ঘন্টা খানেক আগে ফিরলাম। হ্যা ব্যাপক যানযটককে হজম করতে করতে। মাঝে মাঝে একটু ঝিমুনি দিয়েছিলাম। তারপরও ভাগ্য ভাল যেখানে নামার কথা তার আগে ঘুম ভাঙছে। সুতরাং ভুল জায়গায় নামি নাই।
রবীন্দ্র স্মরণীতে
গিয়ে পৌছেই দেখি কেউ নাই। সবাই বাসায় ঘুম যাচ্ছে নাকি। যে গরম পড়ছে ঘুম যাওয়ায় স্বাভাবিক। দিলাম ফোন জিয়া ভাইকে, না ধরেন নাই, এরপর জামান ভাইকে। না তিনিও ধরেণ না। এবার সৈকত ভাইকে দিলাম। না এখানে রিং হয়ে অফ হয়ে গেল। সবার কি হলো?
চক্কর মেরে ঘুরতে লাগলাম রবীন্দ্র স্বরণী। প্রতিবন্ধী উপলক্ষে সেখানে গানের অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে। তা দেখতেছি মনযোগ সহকারে।
অল্পক্ষণের মধ্যে ফোন দিলেন জিয়া ভাই। উল্টা পাশের মসজিদের পাশে তারা বসে আছে দেখতে বললেন। তা দেখলাম। বললেন সোজা চলে আসতে।
তা গেলাম।
যাওয়া মাত্র জিয়া ভাই অভ্যর্থনা জানালেন। দিলেন ভালবাসার লাভ কান্ডি চকলেট খেতে। নীরব ভাই, মুরুব্বী ভাই, আমার কবিতা ভাইয়ের সাথে আন্তরিক হাত মেলালাম। নীলসাধু ভাই যথারীতি উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন। জড়িয়ে ধরলেন। তুলা ভাবীও এসেছেন।
তা চলল আলাপন।
একটু পর আসলেন সোনিয়া আপু ও রুদ্র অক্ষর আপু। সোনিয়া আপু আগে থেকে পরিচিত। কিন্তু রুদ্র অক্ষর আপুকে প্রথম দেখলাম।
সৈকত ভাই প্রশ্ন করলেন রুদ্র আপুকে, আচ্ছা আপনার আবৃত্তি এক রকম। কথা বলার সময় অন্যরকম কেন?
রুদ্র অক্ষর আপু উত্তর দিলেন, আবৃত্তির মত কথা বললে সবাই দূর দূর করে বিদায় করে দেবেন। একটু অভিনয়ও করলেন।

সৈকত ভাইয়ের মোবাইল টিউনটি রুদ্র অক্ষর আপুর আবৃত্তি।
হঠাৎ করে আসলেন নদী আপু। সালাম দিলাম। ওনাকেও প্রথম দেখলাম। প্রথমে আমাকে চিনেন নাই। জানালেন তিন দিন ধরেন অসুস্থ। কিন্তু মুরুব্বী জামান ভাই বগুড়া থেকে চলে আসতে পারলে তিনি উত্তরা থেকে আসতে পারবেন না কেন? এটা চিন্তা করে চলে এলেন।
আমি বই পাগল জানতে পেরে অবাক হলেন। তুমি এত দূর থেকে এসেছো? কেমন আছো?
অনেক ভাল লাগল নদী আপুকে। কথা হলো অনেক।
ওনার আন্তরিকতা অনেক ভাল লাগল। আমি জিজ্ঞেস করলাম- আনন্দের পোস্ট দেন না কেন?
উনি উল্টা আমাকে প্রশ্ন করলেন, আমাকে দেখে কি মনে হচ্ছে আনন্দে নেই???
এদিকে শুরু হয়ে গেল গম্ভীর আলোচনা। বৈশাখী উদযাপন এবং ফোরাম বিষয়ে। সবাই অভিমত দিলেন। বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়া হলো। সেগুলো দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানাবেন।
আমরা বের হচ্ছিলাম এই সময় আসলেন পাশা ভাই মোটর সাইকেল হাকিয়ে। আবার ঢুকলাম। সবাই গোল হয়ে বসলাম। দেওয়া হলো লাচ্ছির অর্ডার।
এদিকে চলছে আড্ডা। তুলা ভাবীকে জিজ্ঞাসা করা হলো ব্লগে আসেন না কেন?
সাধু ভাই জানালেন কারেন্ট কম থাকে। তুলা ভাবী জানালেন আর যখন কারেন্ট আসে তখন হামলে পড়ে সাধু। আমি ধরার সুযোগ পাই না।
তারিখ : ২ এপ্রিল২০১০।