গতকাল সারাদিন জার্নিতে চলে গেছে। প্রায় ৩৩৪ কি মি মোটামুটি দীর্ঘ এক বাস জার্নি।
ছোট বোনের এইচ এস
সি পরীক্ষা। সে উদ্দেশ্যে ঢাকা আসা।
হল পড়েছে মতিঝিল আইডিয়াল কলেজে। তা সকালে ওকে কলেজে নিয়ে এলাম। গার্জিয়ানদের অনেক ভীড়। কোন কোন গার্জিয়ানের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পরীক্ষা মেয়ের না যেন নিজের।
হল পড়েছে মতিঝিল আইডিয়াল কলেজে। তা সকালে ওকে কলেজে নিয়ে এলাম। গার্জিয়ানদের অনেক ভীড়। কোন কোন গার্জিয়ানের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে পরীক্ষা মেয়ের না যেন নিজের।
ওর কলেজের স্যার আসছে। সে স্যারের সাথে পরিচিত হলাম। কিছুক্ষণ কথা হলো। ওকে হলে ঢুকে যেতে বললাম। ও দোয়া চেয়ে ভিতরে ঢুকে পড়ল।
বাহিরে দাঁড়িয়ে আছি।
বেশ কিছু মজা লাগল বিভিন্ন অবস্থা দেখে।
এক পরীক্ষার্থী ঢুকছে। ঢোকার সময় মাকে সিরিয়াস ভাবে স্বান্তনা দিয়ে বলছে, মা তুমি কাইন্দো না, আমি তো যুদ্ধে যাচ্ছি না।......... মার চোখে মুখে মেঘ।
আরেক পরীক্ষার্থী দেখি বাবার পকেটে হাত ঢুকিয়ে দিয়েছে। আরে পরীক্ষা যাওয়ার আগ মুহূর্তেও পকেট মারবে নাকি? পরীক্ষায় টাকা দিয়ে কি করবে।
একটু আশ্চর্য হলাম।
কিন্তু একটু পর যখন বাবার পকেট থেকে মেয়েটি হাত বের করল তখন ভুল ভাঙল।
বাবার পকেটে ছিল বই। শেষ বারের মত দেখে নিতে বইটিতে চোখ বুলাতে বই বের করেছে।
অনেক গার্জিয়ান পত্রিকা বিছিয়ে বসে পড়েছে ফুটপাতে। কেউ কেউ মহা চিন্তিত। কেউবা ক্ষণিকের পরিচেয় শুরু করে দিয়েছে তুমুল আড্ড।
নিজ সন্তানের গল্পটাই বেশি চলছে।
আর আমি চলে এলাম সাইবার ক্যাফে। আরাম বাগের দিকে।
পরীক্ষার শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করছি।
তারিখ : ১ এপ্রিল-২০১০।