মেয়েদের সাথে আমি কথা কম বলি। অপরিচিত মেয়ের সাথে কথা বলতে কেমন জানি
নার্ভাস ফিল করি। তাই মেয়েদের চক্রে আমার সচরাচর ঢুকা হয় না। সবাই যখন কথা
বলতে চায় মেয়েদের সাথে তখন আমার এই কথা না বলতে চাওয়াটাকে অনেকে দেখে
ভিন্নচোখে। সেদিনতো লম্বা চুল রাখা ছেলেটা বলেই ফেলল, দোস্ত তোমার বোধ হয়
সমস্যা আছে। নিশ্চয় কোন মেয়ে থেকে ছ্যাক খায়ছো। যে কারণে মেয়েদের এড়িয়ে
চলো।
আমি উত্তর দিই না। একটু হাসি। যাতে ও বিভ্রান্ত হয়। সত্যি কথা বলতে কি অতি সস্তা এই প্রেমের যুগে কখনো প্রেমের ব্যাপারে এগিয়ে যাইনি। বন্ধুদের আবেগময় কান্ড দেখে মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়েছে তবে মন সায় দেয়নি।
আমি সব সময় পিছের সিটে বসি। আমরা একটা কোর্সে ভর্তি হয়েছি। আর জে হওয়ার কোর্স। এখন এই জিনিসটা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। হুজুগে হয়ে আমিও ঢুকে পড়েছি। কথা দিয়ে কি সহজে আয় করা যাচ্ছে। ব্যাপারটা আমার কাছে সহজ লাগলো। দেখি পারা যায় কিনা এ ধরণের একটা মানসিকতা নিয়ে ঢুকছি। এখানে আসার পর দেখি এতদিন মাতৃভাষায় যা যা উচ্চারণ করেছি সবই ভুল। প্রথমে আমাদের শুরু হল বর্ণ উচ্চারণ দিয়ে। প্রতিটা বর্ণ আমাদের নতুন উচ্চারণে শিখতে হলো।
দুই মাসে দেখলাম আমার উচ্চারণ অনেকখানি বদলে গেছে।
বিকালে যখন প্যারেড ময়দানে বন্ধুদের সাথে গল্প করতে যায় তখন আমার নতুন উচ্চারণে ওরা কেমন জানি বিরক্ত হয়।
: এই তোর শুদ্ধ উচ্চারণ বন্ধ কর। মেয়েদের মত টেনে টেনে কথা বলবি না। এটা কোন এফ এম রেডিও না।
আরিফ সরাসরি বলে ফেলে।
আমি বুঝতে পারি অন্য বন্ধুরাও আড়ালে আমার এ বিষয়ে কানাঘুষা করে। আমি প্রাণপ্রণে আগের ভাষায় কথা বলতে চেষ্টা করি। কিন্তু দেখি কথাগুলো অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। আগের মতও না এফএমের মতও না। কি বিপদে পড়লাম রে বাপ।
মনের ক্ষোভে কয়েকদিন আর জে কোর্সের ক্লাসেই যাই না। ইচ্ছে হয় আর না যেতে। দরকার নেই আমার আরজে হওয়ার। কিন্তু এতগুলো টাকা অযথা নষ্ট হবে বলে এক সপ্তাহ পর আবার উপস্থিত হই ক্লাসে। টাকার মায়া বলে কথা। ক্লাস শেষ।
বের হবো। এসময় দেখি সামনের সিটে বসা মেয়েটি আমাকে ডাক দেয়।
: আপনার একটু সময় হবে?
ঠিক বুঝতে পারি না। এ মেয়ের সাথে কখনো কথা পর্যন্ত হয়নি। এ মেয়ে আমার পিছে লাগলো কেন? সুন্দর মেয়ে। ছবিতে মেয়ে মডেলদের দেখতে যেরকম লাগে ঠিক সেরকম। ওরাতো অনেক পোজ দিয়ে ভালো ফটোগ্রাফারের কারিশমায় অত সুন্দর হয়। কিন্তু এই মেয়েটিতো এম্নেই অনেক সুন্দর।
একটু ভাব ধরে বলি, জ্বি না। সময় হবে না। আমি খুব ব্যস্ত।
আমি উত্তর দিই না। একটু হাসি। যাতে ও বিভ্রান্ত হয়। সত্যি কথা বলতে কি অতি সস্তা এই প্রেমের যুগে কখনো প্রেমের ব্যাপারে এগিয়ে যাইনি। বন্ধুদের আবেগময় কান্ড দেখে মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয়েছে তবে মন সায় দেয়নি।
আমি সব সময় পিছের সিটে বসি। আমরা একটা কোর্সে ভর্তি হয়েছি। আর জে হওয়ার কোর্স। এখন এই জিনিসটা বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। হুজুগে হয়ে আমিও ঢুকে পড়েছি। কথা দিয়ে কি সহজে আয় করা যাচ্ছে। ব্যাপারটা আমার কাছে সহজ লাগলো। দেখি পারা যায় কিনা এ ধরণের একটা মানসিকতা নিয়ে ঢুকছি। এখানে আসার পর দেখি এতদিন মাতৃভাষায় যা যা উচ্চারণ করেছি সবই ভুল। প্রথমে আমাদের শুরু হল বর্ণ উচ্চারণ দিয়ে। প্রতিটা বর্ণ আমাদের নতুন উচ্চারণে শিখতে হলো।
দুই মাসে দেখলাম আমার উচ্চারণ অনেকখানি বদলে গেছে।
বিকালে যখন প্যারেড ময়দানে বন্ধুদের সাথে গল্প করতে যায় তখন আমার নতুন উচ্চারণে ওরা কেমন জানি বিরক্ত হয়।
: এই তোর শুদ্ধ উচ্চারণ বন্ধ কর। মেয়েদের মত টেনে টেনে কথা বলবি না। এটা কোন এফ এম রেডিও না।
আরিফ সরাসরি বলে ফেলে।
আমি বুঝতে পারি অন্য বন্ধুরাও আড়ালে আমার এ বিষয়ে কানাঘুষা করে। আমি প্রাণপ্রণে আগের ভাষায় কথা বলতে চেষ্টা করি। কিন্তু দেখি কথাগুলো অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। আগের মতও না এফএমের মতও না। কি বিপদে পড়লাম রে বাপ।
মনের ক্ষোভে কয়েকদিন আর জে কোর্সের ক্লাসেই যাই না। ইচ্ছে হয় আর না যেতে। দরকার নেই আমার আরজে হওয়ার। কিন্তু এতগুলো টাকা অযথা নষ্ট হবে বলে এক সপ্তাহ পর আবার উপস্থিত হই ক্লাসে। টাকার মায়া বলে কথা। ক্লাস শেষ।
বের হবো। এসময় দেখি সামনের সিটে বসা মেয়েটি আমাকে ডাক দেয়।
: আপনার একটু সময় হবে?
ঠিক বুঝতে পারি না। এ মেয়ের সাথে কখনো কথা পর্যন্ত হয়নি। এ মেয়ে আমার পিছে লাগলো কেন? সুন্দর মেয়ে। ছবিতে মেয়ে মডেলদের দেখতে যেরকম লাগে ঠিক সেরকম। ওরাতো অনেক পোজ দিয়ে ভালো ফটোগ্রাফারের কারিশমায় অত সুন্দর হয়। কিন্তু এই মেয়েটিতো এম্নেই অনেক সুন্দর।
একটু ভাব ধরে বলি, জ্বি না। সময় হবে না। আমি খুব ব্যস্ত।