সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

শোনা জীবনের গল্প

দুই পরিবারের পছন্দেই বিয়ে। ছেলে চাকরিজীবি মেয়েও চাকরিজীবি। ধুমধাম আয়োজনে বিয়ে হয়। মেয়েটি বিয়ের কিছুদিন পর অন্যরকম কিছু আবিষ্কার করে। ছেলেটি অন্য একটা মেয়ের সাথে ফোনে প্রায়ই কথা বলে। মেয়েটি একটা পর্যায়ে জানতে পারে ওই ফোনে কথা বলা মেয়েটির সাথে বিয়ের আগে থেকে ছেলেটির সম্পর্ক ছিল। এখনও সে সম্পর্ক অব্যাহত আছে।

স্বামী অন্য এক মেয়ের সাথে এমন এমন কথা বলে যা কোন মেয়েরই মেনে নেওয়ার কথা না। তারপরও সংসার রক্ষার স্বার্থে মেয়েটি মেনে নেয়। ছেলেটির অনীহা মেয়েটাকে কষ্ট দেয়।
এরমধ্যে কনসিভ করে। ছেলেটি বলে নষ্ট করে ফেলতে। নাহ মেয়েটি রাজি না। ছেলেটি জোরাজুরি করে। তারপরও মেয়েটি রাজি না। একটা পর্যায়ে এমন অবস্থায় পৌঁছে যে, দুইটার একটা পথ মেয়েটির বেছে নিতে হবে। নষ্ট করলে সংসার থাকবে আর নষ্ট না করলে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাবে।
পৃথিবীতে আসার আগেই একটা জীবনের মৃত্যুর দায় নিতে মেয়েটি প্রস্তুত ছিল না। সে শেষটায় বেছে নেয়।
বেবি হয়.. সে বেবি বড় হচ্ছে। বেবিটাই এখন মেয়েটার সব... সব স্বপ্ন ওই বেবিকে নিয়েই.......

## ১৫ আগস্ট ১৪। # ফেবু লিংক  #

+++++++++++++++++
তাহাদের দুইজনের মধ্যে অনেক ভালো সম্পর্ক। চমৎকার বোঝা পড়া। ন্যাকামি ব্যাপারটা কখনো দেখিনি।
মেয়েটি লেখা লেখি করে, ছেলেটিও লেখালেখি করে। একবার একটা ম্যাগাজিনে দুইজনই লেখা জমা দিলো। ছেলেটির লেখা প্রকাশ পেলো। মেয়েটির লেখা ছাপানো হয়নি।
মেয়েটির অনেক মন খারাপ হয়। লেখালেখির ব্যাপারে অল্পতেই আপসেট হওয়ার অস্বাভাবিক গুণ আছে মেয়েটির!
তা দেখে ছেলেটিরও মন খারাপ হয়। তার লেখা ছাপানো হয়েছে এটার জন্য একটা অপরাধবোধের মত কিছু সৃষ্টি হয় মনে। কেন যে ম্যাগাজিন কর্তৃপক্ষ তার লেখা ছাপালো। তার লেখা বাদ দিয়ে ওর লেখা ছাপাতো!!
ছেলেটি মনে মনে সিদ্ধান্ত নেয় ও নিজে আর কোথাও লেখা পাঠাবে না।
এরপর মেয়েটি নিয়মিত বিভিন্ন জায়গায় লেখা পাঠায়। ছাপানো হতে থাকে। মেয়েটি বেজায় খুশী। তা দেখে ছেলেটিও খুশী। মেয়েটির খুশী দেখে ছেলেটির অনেক ভাল লাগে।
মেয়েটি মাঝে মাঝে ছেলেটিকে জিজ্ঞেস করে, তুমি লিখো না কেন?
ছেলেটি ব্যস্ততার অভিনয় করে বলে, আরে এত এত কিছু করার পর লেখার সময় কোথায়।
মেয়েটির কখনো জানা হবে না, ছেলেটি লেখালেখি বাদ দেয়ার কারণ।
কিছু সেক্রিফাইসের গল্প অপর পক্ষ কখনোই জানে না, কখনোই না.....

## ১২ আগস্ট২০১৪। # ফেবু লিংক #

+++++++++++++++++++
স্বামী নিয়মিত টাকা পাঠায় বিদেশে হাড় ভাঙ্গা পরিশ্রম করে। দেশে থাকেন বউ ও মা। মা বয়স্ক। চোখে সমস্যা। গ্রামে থাকতো। কিন্তু সন্তানের ভালো পড়ালেখার ব্যবস্থা করার জন্য শহরে শিফট হন।
শিফট হওয়ার পর আবার বিদেশ চলে যাওয়া। বছরে একবার আসার চেষ্টা করে। তবে নিয়মিত টাকা পাঠান।
এদিকে সন্তানের পড়ার জন্য এক বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রকে রাখা হয়। সন্তানের টিচারের সাথে তার বউয়ের ভালো বন্ধুত্ব গড়ে উঠে। একটা পর্যায়ে তা অন্য রকম সম্পর্কের দিকে এগোয়। বিভিন্ন দামী দামী গিফট দেয় ও ছেলেকে। সবই বিদেশ থেকে আসা টাকা থেকে।
বিদেশে থাকা স্বামীটির বিষয়গুলো জানা হয় না। সে ভাবে সব কিছু ঠিকঠাকভাবেই তো চলছে। পরিশ্রম বাড়িয়ে চেষ্টা করেন দেশে আরো বেশি টাকা পাঠাতে। তাতে আরো স্বাচ্ছন্দে থাকতে পারবে পরিবার। কিন্তু........
পরকীয়া সম্পর্কটা অনেক বাজে পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে!!

##  ১০ আগস্ট ১৪। # ফেবু লিংক #