দরজাটা ঠেলে এসেছে প্রত্যাশা। কেউ রুমে আসলে দরজা খুলে আসতে হবে। দরজা
খুলতে গেলে আওয়াজ পাবে। সাবধান হয়ে যাওয়া যাবে। সাবধান হতে বেশি সময় লাগবে
না। ৩ সেকেন্ডই যথেষ্ট। কম্পিউটারে এই এক সুবিধা। কিছু ক্ষণিকের মধ্যে আড়াল
করা যায়। ..........
কম্পিউটার স্ক্রিণের সামনে বসে আছে। লেখা আসছে। আর ও উত্তর দিচ্ছে। ইয়াহুতে কয়েকজনের সাথে চ্যাট করছে। একজনকেও চিনে না। এম্নে এম্নে কথা বলা হয়। কে সত্য বলছে কে মিথ্যা বলছে বুঝা যায় না। তাতে সমস্যা কি? এটাতো সিরিয়াস ভাবে নেওয়া হচ্ছে না। মজা করার জন্যই আসা।
তবে একটা জিনিষ বিরক্তি লাগে প্রত্যাশার। কিছুদিন কথা বললেই প্রেম নিবেদন করে বসে থাকে ছেলেরা। এ পর্যন্ত এরকম চারজন ছেলেকে লিস্ট থেকে মুছে দিয়েছে। কথা বললেই কি প্রেম করতে হবে? আশ্চর্য ব্যাপার। অপরিচিত ছেলের সাথে ইয়াহু চ্যাট যে করে এটাই তো পরিবারের কেউ জানে না তার উপর যদি শুনে প্রেম করে আস্ত রাখবে না।
এম্নেই কম্পিউটারে বেশিক্ষণ বসার সুযোগ পায় না। যতটুকু সুযোগ পায় ফেসবুকে আর ইয়াহুতে থাকে। সাথে গান শুনে। প্রত্যাশা এবার এস এস সি দিবে। সামনে পরীক্ষা। তাই সময় নষ্ট করার সুযোগ নাই। ওর বড় বোনের নাম তানিয়া। অনেক শাসন করে। শাসন করলেও নিজে কিন্তু দিনের বেশির ভাগ সময় বসে থাকে কম্পিউটারে। আর আব্বু আম্মুও ওকে কিছু বলে না।
মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত লাগে প্রত্যাশার। কম্পিউটারে বসলেই আপু এসে হাজির হয়। আপু আসলেই উঠে যেতে হয়। দরজা এজন্যই ভেজানো। যাতে আপু আসলেই ইয়াহু সিন আউট করে দিতে পারে। ইয়াহুতে ঢুকে এটা যদি আপু দেখে নিজে তো বকা দিবেই, আব্বু আম্মুকে অনেক কিছু বুঝাবে। তখন কম্পিউটারে বসাই বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে ফেসবুক ব্যবহারের ব্যাপারটা আপু জানে। যে কারণে ফেসবুক খোলা থাকলে সমস্যা হয় না। ফেসবুকে যারা এড আছে তারা সব রিলেটিভ। নতুন কোন ছেলেকে এড করার সুযোগ নাই। আপুর সাথে এড করা। উনি যদি কোন নতুন কোন ছেলেকে ফ্রেন্ডলিস্টে দেখে তবে একশ প্রশ্ন করবে। তার চেয়ে এড না করাই ভাল। এজন্য প্রত্যাশা অপরিচিত কাউকে এড করে না। রিকোয়েস্ট লিস্টে ফ্রেন্ডের সংখ্যা এখন ৮৯।
হাঁটার শব্দ শোনা যায়। তারমানে আপু আসছে। ফট করে প্রত্যাশা ইয়াহু সিন আউট করে দেয়। তিনজনের সাথে চ্যাট করছিল। তাদেরকে বাই পর্যন্ত জানায় না। তারা অবাক হতে পারে। হঠাৎ কি হলো ভাববে? একজনের কথা চিন্তা করে মজা লাগছে? সে হয়ত ভাববে তার প্রশ্ন দেখেই অফলাইনে চলে আসছে। সে প্রশ্ন করছিল, তুমি কি দেখতে সুন্দর?
প্রশ্নটা এলো মাত্র। প্রত্যাশা উত্তর দিতে যাবে। ঠিক সে মুহূর্তে সিন আউট করে দিতে হলো। ঐ ছেলে হয়ত ভাবছে, ধূর এই প্রশ্ন করল কেন? অপরাধবোধ করতে পারে। করুক গিয়ে সমস্যা নেই।
দরজা খুলে ঢুকে আমেনা। সে বাঁধা কাজের মেয়ে। ঘর মুছতে আসছে বালতি নিয়ে। ধূর অযথা ভয় পেল। আমেনাকে দেখে প্রত্যাশা জিজ্ঞেস করে, তানি আপু কোথায়?
-চা খাইতেছে আর খালার লগে গপ মারে।
প্রত্যাশা আশ্বস্ত হয়। তারমানে আরো কিছুক্ষণ থাকা যাবে। ও আবার সিন ইন হয়। ইনভিজিবল হিসাবে। যে ছেলেটা জিজ্ঞেস করছিল সে সুন্দর কিনা তাকে নক করে। একটা হাসির ইমো দেয়।
ঐ ছেলেটা লিখে পাঠায়, সরি তোমাকে প্রশ্ন করাটা ঠিক হয় নাই। তুমি রাগ করছো তাই না? কিছু মনে করিও না। উত্তর দিতে হবে না।
প্রত্যাশা এই পাশ থেকে লিখে পাঠায়, তোমার কি মনে হয়? আমি সুন্দর না বিশ্রী?
-তোমার কথা শুনে তো মনে হয় তুমি সুন্দর।
হাসির ইমো অনেক গুলো পাঠায় প্রত্যাশা। ইমোর সাথে লিখে, কথা শুনে বুঝি বুঝা যায় মানুষ সুন্দর না বিশ্রী। জানতাম না তো। ভাল পদ্ধতিতো।
-হুম, থ্যাঙ্কস দাও।
-না, থ্যাঙ্কস তো দেওয়া যাবে না। কেননা পদ্ধতিটা ভুল।
ঐ পাশ থেকে ছেলেটা দুঃখ পাওয়ার ইমো পাঠায়। ভুল মানে?
-মানে সহজ। আমি দেখতে সুন্দর না। অথচ কথা শুনে তুমি ধরে বসে আছো আমি সুন্দর। আচ্ছা কোন উপকার হলে থ্যাঙ্কস দেয় এটা তো জানি। বিপরীত দিক থেকে মানে উপকার না হলে কি দেয়?
-জানি না। চুপ করে চলে যায়। কিছু বলে না।
-কিছু একটা তো বলা উচিত তাই না? থ্যাঙ্কস এর বিপরীত শব্দ বের কর। যেটা দিলে ভাল হয়।
আমি কোথা থেকে বের করব? লেখাটা লিখে চিন্তার ইমো পাঠায় ছেলেটা।
-ডিকশনারি খুঁজে বের করো। যেটা পাবা সেটা তোমাকে দিলাম। হা হা হা।
-বুঝি নাই তো!
-ঠিক আছে বুঝতে হবে না। নাহ নাহ বুঝতে হবে। মানে তোমার পদ্ধতি আমার পছন্দ হলে থ্যাঙ্কস দিতাম। কিন্তু এখন দেখছি সেটা পছন্দ হয় নাই, মিথ্যা তাই থ্যাঙ্কসের বিপরীত যা আছে তা তোমাকে দেওয়া কর্তব্য মনে করছি। এজন্য তোমাকে খুঁজে বের করতে বলছি।
এতক্ষণ লিখছে দেখে ছেলেটা জিজ্ঞেস করে, এত কিছু কি লিখছো?
প্রত্যাশার একটু মজা করতে ইচ্ছা হয়। সমস্যার সম্ভাবনা নেই। ও ওর আসল নাম ঠিকানা কাউকে বলে না। ও ওর নাম দিয়েছি নিজে নতুন একটা। থাকে যে জায়গার সে ইয়াহুর কেউ জানে না। সবাই জানে ও ঢাকায় থাকে। আর যে স্কুলের নাম বলে সে স্কুলে সে জীবনেও দেখে নাই। মাঝে মাঝে হাসি পায়। ঐ স্কুলের কল্পিত ছাত্রী ভাবতে।
-আচ্ছা আমি তো বিশ্রী। সুন্দর না। আমার সাথে প্রেম করবা?
লেখা শুরু করে ঐ পাশ থেকে। বুঝা যায়। প্রত্যাশা অপেক্ষা করে কি লিখছে তা জানার। কিছুক্ষণ মজা করা যাবে।
এসময় আপুর গলা শুনা যায়। তড়িঘড়ি করে সিন আউট করে দেয় প্রত্যাশা। আপু আসার আর সময় পেল না। মজা করতে গিয়েছিল এসময় আসতে হলো। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখায় মনযোগ দেয় প্রত্যাশা।
-এই কম্পিউটার থেকে উঠ। অনেকক্ষণ বসেছিস। সামনে পরীক্ষা। পড় গিয়ে।
ভাল লাগে না প্রত্যাশার। উঠে পড়ে। ধুর একটু শান্তিমত যে মজা করবে সে সুযোগ নেই।
কখন যে বিয়ে হবে আপুটার তাই ভাবে। বিয়ে হয়ে গেলে ইচ্ছা মত কম্পিউটার ইউজ করতে পারবে। কম্পিউটারের একক কর্তৃত্ব হয়ে যাবে। প্রত্যাশা দোয়া করে যাতে আপুর বিয়ে হয়ে যায়।
কম্পিউটার স্ক্রিণের সামনে বসে আছে। লেখা আসছে। আর ও উত্তর দিচ্ছে। ইয়াহুতে কয়েকজনের সাথে চ্যাট করছে। একজনকেও চিনে না। এম্নে এম্নে কথা বলা হয়। কে সত্য বলছে কে মিথ্যা বলছে বুঝা যায় না। তাতে সমস্যা কি? এটাতো সিরিয়াস ভাবে নেওয়া হচ্ছে না। মজা করার জন্যই আসা।
তবে একটা জিনিষ বিরক্তি লাগে প্রত্যাশার। কিছুদিন কথা বললেই প্রেম নিবেদন করে বসে থাকে ছেলেরা। এ পর্যন্ত এরকম চারজন ছেলেকে লিস্ট থেকে মুছে দিয়েছে। কথা বললেই কি প্রেম করতে হবে? আশ্চর্য ব্যাপার। অপরিচিত ছেলের সাথে ইয়াহু চ্যাট যে করে এটাই তো পরিবারের কেউ জানে না তার উপর যদি শুনে প্রেম করে আস্ত রাখবে না।
এম্নেই কম্পিউটারে বেশিক্ষণ বসার সুযোগ পায় না। যতটুকু সুযোগ পায় ফেসবুকে আর ইয়াহুতে থাকে। সাথে গান শুনে। প্রত্যাশা এবার এস এস সি দিবে। সামনে পরীক্ষা। তাই সময় নষ্ট করার সুযোগ নাই। ওর বড় বোনের নাম তানিয়া। অনেক শাসন করে। শাসন করলেও নিজে কিন্তু দিনের বেশির ভাগ সময় বসে থাকে কম্পিউটারে। আর আব্বু আম্মুও ওকে কিছু বলে না।
মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত লাগে প্রত্যাশার। কম্পিউটারে বসলেই আপু এসে হাজির হয়। আপু আসলেই উঠে যেতে হয়। দরজা এজন্যই ভেজানো। যাতে আপু আসলেই ইয়াহু সিন আউট করে দিতে পারে। ইয়াহুতে ঢুকে এটা যদি আপু দেখে নিজে তো বকা দিবেই, আব্বু আম্মুকে অনেক কিছু বুঝাবে। তখন কম্পিউটারে বসাই বন্ধ হয়ে যাবে।
তবে ফেসবুক ব্যবহারের ব্যাপারটা আপু জানে। যে কারণে ফেসবুক খোলা থাকলে সমস্যা হয় না। ফেসবুকে যারা এড আছে তারা সব রিলেটিভ। নতুন কোন ছেলেকে এড করার সুযোগ নাই। আপুর সাথে এড করা। উনি যদি কোন নতুন কোন ছেলেকে ফ্রেন্ডলিস্টে দেখে তবে একশ প্রশ্ন করবে। তার চেয়ে এড না করাই ভাল। এজন্য প্রত্যাশা অপরিচিত কাউকে এড করে না। রিকোয়েস্ট লিস্টে ফ্রেন্ডের সংখ্যা এখন ৮৯।
হাঁটার শব্দ শোনা যায়। তারমানে আপু আসছে। ফট করে প্রত্যাশা ইয়াহু সিন আউট করে দেয়। তিনজনের সাথে চ্যাট করছিল। তাদেরকে বাই পর্যন্ত জানায় না। তারা অবাক হতে পারে। হঠাৎ কি হলো ভাববে? একজনের কথা চিন্তা করে মজা লাগছে? সে হয়ত ভাববে তার প্রশ্ন দেখেই অফলাইনে চলে আসছে। সে প্রশ্ন করছিল, তুমি কি দেখতে সুন্দর?
প্রশ্নটা এলো মাত্র। প্রত্যাশা উত্তর দিতে যাবে। ঠিক সে মুহূর্তে সিন আউট করে দিতে হলো। ঐ ছেলে হয়ত ভাবছে, ধূর এই প্রশ্ন করল কেন? অপরাধবোধ করতে পারে। করুক গিয়ে সমস্যা নেই।
দরজা খুলে ঢুকে আমেনা। সে বাঁধা কাজের মেয়ে। ঘর মুছতে আসছে বালতি নিয়ে। ধূর অযথা ভয় পেল। আমেনাকে দেখে প্রত্যাশা জিজ্ঞেস করে, তানি আপু কোথায়?
-চা খাইতেছে আর খালার লগে গপ মারে।
প্রত্যাশা আশ্বস্ত হয়। তারমানে আরো কিছুক্ষণ থাকা যাবে। ও আবার সিন ইন হয়। ইনভিজিবল হিসাবে। যে ছেলেটা জিজ্ঞেস করছিল সে সুন্দর কিনা তাকে নক করে। একটা হাসির ইমো দেয়।
ঐ ছেলেটা লিখে পাঠায়, সরি তোমাকে প্রশ্ন করাটা ঠিক হয় নাই। তুমি রাগ করছো তাই না? কিছু মনে করিও না। উত্তর দিতে হবে না।
প্রত্যাশা এই পাশ থেকে লিখে পাঠায়, তোমার কি মনে হয়? আমি সুন্দর না বিশ্রী?
-তোমার কথা শুনে তো মনে হয় তুমি সুন্দর।
হাসির ইমো অনেক গুলো পাঠায় প্রত্যাশা। ইমোর সাথে লিখে, কথা শুনে বুঝি বুঝা যায় মানুষ সুন্দর না বিশ্রী। জানতাম না তো। ভাল পদ্ধতিতো।
-হুম, থ্যাঙ্কস দাও।
-না, থ্যাঙ্কস তো দেওয়া যাবে না। কেননা পদ্ধতিটা ভুল।
ঐ পাশ থেকে ছেলেটা দুঃখ পাওয়ার ইমো পাঠায়। ভুল মানে?
-মানে সহজ। আমি দেখতে সুন্দর না। অথচ কথা শুনে তুমি ধরে বসে আছো আমি সুন্দর। আচ্ছা কোন উপকার হলে থ্যাঙ্কস দেয় এটা তো জানি। বিপরীত দিক থেকে মানে উপকার না হলে কি দেয়?
-জানি না। চুপ করে চলে যায়। কিছু বলে না।
-কিছু একটা তো বলা উচিত তাই না? থ্যাঙ্কস এর বিপরীত শব্দ বের কর। যেটা দিলে ভাল হয়।
আমি কোথা থেকে বের করব? লেখাটা লিখে চিন্তার ইমো পাঠায় ছেলেটা।
-ডিকশনারি খুঁজে বের করো। যেটা পাবা সেটা তোমাকে দিলাম। হা হা হা।
-বুঝি নাই তো!
-ঠিক আছে বুঝতে হবে না। নাহ নাহ বুঝতে হবে। মানে তোমার পদ্ধতি আমার পছন্দ হলে থ্যাঙ্কস দিতাম। কিন্তু এখন দেখছি সেটা পছন্দ হয় নাই, মিথ্যা তাই থ্যাঙ্কসের বিপরীত যা আছে তা তোমাকে দেওয়া কর্তব্য মনে করছি। এজন্য তোমাকে খুঁজে বের করতে বলছি।
এতক্ষণ লিখছে দেখে ছেলেটা জিজ্ঞেস করে, এত কিছু কি লিখছো?
প্রত্যাশার একটু মজা করতে ইচ্ছা হয়। সমস্যার সম্ভাবনা নেই। ও ওর আসল নাম ঠিকানা কাউকে বলে না। ও ওর নাম দিয়েছি নিজে নতুন একটা। থাকে যে জায়গার সে ইয়াহুর কেউ জানে না। সবাই জানে ও ঢাকায় থাকে। আর যে স্কুলের নাম বলে সে স্কুলে সে জীবনেও দেখে নাই। মাঝে মাঝে হাসি পায়। ঐ স্কুলের কল্পিত ছাত্রী ভাবতে।
-আচ্ছা আমি তো বিশ্রী। সুন্দর না। আমার সাথে প্রেম করবা?
লেখা শুরু করে ঐ পাশ থেকে। বুঝা যায়। প্রত্যাশা অপেক্ষা করে কি লিখছে তা জানার। কিছুক্ষণ মজা করা যাবে।
এসময় আপুর গলা শুনা যায়। তড়িঘড়ি করে সিন আউট করে দেয় প্রত্যাশা। আপু আসার আর সময় পেল না। মজা করতে গিয়েছিল এসময় আসতে হলো। ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখায় মনযোগ দেয় প্রত্যাশা।
-এই কম্পিউটার থেকে উঠ। অনেকক্ষণ বসেছিস। সামনে পরীক্ষা। পড় গিয়ে।
ভাল লাগে না প্রত্যাশার। উঠে পড়ে। ধুর একটু শান্তিমত যে মজা করবে সে সুযোগ নেই।
কখন যে বিয়ে হবে আপুটার তাই ভাবে। বিয়ে হয়ে গেলে ইচ্ছা মত কম্পিউটার ইউজ করতে পারবে। কম্পিউটারের একক কর্তৃত্ব হয়ে যাবে। প্রত্যাশা দোয়া করে যাতে আপুর বিয়ে হয়ে যায়।