রাতের বেলা একটু দেরিতেই ঘুমালাম। ঈদের আগের দিন বলে একটু আগেই ঘুমানো ছিল। কিন্তু রোজার মধ্যে রাত জাগার মাসব্যাপী অভ্যাসটা হঠাৎ করে পরিবর্তন করতে না পারায় ঘুম আনার চেষ্টা করেও রাত তিনটার আগের ঘুমাতে পারি নাই।
ঈদ আর জন্মদিন যখন একসাথে পড়ে যায় তখন অন্যরকম অনুভূতি। আজকের দিনে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের আনন্দের অনুভূতিময় মাত্রাটা বুঝেছি।
মোবাইলে ইনবক্সে আসা ক্ষুদে বার্তা, ফেসবুকের ওয়ালে-ইনবক্সে উইশ পড়ে ভাল লাগছিল। মোবাইলেও কয়েকজন উইশ করলেন, কথা বলে পুলকিত হচ্ছিলাম। সবচেয়ে ভয়ংকর উইশটি দেখলাম এখনো আমরা বই পড়ি ফেসবুকের এ গ্রুপটাতে (http://www.facebook.com/groups/akhonoamraboipori/)। রাজিন রিসাত ভাই করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আজ কালজয়ী দুর্ধর্ষ গল্পকার, বহু খেতাবের মালিক, যার স্পর্শে লিখার কলম থাকে প্রকম্পিত, যার উজ্জীবনী লেখনীর মর্মস্পর্শী তুঙ্গে জর্জরিত হয় আবেগ আর অনুভূতি এবং যিনি এ গ্রুপের এডমিন Hasan Munna এর জন্মদিন। আসুন তার সুন্দর অতীত আর বর্তমানের কথা ভেবে ভবিষ্যৎকে আলোড়িত করার চেষ্টা করি আর জানাই শুভ জন্মদিন।”
থতমত খেয়ে গেলাম এ ধরণের বিধ্বংসী উইশ দেখে।
জামার কলার খুজতেছিলাম কলার ধরার জন্য। কিন্তু ভাগ্য খারাপ সে মুহূর্তে গেঞ্জি পড়া ছিলাম।
আসলে সুন্দর একটা দিনের সূচনা। পুরা বছরটা কেমন যাবে জানি না। দোয়া করবেন যাতে ভাল যায়।
ঈদের উইশ, জন্মদিনের উইশ দুইটা পেয়ে আনন্দে আকাশে উড়তেছিলাম। যারা যারা উইশ করলেন সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন।
যেহেতু রাতে দেরি করে ঘুমায়ছি তাই ফজরের নামাজ পড়তে আমাকে ডাকতে আম্মুর একটু বেশি সময়ই লাগল। মসজিদে গেলাম। দেখি নামাজ তখনো ১৫ মিনিট বাকী। সুন্নাত নামাজ পড়ে বসে আছি। ইমামের দেখা নাই। পাড়ার মসজিদ। কয়েকজন মাত্র মুসুল্লী। রোজার সময় যেভাবে গণহারে সবাই নামাজ পড়ত তার অস্বাভাবিক পরিবর্তন হয়ে গেল একদিনের ব্যবধানে। যেখানে একটু দেরি করে গেলেই ছোট্ট মসজিদটাতে দাড়ানোর জায়গা পাওয়া যেত না। বাহিরে দাড়িয়ে থাকতে হত অসহায়ের মত। সেখানে দেখি সর্বকালুল্যে ৫ জন মাত্র মসুল্লী। ঘুম ভাব চোখে ধরে বসে। নড়েচড়ে বসি। আবার ঘুম আসার মত হয়। সাথে সাথে শরীরে নিজেই নিজেকে ঝাকি দিই। এভাবে করতে করতে একসময় নামাজের সময় হয়। ইমাম সাহেব সমধুর গলায় সুরা তেলাওয়াত করে যান। এসময় দেখি মোবাইলের রিংটোন অল্প আওয়াজ ভেসে বাজে। একটু আতঙ্কগ্রস্থ হই। আমার মোবাইল নাতো! নাহ, মনে পড়ে মোবাইলই আনি নাই। কিছুক্ষণ পর শব্দের উৎস বুঝতে গিয়ে টের পেলাম ইমামের মোবাইলটিতেই রিংটোন বাজছে!
এসে কিছুক্ষণ ফেসবুকে বসা। আমি যে রুমে ঘুমায় সে রুম সুন্দর ভাবে পরিপাটি করা হয়েছে। তাই সেখানে শোওয়ার অনুমতি দিলো না ছোট বোন দুইটি। তাই বাধ্য হয়ে কম্পিউটার রুমেই শুয়ে পড়লাম।
আম্মুর ডাকাডাকিতে দ্বিতীয় দফা ঘুম ভাঙল। ঈদের নামাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে, সবাই নামাজ পড়তে চলে গেছে এসব বলে আম্মু ঘুম ভাঙালেন। উঠে গোসল করে ঈদের নামাজ পড়তে বের হলাম।
বান্দরবানের ঈদগাহ ময়দান। দেখি এর মধ্যেই পরিপূর্ণ হয়ে গেছে প্যান্ডেলের ভেতরের জায়গা। কি আর করা। তিন বন্ধু মিলে ফাকে ঢুকে পড়লাম। ভরসা দাড়ালে জায়গা হয়ে যাবে। সমস্যা নাই। সমস্যা হয়নি। ইমাম সাহেব কাতার দাড় করার ঘোষণা দিতেই আমাদের জায়গা হয়ে গেল। তবে যারা প্যান্ডেলের বাহিরে ছিল তাদের একটু সমস্যা হয়েছে বটে। পরে শুনলাম এক বন্ধু চটের মধ্যে জায়গা পায় নি। তা কি আর করা। বুদ্ধিমান বন্ধুটি যেসব পতাকা লাগানো হয়েছে সেগুলো একটা খুলে জায়নামাজ বানিয়ে ফেলল। তার বুদ্ধি দেখে আরো কয়েকজন একই কাজ করছে। পরে দেখা গেলো পতাকার বাশগুলোই শুধু আছে কিন্তু কোন পতাকা নাই।
জেলা প্রশাসক শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখলেন। তবে একটা ফাইল থেকে দেখে দেখে। শুভেচ্ছা বক্তব্য কি দেখে দেখে দেয়া হয়? এখন কি নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে? অন্যান্য জায়গায়ও কি দেখে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছে?
নামাজের শেষে ইমামের একটা কথা নির্মল উত্তেজনা সৃষ্টি করে। অনেকেই চিল্লায় উঠে ঠিক ঠিক। ঠিক বলছেন। ইমাম সাহেব বললেন, এ ঈদের জামাতে শুধু সামনের সারিতে ফ্যান দেওয়া হয়েছে। যারা পিছে আছে তারা ভাবতে পারেন সামনের কাতারে সব ধনীরা দাড়ায়, সেজন্যই শুধু সামনের কাতারে ফ্যান। যারা এ ঈদগাহের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন আশা করবো তারা ফ্যান সব দিকে ব্যবস্থা করবেন।
ভাল একটা কথা বললেন। ইমাম সাহেবকে ধন্যবাদ।
নামাজের পর কবর জেয়ারত করে বাসায় ফিরলাম। সেখান থেকে বের হয়ে বন্ধুদের সাথে ঘোরা। এরপর বিকালের দিকে বাসায় ফেরত। ছোট বোন দুইটা সালামি দাবি করে বসলো। দিলাম। ওরা খুশীতে একটা হাসি দিল। দেখে অনেক ভাল লাগল।
সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবেই কাটলো ঈদের প্রথম দিন।
সবাইকে ঈদ মোবারক....... একটু দেরি হয়ে গেলো।
ঈদ আর জন্মদিন যখন একসাথে পড়ে যায় তখন অন্যরকম অনুভূতি। আজকের দিনে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের আনন্দের অনুভূতিময় মাত্রাটা বুঝেছি।
মোবাইলে ইনবক্সে আসা ক্ষুদে বার্তা, ফেসবুকের ওয়ালে-ইনবক্সে উইশ পড়ে ভাল লাগছিল। মোবাইলেও কয়েকজন উইশ করলেন, কথা বলে পুলকিত হচ্ছিলাম। সবচেয়ে ভয়ংকর উইশটি দেখলাম এখনো আমরা বই পড়ি ফেসবুকের এ গ্রুপটাতে (http://www.facebook.com/groups/akhonoamraboipori/)। রাজিন রিসাত ভাই করেছেন। তিনি লিখেছেন, “আজ কালজয়ী দুর্ধর্ষ গল্পকার, বহু খেতাবের মালিক, যার স্পর্শে লিখার কলম থাকে প্রকম্পিত, যার উজ্জীবনী লেখনীর মর্মস্পর্শী তুঙ্গে জর্জরিত হয় আবেগ আর অনুভূতি এবং যিনি এ গ্রুপের এডমিন Hasan Munna এর জন্মদিন। আসুন তার সুন্দর অতীত আর বর্তমানের কথা ভেবে ভবিষ্যৎকে আলোড়িত করার চেষ্টা করি আর জানাই শুভ জন্মদিন।”
থতমত খেয়ে গেলাম এ ধরণের বিধ্বংসী উইশ দেখে।
জামার কলার খুজতেছিলাম কলার ধরার জন্য। কিন্তু ভাগ্য খারাপ সে মুহূর্তে গেঞ্জি পড়া ছিলাম।
আসলে সুন্দর একটা দিনের সূচনা। পুরা বছরটা কেমন যাবে জানি না। দোয়া করবেন যাতে ভাল যায়।
ঈদের উইশ, জন্মদিনের উইশ দুইটা পেয়ে আনন্দে আকাশে উড়তেছিলাম। যারা যারা উইশ করলেন সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন।
যেহেতু রাতে দেরি করে ঘুমায়ছি তাই ফজরের নামাজ পড়তে আমাকে ডাকতে আম্মুর একটু বেশি সময়ই লাগল। মসজিদে গেলাম। দেখি নামাজ তখনো ১৫ মিনিট বাকী। সুন্নাত নামাজ পড়ে বসে আছি। ইমামের দেখা নাই। পাড়ার মসজিদ। কয়েকজন মাত্র মুসুল্লী। রোজার সময় যেভাবে গণহারে সবাই নামাজ পড়ত তার অস্বাভাবিক পরিবর্তন হয়ে গেল একদিনের ব্যবধানে। যেখানে একটু দেরি করে গেলেই ছোট্ট মসজিদটাতে দাড়ানোর জায়গা পাওয়া যেত না। বাহিরে দাড়িয়ে থাকতে হত অসহায়ের মত। সেখানে দেখি সর্বকালুল্যে ৫ জন মাত্র মসুল্লী। ঘুম ভাব চোখে ধরে বসে। নড়েচড়ে বসি। আবার ঘুম আসার মত হয়। সাথে সাথে শরীরে নিজেই নিজেকে ঝাকি দিই। এভাবে করতে করতে একসময় নামাজের সময় হয়। ইমাম সাহেব সমধুর গলায় সুরা তেলাওয়াত করে যান। এসময় দেখি মোবাইলের রিংটোন অল্প আওয়াজ ভেসে বাজে। একটু আতঙ্কগ্রস্থ হই। আমার মোবাইল নাতো! নাহ, মনে পড়ে মোবাইলই আনি নাই। কিছুক্ষণ পর শব্দের উৎস বুঝতে গিয়ে টের পেলাম ইমামের মোবাইলটিতেই রিংটোন বাজছে!
এসে কিছুক্ষণ ফেসবুকে বসা। আমি যে রুমে ঘুমায় সে রুম সুন্দর ভাবে পরিপাটি করা হয়েছে। তাই সেখানে শোওয়ার অনুমতি দিলো না ছোট বোন দুইটি। তাই বাধ্য হয়ে কম্পিউটার রুমেই শুয়ে পড়লাম।
আম্মুর ডাকাডাকিতে দ্বিতীয় দফা ঘুম ভাঙল। ঈদের নামাজ শেষ হয়ে যাচ্ছে, সবাই নামাজ পড়তে চলে গেছে এসব বলে আম্মু ঘুম ভাঙালেন। উঠে গোসল করে ঈদের নামাজ পড়তে বের হলাম।
বান্দরবানের ঈদগাহ ময়দান। দেখি এর মধ্যেই পরিপূর্ণ হয়ে গেছে প্যান্ডেলের ভেতরের জায়গা। কি আর করা। তিন বন্ধু মিলে ফাকে ঢুকে পড়লাম। ভরসা দাড়ালে জায়গা হয়ে যাবে। সমস্যা নাই। সমস্যা হয়নি। ইমাম সাহেব কাতার দাড় করার ঘোষণা দিতেই আমাদের জায়গা হয়ে গেল। তবে যারা প্যান্ডেলের বাহিরে ছিল তাদের একটু সমস্যা হয়েছে বটে। পরে শুনলাম এক বন্ধু চটের মধ্যে জায়গা পায় নি। তা কি আর করা। বুদ্ধিমান বন্ধুটি যেসব পতাকা লাগানো হয়েছে সেগুলো একটা খুলে জায়নামাজ বানিয়ে ফেলল। তার বুদ্ধি দেখে আরো কয়েকজন একই কাজ করছে। পরে দেখা গেলো পতাকার বাশগুলোই শুধু আছে কিন্তু কোন পতাকা নাই।
জেলা প্রশাসক শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখলেন। তবে একটা ফাইল থেকে দেখে দেখে। শুভেচ্ছা বক্তব্য কি দেখে দেখে দেয়া হয়? এখন কি নিয়ম পরিবর্তন হয়েছে? অন্যান্য জায়গায়ও কি দেখে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছে?
নামাজের শেষে ইমামের একটা কথা নির্মল উত্তেজনা সৃষ্টি করে। অনেকেই চিল্লায় উঠে ঠিক ঠিক। ঠিক বলছেন। ইমাম সাহেব বললেন, এ ঈদের জামাতে শুধু সামনের সারিতে ফ্যান দেওয়া হয়েছে। যারা পিছে আছে তারা ভাবতে পারেন সামনের কাতারে সব ধনীরা দাড়ায়, সেজন্যই শুধু সামনের কাতারে ফ্যান। যারা এ ঈদগাহের ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে আছেন আশা করবো তারা ফ্যান সব দিকে ব্যবস্থা করবেন।
ভাল একটা কথা বললেন। ইমাম সাহেবকে ধন্যবাদ।
নামাজের পর কবর জেয়ারত করে বাসায় ফিরলাম। সেখান থেকে বের হয়ে বন্ধুদের সাথে ঘোরা। এরপর বিকালের দিকে বাসায় ফেরত। ছোট বোন দুইটা সালামি দাবি করে বসলো। দিলাম। ওরা খুশীতে একটা হাসি দিল। দেখে অনেক ভাল লাগল।
সন্ধ্যা পর্যন্ত এভাবেই কাটলো ঈদের প্রথম দিন।
সবাইকে ঈদ মোবারক....... একটু দেরি হয়ে গেলো।