সোমবার, ২ আগস্ট, ২০১০

প্রিয় ব্লগাররা কেমন আছে?

অনেক আগে থেকেই অল্প কিছু লিখতাম। তবে কখনোই তা ধারাবাহিক ভাবে ছিল না। কিন্তু প্রথম আলো ব্লগে আসার পর লেখায় একটা কম শক্তিশালী হলেও ধারাবাহিকতা তৈরি হয়।
কাল বন্ধু দিবস গেল। ব্লগে প্রথম যখন আসি তখন অনেক ব্লগার সক্রিয় ছিলেন যারা এখন ব্লগে আসেন না। কাল তাদের উপস্থিতিতে ব্লগ হয়ে উঠে অনেক প্রিয়। প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেন ব্লগাররা। মন্তব্য করেন। মাঝে মাঝে করতে পারেন না ব্যস্ততার কারণেও। না করলে খারাপ লাগে।
কিন্তু তাদের বেশ কয়েকজন এখন ব্লগেই আসেন না।

আজ কয়েকজন ব্লগারে সাথে কথা বললাম। কেমন আছেন জানার জন্য।
নদী আপু অনেক প্রিয় এক ব্লগার। যেকোন বিপদে ছুটে যান। আচার পছন্দ করেন অনেক। আচার নিয়ে আসছিলেন। পহেলা বৈশাখে। অনেকগুলো খেয়েছি। অনেক হাসিখুশী থাকেন কথা বলার সময় যদিও তার লেখায় কষ্টই বেশি প্রধান হয়ে উঠে। আমি অনুযোগ করি, আপু আনন্দের লেখা লিখেন, শুধু কষ্টের কথা লিখেন কেন? উনি হাসেন।
ওনার সাথে কথা বললাম। কিন্তু কথা শুনে আঁতকে উঠলাম। ছবি প্রদর্শনী দেখে ফিরে আসার সময় দূর্ঘটনায় পড়েন। যখন কথা হচ্ছিলো তখন ক্লিনিকে তিনি। বললেন, এক সপ্তাহ ধরে ছুটিতে আছেন। অফিসে যান না। বেশ কয়েক জায়গায় ব্যথা পেয়েছেন। হারিয়েছেন মূল্যবান বেশ কিছু জিনিষ। শুনে অনেক খারাপ লাগলো। আল্লাহ আপুকে তাড়াতাড়ি সুস্থ করে দেন।
আজ বেশ কয়েকজন ব্লগার বন্ধুর সাথে কথা বললাম। মৌসুমী দত্ত আপু। একসময় প্রতিদিন আসতেন। রাতের বেলায় একবার হলেও ঢু মারতেন ব্লগে। সুন্দর সুন্দর ছবি পোস্ট দিতেন। ব্লগারস ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত বৈশাখী অনুষ্ঠানে অনেক আড্ডা হয় ওনার। ভাল লাগে সে সময়গুলো।
তা আজ জানলাম উনি ল্যাব এইডে। ওনার মা অসুস্থ। সেখানে ভর্তি করা হয়েছে। ব্লগে আসেন না কেন জিজ্ঞেস করতেই বললেন, তিনমাস ট্রেনিংয়ের জন্য গিয়েছিলেন। এরপর বাবার অসুস্থতা। তারপর আবার মায়ের অসুস্থতা। বিপদের উপর দিয়ে সময় যাচ্ছেন। দোয়া করি যাতে ওনার মা সুস্থ হয়ে উঠেন।
তুস ভাইয়ের সাথে কথা বললাম। বললেন আসবেন। জানালেন অনেক মিস করেন ব্লগারস মিটআপ। সামনে কোন মিট আপ আছে কিনা জানতে চাইলেন।
রুদ্র অক্ষর আপুর সাথে কথা হলো। ভাল আছেন। বললেন সামনে সাহিত্য সভা আসতে। মিস যাতে না করি। জানালেন ওনার বাবাও অসুস্থ। আল্লাহ সুস্থ করে দিন।
কবিরনি ভাইয়ের সাথে অনেকক্ষণ কথা হলো। ব্লগ নিয়ে খুঁটি নাটি জানতে চাইলেন।
নীলকাব্য ভাইয়ের সাথেও কথা হলো। বললেন ব্যস্ততা বেশি। অফিস বড় প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। বন্ধু দিবসও সারাদিন অফিসে কাটাতে হয়েছে।
কথা হলো হাফিজুর রহমান চৌধুরী ভাইয়ের সাথে। তিনি জানালেন ব্যস্ততার কারণে আসতে পারেন না। তবে আসবেন সময় সুযোগ পেলেই।
আরো লেখার ছিল বিস্তারিত ভাবে। কিন্তু এখন বাহির হতে হবে। চিটাগাং যাবো। প্রিয় ব্লগারদের সাথে কথা বলে অনেক ভাল লাগল। শুভ কামনা সবার জন্য।