ঢাকা থেকে ফিরছি।চড়ুইভাতি পাহাড়পুর শেষে। রেলের টিকেট নিয়েছিলাম। টিকেট নেওয়ার সময় বার বার বলেছিলাম জানালার পাশে যেন সিট বরাদ্দ দেওয়া হয়। রেল কর্মকর্তাও মাথা নেড়েছিলেন।
তা নির্দিষ্ট দিনে রেলে এসে উপস্থিত হলাম। সকাল বেলার ট্রেন। মহানগর প্রভাতী। ট্রেনের রঙ সাদা। যদিও ধূলাবালির প্রখর আক্রমণে সাদাচে হয়ে গেছে। একেবারে সর্বশেষে আমার বগি। টিকেট হাতে নিয়ে বগিতে সিট খুঁজতে লাগলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে পাওয়া গেল সিট। কিন্তু মাথা একটু খারাপ হলো আমার সিট নাম্বারটি করিডর পার্শ্ব। জানালা পাশ্ব না। মনে মনে ক্ষোভ হলো ঐ রেলওয়ে কর্মকর্তার উপর। এতবার বলে দিলাম তারপরও জানালার পাশে সিট দিল না। কি শুনছিল কে জানে।
তা নির্দিষ্ট দিনে রেলে এসে উপস্থিত হলাম। সকাল বেলার ট্রেন। মহানগর প্রভাতী। ট্রেনের রঙ সাদা। যদিও ধূলাবালির প্রখর আক্রমণে সাদাচে হয়ে গেছে। একেবারে সর্বশেষে আমার বগি। টিকেট হাতে নিয়ে বগিতে সিট খুঁজতে লাগলাম। কিছুক্ষণের মধ্যে পাওয়া গেল সিট। কিন্তু মাথা একটু খারাপ হলো আমার সিট নাম্বারটি করিডর পার্শ্ব। জানালা পাশ্ব না। মনে মনে ক্ষোভ হলো ঐ রেলওয়ে কর্মকর্তার উপর। এতবার বলে দিলাম তারপরও জানালার পাশে সিট দিল না। কি শুনছিল কে জানে।
মনের দুঃখকে একত্রিত করে সিটে বসলাম। পাশের সিটে এক মেয়ে। মোবাইলে কথা বলায় ব্যস্ত। একটা বই নিয়ে সেটা পড়ায় মনযোগ দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। জানালার পাশে বসতে না পারার কষ্ট কিছুক্ষণ পর পর বুকে বিধঁছিল। তারপরও মনযোগ সহকারে গল্প পড়ছিলাম। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। একটু পর পর আওয়াজ। চুড়ির টুংটাং আওয়াজ। হাতে জামার সাথে ম্যাচিং করে আমার সহযাত্রীটি অনেক চুড়ি পড়েছেন। হাত নাড়ানোর সাথে সাথে চুড়ির আওয়াজ আসছিলো। শব্দটা যথেষ্ট সুন্দর। কিন্তু গল্পের বই পড়ছিলাম, তার উপর জানালার পাশে সিট না পাওয়ার কষ্টে বিরক্ত লাগছিল শব্দখানি।
একটু পর পর সহযাত্রীর নড়ে চড়ে বসা। আর সাথে সাথে চুড়ির আওয়াজ। গল্পের বই পড়ব না আওয়াজ শুনব। এর উপর আবার মোবাইলে কথা বলছেন। যতটুকু বোঝা গেল চিটাগাং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। হলে থাকেন।
কিছু কথায় মজা পেলাম। এ প্রান্ত থেকে তিনি বলছেন, কোন মোবাইলে কত রেইট জানাইছ তো। সব জানাইছতো।
ঐ প্রান্ত থেকে কি যেন বলল।
তা শুনে আমার পাশে সিটে বসা মেয়েটি বলল, আমি আর আগের মত নাই। অনেক বদলে গিয়েছি।
মোবাইলে জানালো- খুশকির জন্য ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। ডাক্তার একটা বিদেশী শ্যাম্পু দিয়েছেন। সে শ্যাম্পু খুশকী তো দূর হয়ই নি। বরং মাথার চুল নাকি কয়েকশ উঠে গেছে।
আরো অনেক কথা। গল্পের পর গল্প বলছেন।
এভাবে ট্রেন কিছু রাস্তা পার হয়। আমি উকি ঝুঁকি দিয়ে জানালা দিয়ে দেখার চেষ্টা করি। ইশ জানালার পাশে যে কেন বসতে পারলাম না!!!
একটু পর আরেকজনের সাথে কথা বলল। জিজ্ঞেস করল, আপনার ঐখানে সিট খালি আছে?
ঐ পাশ থেকে সম্ভবত হ্যা সূচক জানানো হয়েছে।
তা শুনে দেখি ব্যাগ রেডি করে তিনি অন্য বগিতে ছুটলেন।
ব্যাপারটা একটু রহস্যময় লাগল।
আমার ঐসব ভেবে কাজ নেই। জানালার পাশে সিটে বসতে পারলাম সেটাই বেশি। জানালার পাশের সিটটা আমার হলো।
খোলা জানালায় দমকা হাওয়ায় চুল উড়িয়ে বাহিরের দৃশ্যগুলো দেখতে দেখতে চট্টগ্রাম পৌঁছলাম।
সে আপুকে অনেক ধন্যবাদ। এভাবে বগি পরিবর্তন করায়।