সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

মানু বানাইয়ে!



তখন আর্মিদের সাথে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরিতে কাজ করছি। দুর্গম দুর্গম এলাকা যেতে হতো। কখনো দীর্ঘ পথ হেঁটে, কখনোবা হেলিকপ্টারে যাওয়া।

তো সেখানে
আমরা রাতে আড্ডা দিতামমজার মজার কথার আড্ডা! বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথাআমরা বলতে আর্মি ও আমরা কয়েকজন বেসামরিক লোকঅনেক বেশি দুর্গম এলাকা। মোটামুটি আধুনিক জগত থেকে আমরা বিচ্ছিন্ন!


রাতে আড্ডাটা জমে উঠতবিশেষ করে রাতের খাবারের পর কাজ থাকত না, তখনই সবাই গোল হয়ে বসে পাহাড়ের উপর খোলা আকাশের নিচে গল্প করতাম চাঁদও আমাদের সঙ্গী হতো

তা এক আর্মি তার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করছে

আর্মিদের বিভিন্ন টহলে যেতে হয়দুর্গম দুর্গম এলাকায় টহলপাহাড়ী রাস্তার পর রাস্তা হাঁটতে হয়সীমান্তে গিয়ে চেক করে আসতে হয় সব ঠিক আছে কিনামাঝে মাঝে আবার বের হতে হয় অপরাশনেতা হতে পারে রুটিন মাফিক অপারেশন কিংবা কোন উদ্ধার অভিযানমাঝে মাঝে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা চাঁদার জন্য মানুষ ধরে নিয়ে যায়তখন আর্মিকে নামতে হয় উদ্ধারে

তা একবার অপরাশেন চলছেঅপারশনে পথিমধ্যেই রাত কাটাতে হয়তো কয়েকজন আর্মি রাত কাটাচ্ছে এক উপজাতি বাড়িতেদুর্গম এলাকারাতে বাহিরে পাহাড়া নির্দিষ্ট সময় ব্যবধানে ডিউটি পরিবর্তন হবেতা বাড়িটি বাঁশের মাচাঙের যেসব আর্মি বাড়ীতে ঘমাচ্ছে হঠাৎ খেয়াল করছে বাঁশের বাড়ী হালকা কাঁপছে

একটু ভয় ভয় করে

ভূমিকম্প টম্প নয় তো!!!

চোখ কচলিয়ে ঘুমের আবহ দূর হতে এক আর্মি প্রশ্ন করে, এই এইতো কাঁপাকাপি ক্যান? কি করছ? ঘর কাঁপে ক্যান?
একটু ফিস ফিস আওয়াজ শুনা যায় ভিতর থেকেপুরুষ মহিলার কন্ঠস্বর!

ভেতর থেকে পুরুষ কন্ঠটি জোরে বলে- মানু বানাইয়েমানু বানাইয়ে!!
ওরা মানুষকে মানু বলে

আর্মিটির বলার ভঙ্গি অনেক সুন্দর ছিলসেদিন আমরা অনেক হেসেছিলাম এই ঘটনা শুনে