তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি। বেসরকারি স্কুল কোচিং শুরু হয়েছে। বাধ্যতামূলক ভাবে করতে হয়। একদিন অনুপস্থিত থাকার জো নেই। ঠিক এ সময় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় আমাকে মুসলমানী করা হবে। বয়স বেড়ে যাচ্ছে। আর দেরি করা ঠিক হবে না। তা ডাক্তারের সাথে সবকিছু চূড়ান্ত করা হলো। নির্দিষ্ট দিনে ডাক্তারের কাছে গেলাম। আমার সঙ্গী আব্বু, নানা, নানু। আমি ভয়ে অস্থির। কিই না কি করে। তবে দেখলাম আমার চেয়ে বেশি আতঙ্কিত হয়ে আছেন আমার নানা। হঠাৎ সবার কাছ থেকে আলাদা করে আমাকে অপারেশন রুমে ঢুকানো হলো। দেখি অপারেশন রুমের দরজা বন্ধ করে দেওয়া হলো। নানা ঢুকতে উকি ঝুকি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তাকে মানা করা হলো।
আমি তো ভয়ে অস্থির। আপন জন কেউ পাশে নাই। শুধু ডাক্তার আর নার্স। বিশাল বিশাল ক্যাচি, সুই, সুতা পাশের টেবিলে। এলমুনিয়ামের বড় পাত্রে সেগুলো রাখা। বই সেলাইতে দেখছি আগে। কিন্তু মানুষকেও যে সেলানো হয় তা প্রথম জানলাম। নার্স সেগুলো গুছিয়ে নিচ্ছেন। যত গুছাচ্ছেন আমার ভয় তত বাড়ছে।
একটু পর শুরু হলো কাজ। তিনটা ইনজেকশন দেওয়া হলো। নির্দিষ্ট জায়গাটা অবশ। আমি সব দেখতেছি। কিন্তু বুঝতেছি না। দেখলাম ডাক্তার সুই সুতা নিয়ে একবার উঠাচ্ছেন একবার নামাচ্ছেন। কি ভয়ানক ব্যাপার। অথচ আমি কিছু বুঝছি না।
ডাক্তারের সাথে নানার বন্ধুত্ব। অনেক মজা করেন। আমি যাতে ভয় না পাই সেজন্য ডাক্তার আমার সাথে কথা বলছিলেন। -তোমার নানারে আরেকটা বিয়ে করায় দেওয়া দরকার। বেশি লাফালাফি করে।
নানার বিয়ের কথা শুনে আমার লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গেল।
নার্সটা তা খেয়াল করে বললেন, স্যার দেখছেন বিয়ের কথা শুনে ওর মুখের অবস্থা কি হয়েছে?
ডাক্তার হাসেন।
আরো হাসির বিভিন্ন কথা বললেন।
কাজ শেষ। লুঙ্গি পড়ে নামলাম। মুসলমানী উপলক্ষ্যে নতুন লুঙ্গি কেনা হয়েছে। সেবারই প্রথম লুঙ্গি পড়া শুরু। প্যান্ট পড়া যেহেতু অসম্ভব। তাই সব সময় লুঙ্গি পড়তেই হয়। দুই দিন পর স্কুল থেকে জানানো হলো ক্লাস করতে হবে। সব কিছু এগিয়ে যাচ্ছে। ক্লাস না করলে পিছায় পড়বে।
আমার ক্লাস করা শুরু হলো। তবে লুঙ্গি পড়ে। লুঙ্গির উপর শার্ট। তা দেখে অন্যরা হাসে। মেয়েরা একটু বেশি হাসে। লজ্জায় আমি শেষ।
লুঙ্গি পড়ে ক্লাস করার কথা মনে পড়লে এখনও অনেক হাসি আসে।

আমি তো ভয়ে অস্থির। আপন জন কেউ পাশে নাই। শুধু ডাক্তার আর নার্স। বিশাল বিশাল ক্যাচি, সুই, সুতা পাশের টেবিলে। এলমুনিয়ামের বড় পাত্রে সেগুলো রাখা। বই সেলাইতে দেখছি আগে। কিন্তু মানুষকেও যে সেলানো হয় তা প্রথম জানলাম। নার্স সেগুলো গুছিয়ে নিচ্ছেন। যত গুছাচ্ছেন আমার ভয় তত বাড়ছে।
একটু পর শুরু হলো কাজ। তিনটা ইনজেকশন দেওয়া হলো। নির্দিষ্ট জায়গাটা অবশ। আমি সব দেখতেছি। কিন্তু বুঝতেছি না। দেখলাম ডাক্তার সুই সুতা নিয়ে একবার উঠাচ্ছেন একবার নামাচ্ছেন। কি ভয়ানক ব্যাপার। অথচ আমি কিছু বুঝছি না।
ডাক্তারের সাথে নানার বন্ধুত্ব। অনেক মজা করেন। আমি যাতে ভয় না পাই সেজন্য ডাক্তার আমার সাথে কথা বলছিলেন। -তোমার নানারে আরেকটা বিয়ে করায় দেওয়া দরকার। বেশি লাফালাফি করে।
নানার বিয়ের কথা শুনে আমার লজ্জায় মুখ লাল হয়ে গেল।
নার্সটা তা খেয়াল করে বললেন, স্যার দেখছেন বিয়ের কথা শুনে ওর মুখের অবস্থা কি হয়েছে?
ডাক্তার হাসেন।
আরো হাসির বিভিন্ন কথা বললেন।
কাজ শেষ। লুঙ্গি পড়ে নামলাম। মুসলমানী উপলক্ষ্যে নতুন লুঙ্গি কেনা হয়েছে। সেবারই প্রথম লুঙ্গি পড়া শুরু। প্যান্ট পড়া যেহেতু অসম্ভব। তাই সব সময় লুঙ্গি পড়তেই হয়। দুই দিন পর স্কুল থেকে জানানো হলো ক্লাস করতে হবে। সব কিছু এগিয়ে যাচ্ছে। ক্লাস না করলে পিছায় পড়বে।
আমার ক্লাস করা শুরু হলো। তবে লুঙ্গি পড়ে। লুঙ্গির উপর শার্ট। তা দেখে অন্যরা হাসে। মেয়েরা একটু বেশি হাসে। লজ্জায় আমি শেষ।
লুঙ্গি পড়ে ক্লাস করার কথা মনে পড়লে এখনও অনেক হাসি আসে।