গল্প : ০১
৩ সেপ্টেম্বর হোয়াটস অ্যাপে নক এলো গ্রামীণ একটা নম্বার থেকে।
- কি অবস্থা?
নাম্বারটা চিনতে পারলাম না। কিন্তু উত্তর তো দেয়াই যায়। উত্তর দিলাম- ভালো, আপনার?
৩ সেপ্টেম্বর হোয়াটস অ্যাপে নক এলো গ্রামীণ একটা নম্বার থেকে।
- কি অবস্থা?
নাম্বারটা চিনতে পারলাম না। কিন্তু উত্তর তো দেয়াই যায়। উত্তর দিলাম- ভালো, আপনার?
-এত ভদ্র হলেন কবে থেকে?
-কে?
-চিনেন না আপনি আমাকে?
বললাম, শুধু নাম্বার দেখাচ্ছে।
ওই পাশ থেকে উত্তর এলো, তাহলে শুধু নাম্বার দেখতে থাকেন.....
আমি ভদ্র ছেলের মত উত্তরে লিখলাম : জ্বী।
ওই পাশ থেকে ইংলিশ অক্ষর ‘H’ লেখা আসলো।
প্রশ্ন বোধক চিহ্ন লিখে পাঠালাম।
প্রশ্নবোধক চিহ্নকে পাত্তাতো দিলোই না উল্টা লিখে পাঠালো “I’
বুঝলাম উনি আমাকে ইংরেজি অক্ষর শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছেন । তাই বাধ্য ছাত্রের মত ‘J’ লিখে দিলাম। যাতে বুঝে নেয় আমি এসব পারি। আমাকে শেখাতে হবে না এগুলো।
লাভ হলো না। বুঝতে পারলো না অক্ষরগুলো আমার শেখা। K লিখে পাঠালো।
এবার হা হা হা করে হেসে ফেললাম। বুঝাতে না পারার অসহায় হাসি।
তারপর লিখলাম ; আচ্ছা ভাই আপনার কি নাম নেই?
- নাহ নেই, আপনি আমাকে চিনলেন না... কষ্ট পাইলাম... আমার নাম্বার আপনার কাছে নেই সেভ নাই.. বিলিভ হচ্ছে না।
বললাম, এটা অন্য মোবাইল। এখানে সব নাম্বার সেভ নাই। কি নাম বলে দিতে কি সমস্যা এটা বুঝলাম না।
লিখে পাঠালো : আছে সমস্যা।
ওইটা দেখে আজ সকালে ok লিখে পাঠালাম। সেন্ড করার একটু পর আগের চ্যাট হিস্টোরি পড়তে লাগলাম।
সন্দেহ হলো পরিচিত কেউ! যা-কে আপনি বলায় আমাকে ভদ্র বানিয়ে দিয়েছেন!
ফোন দিবো কিনা ভাবতেছিলাম। ভাবতে ভাবতে কিছুক্ষণ আগে ফোন দিয়ে বসলাম। ওপাশ থেকে হ্যালো শব্দটা ভেসে আসলো।
অতীব ভদ্র বালকের ন্যায় জিজ্ঞাসা করলাম, কে বলছেন?
: মুন্নাইয়া...... তুই আমাকে চিনিস না?
এবার গলাটা চিনতে পারলাম। ক্লাস ফ্রেন্ড। ক্লাসের যে অল্প কয়জন মেয়ে ফ্রেন্ডের সাথে কথা হয় ও একজন।: আরে তুই এটা আগে বলবি না। আমি তো ভাবলাম কে না কে!
: হুম, আননোন নাম্বার পেলে নিজে থেকে ফোন দাও, মেয়েদের নাম্বারের জন্য। নাহ... দাড়া সবাইকে বলতেছি!! চিটাগাং আইস্যা নিই, সবাইরে কমু।
কি অপমান! কি অপমান... এমন অপমান কি জাতি দেখতে চেয়েছিল?
কিঞ্চিত ভয় পেয়ে গেলাম।
তা ভয়েরর ব্যাপারটা বুঝতে না দিয়ে সাহসী কন্ঠস্বরেফোন জায়েজ করার জন্য কিছু যুক্তি দেখালাম। এরপর জিজ্ঞেস করলাম, কি করিস?
: কাপড় ধুই। কাজ করার কিচ্ছু পাচ্ছি না। তাই আপাতত কাপড় ধুচ্ছি।
: খুব ভালো। এতে ব্যায়াম হয়।
ও আরেক কাঠি এগিয়ে যায়। হুম অনেক লাভ আছে। ব্যায়াম হয়, হাত পরিষ্কার হয়, বাথরুম ঝকঝকে হয়।
বন্ধুত্বের সম্পর্কগুলো অনেক আনন্দের।
## ( ফে লিংক )
++++
গল্প : ২
কাল একজন হোয়াটস অ্যাপে অডিও ফাইল পাঠালেন। মোটামুটি বড় ফাইল। দুই মেগাবাইটের ওপর।
বান্দরবানে নেট স্পীডের দুর্দশার কারণে ডাউনলোড হয়নি।
-কে?
-চিনেন না আপনি আমাকে?
বললাম, শুধু নাম্বার দেখাচ্ছে।
ওই পাশ থেকে উত্তর এলো, তাহলে শুধু নাম্বার দেখতে থাকেন.....
আমি ভদ্র ছেলের মত উত্তরে লিখলাম : জ্বী।
ওই পাশ থেকে ইংলিশ অক্ষর ‘H’ লেখা আসলো।
প্রশ্ন বোধক চিহ্ন লিখে পাঠালাম।
প্রশ্নবোধক চিহ্নকে পাত্তাতো দিলোই না উল্টা লিখে পাঠালো “I’
বুঝলাম উনি আমাকে ইংরেজি অক্ষর শেখানোর দায়িত্ব নিয়েছেন । তাই বাধ্য ছাত্রের মত ‘J’ লিখে দিলাম। যাতে বুঝে নেয় আমি এসব পারি। আমাকে শেখাতে হবে না এগুলো।
লাভ হলো না। বুঝতে পারলো না অক্ষরগুলো আমার শেখা। K লিখে পাঠালো।
এবার হা হা হা করে হেসে ফেললাম। বুঝাতে না পারার অসহায় হাসি।
তারপর লিখলাম ; আচ্ছা ভাই আপনার কি নাম নেই?
- নাহ নেই, আপনি আমাকে চিনলেন না... কষ্ট পাইলাম... আমার নাম্বার আপনার কাছে নেই সেভ নাই.. বিলিভ হচ্ছে না।
বললাম, এটা অন্য মোবাইল। এখানে সব নাম্বার সেভ নাই। কি নাম বলে দিতে কি সমস্যা এটা বুঝলাম না।
লিখে পাঠালো : আছে সমস্যা।
ওইটা দেখে আজ সকালে ok লিখে পাঠালাম। সেন্ড করার একটু পর আগের চ্যাট হিস্টোরি পড়তে লাগলাম।
সন্দেহ হলো পরিচিত কেউ! যা-কে আপনি বলায় আমাকে ভদ্র বানিয়ে দিয়েছেন!
ফোন দিবো কিনা ভাবতেছিলাম। ভাবতে ভাবতে কিছুক্ষণ আগে ফোন দিয়ে বসলাম। ওপাশ থেকে হ্যালো শব্দটা ভেসে আসলো।
অতীব ভদ্র বালকের ন্যায় জিজ্ঞাসা করলাম, কে বলছেন?
: মুন্নাইয়া...... তুই আমাকে চিনিস না?
এবার গলাটা চিনতে পারলাম। ক্লাস ফ্রেন্ড। ক্লাসের যে অল্প কয়জন মেয়ে ফ্রেন্ডের সাথে কথা হয় ও একজন।: আরে তুই এটা আগে বলবি না। আমি তো ভাবলাম কে না কে!
: হুম, আননোন নাম্বার পেলে নিজে থেকে ফোন দাও, মেয়েদের নাম্বারের জন্য। নাহ... দাড়া সবাইকে বলতেছি!! চিটাগাং আইস্যা নিই, সবাইরে কমু।
কি অপমান! কি অপমান... এমন অপমান কি জাতি দেখতে চেয়েছিল?
কিঞ্চিত ভয় পেয়ে গেলাম।
তা ভয়েরর ব্যাপারটা বুঝতে না দিয়ে সাহসী কন্ঠস্বরেফোন জায়েজ করার জন্য কিছু যুক্তি দেখালাম। এরপর জিজ্ঞেস করলাম, কি করিস?
: কাপড় ধুই। কাজ করার কিচ্ছু পাচ্ছি না। তাই আপাতত কাপড় ধুচ্ছি।
: খুব ভালো। এতে ব্যায়াম হয়।
ও আরেক কাঠি এগিয়ে যায়। হুম অনেক লাভ আছে। ব্যায়াম হয়, হাত পরিষ্কার হয়, বাথরুম ঝকঝকে হয়।
বন্ধুত্বের সম্পর্কগুলো অনেক আনন্দের।
## ( ফে লিংক )
++++
গল্প : ২
কাল একজন হোয়াটস অ্যাপে অডিও ফাইল পাঠালেন। মোটামুটি বড় ফাইল। দুই মেগাবাইটের ওপর।
বান্দরবানে নেট স্পীডের দুর্দশার কারণে ডাউনলোড হয়নি।
আজ চিটাগাং আসার পর দেখি সে ফাইলটি বিদায় হজ্বের ভাষণের বাংলা অনুবাদ।
হজরত মুহাম্মদ (স,) এর শেষ ভাষণ। বিশ্ব মানবতার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ।
সে বন্ধুর সুবাদে দামি কথাগুলো আবার শোনা হলো।
## ফেবু লিংক , ৩ সেপ্ট১৪
সে বন্ধুর সুবাদে দামি কথাগুলো আবার শোনা হলো।
## ফেবু লিংক , ৩ সেপ্ট১৪