সারাদিনের ধকল
মুছার চেষ্টা করছে আহাদ। ওর মুছার চেষ্টাটা একটু অদ্ভূত। একটু অন্যরকম। সারাদিন পরিশ্রমের
পর যখন নেটে বসে তখন তার সকল অবসাদ
দূর হয়ে যায়। নেট বলতে ব্লগ। একটা ব্লগে সে বসে। অনেক ভাল লাগে সময়গুলো।
ছোট কালে গল্প লিখত। অনেক দিন ক্যারিয়ারের চিন্তায় বিভিন্ন জায়গায় ব্যস্ত থাকায় লেখালেখির অভ্যাসটা ভুলতেই বসেছিল। ব্লগে যোগ দেওয়ার পর সে নেশাটা আবার জেগে উঠেছে। ব্লগে লিখে সে। অন্যদের লেখা পড়ে।
মা ডাক দেন, আহাদ খেতে আয়।
: আসছি মা।
আহাদ দ্রুত কি বোর্ড চাপতে থাকে। অনেক মন্তব্য এসে জমা হয়েছে। সেগুলো উত্তর দিতে হবে। উত্তর দেয়।
কিছুক্ষণ পর মা আবার ডাক দেয়, আহাদ তাড়াতাড়ি আয়।
: এইতো মা আসছি।
: তুই তো অনেক আগে থেকেই আসছিস, ভাত যে ঠান্ডা হয়ে এলো। সারাদিন অফিস করলি। এখন ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়ার পর ঘুমাবি তা না। বসে পড়েছিস নেটে।
আহাদ আরো কয়েকটা উত্তর দিয়ে ভাত খেতে আসে। গ্রোগাসে খেতে থাকে ভাত। অতি দ্রুত।
যত তাড়াতাড়ি খাচ্ছে তা দেখে মা বলেন, এভাবে খাচ্ছিস যে গলায় আটকাবে তো।
সেদিকে খেয়াল নেই আহাদের। তাড়াতাড়ি খেয়ে ব্লগে বসতে পারলেই হলো।
##০২##
হাতে আছে বিশ
মিনিট। না ঘুমাতে যাওয়ার জন্য নয়। কিংবা লোডশেডিংয়ের আগত হওয়ার সম্ভাবনা কাছে এসেছে তাও কিন্তু নয়। লোডশেডিংয়ের সমস্যা কোন সমস্যা নয়। ল্যাপটপে ব্লগিং করে। তাছাড়া পুরা ঘর জুড়ে আছে শক্তিশালী আইপি
এস। তাছাড়া লোডশেডিং যে হয় এটাই বুঝা যায় না। ফ্যানের স্প্রিড বেড়ে গেলে লাইটের উজ্জ্বলতা বাড়লে তবেই ধরে নিতে হয়
লোডশেডিং হয়েছে।
মা ঘুমাতে চলে গেছেন। যাওয়ার আগে প্রতিদিনের মত বলে গেছেন, রাত জাগিস না, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়িস। রাত জাগলে শরীর খারাপ করবে।
প্রতিদিনই শুনে আহাদ। কিন্তু ব্লগিং নেশার কারণে ঘুমটাকে বড় তুচ্ছ মনে হয়। তাই মা র কথা এই একটা দিকে শুনে না। অন্য ক্ষেত্রে মা-র বলা সব কথা রাখার চেষ্টা করে।
দ্রুত কিবোর্ডের আঙুল চেপে যাচ্ছে। হাতে সময় কম। কলমের সাথে অদ্ভূত পার্থক্য এই কি বোর্ডের। অথচ দুইটারই কাজ একই। মনের ভাব কিংবা ইচ্ছাকৃত কথাগুলো ফুটিয়ে তোলা। কলম কালির উপর নির্ভর শীল। আর কি বোর্ড নির্ভরশীল বিদ্যুতের উপর। তবে একদিকে মনে হয় কলম অনেক বেশি স্বাধীন কিবোর্ডের চেয়ে।
এত কিছু চিন্তার কাজ নেই। নতুন কয়েকজনের কবিতা পড়ে মন্তব্য করে আহাদ। চলছে মন্তব্য।
এইসময় বেজে উঠে ভাইব্রেশন। ঘড়ির দিকে তাকায়। এক মিনিট আগেই ফোন দিয়েছে।
রিসিভ করে।
ঐ পাশ থেকে ফাবিহা জিঙ্গেস করে, কি করছ?
প্রশ্ন করেই সাথে সাথে বলে, সরি।
আহাদ একটু অবাক হয়। কি করছ এটা জিঙ্গেস করে আবার সরি বলার অর্থটা কি? কি আজব! কিছু জানতে চাইলে সরি বলতে হবে কেন?
তাই জিঙ্গেস করে বসে,সরি কিজন্য?
: তুমি কি করছো সেটাতো আমি জানি ঐই ব্লগ না ফ্লগ ঐটাতেই আছো। তারপরও ভুলে জিঙ্গেস করে ফেললাম, এজন্যই সরি।
হেসে উঠে আহাদ। ব্লগ না ফ্লগ এই কথাটা বলার ভঙ্গি দেখে।
: খবরদার হাসবে না।
: কেন কেন?
: তুমি হাসলে, তোমার হাসি শুনলে আমার রাগ কমে যায়। আমি রাগ কমাতে চাচ্ছি না।
: ঠিক আছে হাসি বন্ধ করলাম। গম্ভীর ভাব ধরলাম। তবে রাগ করছো কেন?
: রাগ করছি কেন মানে? রাগ কেন করব না, এটা জিঙ্গেস না করে জিঙ্গেস করে রাগ করছি কেন? বাসায় এসেই ফোন দেওয়ার কথা ছিল সেটা দিলে না। এতক্ষণ সময় গেল একবারও জানালে না। আমি ভাবছিলাম আর ফোন দেব না। ব্লগ ফ্লগ নিয়ে পড়ে থাকে সেভাবেই পড়ে থাকে।
আহাদের মনে পড়ে, হ্যা বাসায় পৌঁছেই ফোন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্লগের বসে ভুলে গেছে তা।
: সরি সরি সরি।
সরি বললে হবে না। হাসি দাও। তখন থেকে গম্ভীর হয়ে আছো।
আহাদ একটু ভাব ধরে, তুমি না হাসতে মানা করছো।
: এখন হাসতে বলছি, হাসো।
: আরে এখন হাসলে তো তা অভিনয় হবে। মন থেকে হবে না। কৃত্রিম হাসি হবে। কৃত্রিম হাসবো।
: না না, কৃত্রিম হাসির দরকার নেই। যখন মন থেকে হাসি আসবে তখন হাসলেই চলবে। আচ্ছা আমি এখন রাখছি।
: ঠিক আছে, ভালো থেকো।
ফাবিহার বজ্র কন্ঠ এবার শুনা যায়।
: ঠিক আছে মানে? আমি রেখে দিবো আর তুমি আবার ব্লগে ঝাপিয়ে পড়বা তাই না? না সেটা হচ্ছে না। আজ সারা রাত কথা বলব। দেখি তুমি ব্লগে বসো কেমনে?
মা ঘুমাতে চলে গেছেন। যাওয়ার আগে প্রতিদিনের মত বলে গেছেন, রাত জাগিস না, তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়িস। রাত জাগলে শরীর খারাপ করবে।
প্রতিদিনই শুনে আহাদ। কিন্তু ব্লগিং নেশার কারণে ঘুমটাকে বড় তুচ্ছ মনে হয়। তাই মা র কথা এই একটা দিকে শুনে না। অন্য ক্ষেত্রে মা-র বলা সব কথা রাখার চেষ্টা করে।
দ্রুত কিবোর্ডের আঙুল চেপে যাচ্ছে। হাতে সময় কম। কলমের সাথে অদ্ভূত পার্থক্য এই কি বোর্ডের। অথচ দুইটারই কাজ একই। মনের ভাব কিংবা ইচ্ছাকৃত কথাগুলো ফুটিয়ে তোলা। কলম কালির উপর নির্ভর শীল। আর কি বোর্ড নির্ভরশীল বিদ্যুতের উপর। তবে একদিকে মনে হয় কলম অনেক বেশি স্বাধীন কিবোর্ডের চেয়ে।
এত কিছু চিন্তার কাজ নেই। নতুন কয়েকজনের কবিতা পড়ে মন্তব্য করে আহাদ। চলছে মন্তব্য।
এইসময় বেজে উঠে ভাইব্রেশন। ঘড়ির দিকে তাকায়। এক মিনিট আগেই ফোন দিয়েছে।
রিসিভ করে।
ঐ পাশ থেকে ফাবিহা জিঙ্গেস করে, কি করছ?
প্রশ্ন করেই সাথে সাথে বলে, সরি।
আহাদ একটু অবাক হয়। কি করছ এটা জিঙ্গেস করে আবার সরি বলার অর্থটা কি? কি আজব! কিছু জানতে চাইলে সরি বলতে হবে কেন?
তাই জিঙ্গেস করে বসে,সরি কিজন্য?
: তুমি কি করছো সেটাতো আমি জানি ঐই ব্লগ না ফ্লগ ঐটাতেই আছো। তারপরও ভুলে জিঙ্গেস করে ফেললাম, এজন্যই সরি।
হেসে উঠে আহাদ। ব্লগ না ফ্লগ এই কথাটা বলার ভঙ্গি দেখে।
: খবরদার হাসবে না।
: কেন কেন?
: তুমি হাসলে, তোমার হাসি শুনলে আমার রাগ কমে যায়। আমি রাগ কমাতে চাচ্ছি না।
: ঠিক আছে হাসি বন্ধ করলাম। গম্ভীর ভাব ধরলাম। তবে রাগ করছো কেন?
: রাগ করছি কেন মানে? রাগ কেন করব না, এটা জিঙ্গেস না করে জিঙ্গেস করে রাগ করছি কেন? বাসায় এসেই ফোন দেওয়ার কথা ছিল সেটা দিলে না। এতক্ষণ সময় গেল একবারও জানালে না। আমি ভাবছিলাম আর ফোন দেব না। ব্লগ ফ্লগ নিয়ে পড়ে থাকে সেভাবেই পড়ে থাকে।
আহাদের মনে পড়ে, হ্যা বাসায় পৌঁছেই ফোন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্লগের বসে ভুলে গেছে তা।
: সরি সরি সরি।
সরি বললে হবে না। হাসি দাও। তখন থেকে গম্ভীর হয়ে আছো।
আহাদ একটু ভাব ধরে, তুমি না হাসতে মানা করছো।
: এখন হাসতে বলছি, হাসো।
: আরে এখন হাসলে তো তা অভিনয় হবে। মন থেকে হবে না। কৃত্রিম হাসি হবে। কৃত্রিম হাসবো।
: না না, কৃত্রিম হাসির দরকার নেই। যখন মন থেকে হাসি আসবে তখন হাসলেই চলবে। আচ্ছা আমি এখন রাখছি।
: ঠিক আছে, ভালো থেকো।
ফাবিহার বজ্র কন্ঠ এবার শুনা যায়।
: ঠিক আছে মানে? আমি রেখে দিবো আর তুমি আবার ব্লগে ঝাপিয়ে পড়বা তাই না? না সেটা হচ্ছে না। আজ সারা রাত কথা বলব। দেখি তুমি ব্লগে বসো কেমনে?
##০৩##
কথাটা শুনে আহাদ
একটু ভয় পায়। সারা রাত কথা বলতে হবে মানে? তাহলে তো ব্লগে বসাই যাবে না। অথচ অনেক মন্তব্যের উত্তর দেওয়া বাকী। যাদের উত্তর দেওয়া হয় নি তারা কি ভাববে। তারা তো ফাবিহার কথা জানে না। মনে করবে ইচ্ছাকৃত উত্তর দেওয়া হয় নি।
চুপ থাকে আহাদ।
ঐ পাশ থেকে ফাবিহার গলা শুনা যায়, চুপ কেন!! কি ভয় পেয়ে গেছো তাই না? আমি যদি এখন তোমার সামনে থাকতাম তবে ল্যাপটপটা আছাড় মেরে ভাঙতাম।
আহাদ কথাটা শুনে ল্যাপটপের দিকে তাকায়। ল্যাপটপ ঠিক ঠাক আছে তো।
ফাবিহা যে জেদী মেয়ে সে যা বলে তা করে ছাড়ে। এখন সাথে থাকলে নিশ্চিত ল্যাপটপটা আছাড় মেরে ভাঙত। জিনিষ ভাঙার রেকর্ড ওর অনেক আছে। নিজের মোবাইলই তিনটা ভেঙেছে এ পর্যন্ত। দুইটা ভাঙার জন্য আহাদই দায়ী।
এই মেয়ের সাথে বিয়ে হলে তো ব্লগিং করতে হবে আড়ালে। বুদ্ধি পেয়ে যায় আহাদ। ল্যাপটপটা লুকিয়ে বাথরুমে নিয়ে যাবে। দরজা বন্ধ করবে। বেসিনের উপর রাখবে ল্যাপটপটা। তারপর বসে বসে ব্লগিং করবে। এরকম বুদ্ধি আবিষ্কার করে খুব উচ্ছাসিত আহাদ। নিজেকে অনেক বুদ্ধিমান মনে হয় তার।
: কি হলো চুপ কেন? আমি তো সাথে নাই। সো তোমার ল্যাপটপ অক্ষত আছে। তারপরও চুপ কেন?
আহাদ জোর করে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে।
আমতা আমতা করে বলে, ঠিক আছে, ঠিক আছে?
ফাবিহা বিরক্ত হয়।
: আশ্চর্য ব্যাপারতো। কি ঠিক আছে। এরকম আমতা আমতা করছো কেন?
কই আমতা আমতা করছি, রাত জেগে কথা বলব। সমস্যা নেই।
আহাদের আমতা আমতা আরো বাড়ে।
: রাত জেগে কথা বলবা মানে?
: তুমি না বললা রাত জেগে কথা বলবে?
: আমার আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, তোমার সাথে রাত জেগে কথা বলব। ঘুম আমার অনেক প্রিয়। ঘুম যাবো। তোমার কাছে যেমন ব্লগ প্রিয় আমার কাছে তেমন ঘুম প্রিয়।
আশ্বস্ত হয় আহাদ। যাক ব্লগিং করা যাবে। খুশিতে ওর লাফাতে ইচ্ছা করে। কিন্তু লাফ দেওয়া যাবে না, ঐ পাশ থেকে টের পেলে খবর আছে। ফাবিহা শেষে অন্য কাজ দিয়ে রাখবে।
: আচ্ছা ফাবিহা একটা বলব।
: হ্যা বলো, তাড়াতাড়ি বলো। ঘুম আসছে। ফোন রাখবো।
: তুমি অনেক অনেক ভাল।
: আমি ভাল!! তাই নাকি? জানতাম না তো। পাম্প দেওয়া তো ভালোই শিখছো।
আহাদ হেসে ফেলে।
হাসি শুনে ফাবিহার অনেক ভাল লাগে। আর কথা বলা যাবে না। হাসি শুনে মনের মধ্যে যে সুন্দর একটা আবহ তৈরি হয়েছে সেটা নিয়েই ঘুমিয়ে পড়তে হবে। অনেক ভাল ঘুম হবে।
: আচ্ছা রাখছি। বাই।
আহাদকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন রেখে দেয় ফাবিহা।
চুপ থাকে আহাদ।
ঐ পাশ থেকে ফাবিহার গলা শুনা যায়, চুপ কেন!! কি ভয় পেয়ে গেছো তাই না? আমি যদি এখন তোমার সামনে থাকতাম তবে ল্যাপটপটা আছাড় মেরে ভাঙতাম।
আহাদ কথাটা শুনে ল্যাপটপের দিকে তাকায়। ল্যাপটপ ঠিক ঠাক আছে তো।
ফাবিহা যে জেদী মেয়ে সে যা বলে তা করে ছাড়ে। এখন সাথে থাকলে নিশ্চিত ল্যাপটপটা আছাড় মেরে ভাঙত। জিনিষ ভাঙার রেকর্ড ওর অনেক আছে। নিজের মোবাইলই তিনটা ভেঙেছে এ পর্যন্ত। দুইটা ভাঙার জন্য আহাদই দায়ী।
এই মেয়ের সাথে বিয়ে হলে তো ব্লগিং করতে হবে আড়ালে। বুদ্ধি পেয়ে যায় আহাদ। ল্যাপটপটা লুকিয়ে বাথরুমে নিয়ে যাবে। দরজা বন্ধ করবে। বেসিনের উপর রাখবে ল্যাপটপটা। তারপর বসে বসে ব্লগিং করবে। এরকম বুদ্ধি আবিষ্কার করে খুব উচ্ছাসিত আহাদ। নিজেকে অনেক বুদ্ধিমান মনে হয় তার।
: কি হলো চুপ কেন? আমি তো সাথে নাই। সো তোমার ল্যাপটপ অক্ষত আছে। তারপরও চুপ কেন?
আহাদ জোর করে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করে।
আমতা আমতা করে বলে, ঠিক আছে, ঠিক আছে?
ফাবিহা বিরক্ত হয়।
: আশ্চর্য ব্যাপারতো। কি ঠিক আছে। এরকম আমতা আমতা করছো কেন?
কই আমতা আমতা করছি, রাত জেগে কথা বলব। সমস্যা নেই।
আহাদের আমতা আমতা আরো বাড়ে।
: রাত জেগে কথা বলবা মানে?
: তুমি না বললা রাত জেগে কথা বলবে?
: আমার আর খেয়ে দেয়ে কাজ নেই, তোমার সাথে রাত জেগে কথা বলব। ঘুম আমার অনেক প্রিয়। ঘুম যাবো। তোমার কাছে যেমন ব্লগ প্রিয় আমার কাছে তেমন ঘুম প্রিয়।
আশ্বস্ত হয় আহাদ। যাক ব্লগিং করা যাবে। খুশিতে ওর লাফাতে ইচ্ছা করে। কিন্তু লাফ দেওয়া যাবে না, ঐ পাশ থেকে টের পেলে খবর আছে। ফাবিহা শেষে অন্য কাজ দিয়ে রাখবে।
: আচ্ছা ফাবিহা একটা বলব।
: হ্যা বলো, তাড়াতাড়ি বলো। ঘুম আসছে। ফোন রাখবো।
: তুমি অনেক অনেক ভাল।
: আমি ভাল!! তাই নাকি? জানতাম না তো। পাম্প দেওয়া তো ভালোই শিখছো।
আহাদ হেসে ফেলে।
হাসি শুনে ফাবিহার অনেক ভাল লাগে। আর কথা বলা যাবে না। হাসি শুনে মনের মধ্যে যে সুন্দর একটা আবহ তৈরি হয়েছে সেটা নিয়েই ঘুমিয়ে পড়তে হবে। অনেক ভাল ঘুম হবে।
: আচ্ছা রাখছি। বাই।
আহাদকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন রেখে দেয় ফাবিহা।