প্রাণে বাজে বৈশাখী মাদল" একদিকে চলছে মঞ্চ বানানো অন্যদিকে চলছে আমাদের প্রাণবন্ত আড্ডা
মহাসমারোহে চলছে
প্রথম আলো ব্লগারস ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত প্রথম অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি। এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আত্ম প্রকাশ ঘটতে যাচ্ছে প্রথম আলো ব্লগার স ফোরামের । সবাই মহা উত্তেজিত। মঞ্চ বানানো হচ্ছে।
এদিকে একপাশে রাতের আড্ডা চলছে। বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা হচ্ছে।
নীল সাধু ভাই অর্ধশতাধিক টেবিল ঘুরে হাজারো অনিশ্চয়তা. সন্দেহ. প্রতিকূলতা জয় করে সব্বোর্চ পর্যার থেকে অনুমতি নিয়ে এসেছেন তা ব্যাখ্যা করেছেন। সবাই দেশের অবস্থা দেখে মহা চিন্তিত।
সাথে চলছে খানা পর্ব।
গরম চা। সাথে গরম চপ. বেগুনী, পিয়াজু খাওয়ায় ব্যস্ত।
এ মুহূর্তে বাদাম চিবোচ্ছে সবাই। পোস্ট লেখার অপরাধে আমি বাদাম থেকে বঞ্চিত। ঃ
টেবিলের ভূমিকায় নীরব পথিক ভাই। তাহার কোলের উপর ল্যাপটপ রাখা।
যদিও তাহার বাদাম খাওয়ার মিস নাই।
লাইটম্যানের ভূমিকায় রাফেল ভাই। তাহাকে ধন্যবাদ ল্যাপটপ নিয়ে আসার জন্য।'
কাজলা দিদি ভাই পাশে বসে পরামর্শ দিচ্ছেন।
নীল সাধু ভাই ঘুরে ঘুরে চারপাশ দেখছেন।
ধ্রুবো ভাই ব্যস্ত গল্প বলায়।
হরবোলা ভাইও অভিজ্ঞতা শেয়ার করছেন।
রাজিন ভাই এইমাত্র দুইটা বাদাম ভেঙে আমার মুখে ঢুকিয়ে দিয়েছেন।
জিয়া ভাই. মুরুব্বী ভাই, আমার কবিতা ভাই অন্যন্য খাবারের ব্যবস্থা করছে।
এরি মধ্যে কেনা হয়ে গেছে বিশাল দুই কার্টুন মিষ্টান্ন খাবার আর অনেকগুলো বাঁশের ঝুড়ি।
এই মাত্র কয়েকশ বোতল বিশুদ্ধ পানি আনা হচ্চে। রাফেল ভাই রাজিন ভাই মহা বিরক্ত এত পানির বোতলের প্যাকেট টানতে টানতে।
ঠান্ডা তরমুজও চলে এসেছে। ধ্রুবো ভাই নীল সাধু ভাই রাফেল ভাই রাজিন ভাই কাজলা দিদি ভাই ব্যস্ত তরমুজ আনতে।
সামনে দেখছি তরমুজের পাহাড় আর মিনারেল ওয়াটারের পানির বন্যা।
আমাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছেন কবিরনি ভাই।
এবং এই মাত্র যোগ দিলেন আমি কবির ভাই।
বিশেষ ঘোষণা- সম্মানিত যেসব লেখক ব্লগারা বই আনবেন, তারা দয়া করে আন্দামান ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করুন।
++++++++++++++++
বৈশাখী অভিজ্ঞতা অনুভূতির
জোয়ার জোরালো :
সকাল বেলায় সবার
মেজাজ ফুরফুরে থাকার কথা নয়। কেননা অনেকটা পথ হেঁটে আসতে হয়েছে। অনেক দূর থেকেই গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কোন ধরণের যানবাহনই চলছে না।
আমি আর রাফেল ভাই বৈশাখী অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছি। রিকসা চালক চেয়েছিলেন নয়া পল্টনেই আমাদের নামিয়ে দিতে। কারণ সেখান থেকে প্রেস ক্লাবের দিকে যে রাস্তাটি গেছে তা কাঁটা তারের ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। রিকসাকে জোরা জোরি করতে হলো আরো কিছুদূর নেওয়ার জন্য।
তা নামলাম। এবার হাঁটার পালা। হাঁটছি। রাস্তায় মানুষের ভীড়। হঠাৎ একটা বাস। রাফেল ভাই হাত দেখালেন বাসটি থামানোর জন্য। কিন্তু বাস থামল না। বাস ভর্তি পুলিশ। দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছে। রাফেল ভাই তো আর পুলিশ না।
তা যা বলছিলাম। ভীড় ঠেলে এতদূর হাঁটার পর মন ফুরফুরে থাকার কথা নয় তারপরও দেখি সবার চেহারায় দেখি হাসির ফোয়ারা। জিয়া ভাই নিখুঁত বৈশাখী সাজে এসেছেন। স্বাগত জানালেন। সৈকত ভাই ভোরেই ফোন দিয়েছেন। তিনি জানালেন সকাল ছয়টা থেকেই তিনি অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে। নীলসাধু ভাই, জামান ভাই, সাইক্লোন ভাই সহ আরো ব্লগারের সাথে দেখা হলো। সবাই প্রাণবন্ত। সবাই উচ্ছাসিত আনন্দে ভাসছে। ভাল লাগল সবার আনন্দ দেখে।
একজনের পর একজন ব্লগার আসছে। ল্যাপটপ বসানো হলো। সেখান থেকে প্রথম পোস্ট দিয়ে দিলাম। সাথে কিছু ছবি। ছবিগুলো রাফেল ভাই যুক্ত করে দিলেন।
প্রিয় প্রিয় ব্লগারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় হচ্ছে। বখতিয়ার শামীম ভাইকে প্যাড এগিয়ে দিয়ে বললাম লিখে দেন অনুভূতি। বখতিয়ার শামীম ভাই পাশে দাঁড়ানো এক আপুকে দেখিয়ে দিয়ে বললেন, ওনার কাছ থেকে নেন। আপুটির দিকে তাকালাম। হাসছেন। আপুটি বোধ হয় শামীম ভাইয়ের ইয়ে...
খাবারের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। পাশে বসা আছে এক দম্পতি। চিনলাম না। একটু পর বললেন, আমি হাফিজ। আরে আমাদের প্রিয় ব্লগার হাফিজুর রহমান চৌধুরী। সাথে স্ত্রী। পরিচয় হয়ে অনেক ভাল লাগল। যদিও বেশিক্ষণ ছিলেন না। কিছুক্ষণ পরই হাফিজ ভাইকে আর খুঁজে পাইনি।
ভালবাসার দেয়াল ভাই অনুষ্ঠানের অনেক পরে এসেছেন। সব ব্লগাররা তখন মঞ্চ দখল করে আছে। আর ভালবাসার দেয়াল ভাই মনযোগ দিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করছে। তো আমি ভালবাসার দেয়াল ভাইকে দেখে মঞ্চ থেকে নেমে তার দিকে এগিয়ে গেলাম। ভালবাসার দেয়াল ভাই দুঃখ প্রকাশ করলেন। ঘুমের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে অনেক ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও তিনি অনুষ্ঠানে ঠিক সময়ে আসতে পারেন নাই। এদিকে তখন মাইক্রোফোনে কবির য়াহমদ ভাই। তিনি আমাদের কথপোকথন লক্ষ্য করে ঘোষণা দিলেন বই পাগল আড্ডা দিচ্ছে ভালবাসার দেয়ালের সাথে। নিজের নাম মাইকে শুনে অন্যরকম অন্যরকম লাগছিল।

বিবর্ণ আলো আপুও এসেছিলেন। তাকে পরিচয় দিতেই একটু অবাক হলেন। কথা হলো কিছু। লিখতে বললাম প্যাডে। কিছু লিখলেন। লেখার সাথে একটি কার্টুনও এঁকে দিলেন। শেষে আমাকে জানালেন আপনার সেলফোন নাম্বার তো আমার কাছে আছে। হা হা হা। (ম্যাগাজিন থেকে নাম্বারটি প্রাপ্ত হয়েছেন)
রুদ্র অক্ষর আপু একটা কবিতা আবৃত্তি করলেন। যদিও একটু তাড়াতাড়িই অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে গেছেন। যাওয়ার আগে কথা হলো। বললেন, মাথা ব্যথা করছে খুব। আমি বললাম, নাপা খান, ভাল হয়ে যাবে। শুনে হাসলেন।
হরবোলা ভাই পরিবার নিয়ে এসেছিলেন। বললাম প্যাডে লিখতে। তিনি প্রথমে নাম লিখে ফেললেন। পরে যখন বললাম অনুভূতি লিখতে হবে। তখন নামটি একটা আকৃতি দিয়ে দিলেন। নামের আশে পাশে আঁকা আঁকির কারণে ঐ নামটা একটা কার্টুন হয়ে গেল। বুঝার উপায় নেই যে ভুলে আগে নাম লিখে ফেলেছিলেন। চমৎকার উপস্থিত বুদ্ধি।
সকাল বেলায় মাইক্রোফোন নিয়ে কিছু সবাইকে সম্ভাষণ জানালেন নীল সাধু ভাই।
একটা ব্যাপার অনেক অংশগ্রহণ কারী জানে না।
হঠাৎ করে সাউন্ড কন্ট্রোল বক্স থেকে ধোয়া বের হলো। ধপ করে উঠল যন্ত্রটি। বেশ অনেক ধোঁয়া। শেষ সব শেষ। রাতে সব টেস্টিং করা হয়েছে। তারপরও সকালে এ দশা কেন? পুরা সাউন্ড অফ। আইসি সহ আরো কিছু জ্বলে গেছে। টেকনিক্যাল ম্যানের মুখের ভয়াবহ দুশ্চিন্তার ছাপ। সে জেনারেটর বন্ধ করে দিয়েছে।
সারা শহরে অনুষ্ঠান। সব সাউন্ড সিস্টেম ব্যস্ত। বদলি সাউন্ড সিস্টেম যে আনা হবে সে সুযোগও নেই। কি করা? অনুষ্ঠানটি কি মাইক্রোফোন ছাড়াই হবে।
অনেকে হতাশ। এই দিনে একটা অসম্ভব ব্যাপার আবার সাউন্ড সিস্টেম যোগাড় করা। কি হবে এখন? তারপরও বুঝতে দেওয়া হলো না হতাশার ব্যাপার গুলো। সবাই স্বাভাবিক। যেভাবে হোক মিলন মেলা আনন্দদায়ক হবে।
হলি হক ভাই এরিমধ্যে জানালেন তাকে চলে যেতে হচ্ছে। অফিসের প্রোগামে যোগ দেবেন। সবার সাথে দেখা করতে এদিকে ঘুরে গেলেন। ছায়াবাজি ভাইও নাকি অফিসের ফাঁদে আটকা পড়েছেন।
তা সাউন্ড সিস্টেমের কি হবে? এতগুলো শিল্পী এসেছে। তারা কি পারফর্ম করতে পারবে না।
আন্তরিকতা, ইচ্ছা থাকলে সব হয়। অসম্ভব ব্যাপারেও ভাগ্য সহায় হলো। ঐ একই প্রতিষ্ঠানের সামগ্রী দিয়ে একটা অনুষ্ঠান চলছে জাদুঘরের পিছনে। সেখানের অনুষ্ঠান দশটার মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। সেখানের সাউন্ড সিস্টেমটা আনা হবে। হুর রে।
আনা হলো বদলি সাউন্ড সিস্টেম। সব ঠিক করা হলো। শুরু হয়ে গেল আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান। দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্লগাররা বক্তৃতার মত করে কিছু বললেন। জানালেন ব্লগারস ফোরামের সাথেই থাকবেন তারা।
সকালে প্রথম খানা শুরু দই দিয়ে। বগুড়ার দই। দই দিয়ে খানা শুরু হওয়ারও কারণ আছে। বেশিক্ষণ রাখলে দই ঠিক না ও থাকতে পারে। তাই টাটকা খাওয়ার জন্য আগেই দইয়ের ব্যবস্থা। দইয়ের সাথে ছিল মিস্টি।
আমি আর রাফেল ভাই বৈশাখী অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিয়েছি। রিকসা চালক চেয়েছিলেন নয়া পল্টনেই আমাদের নামিয়ে দিতে। কারণ সেখান থেকে প্রেস ক্লাবের দিকে যে রাস্তাটি গেছে তা কাঁটা তারের ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। রিকসাকে জোরা জোরি করতে হলো আরো কিছুদূর নেওয়ার জন্য।
তা নামলাম। এবার হাঁটার পালা। হাঁটছি। রাস্তায় মানুষের ভীড়। হঠাৎ একটা বাস। রাফেল ভাই হাত দেখালেন বাসটি থামানোর জন্য। কিন্তু বাস থামল না। বাস ভর্তি পুলিশ। দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছে। রাফেল ভাই তো আর পুলিশ না।
তা যা বলছিলাম। ভীড় ঠেলে এতদূর হাঁটার পর মন ফুরফুরে থাকার কথা নয় তারপরও দেখি সবার চেহারায় দেখি হাসির ফোয়ারা। জিয়া ভাই নিখুঁত বৈশাখী সাজে এসেছেন। স্বাগত জানালেন। সৈকত ভাই ভোরেই ফোন দিয়েছেন। তিনি জানালেন সকাল ছয়টা থেকেই তিনি অনুষ্ঠান প্রাঙ্গনে। নীলসাধু ভাই, জামান ভাই, সাইক্লোন ভাই সহ আরো ব্লগারের সাথে দেখা হলো। সবাই প্রাণবন্ত। সবাই উচ্ছাসিত আনন্দে ভাসছে। ভাল লাগল সবার আনন্দ দেখে।
একজনের পর একজন ব্লগার আসছে। ল্যাপটপ বসানো হলো। সেখান থেকে প্রথম পোস্ট দিয়ে দিলাম। সাথে কিছু ছবি। ছবিগুলো রাফেল ভাই যুক্ত করে দিলেন।
প্রিয় প্রিয় ব্লগারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় হচ্ছে। বখতিয়ার শামীম ভাইকে প্যাড এগিয়ে দিয়ে বললাম লিখে দেন অনুভূতি। বখতিয়ার শামীম ভাই পাশে দাঁড়ানো এক আপুকে দেখিয়ে দিয়ে বললেন, ওনার কাছ থেকে নেন। আপুটির দিকে তাকালাম। হাসছেন। আপুটি বোধ হয় শামীম ভাইয়ের ইয়ে...
খাবারের টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। পাশে বসা আছে এক দম্পতি। চিনলাম না। একটু পর বললেন, আমি হাফিজ। আরে আমাদের প্রিয় ব্লগার হাফিজুর রহমান চৌধুরী। সাথে স্ত্রী। পরিচয় হয়ে অনেক ভাল লাগল। যদিও বেশিক্ষণ ছিলেন না। কিছুক্ষণ পরই হাফিজ ভাইকে আর খুঁজে পাইনি।
ভালবাসার দেয়াল ভাই অনুষ্ঠানের অনেক পরে এসেছেন। সব ব্লগাররা তখন মঞ্চ দখল করে আছে। আর ভালবাসার দেয়াল ভাই মনযোগ দিয়ে অনুষ্ঠান উপভোগ করছে। তো আমি ভালবাসার দেয়াল ভাইকে দেখে মঞ্চ থেকে নেমে তার দিকে এগিয়ে গেলাম। ভালবাসার দেয়াল ভাই দুঃখ প্রকাশ করলেন। ঘুমের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে অনেক ইচ্ছা থাকা স্বত্বেও তিনি অনুষ্ঠানে ঠিক সময়ে আসতে পারেন নাই। এদিকে তখন মাইক্রোফোনে কবির য়াহমদ ভাই। তিনি আমাদের কথপোকথন লক্ষ্য করে ঘোষণা দিলেন বই পাগল আড্ডা দিচ্ছে ভালবাসার দেয়ালের সাথে। নিজের নাম মাইকে শুনে অন্যরকম অন্যরকম লাগছিল।


বিবর্ণ আলো আপুও এসেছিলেন। তাকে পরিচয় দিতেই একটু অবাক হলেন। কথা হলো কিছু। লিখতে বললাম প্যাডে। কিছু লিখলেন। লেখার সাথে একটি কার্টুনও এঁকে দিলেন। শেষে আমাকে জানালেন আপনার সেলফোন নাম্বার তো আমার কাছে আছে। হা হা হা। (ম্যাগাজিন থেকে নাম্বারটি প্রাপ্ত হয়েছেন)
রুদ্র অক্ষর আপু একটা কবিতা আবৃত্তি করলেন। যদিও একটু তাড়াতাড়িই অনুষ্ঠান ছেড়ে চলে গেছেন। যাওয়ার আগে কথা হলো। বললেন, মাথা ব্যথা করছে খুব। আমি বললাম, নাপা খান, ভাল হয়ে যাবে। শুনে হাসলেন।
হরবোলা ভাই পরিবার নিয়ে এসেছিলেন। বললাম প্যাডে লিখতে। তিনি প্রথমে নাম লিখে ফেললেন। পরে যখন বললাম অনুভূতি লিখতে হবে। তখন নামটি একটা আকৃতি দিয়ে দিলেন। নামের আশে পাশে আঁকা আঁকির কারণে ঐ নামটা একটা কার্টুন হয়ে গেল। বুঝার উপায় নেই যে ভুলে আগে নাম লিখে ফেলেছিলেন। চমৎকার উপস্থিত বুদ্ধি।
সকাল বেলায় মাইক্রোফোন নিয়ে কিছু সবাইকে সম্ভাষণ জানালেন নীল সাধু ভাই।
একটা ব্যাপার অনেক অংশগ্রহণ কারী জানে না।
হঠাৎ করে সাউন্ড কন্ট্রোল বক্স থেকে ধোয়া বের হলো। ধপ করে উঠল যন্ত্রটি। বেশ অনেক ধোঁয়া। শেষ সব শেষ। রাতে সব টেস্টিং করা হয়েছে। তারপরও সকালে এ দশা কেন? পুরা সাউন্ড অফ। আইসি সহ আরো কিছু জ্বলে গেছে। টেকনিক্যাল ম্যানের মুখের ভয়াবহ দুশ্চিন্তার ছাপ। সে জেনারেটর বন্ধ করে দিয়েছে।
সারা শহরে অনুষ্ঠান। সব সাউন্ড সিস্টেম ব্যস্ত। বদলি সাউন্ড সিস্টেম যে আনা হবে সে সুযোগও নেই। কি করা? অনুষ্ঠানটি কি মাইক্রোফোন ছাড়াই হবে।
অনেকে হতাশ। এই দিনে একটা অসম্ভব ব্যাপার আবার সাউন্ড সিস্টেম যোগাড় করা। কি হবে এখন? তারপরও বুঝতে দেওয়া হলো না হতাশার ব্যাপার গুলো। সবাই স্বাভাবিক। যেভাবে হোক মিলন মেলা আনন্দদায়ক হবে।
হলি হক ভাই এরিমধ্যে জানালেন তাকে চলে যেতে হচ্ছে। অফিসের প্রোগামে যোগ দেবেন। সবার সাথে দেখা করতে এদিকে ঘুরে গেলেন। ছায়াবাজি ভাইও নাকি অফিসের ফাঁদে আটকা পড়েছেন।
তা সাউন্ড সিস্টেমের কি হবে? এতগুলো শিল্পী এসেছে। তারা কি পারফর্ম করতে পারবে না।
আন্তরিকতা, ইচ্ছা থাকলে সব হয়। অসম্ভব ব্যাপারেও ভাগ্য সহায় হলো। ঐ একই প্রতিষ্ঠানের সামগ্রী দিয়ে একটা অনুষ্ঠান চলছে জাদুঘরের পিছনে। সেখানের অনুষ্ঠান দশটার মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে। সেখানের সাউন্ড সিস্টেমটা আনা হবে। হুর রে।
আনা হলো বদলি সাউন্ড সিস্টেম। সব ঠিক করা হলো। শুরু হয়ে গেল আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠান। দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্লগাররা বক্তৃতার মত করে কিছু বললেন। জানালেন ব্লগারস ফোরামের সাথেই থাকবেন তারা।
সকালে প্রথম খানা শুরু দই দিয়ে। বগুড়ার দই। দই দিয়ে খানা শুরু হওয়ারও কারণ আছে। বেশিক্ষণ রাখলে দই ঠিক না ও থাকতে পারে। তাই টাটকা খাওয়ার জন্য আগেই দইয়ের ব্যবস্থা। দইয়ের সাথে ছিল মিস্টি।
+++++++++++++++++++++++++++++++++
বৈশাখী অভিজ্ঞতা মজায়
মজায় যাচ্ছে সময় !!
তরমুজ আনা হয়েছে। অথচ ছুরি নাই। কি সমস্যা কি
সমস্যা। কিভাবে কাটা হবে? এদিকে তরমুজ খেতেই হবে। নিরীহ তরমুজ গুলো আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে অসহায় দৃষ্টিতে। কখন কাটা হবে এই যেন তাদের প্রতীক্ষা। কিছু
চেষ্টা করা হলো
বিচ্ছিন্ন ভাবে। কিন্তু ফলাফল হতাশ।
এসময় জিয়া ভাই এসে বললেন, একটা ছুরি যোগাড় করো। তরমুজ কাটতে হবে তো।
তা আমি, নীরব পথিক, রাজিন ভাই গেলাম দলবদ্ধভাবে ছুরি আনতে। চারদিকে পুলিশ গিজ গিজ করছে নিরাপত্তার জন্য। এদিকে ঐদিকে যেদিকে তাকায় সব জায়গায় পুলিশ। তার উপর সাধারণ পোষাক ধারী ডিবির লোকও ওৎ পেতে আছে। কে কি করে তা দেখার জন্য। কিছু দেখলেই অমনি ধরবে খপ করে। অবস্থায় ছুরি যোগাড় করা যথেষ্ট ঝুকিঁপূর্ণ। তারপরও তরমুজ খাওয়া বলে কথা। যা হবে ভাগ্যে এরকম একটা ভাব নিয়ে ছুটলাম ছুরির খোঁজে।
আমাদের প্রথম শিকার এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা। ঝাল মুড়ি অলার যেহেতু মরিচ পেয়াজ কাটতে হয় তাই তার কাছে ছুরি থাকা স্বাভাবিক। ভুল হলো না। এখন দিলেই হয়। খোঁজা হলো। ঝালমুড়ি অলা দেখি আন্তরিক। কয়েকটা বাড়তি পেয়াজ, মরিচ কেটে রেখে আমাদের দিলেন। কৃতজ্ঞতা পেশ করছি সে নাম না জানা ঝাল মুড়ি অলাকে।
এখন রাজিন ভাই বললেন, তরমুজ কাটলে তো ঝাল হবে মিষ্টির পাশাপাশি।
আমি বললাম, কেন?
- আরে একটু আগে মরিচ কাটছে না। তাই ঝাল হবে।
আসলে তো। ছুরিটি খুব ভাল ভাবে ধৌত করলাম। একেবারে জনমের ধোঁয়া যাকে বলে।
মামুন ভাইয়ের হাতে দেওয়া হলো। উনি একটার পর একটা তরমুজ কাটতে লাগলেন। আর সবাই নিয়ে পর্যায়ক্রমে খেতে লাগলেন।
নীরব পথিক ভাই এরিমধ্যে তরমুজ খাওয়া শেখানোর ক্ষেত্রে অনেক জনপ্রিয় হয়ে গেছে প্রথম আলো ব্লগে। তাই আমি কিছু বললাম না এই বিষয়ে।
লুবনা আপু তরমুজের পিস খাওয়ার সময় জানালেন, কেউ কেটে দিলে তবেই তিনি ফল খান। নিজ থেকে কেটে কখনো খান না। দরকার হলে খাবেন না। রয়ে যাবে। তারপরও নিজ থেকে কেটে খাবেন না।
ফকির আব্দুল মালেক ভাই মন্তব্যে নিশ্চিত করেছেন তিনি বেশি পিছ খান নাই। মাত্র তিন পিস খেয়েছেন।
মৌসুমী দত্ত আপুকে দেওয়া হলো একটা তরমুজের পিস। অন্যদের যখন দুই তিনটা পিস শেষ তখনও তিনি ঐ পিসটি খাচ্ছেন। একটা পিস খেতে ওনার অনেকক্ষণ লেগেছে। আর এদিকে ছবি তোলা হচ্ছে। ছবি দেখলে মনে হবে নীরব পথিক ভাইয়ের চেয়ে মৌসুমী আপু পিছিয়ে নেই। অথচ ঐ একটা পিসই খেলেন তিনি। একটা পিস দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়ার প্রতিযোগিতা আয়োজন করলে মৌসুমী দত্ত আপু ফাস্ট হতেন এটা নিশ্চিত।
প্রতিযোগিতার কথা যখন আসলো তখন বলে রাখা ভাল বৈশাখী অনুষ্ঠান যে প্রতিযোগিতাহীন হয়েছে তা কিন্তু নয়। হঠাৎ উপস্থাপক জেড এইচ সৈকত ভাই ঘোষণা করলেন, এখন ঘুড়ি প্রতিযোগিতা হবে। তবে সীমিত সংখ্যক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করতে পারবে। সবাই চাইলেই পাবেন না। আসন সংখ্যা ২০ থেকে ২৫। অনেক জনের মধ্যে উৎসাহ দেখা গেল। মহাখুশী সবাই। উত্তেজনায় কাঁপছে কেউ কেউ। অনেকে ভেবে বসেছে কার ঘুড়ি কতটুকু ওড়ে সেটা বুঝি প্রতিযোগিতা হবে।
একটু পরেই সৈকত ভাই যখন প্রতিযোগিতার নিয়ম ঘোষণা করেন তখন সবার ভুল ভাঙে। প্রতিযোগিকে সুই সুতা এবং ঘুড়ি দেওয়া হবে। আলাদা ভাবে। প্রতিযোগীর কাজ হবে ঘড়ির সাথে সুই সুতা বাঁধা। সবাই লেগে পড়ল কাজে। কার আগে কে বাঁধতে হবে তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা।
কিন্তু এরি মধ্যে সৈকত ভাই ঘোষণা করলেন কোন পুরষ্কারের ব্যবস্থা নাই। ইচ্ছা করলে সুই বাসায় নেওয়া যাবে। ঘুড়িগুলো ছোট বাচ্ছাদের দিয়ে দিতে হবে। অথ্যাৎ সবার জন্য একই রকম পুরষ্কার। সাম্যবাদের এর চেয়ে উজ্জ্বল নমুনা কি হতে পারে?
পরবর্তীতে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণকারী অনেকে প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিযোগিতা বয়কট করল। তবে আয়োজকও কম যান না। তিনি ঘোষণা দিলেন এবার প্রতিযোগিরা নিয়ম না মানায় প্রতিযোগিতা ব্যান করা হলো।
অংশগ্রহণ কারীদের কেউ কেউ আয়োজককেই ব্যান করল। ব্যান যে কত জনপ্রিয় শব্দ তা বৈশাখী অনুষ্ঠানে এই প্রতিযোগিতা কেন্দ্রিক আলোচনায় ব্যাফক ভাবে লক্ষ্য করা গেছে।
মজার ব্যাপার হলো অনেকে সফল ভাবে সুই সুতা বেঁধেছেন। কিন্তু পরে দেখা গেছে তারা উল্টা পিঠে তা বেঁধে বসে আছেন।
এদিকে চলছে ত্রিবেণীর সৌজন্যে সংগীতানুষ্ঠান। অনেক মিস্টি গলা অংশগ্রহণকারীদের। একটার পর একটা গান পরিবেশন করছে। শুধু মিষ্টি গলায় নয় ওদের চেহারাগুলোও অনেক মিস্টি মিস্টি। দেখলেই মন ভাল হয়ে যাওয়ার মত। অথ্যাৎ গ্লামারসেরও অভাব ছিল না।
এসময় জিয়া ভাই এসে বললেন, একটা ছুরি যোগাড় করো। তরমুজ কাটতে হবে তো।
তা আমি, নীরব পথিক, রাজিন ভাই গেলাম দলবদ্ধভাবে ছুরি আনতে। চারদিকে পুলিশ গিজ গিজ করছে নিরাপত্তার জন্য। এদিকে ঐদিকে যেদিকে তাকায় সব জায়গায় পুলিশ। তার উপর সাধারণ পোষাক ধারী ডিবির লোকও ওৎ পেতে আছে। কে কি করে তা দেখার জন্য। কিছু দেখলেই অমনি ধরবে খপ করে। অবস্থায় ছুরি যোগাড় করা যথেষ্ট ঝুকিঁপূর্ণ। তারপরও তরমুজ খাওয়া বলে কথা। যা হবে ভাগ্যে এরকম একটা ভাব নিয়ে ছুটলাম ছুরির খোঁজে।
আমাদের প্রথম শিকার এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা। ঝাল মুড়ি অলার যেহেতু মরিচ পেয়াজ কাটতে হয় তাই তার কাছে ছুরি থাকা স্বাভাবিক। ভুল হলো না। এখন দিলেই হয়। খোঁজা হলো। ঝালমুড়ি অলা দেখি আন্তরিক। কয়েকটা বাড়তি পেয়াজ, মরিচ কেটে রেখে আমাদের দিলেন। কৃতজ্ঞতা পেশ করছি সে নাম না জানা ঝাল মুড়ি অলাকে।
এখন রাজিন ভাই বললেন, তরমুজ কাটলে তো ঝাল হবে মিষ্টির পাশাপাশি।
আমি বললাম, কেন?
- আরে একটু আগে মরিচ কাটছে না। তাই ঝাল হবে।
আসলে তো। ছুরিটি খুব ভাল ভাবে ধৌত করলাম। একেবারে জনমের ধোঁয়া যাকে বলে।
মামুন ভাইয়ের হাতে দেওয়া হলো। উনি একটার পর একটা তরমুজ কাটতে লাগলেন। আর সবাই নিয়ে পর্যায়ক্রমে খেতে লাগলেন।
নীরব পথিক ভাই এরিমধ্যে তরমুজ খাওয়া শেখানোর ক্ষেত্রে অনেক জনপ্রিয় হয়ে গেছে প্রথম আলো ব্লগে। তাই আমি কিছু বললাম না এই বিষয়ে।
লুবনা আপু তরমুজের পিস খাওয়ার সময় জানালেন, কেউ কেটে দিলে তবেই তিনি ফল খান। নিজ থেকে কেটে কখনো খান না। দরকার হলে খাবেন না। রয়ে যাবে। তারপরও নিজ থেকে কেটে খাবেন না।
ফকির আব্দুল মালেক ভাই মন্তব্যে নিশ্চিত করেছেন তিনি বেশি পিছ খান নাই। মাত্র তিন পিস খেয়েছেন।

মৌসুমী দত্ত আপুকে দেওয়া হলো একটা তরমুজের পিস। অন্যদের যখন দুই তিনটা পিস শেষ তখনও তিনি ঐ পিসটি খাচ্ছেন। একটা পিস খেতে ওনার অনেকক্ষণ লেগেছে। আর এদিকে ছবি তোলা হচ্ছে। ছবি দেখলে মনে হবে নীরব পথিক ভাইয়ের চেয়ে মৌসুমী আপু পিছিয়ে নেই। অথচ ঐ একটা পিসই খেলেন তিনি। একটা পিস দীর্ঘ সময় ধরে খাওয়ার প্রতিযোগিতা আয়োজন করলে মৌসুমী দত্ত আপু ফাস্ট হতেন এটা নিশ্চিত।
প্রতিযোগিতার কথা যখন আসলো তখন বলে রাখা ভাল বৈশাখী অনুষ্ঠান যে প্রতিযোগিতাহীন হয়েছে তা কিন্তু নয়। হঠাৎ উপস্থাপক জেড এইচ সৈকত ভাই ঘোষণা করলেন, এখন ঘুড়ি প্রতিযোগিতা হবে। তবে সীমিত সংখ্যক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করতে পারবে। সবাই চাইলেই পাবেন না। আসন সংখ্যা ২০ থেকে ২৫। অনেক জনের মধ্যে উৎসাহ দেখা গেল। মহাখুশী সবাই। উত্তেজনায় কাঁপছে কেউ কেউ। অনেকে ভেবে বসেছে কার ঘুড়ি কতটুকু ওড়ে সেটা বুঝি প্রতিযোগিতা হবে।
একটু পরেই সৈকত ভাই যখন প্রতিযোগিতার নিয়ম ঘোষণা করেন তখন সবার ভুল ভাঙে। প্রতিযোগিকে সুই সুতা এবং ঘুড়ি দেওয়া হবে। আলাদা ভাবে। প্রতিযোগীর কাজ হবে ঘড়ির সাথে সুই সুতা বাঁধা। সবাই লেগে পড়ল কাজে। কার আগে কে বাঁধতে হবে তাই নিয়ে প্রতিযোগিতা।
কিন্তু এরি মধ্যে সৈকত ভাই ঘোষণা করলেন কোন পুরষ্কারের ব্যবস্থা নাই। ইচ্ছা করলে সুই বাসায় নেওয়া যাবে। ঘুড়িগুলো ছোট বাচ্ছাদের দিয়ে দিতে হবে। অথ্যাৎ সবার জন্য একই রকম পুরষ্কার। সাম্যবাদের এর চেয়ে উজ্জ্বল নমুনা কি হতে পারে?

পরবর্তীতে প্রতিযোগিতা অংশগ্রহণকারী অনেকে প্রতিযোগিতা শেষে প্রতিযোগিতা বয়কট করল। তবে আয়োজকও কম যান না। তিনি ঘোষণা দিলেন এবার প্রতিযোগিরা নিয়ম না মানায় প্রতিযোগিতা ব্যান করা হলো।
অংশগ্রহণ কারীদের কেউ কেউ আয়োজককেই ব্যান করল। ব্যান যে কত জনপ্রিয় শব্দ তা বৈশাখী অনুষ্ঠানে এই প্রতিযোগিতা কেন্দ্রিক আলোচনায় ব্যাফক ভাবে লক্ষ্য করা গেছে।
মজার ব্যাপার হলো অনেকে সফল ভাবে সুই সুতা বেঁধেছেন। কিন্তু পরে দেখা গেছে তারা উল্টা পিঠে তা বেঁধে বসে আছেন।
এদিকে চলছে ত্রিবেণীর সৌজন্যে সংগীতানুষ্ঠান। অনেক মিস্টি গলা অংশগ্রহণকারীদের। একটার পর একটা গান পরিবেশন করছে। শুধু মিষ্টি গলায় নয় ওদের চেহারাগুলোও অনেক মিস্টি মিস্টি। দেখলেই মন ভাল হয়ে যাওয়ার মত। অথ্যাৎ গ্লামারসেরও অভাব ছিল না।
++++++++++++++++++++++++++++
বৈশাখী অভিজ্ঞতা যা হলো আরো কিছু কথা
মজার অনুষ্ঠান
ছাড়তেই হলো। আমরা চারজন ছুটলাম মেডিকেল কলেজ গেটের দিকে। প্রতিটা গেইট নিয়ন্ত্রিত। যে গেইটে ঢুকা
যাবে সে গেইটে বের হওয়া যাবে না। তো আমাদের কাছাকাছি যে গেইট পেলাম সেখান দিয়ে শুধু বের হওয়া যায়। ঢুকা যায় না। তা কি উপায়। অন্য গেইট খুঁজতে গেলে অনেক সময় চলে যাবে। তা কি আর করা আমরা
বান্দরের পার্ট নিলাম। লোহার দেয়াল টপকে বের হলাম উদ্যান থেকে। প্রথম দিকে ভয় ভয় করছিল। যদিও পরে কোন অঘটন
ছাড়াই চারজনই রাজপথে অবতরণ
করলাম।
লোক গিজ গিজ করছে। এত লোক আসল কোথা থেকে? হাঁটতে হচ্ছে সতর্কতার সাথে। কার সাথে না কার সাথে ধাক্কা লেগে যায়। তার উপর আছে চারজনের একসাথে থাকা। কেউ যদি আলাদা হয়ে যায় তাকে খুঁজতে আবার মহা সমস্যা হয়ে যাবে। এত মানুষের মাঝে খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। আর মোবাইলও অনেকটা জ্যাম হয়ে আছে। সবাই প্রিয় জনের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে ব্যস্ত। তাই কল করে সহজে পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্খিত ব্যক্তিকে।
মাঝে মাঝে তুস ভাই পিছিয়ে পড়ছিলেন। নীরব ভাই আর রাফেল ভাই আগে চলে যাচ্ছেন। আমি ছিলাম মধ্যে।
বিভিন্ন জনের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করার পর আমরা পৌঁছলাম মেডিকেল কলেজের জুরুরী বিভাগের গেইটে। কিন্তু হরবোলা ভাইয়ের দেখা যে পাচ্ছি না। তার তো এখানে থাকার কথা। কিন্তু নাই কেন? দুই গেইট ঘুরাঘুরি করছি।
রাফেল ভাই বেশ কয়েকবার ট্রাই করার পর হরবোলা ভাইয়ের নাম্বারে কথা বলতে পারলেন। পাওয়া গেল হরবোলা ভাইয়ের খোঁজ। হরবোলা ভাই আমাদের নিয়ে গেলেন প্যাকেটের কাছে। গেলাম। কিন্তু এই কি? পাঁচটি বড় ব্যাগ। ভিতরে সব লাঞ্চের প্যাকেট। কিন্তু আমরা মানুষ চারজন। আরেকটা ব্যাগ নেবে কে? হরবোলা ভাই বললেন, অন্য ব্যগটি তিনি নেবেন। তার একজন রোগী হাসপাতালে আছেন। তাকে দেখে যাওয়ার সময় নিয়ে যাবেন। একটু দেরি হবে এই আর কি।
আমরা বললাম, সমস্যা নেই। আমরাই নিতে পারবো। তুস ভাই মহা হতাশ। এত বড় ব্যাগ আলগিয়ে কিভাবে নেওয়া যাবে সে টেনশনে তিনি পড়ে গেছেন।
আমাদেরও যে টেনশন হচ্ছিলো না তা নয়। তারপরও সাহস দেখানোর জন্য টেনশনটা গোপন রাখলাম। বিসমিল্লাহ বলে একটা করে প্যাকেট সবাই হাতে নিয়ে ফেললাম। কিন্তু আরেকটা প্যাকেট যে রয়ে গেল। পরে নীরব ভাই ঐ প্যাকেটের এক প্রান্ত ধরলেন আর অন্য প্রান্ত ধরলাম আমি। আমরা দুজনে তিন প্যাকেট নিয়ে হাঁটছি। রাফেল ভাই দ্রুত হেঁটে আমাদের থেকে অনেক দূরে এগিয়ে গেলেন। আমরা অনেক দূর চোখ দিয়ে রাফেল ভাইয়ের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু তাহার কোন অবস্থা সনাক্ত করতে পারলাম না।
একটু পর রাফেল ভাই ই ফোন দিলেন। কাহিনী কি? রাফেল ভাই জানালেন তিনি পুলিশী তল্লাশীর সম্মুখীন। সবাইকে ডাকলেন। আমরা গেলাম। ততক্ষণে রাফেল ভাইয়ের ব্যাগটি তল্লাশী করা শেষ। মনে করেছিলাম আমাদের ব্যাগগুলোও তল্লাশী করা হবে। কিন্তু বাঁচলাম।
রাফেল ভাইকে একা পেয়ে ভালোই জ্বালিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। কোথায় যাচ্ছে, আইডি কার্ড কই? এগুলো কে খাবে এরকম অনেক প্রশ্ন।
রাফেল ভাই যখন বললেন, পিছনে আরো কয়েকজন আছেন, ওরাও খাবার আনছে। তখন পুলিশ বলল, ওদেরকেও ডাকুন তাড়াতাড়ি। ভাবটা এমন যেন এক সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান পেয়ে গেছেন। ঐই কথা শুনে রাফেল ভাই আমার নাম্বারে কল দিলেন। আমরা এলাম।
পুলিশের ভদ্র এস আই লোকটি পরামর্শ দিলেন আমাদের , পাস নিয়ে রাখলে সুবিধা। ঝামেলায় পড়তে হবে না।
এর আগের দিন সন্ধ্যায় নীলসাধু ভাই বলেছিলেন, প্র্রশাসনের অর্ধশতাধিক টেবিল ঘুরে কিভাবে আনতে হয়েছে অনুমতি।
তা সেটা জানা থাকায় এস আই কে বললাম, উচ্চ পর্যায় থেকে আমাদের অনুমতি আছে।
এস আই বললেন, উচ্চ পর্যায় নিম্ন পর্যায় অনুমতি থাকে। কিন্তু মধ্য খানে থেকে আমরা উভয় দিকের ঠেঙানি খাই। কোন ঝামেলা হলে সবার আগে আমাদেরই ধরে।
তা পুলিশ ক্লিয়ারনেস পাওয়ার পর আমরা আবার যাত্রা শুরু করলাম। এরি মধ্যে আমরা ফোন করে জানিয়ে দিলাম এতটুকু পথ এগুলো নিয়ে আসা সম্ভব নয়। আরো ব্লগার পাঠাতে সাহায্যের জন্য। সেনাবাহিনী বাহিনী বিপদে পড়লে যেমন ওয়ারল্যাসে সদর দপ্তরে জানায় আরো লোক পাঠাতে। ঠিক সেরকম টাইপের সাহায্য চেয়ে বসলাম আমরা।
কিছুক্ষণ পরই রাজিন ভাই ফোন করলেন। তারা ইতিমধ্যে রওয়ানা দিয়ে দিয়েছেন। কোথাও অপেক্ষা করবেন আমাদের জন্য তা জানতে চাইলেন।
আমরা চলছি তো চলছি। প্রথমে রাফেল ভাই, দ্বিতীয়তে আমি নীরব ভাই। আমি আর নীরব ভাই পাশাপাশি থাকতে হচ্চেই। কেননা তিনটা প্যাকেট আমাদের সাথে। তুস ভাই অনেক পিছিয়ে পড়েছেন।
একটু পর আমরা সপ্তাচার্য দেখলাম। হঠাৎ দেখি তুস ভাই আমাদের ডাকছেন। আরে আমাদের পিছে ছিলেন, আমাদের পাশে এসে গেলেন কেমনে? উনি অসম্ভবকে সম্ভব করলেন। একটা রিকসায় বসা তিনি। যতটুকু পারা যায় রিকসাঅলা যাবে। আমরা আমাদের ব্যাগগুলো সে রিকসায় তুলে দিলাম।তুস ভাই প্যাকেটগুলো নিয়ে রওয়ানা দিলেন। আর আমরা সে রিকসার পিছু নিয়েছে। মজার মজার গল্প হচ্ছে।
টি এস সি চত্বরের কিছুটা আগে রিকসা বাধাগ্রস্ত হয়ে নামিয়ে দিল আমাদের। আবার আমাদের পথ চলা।
আবার প্যাকেট ভাগাভাগি হলো। এবার যে ব্যাগটি পড়ল তার ধরার অংশটা ছিড়া। কি আর করা। কাঁধে নিয়ে নিলাম। আরে মজা তো। হাতে ধরে আলগানোর চেয়ে কাঁধে নেওয়াতো অনেক মজার।
কিছুক্ষণ পরই আমরা অনুষ্ঠান স্থলে এসে পৌঁছলাম। তখন দর্শকদের পক্ষ থেকে গান চলছে । যারা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে এসেছিল তাদেরকেও সুযোগ দেয়া হলো গান গাওয়ার। গানে গানে মাতোয়ারা সবাই।
এরি মধ্যে দেখি রাজিন ভাই আসলেন। তারা ছুটলেন পানি আনার জন্য। সকালে অনেক মিনারেল ওয়াটারের বোতল আনা হয়েছে। কিন্তু বেশি গরম পড়ায় এতগুলো বোতল শেষ হতে বেশি সময় লাগে নি। আবার নতুন করে পানি আনা হলো।
অনুষ্ঠানে ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা ছিল। বড় ড্রামে বরফ ছিল। আর বরফের নিচে রাখা হয়েছে পানির বোতল।
এরিমধ্যে নদী আপু ডাকলেন আমাকে। গেলাম। উনি আচার খাচ্ছিলেন। পুরা বাটি জুড়ে আচার। সেখান থেকে খেলাম। গল্প করছিলাম। গোধূলীর সূর্য ভাই, নীরব ভাই, সোনিয়া আপুও আচার খাচ্ছিলেন। আর চলছিল আড্ডা। যদিও মাইক্রোফোনের আওয়াজে কথা বুঝতে কষ্ট হচ্ছিলো। একই কথা বারংবার বলতে হচ্ছিলো । তারপরও সুন্দর আড্ডা হচ্ছিলো।
একটু পরেই ডাক পড়ল দুপুর খানা খেতে যাওয়ার।
খাচ্ছি। এসময় জিয়া ভাই বললেন, আমার মন একটু খারাপ। তোমরা খেয়ে শেষ করতে পারো নাই সব। অনেক কিছু রয়ে গেছে।
অনেক খেয়েছি। পেট ভরা। এত্ত কিছু বুঝি খাওয়া যায়। সব কিছু অত্যাধিক আয়োজন। শেষ করার কুদরত নেই এত কিছু।
মুরুব্বী জামান ভাই একটা কথা বললেন, বেঁচে যাক সমস্যা নেই, কিন্তু শট যাতে না পড়ে।
ভাত খাওয়ার সময় পাশে বসেছিলেন তুস ভাই। একটা প্যাকেট খাওয়ার পর অন্য একটি প্যাকেট দুজনে শেয়ার করছি।
তরমুজ রয়ে গেছে। কে কে বাসায় নিতে চায় সে ঘোষণা এল।
নীরব ভাই বাসায় নেবেন না। তাই বলে এম্নেই ছেড়ে দিবেন? সম্ভবত সেটা হতে দেওয়ার কোন ইচ্ছা তার ছিল না। তিনি স্ব হস্তে জোরালো আঘাতে অত্যন্ত সাহসীকতার সাথে তরমুজ দ্বিখন্ডিত করে ফেলেন।
সেটা আমরা হাত দিয়ে আদিম মানুষের মত খেলাম। হাত দিয়ে খামচে মেরে মেরে তরমুজ খাওয়া ব্যাপারটা দেখার মত। অনেক মজা হয়েছিল।
লোক গিজ গিজ করছে। এত লোক আসল কোথা থেকে? হাঁটতে হচ্ছে সতর্কতার সাথে। কার সাথে না কার সাথে ধাক্কা লেগে যায়। তার উপর আছে চারজনের একসাথে থাকা। কেউ যদি আলাদা হয়ে যায় তাকে খুঁজতে আবার মহা সমস্যা হয়ে যাবে। এত মানুষের মাঝে খুঁজে পাওয়া প্রায় অসম্ভব। আর মোবাইলও অনেকটা জ্যাম হয়ে আছে। সবাই প্রিয় জনের সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলতে ব্যস্ত। তাই কল করে সহজে পাওয়া যাচ্ছে না কাঙ্খিত ব্যক্তিকে।
মাঝে মাঝে তুস ভাই পিছিয়ে পড়ছিলেন। নীরব ভাই আর রাফেল ভাই আগে চলে যাচ্ছেন। আমি ছিলাম মধ্যে।
বিভিন্ন জনের কাছ থেকে জিজ্ঞাসা করার পর আমরা পৌঁছলাম মেডিকেল কলেজের জুরুরী বিভাগের গেইটে। কিন্তু হরবোলা ভাইয়ের দেখা যে পাচ্ছি না। তার তো এখানে থাকার কথা। কিন্তু নাই কেন? দুই গেইট ঘুরাঘুরি করছি।
রাফেল ভাই বেশ কয়েকবার ট্রাই করার পর হরবোলা ভাইয়ের নাম্বারে কথা বলতে পারলেন। পাওয়া গেল হরবোলা ভাইয়ের খোঁজ। হরবোলা ভাই আমাদের নিয়ে গেলেন প্যাকেটের কাছে। গেলাম। কিন্তু এই কি? পাঁচটি বড় ব্যাগ। ভিতরে সব লাঞ্চের প্যাকেট। কিন্তু আমরা মানুষ চারজন। আরেকটা ব্যাগ নেবে কে? হরবোলা ভাই বললেন, অন্য ব্যগটি তিনি নেবেন। তার একজন রোগী হাসপাতালে আছেন। তাকে দেখে যাওয়ার সময় নিয়ে যাবেন। একটু দেরি হবে এই আর কি।
আমরা বললাম, সমস্যা নেই। আমরাই নিতে পারবো। তুস ভাই মহা হতাশ। এত বড় ব্যাগ আলগিয়ে কিভাবে নেওয়া যাবে সে টেনশনে তিনি পড়ে গেছেন।
আমাদেরও যে টেনশন হচ্ছিলো না তা নয়। তারপরও সাহস দেখানোর জন্য টেনশনটা গোপন রাখলাম। বিসমিল্লাহ বলে একটা করে প্যাকেট সবাই হাতে নিয়ে ফেললাম। কিন্তু আরেকটা প্যাকেট যে রয়ে গেল। পরে নীরব ভাই ঐ প্যাকেটের এক প্রান্ত ধরলেন আর অন্য প্রান্ত ধরলাম আমি। আমরা দুজনে তিন প্যাকেট নিয়ে হাঁটছি। রাফেল ভাই দ্রুত হেঁটে আমাদের থেকে অনেক দূরে এগিয়ে গেলেন। আমরা অনেক দূর চোখ দিয়ে রাফেল ভাইয়ের খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করলাম। কিন্তু তাহার কোন অবস্থা সনাক্ত করতে পারলাম না।
একটু পর রাফেল ভাই ই ফোন দিলেন। কাহিনী কি? রাফেল ভাই জানালেন তিনি পুলিশী তল্লাশীর সম্মুখীন। সবাইকে ডাকলেন। আমরা গেলাম। ততক্ষণে রাফেল ভাইয়ের ব্যাগটি তল্লাশী করা শেষ। মনে করেছিলাম আমাদের ব্যাগগুলোও তল্লাশী করা হবে। কিন্তু বাঁচলাম।
রাফেল ভাইকে একা পেয়ে ভালোই জ্বালিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তা। কোথায় যাচ্ছে, আইডি কার্ড কই? এগুলো কে খাবে এরকম অনেক প্রশ্ন।
রাফেল ভাই যখন বললেন, পিছনে আরো কয়েকজন আছেন, ওরাও খাবার আনছে। তখন পুলিশ বলল, ওদেরকেও ডাকুন তাড়াতাড়ি। ভাবটা এমন যেন এক সংঘবদ্ধ চক্রের সন্ধান পেয়ে গেছেন। ঐই কথা শুনে রাফেল ভাই আমার নাম্বারে কল দিলেন। আমরা এলাম।
পুলিশের ভদ্র এস আই লোকটি পরামর্শ দিলেন আমাদের , পাস নিয়ে রাখলে সুবিধা। ঝামেলায় পড়তে হবে না।
এর আগের দিন সন্ধ্যায় নীলসাধু ভাই বলেছিলেন, প্র্রশাসনের অর্ধশতাধিক টেবিল ঘুরে কিভাবে আনতে হয়েছে অনুমতি।
তা সেটা জানা থাকায় এস আই কে বললাম, উচ্চ পর্যায় থেকে আমাদের অনুমতি আছে।
এস আই বললেন, উচ্চ পর্যায় নিম্ন পর্যায় অনুমতি থাকে। কিন্তু মধ্য খানে থেকে আমরা উভয় দিকের ঠেঙানি খাই। কোন ঝামেলা হলে সবার আগে আমাদেরই ধরে।
তা পুলিশ ক্লিয়ারনেস পাওয়ার পর আমরা আবার যাত্রা শুরু করলাম। এরি মধ্যে আমরা ফোন করে জানিয়ে দিলাম এতটুকু পথ এগুলো নিয়ে আসা সম্ভব নয়। আরো ব্লগার পাঠাতে সাহায্যের জন্য। সেনাবাহিনী বাহিনী বিপদে পড়লে যেমন ওয়ারল্যাসে সদর দপ্তরে জানায় আরো লোক পাঠাতে। ঠিক সেরকম টাইপের সাহায্য চেয়ে বসলাম আমরা।

কিছুক্ষণ পরই রাজিন ভাই ফোন করলেন। তারা ইতিমধ্যে রওয়ানা দিয়ে দিয়েছেন। কোথাও অপেক্ষা করবেন আমাদের জন্য তা জানতে চাইলেন।
আমরা চলছি তো চলছি। প্রথমে রাফেল ভাই, দ্বিতীয়তে আমি নীরব ভাই। আমি আর নীরব ভাই পাশাপাশি থাকতে হচ্চেই। কেননা তিনটা প্যাকেট আমাদের সাথে। তুস ভাই অনেক পিছিয়ে পড়েছেন।
একটু পর আমরা সপ্তাচার্য দেখলাম। হঠাৎ দেখি তুস ভাই আমাদের ডাকছেন। আরে আমাদের পিছে ছিলেন, আমাদের পাশে এসে গেলেন কেমনে? উনি অসম্ভবকে সম্ভব করলেন। একটা রিকসায় বসা তিনি। যতটুকু পারা যায় রিকসাঅলা যাবে। আমরা আমাদের ব্যাগগুলো সে রিকসায় তুলে দিলাম।তুস ভাই প্যাকেটগুলো নিয়ে রওয়ানা দিলেন। আর আমরা সে রিকসার পিছু নিয়েছে। মজার মজার গল্প হচ্ছে।
টি এস সি চত্বরের কিছুটা আগে রিকসা বাধাগ্রস্ত হয়ে নামিয়ে দিল আমাদের। আবার আমাদের পথ চলা।
আবার প্যাকেট ভাগাভাগি হলো। এবার যে ব্যাগটি পড়ল তার ধরার অংশটা ছিড়া। কি আর করা। কাঁধে নিয়ে নিলাম। আরে মজা তো। হাতে ধরে আলগানোর চেয়ে কাঁধে নেওয়াতো অনেক মজার।
কিছুক্ষণ পরই আমরা অনুষ্ঠান স্থলে এসে পৌঁছলাম। তখন দর্শকদের পক্ষ থেকে গান চলছে । যারা অনুষ্ঠান উপভোগ করতে এসেছিল তাদেরকেও সুযোগ দেয়া হলো গান গাওয়ার। গানে গানে মাতোয়ারা সবাই।
এরি মধ্যে দেখি রাজিন ভাই আসলেন। তারা ছুটলেন পানি আনার জন্য। সকালে অনেক মিনারেল ওয়াটারের বোতল আনা হয়েছে। কিন্তু বেশি গরম পড়ায় এতগুলো বোতল শেষ হতে বেশি সময় লাগে নি। আবার নতুন করে পানি আনা হলো।
অনুষ্ঠানে ঠান্ডা পানির ব্যবস্থা ছিল। বড় ড্রামে বরফ ছিল। আর বরফের নিচে রাখা হয়েছে পানির বোতল।
এরিমধ্যে নদী আপু ডাকলেন আমাকে। গেলাম। উনি আচার খাচ্ছিলেন। পুরা বাটি জুড়ে আচার। সেখান থেকে খেলাম। গল্প করছিলাম। গোধূলীর সূর্য ভাই, নীরব ভাই, সোনিয়া আপুও আচার খাচ্ছিলেন। আর চলছিল আড্ডা। যদিও মাইক্রোফোনের আওয়াজে কথা বুঝতে কষ্ট হচ্ছিলো। একই কথা বারংবার বলতে হচ্ছিলো । তারপরও সুন্দর আড্ডা হচ্ছিলো।
একটু পরেই ডাক পড়ল দুপুর খানা খেতে যাওয়ার।
খাচ্ছি। এসময় জিয়া ভাই বললেন, আমার মন একটু খারাপ। তোমরা খেয়ে শেষ করতে পারো নাই সব। অনেক কিছু রয়ে গেছে।
অনেক খেয়েছি। পেট ভরা। এত্ত কিছু বুঝি খাওয়া যায়। সব কিছু অত্যাধিক আয়োজন। শেষ করার কুদরত নেই এত কিছু।
মুরুব্বী জামান ভাই একটা কথা বললেন, বেঁচে যাক সমস্যা নেই, কিন্তু শট যাতে না পড়ে।
ভাত খাওয়ার সময় পাশে বসেছিলেন তুস ভাই। একটা প্যাকেট খাওয়ার পর অন্য একটি প্যাকেট দুজনে শেয়ার করছি।
তরমুজ রয়ে গেছে। কে কে বাসায় নিতে চায় সে ঘোষণা এল।
নীরব ভাই বাসায় নেবেন না। তাই বলে এম্নেই ছেড়ে দিবেন? সম্ভবত সেটা হতে দেওয়ার কোন ইচ্ছা তার ছিল না। তিনি স্ব হস্তে জোরালো আঘাতে অত্যন্ত সাহসীকতার সাথে তরমুজ দ্বিখন্ডিত করে ফেলেন।
সেটা আমরা হাত দিয়ে আদিম মানুষের মত খেলাম। হাত দিয়ে খামচে মেরে মেরে তরমুজ খাওয়া ব্যাপারটা দেখার মত। অনেক মজা হয়েছিল।
++++++++++++++++++++++++++++++
বৈশাখী অভিজ্ঞতা আনন্দ যেখানে কথা বলেছে সেকেন্ডে সেকেন্ডে
বৈশাখী অনুষ্ঠানের
দুপুরের লাঞ্চ তখন শেষ। এত আয়োজনের সাথে আবার দুপুরের খানারও ব্যবস্থা
বিষয়টা আসলেই বিশাল। যেখানে নিজে আসাই দায় সেখানে এত কিছুর আয়োজন সত্যিই অভিভূত
করতে যথেষ্ট। জিনিষ পত্র আনা নেওয়া অনেক ঝামেলার ব্যাপার। কেননা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয় অনেক পথ। হেঁটে আসতে হাজারো লোকের ভীড় ঠেলে।
তবে এই ফাঁকে একটা কথা বলে নিই। খাঁদ না থাকলে নাকি স্বর্ণও খাঁটি হয় না। তা এত আনন্দ খাঁদ বিহীন হবে তা কি মেনে নেওয়া যায়? না কক্ষণো না। অতি আনন্দকে খাঁটি করতে একটু খাঁদ থাকা দরকার বটে।
এজন্যই হয়ত আমাদের চারজনকে ডাকলেন মুরুব্বী ভাই। যিনি শুধুমাত্র এই ব্লগারস ফোরামের অনুষ্ঠানের জন্য সুদূর বগুড়া থেকে তিন তিন বার এসেছেন। নিষাদ ভাই চড়ুই ভাতির একটা পোস্টে জামান ভাই আর জিয়া ভাইকে পাগল বলেছিলেন। আসলে পাগল না হলে তা এত দূর থেকে মায়ার টানে আসা কোন মতেই সম্ভব নয়।
তুস ভাই, নীরব ভাই, রাফেল ভাই আর বই পাগলকে বলা হলো অনুষ্ঠান স্থল থেকে মেডিকেলের গেট পর্যন্ত যেতে। সেখানে হরবোলা ভাই অপেক্ষা করছেন। দুপুরের খানার প্যাকেট নিয়ে।
এদিকে মঞ্চে চলছে ব্লগারদের অংশগ্রহণে মজার মজার সব কান্ড। কেউ গান করছে। কেউ করছে নৃত্য। আনন্দ যেন শতভাগ জড়িয়ে নিয়েছে সবাইকে। ক্ষণিক পর পর মাইক বদল হচ্ছে। আর মজার আসছে বৈচিত্র। আমার কবিতা ভাই কয়েক লাইনের একটা কবিতা পড়লেন। কিছুক্ষণ আগে তা রচনা করেছিলেন।
এদিকে লুবনা আপুর হাসবেন্ড জামান ভাই সিগারেট ধরালেন। মঞ্চ থেকে সিগারেট ধরানো দেখতে পেয়ে আমার কবিতা ভাই ঘোষণা দিলেন সিগারেট খাওয়া চলবে না। সিগারেট খেয়ে নিজের ক্ষতি করার কি দরকার। জামান ভাই তা শুনে হাসেন। যদিও কবিতা ভাইকে সিগারেট খেতে দেখা গেছে।
কবিতা ভাই মাইকে জানালেন, তার সিগারেট খাওয়া দেখে তার ছেলে বিরক্ত হয়ে তাকে তার সঙ্গ ছেড়ে অন্য দূরে চলে গেছে। বাবা সিগারেট খেয়েছে এটা দেখে ভীষণ রাগ করেছে ও।
যতক্ষণ ছিলাম কবির ভাই সুন্দর উপস্থাপনা করছিলেন। অনেকটা অঘোষিত ভাবে। নিষাদ ভাই বলে দিলেন, সাইফুর রহমান কি বলেছিল, সেটা বলেন।
উল্লেখ্য যে আমরা যখন চড়–ই ভাতিতে যাচ্ছিলাম তখনও আমাদের সাথে সঙ্গী হয়েছিলেন কবির ভাই। তা তিনি খুব চমতকার ভঙ্গিতে আঞ্চলিক ভাষায় বলছিলেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানকে নকল করে, আমাদের বেশি বেশি আলু আর পটেটো খাইতে হবে, আর ওরা কয় বেশি বেশি নুডলস খাও।
মনে করেছিলাম কবির ভাই তা বলবেন। আর তার মজাদার বলার ভঙ্গি দেখে সবাই হেসে উঠবে।
কিন্তু তিনি আমাদের নিরাশ করলেন। সাইফুর রহমান মৌলভী বাজারের লোক তাই তিনি সাইফুর রহমানের কথা বললেন না। মৌলভী বাজারের সাথে কবির ভাইয়ের এত শত্র“তা কেন, যদিও তা প্রকাশ করেন নাই।
এরিমধ্যে চলছে সম্মিলিত কবিতা লেখার চেষ্টা। রাতের পাখি আপু সবাইকে পৃষ্ঠা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। দুই লাইন করে সবাই লিখছে। আমাকেও বলা হলো। কিন্তু আমার দুইটা লাইন কবিতার সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট তা ভেবে আমি লিখার সাহস পাই নি।
সবার থেকে অনুভূতি নিচ্ছি। অবাক হচ্ছেন? প্রশ্ন জাগছে অনুভূতি নেয় কেমনে? বলছি তাহলে। শিখে রাখেন কাজে লাগবে। চাইলেই অনুভূতি নিতে পারবেন। একটা খাতা নেন। প্যাড হলেও চলবে। মামুন ভাই থেকে প্যাড নিয়ে নিলাম। তারপর নেন একটা কলম। এবার যার কাছ থেকে অনুভূতি নেবেন তাকে খাতাটি দেন। সাদা পৃষ্ঠা উল্টিয়ে। ওনাকে বলেন, আপনার কেমন লাগছে তা লিখে দেন।
উনি লিখে দেবেন। ব্যস হয়ে গেল অনুভূতি নেওয়া। যদিও লেখার অক্ষরে কতটুকু অনুভূতি প্রকাশ করা যায় তা নিয়ে বিতর্ক থেকেই যায়। যেমন আমি লেখার অক্ষরে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারি নাই বিধায় ঐ খাতাতেই লিখলাম না। মনের মধ্যে থাক সে অবিস্মরণীয় অনুভূতি।
মুরুব্বী জামান ভাই দায়িত্বটা আমাকে দিলেন। সবার থেকে অনুভূতি নিতে হবে খাতায় কিছু অক্ষরে। মজাই লাগছিল। মামুন ভাই ফুল দিচ্ছিলেন আর আমি খাতাটা এগিয়ে দিয়ে কিছু লিখতে বলছিলাম।
জিয়া ভাইকে কিছু লিখতে বলতেই তিনি বললেন, তিনি সবার শেষে দিবেন। যদিও বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সেটা আর দেওয়া হলো।
মজার ব্যাপার হচ্ছে কয়েকজন আমাকেই উল্টা বলল, কি লিখব তা বলে দিতে। ৪০ জনের উপরে প্রিয় ব্লগারের অনুভূতি প্রকাশ পেল খাতায়। রাফেল ভাই হাতের লেখাসহ সেটা প্রকাশ করলেন অসাধারণ ভাবে। নির্বাচিত পোস্টে সেটা আছে। দেখে নেওয়ার অনুরোধ রইল।
তবে এই ফাঁকে একটা কথা বলে নিই। খাঁদ না থাকলে নাকি স্বর্ণও খাঁটি হয় না। তা এত আনন্দ খাঁদ বিহীন হবে তা কি মেনে নেওয়া যায়? না কক্ষণো না। অতি আনন্দকে খাঁটি করতে একটু খাঁদ থাকা দরকার বটে।
এজন্যই হয়ত আমাদের চারজনকে ডাকলেন মুরুব্বী ভাই। যিনি শুধুমাত্র এই ব্লগারস ফোরামের অনুষ্ঠানের জন্য সুদূর বগুড়া থেকে তিন তিন বার এসেছেন। নিষাদ ভাই চড়ুই ভাতির একটা পোস্টে জামান ভাই আর জিয়া ভাইকে পাগল বলেছিলেন। আসলে পাগল না হলে তা এত দূর থেকে মায়ার টানে আসা কোন মতেই সম্ভব নয়।
তুস ভাই, নীরব ভাই, রাফেল ভাই আর বই পাগলকে বলা হলো অনুষ্ঠান স্থল থেকে মেডিকেলের গেট পর্যন্ত যেতে। সেখানে হরবোলা ভাই অপেক্ষা করছেন। দুপুরের খানার প্যাকেট নিয়ে।
এদিকে মঞ্চে চলছে ব্লগারদের অংশগ্রহণে মজার মজার সব কান্ড। কেউ গান করছে। কেউ করছে নৃত্য। আনন্দ যেন শতভাগ জড়িয়ে নিয়েছে সবাইকে। ক্ষণিক পর পর মাইক বদল হচ্ছে। আর মজার আসছে বৈচিত্র। আমার কবিতা ভাই কয়েক লাইনের একটা কবিতা পড়লেন। কিছুক্ষণ আগে তা রচনা করেছিলেন।
এদিকে লুবনা আপুর হাসবেন্ড জামান ভাই সিগারেট ধরালেন। মঞ্চ থেকে সিগারেট ধরানো দেখতে পেয়ে আমার কবিতা ভাই ঘোষণা দিলেন সিগারেট খাওয়া চলবে না। সিগারেট খেয়ে নিজের ক্ষতি করার কি দরকার। জামান ভাই তা শুনে হাসেন। যদিও কবিতা ভাইকে সিগারেট খেতে দেখা গেছে।
কবিতা ভাই মাইকে জানালেন, তার সিগারেট খাওয়া দেখে তার ছেলে বিরক্ত হয়ে তাকে তার সঙ্গ ছেড়ে অন্য দূরে চলে গেছে। বাবা সিগারেট খেয়েছে এটা দেখে ভীষণ রাগ করেছে ও।
যতক্ষণ ছিলাম কবির ভাই সুন্দর উপস্থাপনা করছিলেন। অনেকটা অঘোষিত ভাবে। নিষাদ ভাই বলে দিলেন, সাইফুর রহমান কি বলেছিল, সেটা বলেন।
উল্লেখ্য যে আমরা যখন চড়–ই ভাতিতে যাচ্ছিলাম তখনও আমাদের সাথে সঙ্গী হয়েছিলেন কবির ভাই। তা তিনি খুব চমতকার ভঙ্গিতে আঞ্চলিক ভাষায় বলছিলেন প্রয়াত অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানকে নকল করে, আমাদের বেশি বেশি আলু আর পটেটো খাইতে হবে, আর ওরা কয় বেশি বেশি নুডলস খাও।
মনে করেছিলাম কবির ভাই তা বলবেন। আর তার মজাদার বলার ভঙ্গি দেখে সবাই হেসে উঠবে।
কিন্তু তিনি আমাদের নিরাশ করলেন। সাইফুর রহমান মৌলভী বাজারের লোক তাই তিনি সাইফুর রহমানের কথা বললেন না। মৌলভী বাজারের সাথে কবির ভাইয়ের এত শত্র“তা কেন, যদিও তা প্রকাশ করেন নাই।
এরিমধ্যে চলছে সম্মিলিত কবিতা লেখার চেষ্টা। রাতের পাখি আপু সবাইকে পৃষ্ঠা বাড়িয়ে দিচ্ছেন। দুই লাইন করে সবাই লিখছে। আমাকেও বলা হলো। কিন্তু আমার দুইটা লাইন কবিতার সৌন্দর্য নষ্ট করার জন্য যথেষ্ট তা ভেবে আমি লিখার সাহস পাই নি।
সবার থেকে অনুভূতি নিচ্ছি। অবাক হচ্ছেন? প্রশ্ন জাগছে অনুভূতি নেয় কেমনে? বলছি তাহলে। শিখে রাখেন কাজে লাগবে। চাইলেই অনুভূতি নিতে পারবেন। একটা খাতা নেন। প্যাড হলেও চলবে। মামুন ভাই থেকে প্যাড নিয়ে নিলাম। তারপর নেন একটা কলম। এবার যার কাছ থেকে অনুভূতি নেবেন তাকে খাতাটি দেন। সাদা পৃষ্ঠা উল্টিয়ে। ওনাকে বলেন, আপনার কেমন লাগছে তা লিখে দেন।
উনি লিখে দেবেন। ব্যস হয়ে গেল অনুভূতি নেওয়া। যদিও লেখার অক্ষরে কতটুকু অনুভূতি প্রকাশ করা যায় তা নিয়ে বিতর্ক থেকেই যায়। যেমন আমি লেখার অক্ষরে অনুভূতি প্রকাশ করতে পারি নাই বিধায় ঐ খাতাতেই লিখলাম না। মনের মধ্যে থাক সে অবিস্মরণীয় অনুভূতি।
মুরুব্বী জামান ভাই দায়িত্বটা আমাকে দিলেন। সবার থেকে অনুভূতি নিতে হবে খাতায় কিছু অক্ষরে। মজাই লাগছিল। মামুন ভাই ফুল দিচ্ছিলেন আর আমি খাতাটা এগিয়ে দিয়ে কিছু লিখতে বলছিলাম।
জিয়া ভাইকে কিছু লিখতে বলতেই তিনি বললেন, তিনি সবার শেষে দিবেন। যদিও বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে সেটা আর দেওয়া হলো।
মজার ব্যাপার হচ্ছে কয়েকজন আমাকেই উল্টা বলল, কি লিখব তা বলে দিতে। ৪০ জনের উপরে প্রিয় ব্লগারের অনুভূতি প্রকাশ পেল খাতায়। রাফেল ভাই হাতের লেখাসহ সেটা প্রকাশ করলেন অসাধারণ ভাবে। নির্বাচিত পোস্টে সেটা আছে। দেখে নেওয়ার অনুরোধ রইল।
++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++
বৈশাখী অভিজ্ঞতাশেষ দিকের কথা
শুরু থেকে সব সময়
শুরু করি। কিন্তু দেখা যায় প্রথম থেকে শুরু করলে প্রায়ই সময়ই শেষ পর্যন্ত
করতে পারি না। যেমন চড়ুই ভাতির মজার অভিজ্ঞতাগুলো ১০ টা পোস্ট দিয়েও শেষ
করতে পারলাম না। শেষ পর্যন্ত গেলে আরো তিন পর্ব লিখতে হবে। 
তাই এবার নিলাম নতুন বুদ্ধি।
শেষ থেকে শুরু করি। তখন সম্ভবত বিকাল চারটা। চারুকলার সামনে দাঁড়িয়ে আছে চারজন ব্লগার। মৌসুমী দত্ত আপু, কবিরনি ভাই, বই পাগল, গোধূলীর সূর্য ভাই।
দাঁড়িছে আছে একটা আইসক্রিম ভ্যানের সামনে। চারদিকে লোকে লোকারণ্য। ঢোলের, বাঁশির আওয়াজে এলাকা প্রকম্পিত। রঙ বেরঙের সাজে চোখ ঠিক রাখা দায়। মুখে আল্পনা এঁকেছে অনেকে।
মৌসুমী আপু আমাদেরকে আইসক্রীম খাওয়ালেন। অনেক সুন্দর গল্প করেন। এর কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত অনুষ্ঠানস্থলে গল্প করছিলাম আমরা কয়েক ব্লগার। আইসক্রীম খেয়ে পরাণ ঠান্ডা হলো। যারা ছিলেন না তারা মিস করলেন আইসক্রীম।
আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত ছিলেন রাফেল ভাই, রাতের পাখি, রুবিনা। এরই মধ্যে অনেকে বিদায় নিয়েছে।
কিছুক্ষণ আগে বিদায় নিয়েছে মামুন ভাই। অনেক সুন্দর সাজে এসেছিলেন তিনি।
কিন্তু আমাদের বিদায় নেওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না । যেন কারো যেতে ইচ্ছা করছে না সুন্দর এই অনুষ্ঠান স্থল ছেড়ে। যদিও অনেক আগেই সাউন্ড সিস্টেম গুটিয়ে ফেলা হয়েছে। কার্পেট তুলে ফেলা হয়েছে। সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে উপরের প্যান্ডেল। তারপরও আমাদের যেতে কোন ভাবেই ইচ্ছা করছিল না। কারো উঠার ইচ্ছা প্রকাশ পেল না।
এর মধ্যে চা খাওয়া হলো এক প্রস্থ। রুবিনা আপু ব্যস্ত আল্পনা একেঁ দিতে। বেশ কয়েকজন ব্লগারকে আলপনা এঁকে দিয়েছেন।
যখন রাতের পাখি ঘোষণা করলেন যে যে আল্পনা আঁকাতে চান তারা রুবিনাকে বলেন। সে এঁকে দিবে। অনেকে উৎসাহিত হলো। উৎসাহিতদের তালিকায় বই পাগলকেও দেখা গেল। যদিও সিরিয়ালে অনেক পরে পড়ে গেলাম। চিন্তা করতে গিয়ে এই সমস্যা।
কয়েকজনের পর আমি সুযোগ পেলাম। আমার হাতে তুলি দিয়ে আঁচড় টানবেন এসময় উদয় হলো সোনিয়া আপুর মেয়ে। সে আল্পনা আঁকবে। সে যেহেতু ছোট তাই তাকে আগে একে দিতে হবে। মেনে নিতে হলো। নিলাম মেনে। এই পিচ্ছিটার পিচ্ছি মুখে আল্পনা আঁকতে আর কতক্ষণ লাগবে?
কিন্তু দেখি বেশ কিছুক্ষণ লাগবে। এরপর আমি হাত দিতে যাবো তখন আরেক মেয়ে শিশুর আগমণ। তাঁকেও আঁকানো হলো।
তাহার পর আমি সুযোগ পেলাম। ধন্য হলাম। তো হাতের পিঠে সুন্দর নববর্ষের আল্পনা এঁকে দিলেন। আমি মহাখুশী।
কবিরনি ভাই, মৌসুমী দত্ত আপুও আল্পনা আঁকিয়ে নিলেন।
আমাদের আড্ডা চলছে সমান তালে অনেক জীবন্ত হয়ে। অনেক আনন্দের সাথে। যারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন কাজে চলে গেছেন তারা মিস করলেন সর্বশেষ আড্ডাগুলো।
মৌসুমী আপু একটার পর একটা ছবি তুলছেন। অনেক ছবি তুললেন।
গোধূলীর সূর্য ভাই ব্লগ সম্পর্কে অনেক অজানা কথা। জানালেন কয়েক ব্লগার সম্পর্কে মজার অভিজ্ঞতার কথা। আমরা অনেক মনযোগ দিয়ে শুনছিলাম তার ব্লগ অভিজ্ঞতার কথাগুলো।
রাফেল ভাই ব্যস্ত তরমুজ বাঁধনে। কেমনে তরমুজ বাঁধলে তা নির্বিঘ্নে নেওয়া যাবে সে বিষয়ে মহা চিন্তিত। যদিও তরমুজটি তিনি নেবেন না। নেবেন রুবিনা আপু কিংবা রাতের পাখি আপুর কেউ একজন।

তাই এবার নিলাম নতুন বুদ্ধি।
শেষ থেকে শুরু করি। তখন সম্ভবত বিকাল চারটা। চারুকলার সামনে দাঁড়িয়ে আছে চারজন ব্লগার। মৌসুমী দত্ত আপু, কবিরনি ভাই, বই পাগল, গোধূলীর সূর্য ভাই।
দাঁড়িছে আছে একটা আইসক্রিম ভ্যানের সামনে। চারদিকে লোকে লোকারণ্য। ঢোলের, বাঁশির আওয়াজে এলাকা প্রকম্পিত। রঙ বেরঙের সাজে চোখ ঠিক রাখা দায়। মুখে আল্পনা এঁকেছে অনেকে।
মৌসুমী আপু আমাদেরকে আইসক্রীম খাওয়ালেন। অনেক সুন্দর গল্প করেন। এর কিছুক্ষণ আগ পর্যন্ত অনুষ্ঠানস্থলে গল্প করছিলাম আমরা কয়েক ব্লগার। আইসক্রীম খেয়ে পরাণ ঠান্ডা হলো। যারা ছিলেন না তারা মিস করলেন আইসক্রীম।
আমাদের সাথে শেষ পর্যন্ত ছিলেন রাফেল ভাই, রাতের পাখি, রুবিনা। এরই মধ্যে অনেকে বিদায় নিয়েছে।
কিছুক্ষণ আগে বিদায় নিয়েছে মামুন ভাই। অনেক সুন্দর সাজে এসেছিলেন তিনি।
কিন্তু আমাদের বিদায় নেওয়ার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না । যেন কারো যেতে ইচ্ছা করছে না সুন্দর এই অনুষ্ঠান স্থল ছেড়ে। যদিও অনেক আগেই সাউন্ড সিস্টেম গুটিয়ে ফেলা হয়েছে। কার্পেট তুলে ফেলা হয়েছে। সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে উপরের প্যান্ডেল। তারপরও আমাদের যেতে কোন ভাবেই ইচ্ছা করছিল না। কারো উঠার ইচ্ছা প্রকাশ পেল না।
এর মধ্যে চা খাওয়া হলো এক প্রস্থ। রুবিনা আপু ব্যস্ত আল্পনা একেঁ দিতে। বেশ কয়েকজন ব্লগারকে আলপনা এঁকে দিয়েছেন।
যখন রাতের পাখি ঘোষণা করলেন যে যে আল্পনা আঁকাতে চান তারা রুবিনাকে বলেন। সে এঁকে দিবে। অনেকে উৎসাহিত হলো। উৎসাহিতদের তালিকায় বই পাগলকেও দেখা গেল। যদিও সিরিয়ালে অনেক পরে পড়ে গেলাম। চিন্তা করতে গিয়ে এই সমস্যা।

কয়েকজনের পর আমি সুযোগ পেলাম। আমার হাতে তুলি দিয়ে আঁচড় টানবেন এসময় উদয় হলো সোনিয়া আপুর মেয়ে। সে আল্পনা আঁকবে। সে যেহেতু ছোট তাই তাকে আগে একে দিতে হবে। মেনে নিতে হলো। নিলাম মেনে। এই পিচ্ছিটার পিচ্ছি মুখে আল্পনা আঁকতে আর কতক্ষণ লাগবে?
কিন্তু দেখি বেশ কিছুক্ষণ লাগবে। এরপর আমি হাত দিতে যাবো তখন আরেক মেয়ে শিশুর আগমণ। তাঁকেও আঁকানো হলো।
তাহার পর আমি সুযোগ পেলাম। ধন্য হলাম। তো হাতের পিঠে সুন্দর নববর্ষের আল্পনা এঁকে দিলেন। আমি মহাখুশী।
কবিরনি ভাই, মৌসুমী দত্ত আপুও আল্পনা আঁকিয়ে নিলেন।
আমাদের আড্ডা চলছে সমান তালে অনেক জীবন্ত হয়ে। অনেক আনন্দের সাথে। যারা ইতিমধ্যে বিভিন্ন কাজে চলে গেছেন তারা মিস করলেন সর্বশেষ আড্ডাগুলো।
মৌসুমী আপু একটার পর একটা ছবি তুলছেন। অনেক ছবি তুললেন।
গোধূলীর সূর্য ভাই ব্লগ সম্পর্কে অনেক অজানা কথা। জানালেন কয়েক ব্লগার সম্পর্কে মজার অভিজ্ঞতার কথা। আমরা অনেক মনযোগ দিয়ে শুনছিলাম তার ব্লগ অভিজ্ঞতার কথাগুলো।
রাফেল ভাই ব্যস্ত তরমুজ বাঁধনে। কেমনে তরমুজ বাঁধলে তা নির্বিঘ্নে নেওয়া যাবে সে বিষয়ে মহা চিন্তিত। যদিও তরমুজটি তিনি নেবেন না। নেবেন রুবিনা আপু কিংবা রাতের পাখি আপুর কেউ একজন।