন দিলে সে এখন আর আমার ফোন ধরে না। সে আমাকে নিষেধ করে দিয়েছে আর যেন কল না দিই।
- কি বলো, দাঁড়াও আমি এখুনি কল দিচ্ছি মাসুদকে। ওর এত্তবড় সাহস। কথা বলবে না মানে।
-আপু এখন দিতে হবে না। আমি কিছু কথা বলতে চাই আপনাকে।
-ঠিক আছে বলো।
-আমার সম্পর্কে আপনি কতটুকু জানেন।
-বেশি কিছু না। আবার কমও না। মাসুদতো তোমার অনেক গল্প করে। যদিও পরীক্ষার জন্য অনেক দিন আড্ডা দেওয়া হয় নি।
-আপু মাসুদতো আপনার অনেক ভাল বন্ধু। তাই না?
-হা। ফাস্ট ইয়ার থেকে ওর সাথে ভাল বন্ধুত্ব। অনেক ভাল ও।
-আপু, মাসুদ আমার সাথে আর সম্পর্ক রাখতে চায় না।
এ কথা শুনে রুবা অবাক হয়। বলে কি? এত গল্প করছে যে মেয়ের সম্পর্কে সে মেয়ের সাথে সম্পর্ক রাখবে না কাহিনী কি?
-তোমাদের মধ্যে তেমন কি ঝামেলা হয়েছে বড়সড়।
-নাহ আপু সেরকম কোন ঝামেলা তো হয় না। কিছুদিন ধরে দেখি ও আমাকে এড়িয়ে চলছে।
- ওহ কি বলে?
- ওর মা নাকি সম্পর্ক এটা মেনে নেবেন না। সেজন্য আর সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চান না।
-ওহ, ঠিক আছে আমি ওর সাথে কথা বলব। তুমি কোন চিন্তা করো না। সব ঠিক হযে যাবে।
-আপু আমার কিচ্ছু ভাল লাগছে না। ও একসময় আমার সঙ্গ পাওয়ার জন্য কি ছেলেমানুষিই না করত মাসুদ। কখনও কল্পনাও করি নাই ও এভাবে আমাকে এড়িয়ে চলা শুরু করবে। অথচ এখন তাই হচ্ছে। আমার বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করছে না।
-আরে বোকা মেয়ে ভুলেও অন্য কিছু ভাববে না। জীবনটা অনেক সুন্দর। কারো জন্য কেউ বসে থাকবে কেন? আর আমি বুঝিযে বলব মাসুদকে। ও নিশ্চয় বুঝবে ওর ভুল।
........................................
ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে মাসুদকে আসতে বলে রুবা। ক্লাস নেই। এম্নে কথা বলবে। লাল রঙের একটা শার্ট পড়ে আসে মাসুদ। ওর মোটর সাইকেল আছে। চলার সময় উড়িয়ে নিযে যায়।
লাল রঙ রুবার বরাবরই অপছন্দ। - এই তু্ই এ খ্যোত মার্কা জামা পড়ে এসেছিস কেন? আর কোন রঙ চোখে পড়ে নাই? তোর রুচির যে কি অধপতন হচ্ছে।
শুনে হাসে মাসুদ। রুবা যা মনে হয় সরাসরি বলে দেয়। ভাল লাগে এই ব্যাপারটা।
ক্যান্টিন থেকে দুইটা চকবার আনে। দুজনে প্যাকেট ছিড়ে চকবার খাওয়া শুরু করে।
-তুই নাকি সাবিহাকে এড়িয়ে চলছিস। দেখা করিস না।
-তুই জানলি কেমনে?
-সাবিহা ফোন করছিল।
-ওহ।
-কেন এমন করিস। তুই জানিস না এই ব্যাপারগুলো মেয়েরা অনেক বেশি অনুভব করে। অযথা কষ্ট দিস কেন?
-কই কষ্ট দিলাম, আমি তো বলে দিয়েছি। আম্মুর এই বিষয়ে সাড়া নেই। আমার জীবনে তো আম্মুর অনেক অবদান। আম্মুকে কষ্ট দিই কিভাবে?
-তুই বুঝায় বল। তোর মাকে তুই অবশ্যই কষ্ট দিবি না। এটা ঠিক আছে। এখন ভাল করে বুঝিয়ে বল।
-বুঝিয়ে বললেও হবে না।
-তুই যখন জানতি তোর মা পছন্দ করবে না, শুধু সম্পর্ক করতে গেলি কেন?
- ঐ সময় কি এত কিছু বুঝছি নাকি? দোস্ত তুই আমার পক্ষ হয়ে একটু সাবিহাকে বুঝিয়ে বল।
-আমি কি বুঝাবো। একটা মেয়েকে তুই স্বপ্ন দেখালি। হঠাত করে তার স্বপ্ন ভেঙে দিবি তা হয় না। তুই আন্টিকে ভাল করে বুঝা।
-হবে না।
- আমার কি মনে হয় জানস, এটা তোর মায়ের মানার কারণে না, আমার মনে হচ্ছে তোর এখন সাবিহাকে আর ভাল লাগে না। তোর মা-কে বুঝিয়ে বললে হয়ত বুঝত। আর তুই যদি সত্যি সত্যি ভালবাসতি অবশ্যই এভাবে বলে দিতে পারতি না। মায়ের বাধা একটা অজুহাত মাত্র।
এটা শুনে মাসুদ রেগে উঠে। তার মানে তুই বলতে চাচ্ছিস আমি অভিনয় করেছি।
-হা অভিনয় করেছিস। ভালবাসিস নেই। ভালবাসলে এমন করতে পারতি না।
-যাহ তোর সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাই না। আমার বিষয় আমি বুঝব।
-ঠিক আছে তোর বিষয় তুই বুঝ। তোর কথা বলতে হবে না। আর এখানে তোকে ডেকে আনাটাই ভুল হয়েছে। তোর সাথে কথা বলতেই খারাপ লাগছে। আমি উঠলাম।
- একটা মেয়ের জন্য আমাদের সুন্দর বন্ধুত্ব নষ্ট্ হবে?
-হা হবে। কারণ মেয়েটার দুঃখ তুই না বুঝলেও আমি বুঝতে পারছি। আমি চললাম। তোর সাথে আর কোন কথা নেই।
-দাঁড়া, দাঁড়া একটা কথা শুনে যা।
রুবা দাঁড়ায় না। হড় হড় করে চলতে থাকে।
মাসুদ অপমানিত হয়। কি করবে?