সেপ্টেম্বর : ২০১৪।।
০১
-একটা কথা বলি?
- একটা না দশটা বলো। আর ছেলেদের এমন মিউ মিউ গলা আমার পছন্দ না। যা বলবা স্ট্রেট কাট বলে ফেলবে। এত অনুমতির কি আছে।
রিয়াদ ঢোক গিলে। কোন মেয়ের সাথে বাবা-মা বিয়ে দিলো। এইতো পুরাই অন্যরকম। আর কিছু বলার সাহস পায় না। এই মেয়ের সাথে বাকী জীবনটা কাটাতে হবে ভেবে আতঙ্কিত হয় রিয়াদ।
++++++++++++++++++
চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মোবাইলের আলো অল্প জায়গায়। আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। মেঘের গর্জন। কিছুক্ষণ আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। আবারও হতে পারে!
ধরো তুমি আর আমি, মোবাইলের আলোতে তোমার ওই স্নিগ্ধ মুখের দিকে আছি চেয়ে! (ফেবু লিংক ) তারিখ : ১৩ সেপ্টম্বর : ১৪।
।।গল্প : ০২।।
রাত দুইটায় আবীরের ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছে। তমাকে বলতে ইচ্ছা করছে। তবে তমার কষ্ট হবে ভেবে বলছে না।
তমা শুয়ে আছে। আবীর চেয়ারে বসা। একটা ম্যাগাজিন পড়ছে।
-তুমি ঘুমাবে না?
০১
-একটা কথা বলি?
- একটা না দশটা বলো। আর ছেলেদের এমন মিউ মিউ গলা আমার পছন্দ না। যা বলবা স্ট্রেট কাট বলে ফেলবে। এত অনুমতির কি আছে।
রিয়াদ ঢোক গিলে। কোন মেয়ের সাথে বাবা-মা বিয়ে দিলো। এইতো পুরাই অন্যরকম। আর কিছু বলার সাহস পায় না। এই মেয়ের সাথে বাকী জীবনটা কাটাতে হবে ভেবে আতঙ্কিত হয় রিয়াদ।
-কি কথা বলছো না কেন? মুখ থেকে কি জোর করে কথা বের করতে হবে নাকি?
রিয়াদের ভয়ের মাত্রা বাড়ে। মুখ থেকে আবার জোর করে কথা বের করে কিভাবে! কপাল মুছে সে। কপালে ঘাম জমেছে। এমন সুন্দর একটা মুখ থেকে এ ধরণের ঝাঝড়া কথা বার্তা বের হবে বিশ্বাসই হয় না।
- শুনো আমি একা ঘুমাতে অভ্যস্ত। কেউ আমার পাশে শুবে এটা ভাবতে ভাল লাগছে না। আর এ রুমে তো একটাই খাট। এখন কি করবে?
রিয়াদ টেবিলের ওপর রাখা জগ থেকে গ্লাসে পানি নেয়। সে পানি কয়েক ঢোক খায়। বলে, কোন সমস্যা নেই। আপনি ওপরে শুন। আমি নিচে শুচ্ছি। ঢাকায় যখন মেসে থাকতাম তখন নিচে শুতে হতো। ভালো লাগে নিচে শুতে।
রিয়াদ একটা বালিশ নিয়ে নিচে চলে যায়। কিছুটা রক্ষে। ঘুমের ভান করতে হবে। তাহলে আর ঝাঁঝালো মার্কা কথা বলতে পারবে না। ঘুমের ভান করে চুপটি করে চোখ বন্ধ করে রাখে রিয়াদ।
আধা ঘন্টা পর...রিয়াদের মাথার পাশে এসে বসে রুপা। রিয়াদের মাথার চুলে হাত বুলাতে থাকে।
বলে, তুমি এত বোকা কেন! তোমাকে ছাড়া এইদিন বুঝি আমি একা একা শুবো! মানুষ এত বোকা হয়? একটু দুষ্টামি করলাম। আমার অনেক আগে থেকে ইচ্ছা ছিল বিয়ের প্রথম দিন এমন দুষ্টামি করবো। তাই করলাম। তুমি এত ভয় পেলে কেন! আমি আরেকটু হলে হেসেই দিচ্ছিলাম। অভিনয় ধরে রাখতে পারছিলামই না তারপরও কোনমতে রেখেছি। কিন্তু তুমি এত ভয় পেলে কেন। সরি....
রিয়াদ নড়ে উঠে। তবুঝার চেষ্টা করে স্বপ্ন নাকি বাস্তব নাকি আরেকমাত্রার অভিনয়। কিছু বলার চেষ্টা করে। কিন্তু বলতে পারে না। রুপার দিকে তাকায়। ভাবে একটা মানুষ এত সুন্দর হয় কিভাবে! # ফেবু লিংক
++++++++++++++++++++++++++
প্রপোজ ......
লেখক ছেলেটি মেয়েটিকে প্রপোজ করল এভাবে, তুমি কি আমার সব লেখার একমাত্র প্রথম পাঠক হবে?
মেয়েটি সরাসরি জানিয়ে দিলো, না, হবে না।
উত্তর শুনে ছেলেটির মন খারাপ। কত আশা করে বলেছিল। এভাবে না করে দিল। সে মাথা নিচু করে রাখল।
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
বৃষ্টি....
: টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে কারো কথা ভাবাটাই হচ্ছে ভালোবাসা।
: আমার এখানেতো পুরাটাই ছাদ। টিনের চাল নেই। টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার শব্দ নেই। এখন?
: এজন্যই বড়রা বলে গেছেন......
: কি বলে গেছেন?
: টিনের চালের ঘরে একসাথে থাকতে। সেখানেই ভালোবাসারা খেলা করে!
: বড়রা ভুল বলেছেন। ছাদে ভিজতে ভিজতে কারো কথা ভাবাটা তার চেয়ে বেশি ভালোবাসা। তাদের বলা উচিত ছিল, ছাদে একসাথে ভিজতে। ভালোবাসারা সেখানে রঙ্গিন হয়ে উঠে!
ফেবুলিংক
+++++++++++++++++++++++++.
২৭ আগস্ট ১৪****
রাত দুইটায় আবীরের ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছে। তমাকে বলতে ইচ্ছা করছে। তবে তমার কষ্ট হবে ভেবে বলছে না।
তমা শুয়ে আছে। আবীর চেয়ারে বসা। একটা ম্যাগাজিন পড়ছে।
-তুমি ঘুমাবে না?
০২
-তুমি পঁচা পঁচা পঁচা।
- তুমি বুদ্মিমতী!
-কেন কেন?
- এই যে পঁচা মানুষ চিনতে পারছো। তোমরা মেয়ে মানুষরা বেশিরভাগ সময় বিপদে পড়ো পঁচা মানুষ চিনতে না পারার জন্য।
- তুমি শুধু পঁচা না খারাপ মানুষ। কেমন খারাপ জানো?
- কেমন?
- মোবাইলের মত। মাঝে মাঝে মনে করি মোবাইল আর ব্যবহার করবো না। খুব জ্বালায়। আননোন নাম্বার থেকে বিরক্তিকর কল আসে। কিন্তু তোমার সাথে কথা বলার জন্য তো মোবাইল দরকার। যেদিন তোমার সাথে কথা বলতে পারি না সেদিন অনেক খারাপ লাগে। মনে হয় কেমন জানি একটা শূন্যতা। রিং হলেই প্রথমবারই মনে আসে তোমার কল। তোমার কথা চিন্তা করে মোবাইলটা আর ফেলে দিতে পারি না।
- তুমি তো দেখি ব্যাপক সমস্যায় আছো।
- এই দুষ্টামি করবে না কিন্তু। হেসে উড়িয়ে দেয়ার মত কোন কথা বলিনি। আমার আবেগগুলোতো তোমার কাছে শুধুই ঢং মনে হয়। প্রতিবার ভাবি আর তোমার কাছে আবেগের কিছু বলবো না। তবুও..
- আমি একটা বুদ্ধি দিলে দেখবে সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।
- কি বুদ্ধি?
- চলো বিয়ে করে ফেলি। একই ছাদের নিচে থাকলে আর মোবাইলটা রাখতে হবে না। তোমার ইচ্ছা হচ্ছে মোবাইলটা ফেলে দেওয়া। এই ইচ্ছাটা পূরণের জন্য হলেও আমাদের অতি শীঘ্রই বিয়ে করা উচিত।
- আমি মোবাইলটা এখন ফেলে দিলে কাল সকালে কাজি অফিসে নিয়ে যাবা তো?
- নাহ নাহ!! মোবাইল ফেলার আপাতত কোন দরকার নেই। মোবাইলটা আরো কিছু দিন রাখো। মোবাইলের ওজন তো এমন বেশি কিছু না। আর ভারী লাগলে আরেকটু স্লিম টাইপের মোবাইল নিতে পারো। বাজারে একেবারে হালকা টাইপের মোবাইলও আছে। চাইলে আমি একটা গিফট দিতে পারি।
- ধ্যাৎ! তুমি আসলেই পঁচা. পঁচা পঁচা। তোমার সাথে কথা নেই। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে। আমি ছাদে যাচ্ছি। বৃষ্টিতে ভিজবো..... # ফেবু লিংক
রিয়াদের ভয়ের মাত্রা বাড়ে। মুখ থেকে আবার জোর করে কথা বের করে কিভাবে! কপাল মুছে সে। কপালে ঘাম জমেছে। এমন সুন্দর একটা মুখ থেকে এ ধরণের ঝাঝড়া কথা বার্তা বের হবে বিশ্বাসই হয় না।
- শুনো আমি একা ঘুমাতে অভ্যস্ত। কেউ আমার পাশে শুবে এটা ভাবতে ভাল লাগছে না। আর এ রুমে তো একটাই খাট। এখন কি করবে?
রিয়াদ টেবিলের ওপর রাখা জগ থেকে গ্লাসে পানি নেয়। সে পানি কয়েক ঢোক খায়। বলে, কোন সমস্যা নেই। আপনি ওপরে শুন। আমি নিচে শুচ্ছি। ঢাকায় যখন মেসে থাকতাম তখন নিচে শুতে হতো। ভালো লাগে নিচে শুতে।
রিয়াদ একটা বালিশ নিয়ে নিচে চলে যায়। কিছুটা রক্ষে। ঘুমের ভান করতে হবে। তাহলে আর ঝাঁঝালো মার্কা কথা বলতে পারবে না। ঘুমের ভান করে চুপটি করে চোখ বন্ধ করে রাখে রিয়াদ।
আধা ঘন্টা পর...রিয়াদের মাথার পাশে এসে বসে রুপা। রিয়াদের মাথার চুলে হাত বুলাতে থাকে।
বলে, তুমি এত বোকা কেন! তোমাকে ছাড়া এইদিন বুঝি আমি একা একা শুবো! মানুষ এত বোকা হয়? একটু দুষ্টামি করলাম। আমার অনেক আগে থেকে ইচ্ছা ছিল বিয়ের প্রথম দিন এমন দুষ্টামি করবো। তাই করলাম। তুমি এত ভয় পেলে কেন! আমি আরেকটু হলে হেসেই দিচ্ছিলাম। অভিনয় ধরে রাখতে পারছিলামই না তারপরও কোনমতে রেখেছি। কিন্তু তুমি এত ভয় পেলে কেন। সরি....
রিয়াদ নড়ে উঠে। তবুঝার চেষ্টা করে স্বপ্ন নাকি বাস্তব নাকি আরেকমাত্রার অভিনয়। কিছু বলার চেষ্টা করে। কিন্তু বলতে পারে না। রুপার দিকে তাকায়। ভাবে একটা মানুষ এত সুন্দর হয় কিভাবে! # ফেবু লিংক
++++++++++++++++++++++++++
প্রপোজ ......
লেখক ছেলেটি মেয়েটিকে প্রপোজ করল এভাবে, তুমি কি আমার সব লেখার একমাত্র প্রথম পাঠক হবে?
মেয়েটি সরাসরি জানিয়ে দিলো, না, হবে না।
উত্তর শুনে ছেলেটির মন খারাপ। কত আশা করে বলেছিল। এভাবে না করে দিল। সে মাথা নিচু করে রাখল।
বিষয়টা খেয়াল করে মেয়েটি বলল, যে লিখে সে নিজেইতো ওই লেখাটা প্রথম পড়ে। সে
হিসেবে সে-ই প্রথম পাঠক। তাই না? তবে আমি তোমার সব লেখার দ্বিতীয় পাঠক হতে
রাজি আছি। হবে?
ফেবুলিংক
ফেবুলিংক
+++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
বৃষ্টি....
: টিনের চালে বৃষ্টির শব্দ শুনতে শুনতে কারো কথা ভাবাটাই হচ্ছে ভালোবাসা।
: আমার এখানেতো পুরাটাই ছাদ। টিনের চাল নেই। টিনের চালে বৃষ্টি পড়ার শব্দ নেই। এখন?
: এজন্যই বড়রা বলে গেছেন......
: কি বলে গেছেন?
: টিনের চালের ঘরে একসাথে থাকতে। সেখানেই ভালোবাসারা খেলা করে!
: বড়রা ভুল বলেছেন। ছাদে ভিজতে ভিজতে কারো কথা ভাবাটা তার চেয়ে বেশি ভালোবাসা। তাদের বলা উচিত ছিল, ছাদে একসাথে ভিজতে। ভালোবাসারা সেখানে রঙ্গিন হয়ে উঠে!
ফেবুলিংক
+++++++++++++++++++++++++.
২৭ আগস্ট ১৪****
রাত দুইটায় আবীরের ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছে। তমাকে বলতে ইচ্ছা করছে। তবে তমার কষ্ট হবে ভেবে বলছে না।
তমা শুয়ে আছে। আবীর চেয়ারে বসা। একটা ম্যাগাজিন পড়ছে।
-তুমি ঘুমাবে না?
আবীর চোখ তুলে তাকায়। তমা তার দিকে তাকিয়ে আছে। গোলাপী রঙ্গের জামা পড়া।
মেয়েটা এত সুন্দর কেন! মাঝে মাঝে পুরা ব্যাপারটা আবীরের কাছে স্বপ্ন মনে
হয়। মনে হয় ঘুম ভাঙলে দেখবে তমা আর পাশে নেই।
-কিছু বলছো না যে! না ঘুমালে বলো।
- আরেকটু পড়ে ঘুমাবো।
- তাহলে এক কাজ করি, চা বানিয়ে দিই তোমাকে?
মেয়েটা এত ভালো কেন!
-চা বানাতে হবে না। অন্য একটা জিনিস বানাতে পারবে যদি তোমার কষ্ট না হয়?
- কি জিনিষ?
- একটু ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছে।
-আরে বাবা এটা বলতে এত ইতস্তত করছো কেন! এখনই বানিয়ে দিচ্ছি। আমারও ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছে।
রাত গভীর। তমা ঝাল মুড়ি বানিয়ে এনেছে। আবীরের পাশে এসে বসে। দুইজনে মিলে ঝাল মুড়ি খাচ্ছে।
আবীর বলে, একটি কথা বলবো?
- হা বলো।
- ভালো আর সুন্দরের সংজ্ঞা এখন আমি জানি।
- মানে কি? চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞেস করে তমা।
- ভালো আর সুন্দরের সংজ্ঞা তুমি।
-হয়েছে, হয়েছে। পাম্প দিতে হবে না।
এসময় হঠাৎ মরিচে কামড় দিয়ে বসে আবীর। ঝাল কম খেতে পারে সে। সে নিজেকে সামলে নেয়ার চেষ্টা করছে।
কপালে ঘাম বের হওয়া শুরু হলো। ব্যাপারটা লক্ষ্য করে তমা ওড়না দিয়ে কপাল মুছে দিতে লাগলো। তমার ওড়নার মধ্যে অদ্ভূত ঘ্রাণ!! সে ঘ্রাণ ঝালের কষ্ট অনেকটাই ভুলিয়ে দেবে যেন!
## ফেবু লিংক
++++++++++++++++++++++++++++-কিছু বলছো না যে! না ঘুমালে বলো।
- আরেকটু পড়ে ঘুমাবো।
- তাহলে এক কাজ করি, চা বানিয়ে দিই তোমাকে?
মেয়েটা এত ভালো কেন!
-চা বানাতে হবে না। অন্য একটা জিনিস বানাতে পারবে যদি তোমার কষ্ট না হয়?
- কি জিনিষ?
- একটু ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছে।
-আরে বাবা এটা বলতে এত ইতস্তত করছো কেন! এখনই বানিয়ে দিচ্ছি। আমারও ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছে।
রাত গভীর। তমা ঝাল মুড়ি বানিয়ে এনেছে। আবীরের পাশে এসে বসে। দুইজনে মিলে ঝাল মুড়ি খাচ্ছে।
আবীর বলে, একটি কথা বলবো?
- হা বলো।
- ভালো আর সুন্দরের সংজ্ঞা এখন আমি জানি।
- মানে কি? চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞেস করে তমা।
- ভালো আর সুন্দরের সংজ্ঞা তুমি।
-হয়েছে, হয়েছে। পাম্প দিতে হবে না।
এসময় হঠাৎ মরিচে কামড় দিয়ে বসে আবীর। ঝাল কম খেতে পারে সে। সে নিজেকে সামলে নেয়ার চেষ্টা করছে।
কপালে ঘাম বের হওয়া শুরু হলো। ব্যাপারটা লক্ষ্য করে তমা ওড়না দিয়ে কপাল মুছে দিতে লাগলো। তমার ওড়নার মধ্যে অদ্ভূত ঘ্রাণ!! সে ঘ্রাণ ঝালের কষ্ট অনেকটাই ভুলিয়ে দেবে যেন!
## ফেবু লিংক
০২
-তুমি পঁচা পঁচা পঁচা।
- তুমি বুদ্মিমতী!
-কেন কেন?
- এই যে পঁচা মানুষ চিনতে পারছো। তোমরা মেয়ে মানুষরা বেশিরভাগ সময় বিপদে পড়ো পঁচা মানুষ চিনতে না পারার জন্য।
- তুমি শুধু পঁচা না খারাপ মানুষ। কেমন খারাপ জানো?
- কেমন?
- মোবাইলের মত। মাঝে মাঝে মনে করি মোবাইল আর ব্যবহার করবো না। খুব জ্বালায়। আননোন নাম্বার থেকে বিরক্তিকর কল আসে। কিন্তু তোমার সাথে কথা বলার জন্য তো মোবাইল দরকার। যেদিন তোমার সাথে কথা বলতে পারি না সেদিন অনেক খারাপ লাগে। মনে হয় কেমন জানি একটা শূন্যতা। রিং হলেই প্রথমবারই মনে আসে তোমার কল। তোমার কথা চিন্তা করে মোবাইলটা আর ফেলে দিতে পারি না।
- তুমি তো দেখি ব্যাপক সমস্যায় আছো।
- এই দুষ্টামি করবে না কিন্তু। হেসে উড়িয়ে দেয়ার মত কোন কথা বলিনি। আমার আবেগগুলোতো তোমার কাছে শুধুই ঢং মনে হয়। প্রতিবার ভাবি আর তোমার কাছে আবেগের কিছু বলবো না। তবুও..
- আমি একটা বুদ্ধি দিলে দেখবে সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে।
- কি বুদ্ধি?
- চলো বিয়ে করে ফেলি। একই ছাদের নিচে থাকলে আর মোবাইলটা রাখতে হবে না। তোমার ইচ্ছা হচ্ছে মোবাইলটা ফেলে দেওয়া। এই ইচ্ছাটা পূরণের জন্য হলেও আমাদের অতি শীঘ্রই বিয়ে করা উচিত।
- আমি মোবাইলটা এখন ফেলে দিলে কাল সকালে কাজি অফিসে নিয়ে যাবা তো?
- নাহ নাহ!! মোবাইল ফেলার আপাতত কোন দরকার নেই। মোবাইলটা আরো কিছু দিন রাখো। মোবাইলের ওজন তো এমন বেশি কিছু না। আর ভারী লাগলে আরেকটু স্লিম টাইপের মোবাইল নিতে পারো। বাজারে একেবারে হালকা টাইপের মোবাইলও আছে। চাইলে আমি একটা গিফট দিতে পারি।
- ধ্যাৎ! তুমি আসলেই পঁচা. পঁচা পঁচা। তোমার সাথে কথা নেই। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে। আমি ছাদে যাচ্ছি। বৃষ্টিতে ভিজবো..... # ফেবু লিংক
++++++++++++++++++
চারদিকে ঘুটঘুটে অন্ধকার। মোবাইলের আলো অল্প জায়গায়। আকাশে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। মেঘের গর্জন। কিছুক্ষণ আগে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে। আবারও হতে পারে!
ধরো তুমি আর আমি, মোবাইলের আলোতে তোমার ওই স্নিগ্ধ মুখের দিকে আছি চেয়ে! (ফেবু লিংক ) তারিখ : ১৩ সেপ্টম্বর : ১৪।
।।গল্প : ০২।।
রাত দুইটায় আবীরের ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছে। তমাকে বলতে ইচ্ছা করছে। তবে তমার কষ্ট হবে ভেবে বলছে না।
তমা শুয়ে আছে। আবীর চেয়ারে বসা। একটা ম্যাগাজিন পড়ছে।
-তুমি ঘুমাবে না?
আবীর চোখ তুলে তাকায়। তমা তার দিকে তাকিয়ে আছে। গোলাপী রঙ্গের জামা পড়া।
মেয়েটা এত সুন্দর কেন! মাঝে মাঝে পুরা ব্যাপারটা আবীরের কাছে স্বপ্ন মনে
হয়। মনে হয় ঘুম ভাঙলে দেখবে তমা আর পাশে নেই।
-কিছু বলছো না যে! না ঘুমালে বলো।
- আরেকটু পড়ে ঘুমাবো।
- তাহলে এক কাজ করি, চা বানিয়ে দিই তোমাকে?
মেয়েটা এত ভালো কেন!
-চা বানাতে হবে না। অন্য একটা জিনিস বানাতে পারবে যদি তোমার কষ্ট না হয়?
- কি জিনিষ?
- একটু ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছে।
-আরে বাবা এটা বলতে এত ইতস্তত করছো কেন! এখনই বানিয়ে দিচ্ছি। আমারও ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছে।
রাত গভীর। তমা ঝাল মুড়ি বানিয়ে এনেছে। আবীরের পাশে এসে বসে। দুইজনে মিলে ঝাল মুড়ি খাচ্ছে।
আবীর বলে, একটি কথা বলবো?
- হা বলো।
- ভালো আর সুন্দরের সংজ্ঞা এখন আমি জানি।
- মানে কি? চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞেস করে তমা।
- ভালো আর সুন্দরের সংজ্ঞা তুমি।
-হয়েছে, হয়েছে। পাম্প দিতে হবে না।
এসময় হঠাৎ মরিচে কামড় দিয়ে বসে আবীর। ঝাল কম খেতে পারে সে। সে নিজেকে সামলে নেয়ার চেষ্টা করছে।
কপালে ঘাম বের হওয়া শুরু হলো। ব্যাপারটা লক্ষ্য করে তমা ওড়না দিয়ে কপাল মুছে দিতে লাগলো। তমার ওড়নার মধ্যে অদ্ভূত ঘ্রাণ!! সে ঘ্রাণ ঝালের কষ্ট অনেকটাই ভুলিয়ে দেবে যেন! ( ফেবু লিংক )
।।গল্প : ০৩।।
তাহাদের দুইজনের মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক। চমৎকার বোঝা পড়া। ন্যাকামি ব্যাপারটা কখনো দেখিনি।
মেয়েটি লেখা লেখি করে, ছেলেটিও লেখালেখি করে। একবার একটা ম্যাগাজিনে দুইজনই লেখা জমা দিলো। ছেলেটির লেখা প্রকাশ পেলো। মেয়েটির লেখা ছাপানো হয়নি।
মেয়েটির অনেক মন খারাপ হয়। লেখালেখির ব্যাপারে অল্পতেই আপসেট হওয়ার অস্বাভাবিক গুণ আছে মেয়েটির!
-কিছু বলছো না যে! না ঘুমালে বলো।
- আরেকটু পড়ে ঘুমাবো।
- তাহলে এক কাজ করি, চা বানিয়ে দিই তোমাকে?
মেয়েটা এত ভালো কেন!
-চা বানাতে হবে না। অন্য একটা জিনিস বানাতে পারবে যদি তোমার কষ্ট না হয়?
- কি জিনিষ?
- একটু ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছে।
-আরে বাবা এটা বলতে এত ইতস্তত করছো কেন! এখনই বানিয়ে দিচ্ছি। আমারও ঝাল মুড়ি খেতে ইচ্ছা করছে।
রাত গভীর। তমা ঝাল মুড়ি বানিয়ে এনেছে। আবীরের পাশে এসে বসে। দুইজনে মিলে ঝাল মুড়ি খাচ্ছে।
আবীর বলে, একটি কথা বলবো?
- হা বলো।
- ভালো আর সুন্দরের সংজ্ঞা এখন আমি জানি।
- মানে কি? চোখ বড় বড় করে জিজ্ঞেস করে তমা।
- ভালো আর সুন্দরের সংজ্ঞা তুমি।
-হয়েছে, হয়েছে। পাম্প দিতে হবে না।
এসময় হঠাৎ মরিচে কামড় দিয়ে বসে আবীর। ঝাল কম খেতে পারে সে। সে নিজেকে সামলে নেয়ার চেষ্টা করছে।
কপালে ঘাম বের হওয়া শুরু হলো। ব্যাপারটা লক্ষ্য করে তমা ওড়না দিয়ে কপাল মুছে দিতে লাগলো। তমার ওড়নার মধ্যে অদ্ভূত ঘ্রাণ!! সে ঘ্রাণ ঝালের কষ্ট অনেকটাই ভুলিয়ে দেবে যেন! ( ফেবু লিংক )
।।গল্প : ০৩।।
তাহাদের দুইজনের মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক। চমৎকার বোঝা পড়া। ন্যাকামি ব্যাপারটা কখনো দেখিনি।
মেয়েটি লেখা লেখি করে, ছেলেটিও লেখালেখি করে। একবার একটা ম্যাগাজিনে দুইজনই লেখা জমা দিলো। ছেলেটির লেখা প্রকাশ পেলো। মেয়েটির লেখা ছাপানো হয়নি।
মেয়েটির অনেক মন খারাপ হয়। লেখালেখির ব্যাপারে অল্পতেই আপসেট হওয়ার অস্বাভাবিক গুণ আছে মেয়েটির!
তা দেখে ছেলেটিরও মন খারাপ হয়। তার লেখা ছাপানো হয়েছে এটার জন্য একটা
অপরাধবোধের মত কিছু সৃষ্টি হয় মনে। কেন যে ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ তার লেখা
ছাপালো। তার লেখা বাদ দিয়ে ওর লেখা ছাপাতো!!
ছেলেটি মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় ও নিজে আর কোথাও লেখা পাঠাবে না।
এরপর মেয়েটি নিয়মিত বিভিন্ন জায়গায় লেখা পাঠায়। ছাপানো হতে থাকে। মেয়েটি বেজায় খুশী। তা দেখে ছেলেটিও খুশী। মেয়েটির খুশী দেখে ছেলেটির অনেক ভাল লাগে।
মেয়েটি মাঝে মাঝে ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করে, তুমি লিখো না কেন?
ছেলেটি ব্যস্ততার অভিনয় করে বলে, আরে এত এত কিছু করার পর লেখার সময় কোথায়।
মেয়েটির কখনো জানা হবে না, ছেলেটি লেখালেখি বাদ দেয়ার কারণ।
কিছু সেক্রিফাইসের গল্প অপর পক্ষ কখনোই জানে না, কখনোই না... *ফে লিংক ..
।।গল্প : ০৩।।
: তোমার সমস্যা কি! রিপ্লাই দাও না কেন?
....আজব তো গত দুই দিন ধরে আমিই শুধু নক করে যাচ্ছি। অথচ তোমার কোন রিপ্লাই নাই। সিন করে রেখে দিচ্ছো। উত্তর দিচ্ছো না। ভয় পেলে নাকি?
: কিসের ভয়?
: থাক শেষ পর্যন্ত উত্তর আসলো। আমি তো ভাবছিলাম ওই পাশে রোবট বসে আছে। যে কোন উত্তর দিতে পারে না। যাকে চিমটি দিলেও কোন খবর হয় না।
: কিসের ভয় তা বললা না যে!
: স্ক্রিণ শটের ভয়। ফেসবুকে যেভাবে স্ক্রিণ শট প্রকাশিত হয়ে পড়ছে সে ভয়েই কি উত্তর দেয়া ছেড়ে দিলে?
: আরে নাহ।
: শুনো ছেলে মানুষকে এত ভীতু দেখতে ভালো লাগে না। তোমার ভয় লাগলে বলো। আমি অন্য ব্যবস্থা করছি। তাতে তোমার আর সমস্যা হবে না।
: কি ব্যবস্থা?
: এ ধরো আমি ছেলের নামে আইডি খুললাম। ওই আইডি দিয়ে তোমার সাথে চ্যাট করবো। ভয়ের কিছু নাই। আমি আজই আইডি খুলছি। তুমি নিরাপদেই থাকবে। বুদ্ধি থাকলে ঠেকায় কে?
: সর্বনাশ!!
: কেন কেন? আবার কি হলো?
: ওই আইডির সাথে কথা গুলো যদি ফাঁস হয় তাহলে কি অবস্থা হবে চিন্তা করেছো। দুইজন ছেলে রোমান্টিক কথা বলছে এটা ফাঁস হলো কল্পনা করো তো!
: ছি! ছি!! ** ফেবু লিংক **
।।মার্চ ২০১৩।। ***ছেলেটি মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় ও নিজে আর কোথাও লেখা পাঠাবে না।
এরপর মেয়েটি নিয়মিত বিভিন্ন জায়গায় লেখা পাঠায়। ছাপানো হতে থাকে। মেয়েটি বেজায় খুশী। তা দেখে ছেলেটিও খুশী। মেয়েটির খুশী দেখে ছেলেটির অনেক ভাল লাগে।
মেয়েটি মাঝে মাঝে ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করে, তুমি লিখো না কেন?
ছেলেটি ব্যস্ততার অভিনয় করে বলে, আরে এত এত কিছু করার পর লেখার সময় কোথায়।
মেয়েটির কখনো জানা হবে না, ছেলেটি লেখালেখি বাদ দেয়ার কারণ।
কিছু সেক্রিফাইসের গল্প অপর পক্ষ কখনোই জানে না, কখনোই না... *ফে লিংক ..
।।গল্প : ০৩।।
: তোমার সমস্যা কি! রিপ্লাই দাও না কেন?
....আজব তো গত দুই দিন ধরে আমিই শুধু নক করে যাচ্ছি। অথচ তোমার কোন রিপ্লাই নাই। সিন করে রেখে দিচ্ছো। উত্তর দিচ্ছো না। ভয় পেলে নাকি?
: কিসের ভয়?
: থাক শেষ পর্যন্ত উত্তর আসলো। আমি তো ভাবছিলাম ওই পাশে রোবট বসে আছে। যে কোন উত্তর দিতে পারে না। যাকে চিমটি দিলেও কোন খবর হয় না।
: কিসের ভয় তা বললা না যে!
: স্ক্রিণ শটের ভয়। ফেসবুকে যেভাবে স্ক্রিণ শট প্রকাশিত হয়ে পড়ছে সে ভয়েই কি উত্তর দেয়া ছেড়ে দিলে?
: আরে নাহ।
: শুনো ছেলে মানুষকে এত ভীতু দেখতে ভালো লাগে না। তোমার ভয় লাগলে বলো। আমি অন্য ব্যবস্থা করছি। তাতে তোমার আর সমস্যা হবে না।
: কি ব্যবস্থা?
: এ ধরো আমি ছেলের নামে আইডি খুললাম। ওই আইডি দিয়ে তোমার সাথে চ্যাট করবো। ভয়ের কিছু নাই। আমি আজই আইডি খুলছি। তুমি নিরাপদেই থাকবে। বুদ্ধি থাকলে ঠেকায় কে?
: সর্বনাশ!!
: কেন কেন? আবার কি হলো?
: ওই আইডির সাথে কথা গুলো যদি ফাঁস হয় তাহলে কি অবস্থা হবে চিন্তা করেছো। দুইজন ছেলে রোমান্টিক কথা বলছে এটা ফাঁস হলো কল্পনা করো তো!
: ছি! ছি!! ** ফেবু লিংক **
ভবিষ্যত কোন এক সন্ধ্যায়। রেস্টুরেন্টে বসে মান অভিমানের গল্প করছে মুশফিক আর তার বউ।
খেলার ট্যুরে ব্যস্ত থাকার জন্য খুব বেশি সময় পায় না উভয়ে গল্প করার।
মুশফিক বউয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে বউ হঠাত্ চুপ হয়ে গেছে।
বউকে জিজ্ঞাসা করে, চুপ হয়ে গেলে যে?
:আজ ১১ মার্চ তাই না?
মুশফিক আইপডের দিকে তাকায়। তারপর হা সূচক মাথা নাড়ায়।
: ২০১৩ সালে এদিনে তুমি বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করলে। এত খুশী লাগছিল! কিন্তু যখন দেখলাম ফেসবুকে তোমাকে নিয়ে অন্য মেয়েরা আবেগী স্ট্যাটাস দেয়া শুরু করলো তখন কান্না আসলো। ওই মেয়েদের সমস্যা কি! তোমাকে নিয়ে ওদের এত মাথা ব্যাথা কেন থাকবে। সেদিন রাগ করে আর ফেসবুকেই ঢুকি নি।
বউয়ের ছেলেমানুষি আবেগী কথা শুনে মুশফিক মুচকি হাসে। ডান হাতটা বাড়িয়ে দেয়। মুশফিকের বাড়িয়ে দেওয়া হাত শক্ত করে মায়াবী আবেগে চেপে ধরে বউ। যত রেকর্ডই করুক তার হাত থেকে যেন কেউ কেড়ে নিতে না পারে তার প্রিয় মানুষটাকে এ নিশ্চয়তা যেন পেতে চায়।
সাবাশ মুশফিক! সাবাশ! বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ানকে অভিনন্দন। # ফেবু লিংক ##
।।২০ অক্টোবর-১২।।
সময়টা বিকাল। বাতাস হচ্ছে। মাদকতাময় বাতাস। ইমনের পাশে বসে আছে নিহা। বাতাসে নিহার চুলগুলো উড়ছে। নীল রঙ্গের একটা থ্রিপিস পড়ে এসেছে সে।
ইমনের চোখ বন্ধ। বাতাসে ধূলিকণা উড়ছে। সে ধূলিকণা থেকে রক্ষা পেতে এ চোখ বন্ধ করে রাখা নয়। কেননা ধূলা উড়লে ওর তেমন সমস্যা হয় না। চশমা পড়ে থাকতে হয় সম সময়। নিহার সাথে দেখা হলেই সে বেশির ভাগ সময় চোখ বন্ধ করে রাখে।
নিহা জিজ্ঞেস করে, তোমার এ বদভ্যাস কবে দূর হবে। চোখ বন্ধ করে রাখার।
ইমন কথা বলে না। চোখও খোলে না। একটু পর পর দমকা বাতাস বয়ে যায়। নিহার লম্বা চুলে কয়েকটা ইমনের চোখে মুখে আছড়ে পড়ে। চুল যখন মুখে আছড়ে পড়ে তখন কিঞ্চিৎ ব্যথা লাগে। তবে ব্যথাটা মজার।
খেলার ট্যুরে ব্যস্ত থাকার জন্য খুব বেশি সময় পায় না উভয়ে গল্প করার।
মুশফিক বউয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে বউ হঠাত্ চুপ হয়ে গেছে।
বউকে জিজ্ঞাসা করে, চুপ হয়ে গেলে যে?
:আজ ১১ মার্চ তাই না?
মুশফিক আইপডের দিকে তাকায়। তারপর হা সূচক মাথা নাড়ায়।
: ২০১৩ সালে এদিনে তুমি বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করলে। এত খুশী লাগছিল! কিন্তু যখন দেখলাম ফেসবুকে তোমাকে নিয়ে অন্য মেয়েরা আবেগী স্ট্যাটাস দেয়া শুরু করলো তখন কান্না আসলো। ওই মেয়েদের সমস্যা কি! তোমাকে নিয়ে ওদের এত মাথা ব্যাথা কেন থাকবে। সেদিন রাগ করে আর ফেসবুকেই ঢুকি নি।
বউয়ের ছেলেমানুষি আবেগী কথা শুনে মুশফিক মুচকি হাসে। ডান হাতটা বাড়িয়ে দেয়। মুশফিকের বাড়িয়ে দেওয়া হাত শক্ত করে মায়াবী আবেগে চেপে ধরে বউ। যত রেকর্ডই করুক তার হাত থেকে যেন কেউ কেড়ে নিতে না পারে তার প্রিয় মানুষটাকে এ নিশ্চয়তা যেন পেতে চায়।
সাবাশ মুশফিক! সাবাশ! বাংলাদেশের পক্ষে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ানকে অভিনন্দন। # ফেবু লিংক ##
।।২০ অক্টোবর-১২।।
সময়টা বিকাল। বাতাস হচ্ছে। মাদকতাময় বাতাস। ইমনের পাশে বসে আছে নিহা। বাতাসে নিহার চুলগুলো উড়ছে। নীল রঙ্গের একটা থ্রিপিস পড়ে এসেছে সে।
ইমনের চোখ বন্ধ। বাতাসে ধূলিকণা উড়ছে। সে ধূলিকণা থেকে রক্ষা পেতে এ চোখ বন্ধ করে রাখা নয়। কেননা ধূলা উড়লে ওর তেমন সমস্যা হয় না। চশমা পড়ে থাকতে হয় সম সময়। নিহার সাথে দেখা হলেই সে বেশির ভাগ সময় চোখ বন্ধ করে রাখে।
নিহা জিজ্ঞেস করে, তোমার এ বদভ্যাস কবে দূর হবে। চোখ বন্ধ করে রাখার।
ইমন কথা বলে না। চোখও খোলে না। একটু পর পর দমকা বাতাস বয়ে যায়। নিহার লম্বা চুলে কয়েকটা ইমনের চোখে মুখে আছড়ে পড়ে। চুল যখন মুখে আছড়ে পড়ে তখন কিঞ্চিৎ ব্যথা লাগে। তবে ব্যথাটা মজার।
নীহা বলে, এই উত্তর দিলে নাতো। শুনো আমার সামনে অন্য কোন মেয়েকে দেখলে আমি বকা দিবো নাতো। তুমি চাইলে দেখতে পারো।
: আমি তো সেজন্য চোখ বন্ধ করে থাকি না।
: তাহলে?
: অন্য কারণ আছে।
: বলো না প্লিজ।
: এখন বলা যাবে না। তবে এক সময় আর এ বদভ্যাস দেখাবো না।
: কখন?
: যখন তোমাকে পেতে আর ভয় থাকবে না। তোমার সাথে সারাটি জীবন কাটানোর সুযোগ পাবো।
: এসব কি বলছো। আমি তোমার সাথে না থেকে অন্য কার সাথে যাবো?
: বলা যায় না। জীবনে কত কিছু ঘটে যায়।
: এই, তুমি কি অন্য কারো প্রেমে পড়েছো নাকি!
: নাহ আমার দিক থেকে সমস্যা হবে না। তোমার দিক থেকে হতে পারে। হয়ত দেখা যাবে একদিন হুট করে এসে আমাকে বিয়ের কার্ড ধরিয়ে দিয়েছো। তখন এ চোখ বন্ধ রাখাটা কাজ দেবে।
নিহার কথাটা শুনে খারাপ লাগে। কান্না পায়। কোন মতে বলে, যাও তোমার সাথে আর কোন কথা নাই।
নিহা উঠে পড়ে। : তুমি থাকো তোমার চোখ বন্ধ নিয়ে। আমি চলে যাচ্ছি। # ফেবু লিংক ।
....................................................................................
৩০ আগস্ট ২০১৪
-তোমার ওয়ালটা একটু খুলে দিবে?
-কেন?
-আগে দাও না। খোলার পর বলবো।
- নাহ, কোন দুষ্টামির দরকার নেই। তুমি দুষ্টামি করো, অন্যরা মনে করে তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড।
- মনে করলে সমস্যা কি?
- সমস্যা কি মানে! তুমি একজন বিবাহিত নারী। বিবাহিত নারী অন্য জনের গার্লফ্রেন্ড হয় কিভাবে।
-এখানে একটু ভুল হয়ে গেছে। সময়গত ভুল। তোমার সাথে তো বিয়ের পর পরিচয় হয়েছে। বিয়ের আগে পরিচয় হলে তোমারই বউ হতাম।
- হা হা হা।
- হাসো কেন। আর মানুষ মনে করলে করুক। এটা তো আর সত্য না।
- ঠিক আছে। খুলে দিচ্ছি। তবে উল্টাপাল্টা কিছু লিখবে না।
- উল্টা পাল্টা লিখলে কি হয়?
-বললাম না, মানুষ সন্দেহ করে।
- আচ্ছা আচ্ছা। কিছুই লিখবো না। এবার খুশী তো?
- হা খুশী।
- দাড়াও দাড়াও খুশী হওয়ার দরকার নেই। একটা লাইন মাথায় আসছে। একটু ওয়ালটা খুলে দাও। শুধু একটা লাইন লিখবো।
- আবার উল্টা পাল্টা কি মাথায় আসলো?
- শুনো কিছু উল্টা পাল্টা ব্যাপার করে যদি কোন দু:খী কারো অনেক ভালো লাগে তাতে কি খুব ক্ষতি হয়? আমি কি অনেক বেশি উল্টা পাল্টা কাজ করছি? আচ্ছা লাইনটা লিখবো না।
-লিখো লিখো।
- নাহ। একদিন আমি ঠিকই আর তোমাকে ডিস্টার্ব করবো না। তখন অনেক শান্তিতে থাকবে।
- ধ্যাৎ, উল্টা পাল্টা কথা বলো কেন?
- আমার সব কথা উল্টা পাল্টা, তাই না?
: আমি তো সেজন্য চোখ বন্ধ করে থাকি না।
: তাহলে?
: অন্য কারণ আছে।
: বলো না প্লিজ।
: এখন বলা যাবে না। তবে এক সময় আর এ বদভ্যাস দেখাবো না।
: কখন?
: যখন তোমাকে পেতে আর ভয় থাকবে না। তোমার সাথে সারাটি জীবন কাটানোর সুযোগ পাবো।
: এসব কি বলছো। আমি তোমার সাথে না থেকে অন্য কার সাথে যাবো?
: বলা যায় না। জীবনে কত কিছু ঘটে যায়।
: এই, তুমি কি অন্য কারো প্রেমে পড়েছো নাকি!
: নাহ আমার দিক থেকে সমস্যা হবে না। তোমার দিক থেকে হতে পারে। হয়ত দেখা যাবে একদিন হুট করে এসে আমাকে বিয়ের কার্ড ধরিয়ে দিয়েছো। তখন এ চোখ বন্ধ রাখাটা কাজ দেবে।
নিহার কথাটা শুনে খারাপ লাগে। কান্না পায়। কোন মতে বলে, যাও তোমার সাথে আর কোন কথা নাই।
নিহা উঠে পড়ে। : তুমি থাকো তোমার চোখ বন্ধ নিয়ে। আমি চলে যাচ্ছি। # ফেবু লিংক ।
....................................................................................
৩০ আগস্ট ২০১৪
-তোমার ওয়ালটা একটু খুলে দিবে?
-কেন?
-আগে দাও না। খোলার পর বলবো।
- নাহ, কোন দুষ্টামির দরকার নেই। তুমি দুষ্টামি করো, অন্যরা মনে করে তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড।
- মনে করলে সমস্যা কি?
- সমস্যা কি মানে! তুমি একজন বিবাহিত নারী। বিবাহিত নারী অন্য জনের গার্লফ্রেন্ড হয় কিভাবে।
-এখানে একটু ভুল হয়ে গেছে। সময়গত ভুল। তোমার সাথে তো বিয়ের পর পরিচয় হয়েছে। বিয়ের আগে পরিচয় হলে তোমারই বউ হতাম।
- হা হা হা।
- হাসো কেন। আর মানুষ মনে করলে করুক। এটা তো আর সত্য না।
- ঠিক আছে। খুলে দিচ্ছি। তবে উল্টাপাল্টা কিছু লিখবে না।
- উল্টা পাল্টা লিখলে কি হয়?
-বললাম না, মানুষ সন্দেহ করে।
- আচ্ছা আচ্ছা। কিছুই লিখবো না। এবার খুশী তো?
- হা খুশী।
- দাড়াও দাড়াও খুশী হওয়ার দরকার নেই। একটা লাইন মাথায় আসছে। একটু ওয়ালটা খুলে দাও। শুধু একটা লাইন লিখবো।
- আবার উল্টা পাল্টা কি মাথায় আসলো?
- শুনো কিছু উল্টা পাল্টা ব্যাপার করে যদি কোন দু:খী কারো অনেক ভালো লাগে তাতে কি খুব ক্ষতি হয়? আমি কি অনেক বেশি উল্টা পাল্টা কাজ করছি? আচ্ছা লাইনটা লিখবো না।
-লিখো লিখো।
- নাহ। একদিন আমি ঠিকই আর তোমাকে ডিস্টার্ব করবো না। তখন অনেক শান্তিতে থাকবে।
- ধ্যাৎ, উল্টা পাল্টা কথা বলো কেন?
- আমার সব কথা উল্টা পাল্টা, তাই না?
মেয়েটি ওয়ালে লিখে, একটা সবুজ লাইট কারো সারা পৃথিবীকে কখনো কখনো আলোকিত করে দেয়।
ছেলেটি প্রশ্ন করে, এটা কি লিখলে?
- জুকারবার্গকে জিজ্ঞেস করো গিয়ে। আমি জানি না............. ওপাশের সবুজ লাইটটি নিভে যায়।
# ফেবু লিংক
ছেলেটি প্রশ্ন করে, এটা কি লিখলে?
- জুকারবার্গকে জিজ্ঞেস করো গিয়ে। আমি জানি না............. ওপাশের সবুজ লাইটটি নিভে যায়।
# ফেবু লিংক