বাংলাদেশে রাত তখন ১ টা ১৩। তারিখ ২মার্চ, ২০১০।
সেসময় মোবাইলে ভাইব্রেশন। তীব্র ভাইব্রেশনের কারণে টেবিল কাঁপছে। দেখলাম আননোন নাম্বার। এত রাতে আবার কে? ধরলাম ফোন।
আপনি কি...................। মজার ব্যাপার হচ্ছে যার নাম বলা হচ্ছে আমি তা না। ইদানিং অনেকেই এটা জিজ্ঞেস করে আপনি কি ........। যদিও আমার নাম ঐইটা না। তারপরও বলতে হয় জ্বী আমি............। ওদের কি দোষ দেব যে লেখাটি পড়ে ফোন দেয় সেখানে যে আমার ছদ্ম নাম হিসাবে সেটাই দেওয়া হয়েছে। আমার ঐ লেখাটা পড়ে উৎসাহ দিয়ে, আবেগীয় ভালোবাসা দিয়ে, পরামর্শ দিয়ে ৬০ জনের উপর ফোন করেছে। এমনকি দেশের বাহিরে থেকেও। সবাই ছেলে। প্রথম কোন মহিলা পাঠক ফোন করলেন কাল।
নারীর কন্ঠস্বর। প্রথমেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন, ভালোবাসা সংখ্যায় ভালোবাসার গল্প না লিখে এটা কি লিখলেন? একটু হোঁচট খেলাম।
বললাম, আপনি তো আমার লেখাটা না পড়লেও পারতেন। ঐখানে ভালোবাসা নিয়ে একশর উপরে গল্প আছে।
বলল, আপনি কি রাগ করছেন?
বললাম, না রাগ করি নাই, তবে লেখাটা না পড়লেও তো পারতেন।
এরপর জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা আপনি এত বেরসিক কেন? লেখকরা বুঝি বেরসিক হয়?
বললাম, আরে আমি লেখক হলাম কিভাবে? লেখকরা বেরসিক হতে যাবে কেন? অন্য লেখার লেখকদের সাথে আপনি ফোন করে দেখেন, তারা আপনার সাথে অনেক মজা করে কথা বলবে।
: যারা অতি উৎসাহী হয়ে কথা বলে তাদের আমার ভালো লাগে না।
শুদ্ধ ভাষায় কথা বলছিলেন। তারপরও কথার টানে চিটাগাংয়ের আঞ্চলিকতা গন্ধ এড়াতে পারেননি দেখে বললাম, আপনি কি চিটাগাং থেকে ফোন করেছেন?
: কেমনে জানলেন?
বলে দিলাম কেমনে বুঝলাম। আমার পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলেন। বললাম, বলতে চাচ্ছি না।
তা শুনে বলল, আপনি এত ভয় পান কেন? আমি আপনার বাসায় বেড়াতে এসে যাবো না, এটা নিশ্চিত। আপনি জানতে চাইলে আমি আমার নাম, আমার বাবার নাম, মা-র নাম, ভাইবোনের নাম, বাড়ী কই সব বলে দেব। হা হা হা।
একটা ওয়েব সাইটের নাম বলে জিজ্ঞাসা করল, এখানে একটা অফার আছে, তা কতটুকু সত্য।
আমি বললাম, তা বোগাস। এগুলো বেশির ভাগই বোগাস। লোভে পড়া কিন্তু অনেক খারাপ।
এর পর তিনি বলা শুরু করলেন, মোবাইলে একজনের সাথে পরিচয় হওয়ার পর তার সাথে এক মার্কেটে দেখা করতে গেছেন। দেখা করতে গিয়ে কি কি কথাবার্তা হয়েছে সব খুলে বললেন। হড় হড় করে সব বলে যাচ্ছেন। একটু পর পর জিজ্ঞেস করছিলেন আমি শুনছিতো।
সেখান থেকে চলে আসার পর ঐ ছেলের আকুতি সম্পর্কে বললেন। বললেন তাকে নাকি ঐ ছেলে বলেছিল, আপনি দেখতে একটা সিরিয়ালে .......... মত।
মাঝে মাঝে জিজ্ঞাসা করছিলেন, আপনি আমার কথায় বিরক্ত হচ্ছেন নাতো।
অনেক চঞ্চল গলা। কথা যা বলার উনিই বলে যাচ্ছেন। শুনতে ভাল লাগছিল। বললাম, না না বিরক্ত হবো কেন? আমি হয়ত গল্পের থিম পেয়ে যেতে পারি আপনার কথা থেকে।
: হা হা হা, আমি কিন্তু অনেক মজার কাহিনী জানি।
বলল, হুমায়ুন আহমদের লেখার একসময় পাগল ছিলেন। কিন্তু ঐ ব্যাটা শাওনকে বিয়ে করার পর আর দুচউক্ষে দেখতে পারেন না। এখন আর হুমায়ুন আহমদের বই পড়েন না।
আমি হুমায়ুন আহমদের পক্ষে কিছু বলার চেষ্টা করলাম। দেখি আমার কথায় ব্যগ্র করছেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জনৈক কবির প্রতি যার সকালের আযানকে বিরক্তিকর মনে হতো।
আরো অনেক কথা বললেন। বললেন আমি অনেক বেশি ঘুমাই। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কথা হলো। জানালেন ওনার কেমন ছেলে পছন্দ। যেরকম ছেলে ওনার পছন্দ ওরকম ছেলে পাবেন বলে মনে হচ্ছে না তার। আশঙ্খা প্রকাশ করলেন চির কুমারী থাকতে হবে তার।
প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হিন্দী সিরিয়ালগুলোর প্রতি। বললেন সব একই কাহিনী। কি হবে আগে থেকে বলে দেয়া যায়।
রাত ২ টার একটু পর তার কথা শেষ হলো।
অপরিচিত একজন তার জীবনের কথাগুলো এত অকপটে আমাকে বলে দিচ্ছেন শুনে একটু অবাক হলাম বৈকি।
অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হলো।
মনে হলো প্রিয় ব্লগারদের সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করি।
ভুল করলাম নাকি?
সেসময় মোবাইলে ভাইব্রেশন। তীব্র ভাইব্রেশনের কারণে টেবিল কাঁপছে। দেখলাম আননোন নাম্বার। এত রাতে আবার কে? ধরলাম ফোন।
আপনি কি...................। মজার ব্যাপার হচ্ছে যার নাম বলা হচ্ছে আমি তা না। ইদানিং অনেকেই এটা জিজ্ঞেস করে আপনি কি ........। যদিও আমার নাম ঐইটা না। তারপরও বলতে হয় জ্বী আমি............। ওদের কি দোষ দেব যে লেখাটি পড়ে ফোন দেয় সেখানে যে আমার ছদ্ম নাম হিসাবে সেটাই দেওয়া হয়েছে। আমার ঐ লেখাটা পড়ে উৎসাহ দিয়ে, আবেগীয় ভালোবাসা দিয়ে, পরামর্শ দিয়ে ৬০ জনের উপর ফোন করেছে। এমনকি দেশের বাহিরে থেকেও। সবাই ছেলে। প্রথম কোন মহিলা পাঠক ফোন করলেন কাল।
নারীর কন্ঠস্বর। প্রথমেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন, ভালোবাসা সংখ্যায় ভালোবাসার গল্প না লিখে এটা কি লিখলেন? একটু হোঁচট খেলাম।
বললাম, আপনি তো আমার লেখাটা না পড়লেও পারতেন। ঐখানে ভালোবাসা নিয়ে একশর উপরে গল্প আছে।
বলল, আপনি কি রাগ করছেন?
বললাম, না রাগ করি নাই, তবে লেখাটা না পড়লেও তো পারতেন।
এরপর জিজ্ঞাসা করলেন, আচ্ছা আপনি এত বেরসিক কেন? লেখকরা বুঝি বেরসিক হয়?
বললাম, আরে আমি লেখক হলাম কিভাবে? লেখকরা বেরসিক হতে যাবে কেন? অন্য লেখার লেখকদের সাথে আপনি ফোন করে দেখেন, তারা আপনার সাথে অনেক মজা করে কথা বলবে।
: যারা অতি উৎসাহী হয়ে কথা বলে তাদের আমার ভালো লাগে না।
শুদ্ধ ভাষায় কথা বলছিলেন। তারপরও কথার টানে চিটাগাংয়ের আঞ্চলিকতা গন্ধ এড়াতে পারেননি দেখে বললাম, আপনি কি চিটাগাং থেকে ফোন করেছেন?
: কেমনে জানলেন?
বলে দিলাম কেমনে বুঝলাম। আমার পরিচয় সম্পর্কে জানতে চাইলেন। বললাম, বলতে চাচ্ছি না।
তা শুনে বলল, আপনি এত ভয় পান কেন? আমি আপনার বাসায় বেড়াতে এসে যাবো না, এটা নিশ্চিত। আপনি জানতে চাইলে আমি আমার নাম, আমার বাবার নাম, মা-র নাম, ভাইবোনের নাম, বাড়ী কই সব বলে দেব। হা হা হা।
একটা ওয়েব সাইটের নাম বলে জিজ্ঞাসা করল, এখানে একটা অফার আছে, তা কতটুকু সত্য।
আমি বললাম, তা বোগাস। এগুলো বেশির ভাগই বোগাস। লোভে পড়া কিন্তু অনেক খারাপ।
এর পর তিনি বলা শুরু করলেন, মোবাইলে একজনের সাথে পরিচয় হওয়ার পর তার সাথে এক মার্কেটে দেখা করতে গেছেন। দেখা করতে গিয়ে কি কি কথাবার্তা হয়েছে সব খুলে বললেন। হড় হড় করে সব বলে যাচ্ছেন। একটু পর পর জিজ্ঞেস করছিলেন আমি শুনছিতো।
সেখান থেকে চলে আসার পর ঐ ছেলের আকুতি সম্পর্কে বললেন। বললেন তাকে নাকি ঐ ছেলে বলেছিল, আপনি দেখতে একটা সিরিয়ালে .......... মত।
মাঝে মাঝে জিজ্ঞাসা করছিলেন, আপনি আমার কথায় বিরক্ত হচ্ছেন নাতো।
অনেক চঞ্চল গলা। কথা যা বলার উনিই বলে যাচ্ছেন। শুনতে ভাল লাগছিল। বললাম, না না বিরক্ত হবো কেন? আমি হয়ত গল্পের থিম পেয়ে যেতে পারি আপনার কথা থেকে।
: হা হা হা, আমি কিন্তু অনেক মজার কাহিনী জানি।
বলল, হুমায়ুন আহমদের লেখার একসময় পাগল ছিলেন। কিন্তু ঐ ব্যাটা শাওনকে বিয়ে করার পর আর দুচউক্ষে দেখতে পারেন না। এখন আর হুমায়ুন আহমদের বই পড়েন না।
আমি হুমায়ুন আহমদের পক্ষে কিছু বলার চেষ্টা করলাম। দেখি আমার কথায় ব্যগ্র করছেন।
ক্ষোভ প্রকাশ করলেন জনৈক কবির প্রতি যার সকালের আযানকে বিরক্তিকর মনে হতো।
আরো অনেক কথা বললেন। বললেন আমি অনেক বেশি ঘুমাই। শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে কথা হলো। জানালেন ওনার কেমন ছেলে পছন্দ। যেরকম ছেলে ওনার পছন্দ ওরকম ছেলে পাবেন বলে মনে হচ্ছে না তার। আশঙ্খা প্রকাশ করলেন চির কুমারী থাকতে হবে তার।
প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হিন্দী সিরিয়ালগুলোর প্রতি। বললেন সব একই কাহিনী। কি হবে আগে থেকে বলে দেয়া যায়।
রাত ২ টার একটু পর তার কথা শেষ হলো।
অপরিচিত একজন তার জীবনের কথাগুলো এত অকপটে আমাকে বলে দিচ্ছেন শুনে একটু অবাক হলাম বৈকি।
অন্যরকম এক অভিজ্ঞতা হলো।
মনে হলো প্রিয় ব্লগারদের সাথে ব্যাপারটা শেয়ার করি।
ভুল করলাম নাকি?