ক্লাসের শেষ দিকে বসেছে জাবেদ। একেবারে কোণে। মুঠফোনে কথা বলছে। একেবারে
নিচু গলায়। পাশের জনেরও বোঝার উপায় নেই কি কথা হচ্ছে। তবে পাশের জন সাহায্য
করছে। সামনের জন মাথা উঁচু করে রেখেছে যাতে স্যার বুঝতে না পারেন ঘটনা।
উল্টা দিকে বসেছে মনিহা। মেয়েদের বসার সারিতে। সে স্যারের দিকে চোখ ইশারা
করে দেখিয়ে দেয় ব্যাপারটা। শুধুমাত্র মজা করার জন্য। তা বেশ কয়েক জন খেয়াল
করে।............
তা দেখে স্যার বিশ্রী কিছু কথা বলে। সামনে ডেকে আনেন জাবেদকে। জাবেদের সব বিরক্তি গিয়ে পড়ে মনিহার উপর। স্যারের কথাগুলো শুনে অনেক লজ্জা লাগছিল। এত জনের সামনে কথা শুনতে হচ্ছিলো বলে ইচ্ছা হচ্ছিলো মাটির সাথে মিশে যেতে। কিন্তু নিচে যে ফ্লোর। অদৃশ্য হয়ে যেতে ইচ্ছা করছে। অদৃশ্য হয়ে যেতে পারলে ভাল হতো। কিন্তু সেটাও যে অসম্ভব। স্যারের কথাগুলো তীরের ফলার মত কানে বিঁধছিল।
-সামনে তো সময় আছে অনেক। ক্লাসের বাহিরে তো অনেক সময় পাও। অন্তত ক্লাসের সময় ফোনটা অফ রাখো। আর এত অল্প বয়সে এত ফিস ফিস করে কথা বলা ঠিক না। মোবইল যে কি রকম ক্ষতি করছে তা বলার মত না। শুধুমাত্র তোমাদের মত ছেলেদের কারণে।
স্যারের কথাগুলো শুনে চোখ কান গরম হয়ে যায় জাবেদের। স্যার চলে যাওয়ার পর সবাই অনেকে কথা বলতে চেয়েছে। গম্ভীর হয়ে অন্য স্যারের ক্লাসগুলো করেছে। কারো সাথে একটা কথাও বলে নি।
সব ক্লাস শেষে পাশের সিটে বসা নিশান বলল, আরে ও তো শুধু মজা করার জন্য বলল। স্যার যে এক কিছু বলবেন, ব্যাপারটাকে এত সিরিয়াস ভাবে নেবেন জানতো নাকি। বাদ দে তো। ভুলে যা।
জাবেদ কোন কথা বলে না।
বাসায় ফিরেই চিন্তা করে প্রতিশোধ নিতে হবে। মনিহা মেয়েটা বেশি বেড়ে গেছে। কেমন ঢং করে সব সময়। অতিরিক্ত আহ্লাদী। অসহ্য। কিছু একটা করতে হবে।
শেষে একটা উপায় বের করে। ওর পরিচিত একজন আছে। নাম আমজাদ। যাকে বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় মোবাইলে কথা বলছে। একটা দোকানে সেলসম্যানের কাজ করে। কিন্তু কথা বার্তা শুনলে মনে হয় সে নামকরা কোন বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে ভাল একটা বিষয়ে পড়ছে। ফোনেও সে কথাই বলে। অনেক স্মাট ভাবে কথা বলে। মেয়েরাই কল দেয়। তিনটা মোবাইল ব্যবহার করে। সিম অজস্র। জাবেদদের এলাকাতেই একটা বাসায় মেসে ভাড়া থাকে। এত সুন্দর ভাবে কথা বলে যে মেয়েরা খুব সহজে গলে যায়। এখনকার মেয়েদের যে কি হয়েছে মোবাইলে কথা বলেই প্রেম করে বসে, সম্পর্ক গভীরতায় নিয়ে যায়। একটু ও ভাবে না এর পরিণাম কি হবে? অনেক মেয়ের সাথেই সম্পর্ক হয়েছে আমজাদের।
তা জাবেদ মনিহার নাম্বার দেয় আমজাদকে। আমজাদ খুশী হয়। খুশীতে জাবেদকে হোটেলে নিয়ে চা খাওয়ায়।
তা শুরু হয় কথা বলা মনিহার সাথে। মনিহা দুই দিন কথা বলেই পুরা দুর্বল হয়ে যায় আমজাদের প্রতি। কথা চলতে থাকে। একদিনও কথা না বলে থাকতে পারে না। মনিহা-ই বেশির ভাগ সময় কল দেয়। রাত কেটে যায় ভোর হয়, তারপরও কথা চলতে থাকে। রাতে কথাবার্তায় পরিবর্তন আসে। দুজনেরই প্রাপ্ত বয়স্ক। কথা বলতে থাকে বিবাহিতের মত করে।
জাবেদ আর খবর রাখে না। যা হবে হোক। এই ধরণের একটা ভাব।
গভীরতা বাড়ে দুজনের মধ্যে। একদিন পরিকল্পনা করে হোটেলে যায় দুজনে। অনেকখানি সময় কাটিয়ে দেয় দুজনে বদ্ধ রুমে।
..................
০২
আমজাদ হোটেলের ঘটনাটা বলে জাবেদকে। জাবেদ বিশ্বাস করে না। ঘটনার কিছুদিন পর দুজনে বিয়ে করে ফেলে। মনিহার বাবা বড় সরকারি কর্মকর্তা। বিয়ের কাগজ পত্র দেখায় আমজাদকে। জাবেদের বিস্ময়ের সীমা থাকে না। মোবাইলে কথা বলে এত কিছু??
মনিহার বাবা মেনে নেয় না ব্যাপারটা। সিদ্ধান্ত নেন মামলা করবেন। মেয়ের বয়স যে ১৮ পার হয়ে গেছে। আর মেয়েও ছেলের জন্য পাগল। তাছাড়া মামলা করছে সামাজিক মান মর্যাদা কমে যাবে আরো। এসব কিছু বুঝায় অনেকে মনিহার বাবাকে। এসব দিক চিন্তা করে মামলা করার সিদ্ধান্ত থেকে দূরে সরে আসেন মনিহার বাবা।
মনিহার মা শুধু কাঁদেন। মেয়ে এত বড় একটা কাজ করে বসবে তা কল্পনাও করেন নি।
বাধ্য হয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরিবার থেকে। জাবেদ বিয়ের দাওয়াত পায়। বিয়ের দাওয়াত পায় ক্লাসের অন্য বন্ধুরাও। হাসিমুখে বিয়ে অনুষ্ঠানে কথা বলে বন্ধু বান্ধবদের সাথে। মনে করেছে কেউ গোপণ ব্যাপারটা জানে না। জাবেদের সাথেও হাসিমুখে কথা বলে।
ওরাও ভান করে কিছু জানে না। কিন্তু এগুলো সব যে জাবেদই করিয়েছে সব চেপে যায় সবাই।
বিয়ে হয়। তবে এক প্রতারিত বিয়ে। এমন একটা ছেলের সাথে বিয়ে যে আগে অনেক মেয়ের সাথে বাজে সম্পর্ক করেছে। বিচ্ছরি একটা প্রতিশোধের জন্য মনিহার প্রতারিত বিয়ে হয়েছে।
.......................
০৩
বিয়েতে অনেক মজা করেছে জাবেদ বন্ধুদের সাথে। কিন্তু বাসায় আসার পর থেকে যেন কি রকম মনে হয়!!
একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিলো। একই সাথে পড়ে যে মেয়ে তাকে তুলে দিল একটা নষ্ট ছেলের হাতে।
ওর মন ওকে স্বান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করে, মেয়েরও তো দোষ আছে, সে কেন ছেলেটার দিকে ঝুঁকল।
কিন্তু এই স্বান্তনা ওকে শান্ত করতে পারে না। মনিহার নাম্বার যদি আমজাদকে না দিত তাহলে তো এই সম্পর্ক হতো না।
মনিহার মা-বাবাও নিশ্চয় অনেক সুন্দর স্বপ্ন দেখতেন মেয়েকে নিয়ে। মনিহার জীবন তো নষ্ট হলোই সাথে সাথে ওর বাবা মা-র সুন্দর নির্মল স্বপ্নগুলোও নষ্ট হয়ে গেল।
জাবেদের নিজেকে অপরাধী মনে হয়। অনেক হিংস্র অপরাধী মনে হয় নিজেকে। রাতে ঘুম হয় না। কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছা হয় না। সব কিছু অসহ্য লাগে। মেজাজ খিটখিটে থাকে। অনেক কষ্ট করে দুই একবার তন্দ্রা আসে কিন্তু উলটা পালটা সব দুঃস্বপ্ন দেখে।
দুশ্চিন্তায় হঠাৎ হঠাৎ করে ভিমরি খায় ও।
এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?
( ঘটনার পরিণতি সত্য। বাস্তবেই ঘটেছে। যেসব মেয়ে ফোনে ছেলেদের সুন্দর গলা শুনে মুগ্ধ হয়ে সব ভুলে যায় তারা বিষয়গুলো আরো ভাল ভাবে চিন্তা করবে আশা করি। দুর্বল আবেগের কারণে যেন কোন ভাল মেয়ে প্রতারিত না হয়, মনে প্রাণে এটাই চাই।
গল্পের নাম- নোংরা প্রতিশোধ
তারিখ- ১৬.০৫.০৯
সময়-২৮ মি.
তা দেখে স্যার বিশ্রী কিছু কথা বলে। সামনে ডেকে আনেন জাবেদকে। জাবেদের সব বিরক্তি গিয়ে পড়ে মনিহার উপর। স্যারের কথাগুলো শুনে অনেক লজ্জা লাগছিল। এত জনের সামনে কথা শুনতে হচ্ছিলো বলে ইচ্ছা হচ্ছিলো মাটির সাথে মিশে যেতে। কিন্তু নিচে যে ফ্লোর। অদৃশ্য হয়ে যেতে ইচ্ছা করছে। অদৃশ্য হয়ে যেতে পারলে ভাল হতো। কিন্তু সেটাও যে অসম্ভব। স্যারের কথাগুলো তীরের ফলার মত কানে বিঁধছিল।
-সামনে তো সময় আছে অনেক। ক্লাসের বাহিরে তো অনেক সময় পাও। অন্তত ক্লাসের সময় ফোনটা অফ রাখো। আর এত অল্প বয়সে এত ফিস ফিস করে কথা বলা ঠিক না। মোবইল যে কি রকম ক্ষতি করছে তা বলার মত না। শুধুমাত্র তোমাদের মত ছেলেদের কারণে।
স্যারের কথাগুলো শুনে চোখ কান গরম হয়ে যায় জাবেদের। স্যার চলে যাওয়ার পর সবাই অনেকে কথা বলতে চেয়েছে। গম্ভীর হয়ে অন্য স্যারের ক্লাসগুলো করেছে। কারো সাথে একটা কথাও বলে নি।
সব ক্লাস শেষে পাশের সিটে বসা নিশান বলল, আরে ও তো শুধু মজা করার জন্য বলল। স্যার যে এক কিছু বলবেন, ব্যাপারটাকে এত সিরিয়াস ভাবে নেবেন জানতো নাকি। বাদ দে তো। ভুলে যা।
জাবেদ কোন কথা বলে না।
বাসায় ফিরেই চিন্তা করে প্রতিশোধ নিতে হবে। মনিহা মেয়েটা বেশি বেড়ে গেছে। কেমন ঢং করে সব সময়। অতিরিক্ত আহ্লাদী। অসহ্য। কিছু একটা করতে হবে।
শেষে একটা উপায় বের করে। ওর পরিচিত একজন আছে। নাম আমজাদ। যাকে বেশির ভাগ সময়ই দেখা যায় মোবাইলে কথা বলছে। একটা দোকানে সেলসম্যানের কাজ করে। কিন্তু কথা বার্তা শুনলে মনে হয় সে নামকরা কোন বেসরকারি ইউনিভার্সিটিতে ভাল একটা বিষয়ে পড়ছে। ফোনেও সে কথাই বলে। অনেক স্মাট ভাবে কথা বলে। মেয়েরাই কল দেয়। তিনটা মোবাইল ব্যবহার করে। সিম অজস্র। জাবেদদের এলাকাতেই একটা বাসায় মেসে ভাড়া থাকে। এত সুন্দর ভাবে কথা বলে যে মেয়েরা খুব সহজে গলে যায়। এখনকার মেয়েদের যে কি হয়েছে মোবাইলে কথা বলেই প্রেম করে বসে, সম্পর্ক গভীরতায় নিয়ে যায়। একটু ও ভাবে না এর পরিণাম কি হবে? অনেক মেয়ের সাথেই সম্পর্ক হয়েছে আমজাদের।
তা জাবেদ মনিহার নাম্বার দেয় আমজাদকে। আমজাদ খুশী হয়। খুশীতে জাবেদকে হোটেলে নিয়ে চা খাওয়ায়।
তা শুরু হয় কথা বলা মনিহার সাথে। মনিহা দুই দিন কথা বলেই পুরা দুর্বল হয়ে যায় আমজাদের প্রতি। কথা চলতে থাকে। একদিনও কথা না বলে থাকতে পারে না। মনিহা-ই বেশির ভাগ সময় কল দেয়। রাত কেটে যায় ভোর হয়, তারপরও কথা চলতে থাকে। রাতে কথাবার্তায় পরিবর্তন আসে। দুজনেরই প্রাপ্ত বয়স্ক। কথা বলতে থাকে বিবাহিতের মত করে।
জাবেদ আর খবর রাখে না। যা হবে হোক। এই ধরণের একটা ভাব।
গভীরতা বাড়ে দুজনের মধ্যে। একদিন পরিকল্পনা করে হোটেলে যায় দুজনে। অনেকখানি সময় কাটিয়ে দেয় দুজনে বদ্ধ রুমে।
..................
০২
আমজাদ হোটেলের ঘটনাটা বলে জাবেদকে। জাবেদ বিশ্বাস করে না। ঘটনার কিছুদিন পর দুজনে বিয়ে করে ফেলে। মনিহার বাবা বড় সরকারি কর্মকর্তা। বিয়ের কাগজ পত্র দেখায় আমজাদকে। জাবেদের বিস্ময়ের সীমা থাকে না। মোবাইলে কথা বলে এত কিছু??
মনিহার বাবা মেনে নেয় না ব্যাপারটা। সিদ্ধান্ত নেন মামলা করবেন। মেয়ের বয়স যে ১৮ পার হয়ে গেছে। আর মেয়েও ছেলের জন্য পাগল। তাছাড়া মামলা করছে সামাজিক মান মর্যাদা কমে যাবে আরো। এসব কিছু বুঝায় অনেকে মনিহার বাবাকে। এসব দিক চিন্তা করে মামলা করার সিদ্ধান্ত থেকে দূরে সরে আসেন মনিহার বাবা।
মনিহার মা শুধু কাঁদেন। মেয়ে এত বড় একটা কাজ করে বসবে তা কল্পনাও করেন নি।
বাধ্য হয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পরিবার থেকে। জাবেদ বিয়ের দাওয়াত পায়। বিয়ের দাওয়াত পায় ক্লাসের অন্য বন্ধুরাও। হাসিমুখে বিয়ে অনুষ্ঠানে কথা বলে বন্ধু বান্ধবদের সাথে। মনে করেছে কেউ গোপণ ব্যাপারটা জানে না। জাবেদের সাথেও হাসিমুখে কথা বলে।
ওরাও ভান করে কিছু জানে না। কিন্তু এগুলো সব যে জাবেদই করিয়েছে সব চেপে যায় সবাই।
বিয়ে হয়। তবে এক প্রতারিত বিয়ে। এমন একটা ছেলের সাথে বিয়ে যে আগে অনেক মেয়ের সাথে বাজে সম্পর্ক করেছে। বিচ্ছরি একটা প্রতিশোধের জন্য মনিহার প্রতারিত বিয়ে হয়েছে।
.......................
০৩
বিয়েতে অনেক মজা করেছে জাবেদ বন্ধুদের সাথে। কিন্তু বাসায় আসার পর থেকে যেন কি রকম মনে হয়!!
একটা মেয়ের জীবন নষ্ট করে দিলো। একই সাথে পড়ে যে মেয়ে তাকে তুলে দিল একটা নষ্ট ছেলের হাতে।
ওর মন ওকে স্বান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করে, মেয়েরও তো দোষ আছে, সে কেন ছেলেটার দিকে ঝুঁকল।
কিন্তু এই স্বান্তনা ওকে শান্ত করতে পারে না। মনিহার নাম্বার যদি আমজাদকে না দিত তাহলে তো এই সম্পর্ক হতো না।
মনিহার মা-বাবাও নিশ্চয় অনেক সুন্দর স্বপ্ন দেখতেন মেয়েকে নিয়ে। মনিহার জীবন তো নষ্ট হলোই সাথে সাথে ওর বাবা মা-র সুন্দর নির্মল স্বপ্নগুলোও নষ্ট হয়ে গেল।
জাবেদের নিজেকে অপরাধী মনে হয়। অনেক হিংস্র অপরাধী মনে হয় নিজেকে। রাতে ঘুম হয় না। কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছা হয় না। সব কিছু অসহ্য লাগে। মেজাজ খিটখিটে থাকে। অনেক কষ্ট করে দুই একবার তন্দ্রা আসে কিন্তু উলটা পালটা সব দুঃস্বপ্ন দেখে।
দুশ্চিন্তায় হঠাৎ হঠাৎ করে ভিমরি খায় ও।
এ থেকে পরিত্রাণের উপায় কি?
( ঘটনার পরিণতি সত্য। বাস্তবেই ঘটেছে। যেসব মেয়ে ফোনে ছেলেদের সুন্দর গলা শুনে মুগ্ধ হয়ে সব ভুলে যায় তারা বিষয়গুলো আরো ভাল ভাবে চিন্তা করবে আশা করি। দুর্বল আবেগের কারণে যেন কোন ভাল মেয়ে প্রতারিত না হয়, মনে প্রাণে এটাই চাই।
গল্পের নাম- নোংরা প্রতিশোধ
তারিখ- ১৬.০৫.০৯
সময়-২৮ মি.