তখন সম্ভবত তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। পড়তাম বান্দরবানের একটা বেসরকারী
বিদ্যালয়ে। ডিসেম্বর মাস। স্কুলে বার্ষিক পরুষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়ে
গেল। সেদিন আমিও একটা পুরষ্কার পেয়েছিলাম যেমন খুশি তেমন সাজোতে রিপু দেওয়া
লুঙ্গি পড়ে স্যারদের কাছ থেকে ভিা খোঁজার জন্য। ভিা হিসাবে কয়েকজন
স্যারের কাছ থেকে ২০ কি ২১ টাকার মত পেয়েছিলাম। সেদিন অনেকের সাথে পুরষ্কার
পেয়েছে আমাদের এক বছর জুনিয়য় কমল। সে পেয়েছিল শ্রেণীর মেধা তালিকায় স্থান
পাওয়ায়। পুরষ্কার হিসাবে পেল একটা সুন্দর কাঁচের প্লেট। দুপুরে গিয়ে সে
প্লেটে দুপুরের খানাও খেল। রাতে মা-বাবার সাথে কমল যাবে ঢাকা ঘুরতে। খালার
বাসায়। সে সময় বান্দরবান থেকে সরাসরি ঢাকায় উদ্দেশ্যে একটা গাড়িই যেত।
ডলফিন চেয়ারকোচ। রাতের গাড়ি। সেদিন মহাখুশি হয়ে কমলও মা-বাবার সাথে গাড়িতে
উঠল।
সন্ধ্যার সময় যথারীতি গাড়ি ছেড়ে গেল। বান্দরবান থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর বায়তুল ইজ্জত নামক স্থানের কাছাকাছি গেলে ড্রাইভার গাড়ি থামাতে বাধ্য হন। সামনে কতগুলো বড় বড় কাট ফেলে রাখা হয়েছে। মুখ বাঁধা কতগুলো লোক উঠল।
যাত্রীরা প্রতিরোধ গড়ার মৃদু চেষ্টা করল। আর তা দেখে ডাকাতরা আতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য গুলির ব্যবহার করলো। কমল ছিল বাবার কোলে। ওদের গুলির শিকার হলো কমল। যেন নিজের বুক পেতে দিয়ে বাবাকে রা করেছে।
তখন আমি এত কিছু বুঝি না। স্কুল প্রাঙ্গনে আনা হলো কমলের লাশ। পড়া হলো জানাযা। দেখলাম নিষ্পাপ ছেলেটি খাটিয়ায় শুয়ে আছে। খাটিয়াটি ওর তুলনায় বেশ বড় হয়ে গেছে। কাফনের কাপড় চুপসে গেছে রক্তে। তখনও কাঁধের দিক দিয়ে যেন রক্ত বের হচ্ছে এই অবস্থা।
ঐইটায় আমার জীবনে প্রথম জানাযা। এর পর বহু জানাযা পড়েছি। সদ্য হয়ে যাওয়া বিশ্ব এজতেমাতেও জানাযা পড়েছি। অবাক লাগে যে লোকটিকে কেউ চিনেই না সে লোকটির জন্য ৩৫ ল থেকে ৪০ ল মানুষ জানাযা পড়ছে। কি ভাগ্যবান ঐ লোকগুলো।
এ মাসের ২ তারিখে একটা অ্যাক্সিডেন্টে পড়ি আমি। আল্লাহর রহমতে বড় কোন তি হয় নি। নাক দিয়ে রক্ত আর কফ দিয়ে রক্ত গিয়ে কোন মতে বিপদ কাটছে। আল্লাহ অনেক বড় বিপদ থেকে বাঁচিয়েছেন। আল্লাহর কাছে শোকরিয়া। হয়ত আমার জানাযাও হয়ে যেত পারত!!!!
এই পোস্ট দিচ্ছি চিটাগাং থেকে। এক ফ্রেন্ডের বাসা থেকে। তাড়াহুড়া করে লিখলাম। ভাত খেতে খেতে। কি লিখছি মিলায় দেখার সুুযোগ হয় নাই। এখুনি বান্দরবানের উদ্দেশ্য রওয়ান দিবো। দুপুরের দিকে গাড়ি থেকে নামলাম। এখন আবার গাড়ীতে উঠতে হবে।
সন্ধ্যার সময় যথারীতি গাড়ি ছেড়ে গেল। বান্দরবান থেকে কিছুদূর যাওয়ার পর বায়তুল ইজ্জত নামক স্থানের কাছাকাছি গেলে ড্রাইভার গাড়ি থামাতে বাধ্য হন। সামনে কতগুলো বড় বড় কাট ফেলে রাখা হয়েছে। মুখ বাঁধা কতগুলো লোক উঠল।
যাত্রীরা প্রতিরোধ গড়ার মৃদু চেষ্টা করল। আর তা দেখে ডাকাতরা আতঙ্কের পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য গুলির ব্যবহার করলো। কমল ছিল বাবার কোলে। ওদের গুলির শিকার হলো কমল। যেন নিজের বুক পেতে দিয়ে বাবাকে রা করেছে।
তখন আমি এত কিছু বুঝি না। স্কুল প্রাঙ্গনে আনা হলো কমলের লাশ। পড়া হলো জানাযা। দেখলাম নিষ্পাপ ছেলেটি খাটিয়ায় শুয়ে আছে। খাটিয়াটি ওর তুলনায় বেশ বড় হয়ে গেছে। কাফনের কাপড় চুপসে গেছে রক্তে। তখনও কাঁধের দিক দিয়ে যেন রক্ত বের হচ্ছে এই অবস্থা।
ঐইটায় আমার জীবনে প্রথম জানাযা। এর পর বহু জানাযা পড়েছি। সদ্য হয়ে যাওয়া বিশ্ব এজতেমাতেও জানাযা পড়েছি। অবাক লাগে যে লোকটিকে কেউ চিনেই না সে লোকটির জন্য ৩৫ ল থেকে ৪০ ল মানুষ জানাযা পড়ছে। কি ভাগ্যবান ঐ লোকগুলো।
এ মাসের ২ তারিখে একটা অ্যাক্সিডেন্টে পড়ি আমি। আল্লাহর রহমতে বড় কোন তি হয় নি। নাক দিয়ে রক্ত আর কফ দিয়ে রক্ত গিয়ে কোন মতে বিপদ কাটছে। আল্লাহ অনেক বড় বিপদ থেকে বাঁচিয়েছেন। আল্লাহর কাছে শোকরিয়া। হয়ত আমার জানাযাও হয়ে যেত পারত!!!!
এই পোস্ট দিচ্ছি চিটাগাং থেকে। এক ফ্রেন্ডের বাসা থেকে। তাড়াহুড়া করে লিখলাম। ভাত খেতে খেতে। কি লিখছি মিলায় দেখার সুুযোগ হয় নাই। এখুনি বান্দরবানের উদ্দেশ্য রওয়ান দিবো। দুপুরের দিকে গাড়ি থেকে নামলাম। এখন আবার গাড়ীতে উঠতে হবে।